অর্থনীতি
রেমিট্যান্স পাঠানোয় শীর্ষে আমিরাতের প্রবাসীরা
দেশের বৈদেশিক মুদ্রা আয়ের দ্বিতীয় খাত রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয়। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ১ হাজার ৭৯ কোটি ডলার। এই ছয় মাসে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবকে পেছেনে ফেলে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন আরব আমিরাতের প্রবাসীরা।
আগের অর্থবছরের একই সময়ে বাংলাদেশি প্রবাসীরা ১ হাজার ৪৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে রেমিট্যান্স বেড়েছে ৩০ কোটি ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদনে এমন তথ্য উঠে এসেছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের জুলাই-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময়ে মোট ১ হাজার ৭৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে প্রবাসীরা। এসময় সর্বোচ্চ ১৯৭ কোটি ৮৩ লাখ ডলার এসেছে আরব আমিরাত থেকে। আগের অর্থবছরের পুরো সময়ে দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিলো ৩০৩ কোটি ৩৮ লাখ ডলার।
আলোচ্য এই সময়ে প্রবাসী আয় পাঠানোর তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সৌদি আরব। অর্থবছরের প্রথম ৬ মাসে সৌদির প্রবাসীরা ১৪২ কোটি ৫৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরের পুরো সময় এ দেশটি থেকে রেমিট্যান্স এসেছিল ৩৭৬ কোটি ৫২ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরে সৌদির প্রবাসীরা সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলো।
দেশে ডলার পাঠানোর তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। জুলাই-ডিসেম্বর সময়ে দেশটি থেকে এসেছে ১৩৬ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। আগের অর্থবছরের পুরো সময়ে রেমিট্যান্স পাঠানোর তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিলো দেশটি। তখন দেশটি থেকে মোট রেমিট্যান্স এসেছিলো ২০৮ কোটি ৪ লাখ ডলার।
সদ্য সমাপ্ত বছরের ডিসেম্বরে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১৯৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স। তার আগের বছর ২০২২ সালের ডিসেম্বরে রেমিট্যান্স এসেছিল ১৭০ কোটি ডলার। অর্থাৎ আগের বছরের একই মাসের তুলনায় রেমিট্যান্স বেড়েছে ২৯ কোটি ডলার।
সমাপ্ত বছরের পুরো সময়ে প্রবাসীরা দেশে রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ২ হাজার ১৯২ কোটি ডলারের সমপরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা। যা তার আগের বছরের চেয়ে ৬৩ কোটি ডলার বেশি। ২০২২ সালে রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১২৯ কোটি ডলার।
এর আগে গত ২০২২-২৩ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছে ২ হাজার ১৬১ কোটি ৭ লাখ মার্কিন ডলার। আগের ২০২১-২০২২ অর্থবছরে মোট রেমিট্যান্স এসেছিল ২ হাজার ১০৩ কোটি ১৭ লাখ মার্কিন ডলার। ২০২০-২১ অর্থবছরে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আহরণ হয়েছিল। যার পরিমাণ ছিল ২ হাজার ৪৭৭ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার।
চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ডিসেম্বর মাসে। সদ্য সমাপ্ত এই মাসটিতে প্রবাসীরা ১৯৮ কোটি ৯৮ লাখ ডলার পাঠিয়েছে।
এর আগে ২০২৩ সালের জুন মাসে প্রবাসীরা ২১৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে। গত দুই অর্থবছরের মধ্যে একক মাস হিসাবে এখন পর্যন্ত এটিই সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, জুলাই- অক্টোবর সময়ে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন ঢাকা বিভাগের প্রবাসীরা। আর সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রংপুর বিভাগে। আলোচ্য এই সময়ে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলায় প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৪২৩ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে ঢাকা জেলায়, যার পরিমাণ ৩৬৩ কোটি ডলারের বেশি। আর রংপুরের আট জেলার প্রবাসীরা ১০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার পাঠিয়েছে। এ বিভাগে সবেচেয়ে বেশি রেমিট্যান্স এসেছে রংপুর জেলায় ২ কোটি ৭৮ লাখ ডলার।
চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার প্রবাসীরা রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে ৩০৫ কোটি ৪৩ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে চট্টগ্রাম জেলা, যার পরিমাণ ১০২ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এ বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৫৯ কোটি ৪৩ লাখ ডলার এসেছে কুমিল্লা জেলায়।
