জাতীয়
দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা
জলবায়ু পরিবর্তন, অপরিকল্পিত নগরায়নসহ নানা কারণে বিশ্বের বহু শহর বেশ কয়েক বছর ধরেই বায়ুদূষণের কবলে রয়েছে। মেগাসিটি ঢাকার বাতাসেও নেই কোনো স্বস্তির খবর।
মঙ্গলবার (১৬ জানুয়ারি) ভারতের রাজধানী দিল্লির বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার বাতাসেও রয়েছে স্বাস্থ্যঝুঁকি।
এদিন সকাল ৯টা ৪৫ মিনিটের দিকে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সে (একিউআই) ১৮২ স্কোর নিয়ে বিশ্বে দূষিত শহরের তালিকায় দ্বিতীয় নম্বরে রয়েছে ঢাকা।
এ সময় একিউআই স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি। যার ২৩৩ স্কোর, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে রাজধানী ঢাকা, স্কোর ১৮২। এ ছাড়া তৃতীয় স্থানে ভারতের আরেক শহর কলকতা, যার স্কোর ১৭৯। চতুর্থ স্থানে থাকা পাকিস্তানের শহর করাচি রয়েছে, যার স্কোর ১৭০, পঞ্চম অবস্থানে থাকা মিয়ানমারের ইয়াঙ্গুনের স্কোর ১৬৭।
আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের মানদণ্ড অনুযায়ী, একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।
সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
লাগামহীন ঢাকার বায়ুদূষণ যেন দিনের পর দিন বেড়েই চলছে এর মাত্রা। ২০১৬ সালের পর গত আট বছরে ২০২৩ সাল পর্যন্ত ঢাকার বায়ুমান সবচেয়ে খারাপ ছিল। আট বছরের মধ্যে ঢাকায় ২০২৩ সাল ছিল সবচেয়ে বেশি বায়ুদূষণের বছর। চলতি বছরের শুরুতে দূষণের মাত্রা কিছুটা কমলেও প্রথম ১৩ দিনের সাত দিনই শীর্ষে ছিল ঢাকার অবস্থান। নানা উন্নয়ন প্রকল্পসহ দূষণের উৎসগুলো নিয়ন্ত্রণে কর্তৃপক্ষের এক ধরনের নির্লিপ্ততাকে দায়ী করে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এখনই ব্যবস্থা না নিলে চড়া মূল্য দিতে হতে পারে।
স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির বায়ুমণ্ডলীয় দূষণ অধ্যয়ন কেন্দ্রের (ক্যাপস) বিশ্লেষণে দেখা যায়, ২০১৬ সাল থেকে ২০২০ পর্যন্ত সংবেদনশীল গোষ্ঠীর যেমন শিশু ও প্রবীণ জনগোষ্ঠীর জন্য ঢাকার বাতাস অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ছিল। সবশেষ তিন বছরসহ বাকি পাঁচ বছর ছিল অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে। ২০২৩ সালে যা আট বছরের সর্বোচ্চ ১৭১।
চলতি বছরের শুরুর দিন বাদ দিলে বাকি সময়টা বায়ুর মানের কিছুটা উন্নতি হলেও তা সন্তোসজনক নয়। বছরের শুরুর প্রথম ১৩ দিনের মধ্যে সাত দিনই বায়ুদূষণের শীর্ষে ছিল ঢাকা। এই সময়ে ২৮৪ পর্যন্ত উঠেছে।
তাই চলমান শৈত্যপ্রবাহের হাড় কাঁপানো শীতে কুয়াশাকে ধূলার মিশ্রণ অর্থাৎ ধোঁয়াশা বলছেন গবেষকরা। আইন বাস্তবায়নে এখনই কঠোর না হলে আরও চড়া মূল্য দেয়ার শঙ্কা পরিবেশবিদদের।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
এবার আছাদুজ্জামান মিয়ার সম্পদের খোঁজে দুদক
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) অনুসন্ধান টিম ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ও তার স্ত্রীসহ পরিবারের ১০ জনের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদের খোঁজে ৩০ আর্থিক প্রতিষ্ঠানে চিঠি দিয়েছে। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুদকের ঊর্ধ্বতন একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
চিঠিতে মো. অছাদুজ্জামান মিয়া, তার স্ত্রী আফরোজা আমান, ছেলে আসিফ শাহাদাৎ, মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকা ও আসিফ মাহদিন, শ্যালক হারিচুর রহমান, আত্মীয় শাহা ইসলাম, মো. নূরুল ইসলাম লিটন, মো. ইব্রাহীম শেখ ও তাসনীম আল হকের নামে যাবতীয় হিসাবের নথিপত্র তলব করা হয়েছে।
দুদক থেকে যেসব নথিপত্র চাওয়া হয়েছে তা হলো- তাদের মালিকানা প্রতিষ্ঠানের নামে এফডিআর, ঋণ, বিনিয়োগ, ডিপিএস কিংবা কোনো প্রকার লেনদেন থাকে তাহলে তার হিসাব, হিসাব খোলার ফর্ম, কে ওয়াই সি ফর্ম, টি পি. এবং হিসাব খোলার শুরু হতে অদ্যাবধি সময়ের হিসাব বিবরণী এবং জমা ও উত্তোলন সংক্রান্ত যাবতীয় ইনস্ট্রুমেন্ট যেমন- চেক, পে-অর্ডার, জমা স্লিপ, ক্লিয়ারিং ইত্যাদি।
ঋণ হিসাব সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য যেমন- জামানত এবং ঋণ পরিশোধের তথ্য এবং হিসাব বিবরণী এবং বিনিয়োগ কিংবা যেকোনো প্রকার লেনদেন সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্যাদিসহ অন্যান্য রেকর্ডপত্র।
দুদক জানায়, গত ২৭ জুন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার বিরুদ্ধে ওঠা অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের দাবি জানিয়ে দুদকে আবেদন করেন সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবী। ওই আবেদনসহ আরও বেশকিছু অভিযোগ জমা হয় দুদকে। যা যাচাই-বাছাই করে গত ১৮ আগস্ট অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপরই উপপরিচালক হুমায়ুন কবীরের নেতৃত্বে একটি টিমকে অনুসন্ধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর দিবাগত রাত সোয়া ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযোগে বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামান নিজ নামে, স্ত্রী আফরোজা জামান ও তিন সন্তান আসিফ শাহাদাত, আয়েশা সিদ্দিকা, আসিফ মাহাদীন এবং শ্যালক-শ্যালিকা, ভাগনেসহ আরও অনেকের নামে-বেনামে হাজার-হাজার কোটি টাকার সম্পদ গড়েছেন।
সাবেক এ পুলিশ কর্মকর্তা পরিবারের অঢেল সম্পদের মধ্যে গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ, ভাঙ্গা হাইওয়ের পাশে এবং রাজধানীর একটি আবাসিক এলাকাসহ আফতাবনগর, মোহাম্মদপুর, জোয়ার সাহারা, সাভার ও পূর্বাচলে জমি, প্লট ও বাড়ির ছড়াছড়ি।
সম্পদের মধ্যে আছাদুজ্জামান মিয়ার নামে সাড়ে ৭ কাঠা, আফতাবনগরে ৬ কাঠা, পুলিশ হাউজিংয়ে ৬ দশমিক ৯ কাঠা, পূর্বাচল ১৪ নম্বর সেক্টরে ৩ কাঠা, পূর্বাচল ৮ নম্বর সেক্টরের ১০৮ নম্বর রোডে ৫ কাঠা ও সাভারে ২ হাজার বর্গফুটের ফ্ল্যাট রয়েছে।
এছাড়া আছাদুজ্জামানের নামে রয়েছে ৩২২ শতাংশ জমি, ৬৮ ও ২১৫ শতাংশ জমি, ৪৯ দশমিক ৫ শতাংশ এবং ৮ শতাংশ জমি আছে। এছাড়া ফরিদপুরের গ্রামে আছে বিপুল পরিমাণ কৃষিজমি।
তার বড় ছেলে আসিফ শাহাদাতের বয়স ৩৫ বছর। যিনি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার বয়স ৩১ বছর। ২১ বছর বয়সী ছোট ছেলে আসিফ মাহাদীন আমেরিকায় পড়াশুনা করেন। এই তিন ভাই-বোন এই অল্প বয়সেই শতকোটি টাকার সম্পদ-সম্পত্তির মালিক হয়েছেন।