সিলেট বিভাগের প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ১২০ কোটি ৪১ লাখ ডলার। এ বিভাগে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স পেয়েছে সিলেট জেলার প্রবাসীরা। যার পরিমাণ ৬৪ কোটি ডলার। সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় সংগ্রহ করেছে সুনামগঞ্জ জেলা। এ জেলার প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন মাত্র ১৫ কোটি ডলার সমপরিমাণ রেমিট্যান্স।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলার মোট প্রবাসী আয় এসেছে ৩৪ কোটি ৯৭ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে যশোর জেলায়, যার পরিমাণ ৭ কোটি ৬৬ লাখ ডলার। এ বিভাগের নড়াইল জেলায় সর্বনিম্ন ২ কোটি ২২ লাখ ডলার রেমিট্যান্স এসেছে। এছাড়া রাজশাহী বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ২৭ কোটি ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ ৬ কোটি ৭০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছে বগুড়া জেলার প্রবাসীরা।
এছাড়া বরিশাল বিভাগে রেমিট্যান্স এসেছে ২১ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ৯ কোটি৪৬ লাখ ডলার বরিশাল জেলায়। ঝালকাঠি জেলার প্রবাসীরা সর্বনিম্ন ২ কোটি ১৭ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন।
অপরদিকে ময়মনসিংহের চারটি জেলার সম্মিলিত প্রবাসী আয় এসেছে ১৫ কোটি ৬১ লাখ ডলার। এ বিভাগের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে ময়মনসিংহ জেলায়। যার পরিমাণ ৭ কোটি ৯৮ লাখ ডলার। এখানে সর্বনিম্ন প্রবাসী আয় পেয়েছে শেরপুর জেলা। জেলাটির প্রবাসীরা অর্থবছরে প্রথম ছয় মাসে মাত্র ১ কোটি ৩১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে দুদকে তলব
ঋণের নামে ইসলামী ব্যাংকের ৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের ১৭ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) দুদকের উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাতের সই করা এক চিঠিতে এ তলব করেন।
চট্টগ্রামের মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. গোলাম সরওয়ার চৌধুরী ও অন্য ব্যবসায়ী গ্রুপ জাল-জালিয়াতি করে ওই পরিমাণ অর্থ আত্মসাৎ করেছেন বলে দুদকে দেওয়া অভিযোগে বলা হয়। দুদক সূত্রে এই খবর জানা গেছে।
দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ইয়াছির আরাফাতের নেতৃত্বে তিন সদস্যের টিম অভিযোগটি অনুসন্ধান করছে। ১৭ কর্মকর্তার বিষয়ে ও অভিযোগ সম্পর্কে তথ্য চেয়ে উপপরিচালক ইয়াছির আরাফাত স্বাক্ষরিত চিঠি এরই মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে ওইসব কর্মকর্তার জাতীয় পরিচয়পত্র এবং পাসপোর্টের সত্যায়িত ফটোকপি পাঠাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ইসলামী ব্যাংক চট্টগ্রামের চাকতাই শাখার গ্রাহক মেসার্স মুরাদ এন্টারপ্রাইজ, জুবিলী রোড শাখার গ্রাহক ইউনাইটেড সুপার ট্রেডার্স, খাতুনগঞ্জ শাখার গ্রাহক সেঞ্চুরি ফুড প্রোডাক্টসের ঋণ পরিদর্শন বা মনিটরিং নিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক কর্মকর্তাদের ভূমিকার যৌক্তিকতা সম্পর্কে তথ্য চাওয়া হয়েছে।
চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, গত ১১ নভেম্বর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওইসব কর্মকর্তাদেরকে দুদকের প্রধান কার্যালয়ে ডাকা হয়েছিলো। তারা ওইদিন হাজির না হওয়ায় তাদেরেক দুদকে হাজির হয়ে ঋণ-সংক্রান্ত পরিদর্শন রেকর্ডপত্র ও লিখিত বক্তব্য জমা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ওই ১৭ কর্মকর্তা হলেন- কেন্দ্রীয় ব্যাংকের চট্টগ্রাম কার্যালয়ের ব্যাংক পরিদর্শন বিভাগের উপপরিচালক মে. জুবাইর যেসেন, উপপরিচালক খোরশেদুল আলম, রুবেল চৌধুরী, দেবাশীষ বিশ্বাস, মুহাম্মদ জিয়াউদ্দিন বাবলু, যুগ্ম পরিচালক সুনির্বাণ বড়ুয়া, অনিক তালুকদার, কোল হোসেন, সৈয়দ মু আরিফ-উন-নবী, অতিরিক্ত পরিচালক ছলিমা বেগম, শংকর কান্তি ঘোষ, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন ও মো. সোয়াইব চৌধুরী।
বাংলাদেশ ব্যাংক ঢাকা অফিসের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুর রউফ, উপপরিচালক লেনিন আজাদ পলাশ, পরিদর্শন দলের নেতা ও অতিরিক্ত পরিচালক মো. মঞ্জুর হোসেন খান।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
খেজুরের আমদানিতে কমলো শুল্ক, থাকছে না অগ্রিম কর
রমজানে দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখতে খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক ও সমুদয় অগ্রিম কর কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নতুন ওই সুবিধা ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরকে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য খেজুর আমদানির ওপর বিদ্যমান কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ হতে হ্রাস করে ১৫ শতাংশ, অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ৩ শতাংশ এবং বিদ্যমান ৫ শতাংশ আগাম কর সম্পূর্ণ প্রত্যাহার করে অর্থাৎ মোট করভার ৬৩ দশমিক ৬০ শতাংশ হতে হ্রাস করে ৩৮ দশমিক ৭০ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে ১৭ নভেম্বর খেজুর আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম আয়কর (এআইটি) কমানোর প্রস্তাব দেয় বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন। খেজুর আমদানিতে আগাম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ, আগাম কর ৫ শতাংশ পুরোপুরি বাতিল এবং আমদানি শুল্ক ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ করার সুপারিশ করে ট্যারিফ কমিশন।