স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে রয়েছে আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর ছয়তলা বিশিষ্ট আলিশান বিশাল বাড়ি, যার বাজার মূল্য ৫০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া তার নামে রাজধানীর ১৩/এ, ইস্কাটন গার্ডেন ও ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের ৬৯ নম্বর বাড়িতে (বি/২/৫) ফ্ল্যাট আছে।
অভিজাত ধানমন্ডি-১২/এ-তে, ইস্কাটনে আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামানের নামে ফ্ল্যাট রয়েছে। পূর্বাচলে ১০ কাঠা প্লট, মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় প্লট রয়েছে তার।
আছাদুজ্জামানের স্ত্রী আফরোজা জামান পুরোদস্তুর গৃহিনী। তার নিজস্ব কোনো আয়ের সংস্থান নেই। তবে সম্পদে পিছিয়ে নেই। রাজধানীর অভিজাত এলাকায় একাধিক দামি ফ্ল্যাট, প্লট, ৫০ কোটি টাকা দামের আলিশান বাড়ি এবং গাজীপুরের কালীগঞ্জে ও নারায়ণগঞ্জে কোটি-কোটি টাকা মূল্যের বিপুল পরিমাণ জমি রয়েছে তার নামে।
আফেরোজার নামে রাজধানীর ধানমন্ডির ১২/এ-তে বিলাসবহুল ফ্ল্যাট আছে। আরেক দামি এলাকা ইস্কাটনেও ফ্ল্যাট আছে তার। অপর একটি আবাসিক এলাকায় ১০ কাঠা জমির ওপর ৬ তলাবিশিষ্ট বিশাল বাড়িও রয়েছে।
গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলার চাঁদখোলা মৌজায় আফরোজা জামানের নামে ৪১ শতাংশ জমি রয়েছে। একই মৌজায় তার নামে রয়েছে আরও ২৬ শতাংশ জমি। একই মৌজায় তার নামে ২০১৯ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি কেনা হয় আরও ৩৯ শতাংশ জমি। এছাড়া জোয়ার সাহারা মৌজায় ৫ কাঠা জমি, একই মৌজায় আরও ১০ কাঠা জমি, একই মৌজায় আরও ৩৯ শতক জমি রয়েছে তার। এছাড়াও আফরোজা নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কৈয়ামসাইর-কায়েতপাড়া মৌজায় দশমিক ২৮ একর, একই মৌজায় আরও ৩২ শতক জমির মালিক।
ঢাকার বাইরে গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জে আফরোজা জামানের যে বিপুল পরিমাণ জমি কেবল সেগুলোর বর্তমান বাজারমূল্যই শত-শত কোটি টাকা। অথচ, তার মতো একজন গৃহিনীর পক্ষে এত জমি কেনা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।
এছাড়া শেপিয়ার্ড কনসোর্টিয়াম লিমিটেড নামের আরেকটি কোম্পানির চেয়ারম্যান আফরোজা জামান। অথচ তিনি একজন আগাগোড়া গৃহবধূ, যার কোনো নিজস্ব পেশা ছিল না। এই কোম্পানির পরিচালক আছাদুজ্জামানের বড় ছেলে আসিফ শাহাদাত।
মেয়ে আয়েশা সিদ্দিকার নামে রাজধানীর ৫৬/৫৭, সিদ্ধেশ্বরী রোডে রূপায়ণ স্বপ্ন নিলয় ৩ নম্বর বিল্ডিংয়ে ৪ হাজার বর্গফুট আয়তনের ফ্ল্যাট আছে। এছাড়া তার নামে মোহাম্মদপুরের ঢাকা উদ্যান এলাকায় প্লট আছে। ২০২১ সালে বিপুল পরিমাণ কালোটাকা সাদাও করেছেন তিনি, যখন তার বয়স ছিল মাত্র ২৮ বছর।
ছোট ছেলে আসিফ মাহাদিনের নামে নিকুঞ্জ আবাসিক এলাকার ৮/এ রোডের ৬ নম্বর ট্রিপ্লেক্স বৈশিষ্ট্যের বাড়িটি তার নামে। এটির বাজারমূল্য ১০ কোটি টাকার বেশি। এছাড়া আফতাবনগরেও তার নামে ৫ কাঠা প্লট আছে।
এছাড়া আছাদুজ্জামান মিয়া গাজীপুরের শ্রীপুরে দেড় একর জমির মালিক। ভাগ্নে ইব্রাহিম শেখ ওরফে কলম ও শ্যালক নূর আলম ওরফে মিলনের নামে কেনা হলেও তারা কার্যত বেকার অর্থাৎ তাদের কোনো আয় নেই।