এনবিআর মনে করে, খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান শুল্ক-কর হ্রাস করার ফলে মানভেদে প্রতি কেজি খেজুরের আমদানি ব্যয় প্রায় ৬০ টাকা হতে ১০০ টাকা হ্রাস পেতে পারে। আমদানি পর্যায়ে শুল্ক-কর হ্রাসের ফলে খেজুরের আমদানি বৃদ্ধি পাবে, বাজারে খেজুরের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে এবং খেজুরের বিক্রয় মূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
দেশের বাজারে ফের বাড়ল সোনার দাম
দেশের বাজারে আবারও সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশন (বাজুস)। ভরিতে এবার সর্বোচ্চ ১ হাজার ৯৯৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। দাম বাড়ানোর ফলে ভালো মানের অর্থাৎ ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম হবে এক লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ টাকা। যা আজকেও ছিল এক লাখ ৩৭ হাজার ৪৪৯ টাকা।
আজ বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বাজুস) মূল্য নির্ধারণ ও মূল্য পর্যবেক্ষণ স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বাজুস জানায়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামীকাল (২২ নভেম্বর) থেকে সোনার নতুন দাম কার্যকর হবে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
জুস-ড্রিংকস রপ্তানিতে মিলবে নগদ প্রণোদনা
কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তার জন্য নতুন নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন থেকে দেশে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস ফ্রুটবার, ড্রিংকস জাতীয় পণ্য রপ্তানিতে নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তানিকারকরা। বর্তমানে এ খাতের রপ্তানিতে ১০ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেয় সরকার।
বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করেছে।
সার্কুলারে বলা হয়েছে, কৃষিপণ্য (শাক-সবজি ও ফলমূল) এবং প্রক্রিয়াজাত (অ্যাগ্রো প্রসেসিং) কৃষিপণ্য রপ্তানিতে রপ্তানি প্রণোদনা নগদ সহায়তা প্রদান প্রসঙ্গে বলা হয়েছে, ২০১৯ সালে জারি করা এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলারে ফল ও সবজি থেকে উৎপাদিত সব ধরনের পেস্ট, ফ্রুটবার, টিনজাত সামগ্রী, ডিহাইড্রেটেড সামগ্রী, জুস, ড্রিংকস রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা প্রদানের নির্দেশনা রয়েছে। এর সঙ্গে সরকারি সিদ্ধান্ত স্পষ্ট করা বলা হয়েছে, দেশের অভ্যন্তরে অবস্থিত সহযোগী বা ভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গৃহীত এবং স্থানীয়ভাবে উৎপাদিত ফলজাত পাল্প থেকে প্রস্তুত করা জুস এবং ড্রিংক্স ইত্যাদি রপ্তানির বিপরীতে নগদ সহায়তা পাবে।
কৃষি ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য রপ্তানির বিপরীতে প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত আগের জারি করা অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
এক সপ্তাহে রিজার্ভ বাড়ল ৬ কোটি ডলার
এক সপ্তাহের ব্যবধানে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬ কোটি ১০ লাখ ডলার বেড়েছে। আজ বৃহস্পতিবার (২১ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় ব্যাংক এমন তথ্য প্রকাশ করেছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাবপদ্ধতি বিপিএম ৬ অনুযায়ী, এক সপ্তাহের ব্যবধানে রিজার্ভ ছয় কোটি ১০ লাখ বেড়ে এক হাজার ৮৪৯ কোটি কোটি ৪০ লাখ ডলারে দাঁড়াল। বর্তমানে বিভিন্ন তহবিলসহ গঠিত মোট রিজার্ভ দুই হাজার ৪২৭ কোটি ডলার।
আগের সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) দুই মাসের বিল পরিশোধের পর নভেম্বরের মাঝামাঝি বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ১৯ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে আসে।
আকু হলো আন্তঃদেশীয় লেনদেন নিষ্পত্তির ব্যবস্থা। এর সদস্যদেশ হলো বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, নেপাল, পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, মিয়ানমার, ভুটান ও মালদ্বীপ। তবে দেনা পরিশোধে ব্যর্থ হওয়ায় সম্প্রতি এ তালিকা থেকে বাদ পড়েছে শ্রীলঙ্কা।
আকুর বিল পরিশোধ ছাড়াও রিজার্ভ থেকে দৈনন্দিন ভিত্তিতে বিদেশি ঋণ ও ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে। সরকারের জরুরি আমদানি ব্যয় পরিশোধে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রিও করতে হয়।
অন্যদিকে বৈদেশিক ঋণ, অনুদান, প্রবাসী আয়ের নির্দিষ্ট অংশ বাংলাদেশ ব্যাংকে রিজার্ভ হিসেবে জমা হয়।
কাফি