অভিযোগে আরও বলা হয়েছে, আছাদুজ্জামানের শ্যালক-শ্যালিকার নামেও সম্পত্তির ছড়াছড়ি। তাদের নামেও কোটি কোটি টাকার জমি রয়েছে। শ্যালিকা ফাতেমাতুজ্জোহরার নামে ধানমন্ডিতে ফ্ল্যাট, খুলনায় বাড়ি এবং মোহাম্মদপুরে একাধিক জমি রয়েছে। পরিবহন ব্যবসাও রয়েছে তার।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
ব্যবসা একটা সংগ্রাম, আমরা সংগ্রামকে সহজ করব: ড. ইউনূস
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, ব্যবসা করা একটা সংগ্রাম, এ সংগ্রামটা আমরা সহজ করব। তিনি বলেন, আমরা একটা আশা, যতদিন থাকি শ্রমিক-মালিক সম্পর্ককে একটা সুন্দর জায়গায় নিয়ে যাব। শ্রমিক, মালিক, সরকার একসঙ্গে টিম হয়ে কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘ন্যাশনাল বিজনেস ডায়লগ’ অনুষ্ঠানে দেশের শীর্ষ ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে তিনি এ কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সম্প্রতি বিভিন্ন শিল্প-কারখানায় শ্রমিক অসন্তোষের কারণে দেশের অর্থনীতিতে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তার চিত্র তুলে ধরেন ব্যবসায়ীরা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থান প্রথাগত আন্দোলন ছিল না। ‘তারা এটা জেনেই রাস্তায় নেমেছিল যে, নাও ফিরতে পারে বাড়িতে। প্রাণের বিনিময়ে তারা লক্ষ্য অর্জন করে গেছে।’
নতুন বাংলাদেশের জন্য তরুণদের লড়াইয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তারা এ সুযোগ না করে দিলে জাতিকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা যেত না। তাই আমাদের সুস্থ-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে এগিয়ে যেতে হবে।’
ড. ইউনূস আরও বলেন, ‘এ সুযোগ জাতির জীবনে বারবার আসে না। অতীত আর টানবে না আপনাকে। নতুনভাবে এগিয়ে যেতে হবে। এটা যেন আমরা হারিয়ে না ফেলি। আর হারালে জাতির আর কিছুই অবশিষ্ট থাকব না।’
নতুন বাংলাদেশ হিসেবে উত্তরণ অনেক কঠিন কাজ উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘যতটুকু সময় আমরা সরকারে আছি, ততটুকু সময়েই টিম হিসেবে কাজ করব। সবাই মিলে স্বপ্ন বাস্তবায়ন করব।’
মধ্যম আয়ের দেশ হয়ে গেলে, অনেক সুযোগ-সুবিধা বন্ধ হয়ে যায় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘তবে সে দেশটাকে প্রতিযোগী হিসেবে দাঁড় করাতে হবে।’
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান ৭ দিনের রিমান্ডে
ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাবেক ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়ার সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) তাকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ।
এরপর মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা। শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলাম সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান জনিকে পুলিশি হেফাজতে ‘ক্রসফায়ারের নামে হত্যার’ অভিযোগে এ মামলা করা হয়। মামলায় আছাদুজ্জামান মিয়া এজাহারনামীয় ১২ নম্বর আসামি।
গতকাল বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মহাখালী ফ্লাইওভার এলাকা থেকে আছাদুজ্জামান মিয়াকে গ্রেফতার করে র্যাব।
২০১৫ সালের ২০ জানুয়ারি খিলগাঁও এলাকায় পুলিশ হেফাজতে থাকা অবস্থায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে নুরুজ্জামান জনি নিহত হন। এর প্রায় ১০ বছর পর গত ৩ সেপ্টেম্বর জনির বাবা ইয়াকুব আলীর করা খিলগাঁও থানার মামলায় সাবেক এমপি সাবের হোসেন চৌধুরীসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন সেপ্টেম্বরেই চালুর উদ্যোগ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে রাজধানীর সবচেয়ে জনপ্রিয় গণপরিবহন মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন দুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ দুই স্টেশন ঠিক করতে অন্তত এক বছর সময় লাগবে বলে জানিয়েছিল শেখ হাসিনা সরকার।
তবে আশার বাণী হলো, চলতি (সেপ্টেম্বর) মাসেই ক্ষতিগ্রস্ত দুই স্টেশন ফের চালুর চেষ্টা করছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। তবে সেপ্টেম্বরের ঠিক কত তারিখ তা চালু হবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) ডিএমটিসিএল সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে।
ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত দুটি স্টেশনে যেসব সমস্যা রয়েছে সেগুলো সমাধানে কাজ চলছে। চলতি মাসের মধ্যে দুটি বন্ধ স্টেশন পুনরায় চালুর জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলছে। আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ডিএমটিসিএল অংশীজনদের নিয়ে একটি বৈঠকের প্রস্তুতি নিচ্ছে। বৈঠকে মেট্রোর ওই দুটি স্টেশন চালুর বিষয়ে দিনক্ষণ চূড়ান্ত করা হতে পারে।
সূত্র বলছে, যদি কোনো কারণে সেপ্টেম্বরের মধ্যে ওই দুটি স্টেশন চালু করা সম্ভব না হয় তবে যাত্রীদের ওঠা এবং নামার ব্যবস্থা করা হবে। টিকিট ও এমআরটি পাসের বিষয়ে বিকল্প সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দ. আফ্রিকায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার আহমেদ শফী
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ আহমেদ শফীকে দক্ষিণ আফ্রিকায় বাংলাদেশের নতুন হাইকমিশনার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (১২ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পেশাদার কূটনীতিক আহমেদ শফী বিসিএস (পররাষ্ট্র) ক্যাডারের ১৭তম ব্যাচের কর্মকর্তা। তিনি পূর্ব ইউরোপ ও সিআইএস অনুবিভাগের মহাপরিচালক ছিলেন।
আহমেদ শফী ফরেন সার্ভিস একাডেমির মহাপরিচালক ছিলেন। তিনি ঢাকার ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজে সিনিয়র ডিরেক্টরিং স্টাফ (ফরেন অ্যাফেয়ার্স) ফ্যাকাল্টি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
কূটনৈতিক কর্মজীবনে আহমেদ শফী নাইরোবি, লস এঞ্জেলেস, প্যারিস এবং নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ মিশনে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি বেইজিংয়ে বাংলাদেশ দূতাবাসে ডেপুটি চিফ অব মিশন হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
আহমদ শফী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সমাজবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি প্যারিসের ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রটেশন (আইআইএপি) থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন।