আন্তর্জাতিক
২০২৩ সালে বাংলাদেশের কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন তিনগুণ
বাংলাদেশের সরকারি তথ্যের এক বিশ্লেষণে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ২০২৩ সালে তিনগুণ হয়েছে দেশের কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন। এই উৎপাদন এক দশকের মধ্যে সবচেয়ে বাজে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সহায়ক হয়, একইসঙ্গে কমায় বিদ্যুৎ উৎপাদনের খরচ।
২০২৩ সালে ডলার সংকট ও টাকার মানে অবনমনের কারণে প্রাকৃতিক গ্যাস, ফার্নেস অয়েল ও ডিজেল আমদানির দায় পরিশোধে সমস্যা হয় সরকারের। কয়লার চেয়ে এসব জ্বালানির দাম তুলনামূলক বেশি হলেও– এগুলো পোড়ালে দূষণ কয়লার চেয়ে কম হয়। এই অবস্থায়, গত বছর বাংলাদেশের মিশ্র জ্বালানির বিদ্যুৎ উৎপাদনে– অপেক্ষাকৃত পরিচ্ছন্ন জ্বালানির চেয়ে কয়লার ব্যবহার/ অংশ বাড়ার ঘটনা দেখা গেছে।
পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশের (পিজিসিবি) দৈনিক পরিচালন রিপোর্টগুলোর বিশ্লেষণে দেখা গেছে, ২০২২ সালে কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন হয় ৭.৯ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা। ২০২৩ সালে যা ব্যাপকভাবে বেড়ে রেকর্ড পরিমাণ ২১ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টা হয়।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র একজন কর্মকর্তা বলেন, এবছর নতুন একটি ইউনিট চালু হবে, এতে (বিদ্যুৎ উৎপাদনে) কয়লার অংশ আরও বাড়তে পারে। সে তুলনায়, গ্যাসের ওপর নির্ভরশীলতা স্থিতিশীল অবস্থানে থাকবে এবং তরল জ্বালানি ব্যবহারের পরিমাণ কমবে বলে আশা করা হচ্ছে।
পিজিসিবির তথ্যমতে, জ্বালানি মিশ্রণে কয়লার অংশ ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়ায় ১৪.২ শতাংশে, ২০২২ যা ছিল ৮.৯ শতাংশ। গেল বছরে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশ বেড়ে দাঁড়ায় ৫৫.২ শতাংশে, যা ছিল ৪ বছরের মধ্যে প্রথম বৃদ্ধির ঘটনা। সে তুলনায়, ২০২২ সালে মিশ্র জ্বালানিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের অংশ ছিল ৫১ শতাংশ।
তবে ২০২২ সাল পর্যন্ত ১০ বছরে জ্বালানি মিশ্রণে প্রাকৃতিক গ্যাসের গড় অংশ ছিল ৬৬ শতাংশ। তবে ওই বছর থেকেই বিশ্ববাজারে জ্বালানিটির উচ্চমূল্য বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উৎপাদনে এর ব্যবহার কমানোর চাপ তৈরি করে। স্থানীয় গ্যাসক্ষেত্র থেকে উৎপাদনের পাশাপাশি মধ্যপ্রাচ্য থেকে এলএনজি আমদানি বাংলাদেশের গ্যাস সরবরাহের প্রধানতম উৎস।
সরকারি তথ্যমতে, ডিজেলসহ জ্বালানি তেলের বদলে কয়লা ও গ্যাসের ব্যবহার বেড়েছে। বিদ্যুৎ উৎপাদনে তরল জ্বালানির অংশ ২০২৩ সালে ২০.৩ শতাংশে নেমে আসে, যা ২০২২ সালে ছিল ২৯.৬ শতাংশ।
১৭ কোটির বেশি জনসংখ্যার দেশ- বাংলাদেশ বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ পোশাকপণ্য রপ্তানিকারক। ওয়ালমার্ট, এইচঅ্যান্ডএম ও জারা-সহ বিশ্বখ্যাত অনেক খুচড়া বিক্রেতা ব্র্যান্ড এদেশ থেকে চালান সংগ্রহ করে। রয়টার্স জানায়, ২০২৩ সালে প্রতি চারদিনের মধ্যে তিনদিনই পোশাক কারখানাগুলো অনির্ধারিত লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে।
এসময় বিদ্যুৎ উৎপাদনের সার্বিক ঘাটতি প্রায় ৪০ শতাংশ বেড়ে ২.৭ বিলিয়ন কিলোওয়াট ঘণ্টায় পৌঁছায়, যা ছিল মোট চাহিদার ২.৮ শতাংশ। তবে বছরের শেষ ছয় মাসে কয়লা পুড়িয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ার ঘটনা এই ঘাটতি কমানোর সহায়ক হয়।
ভারত ও ভিয়েতনামের মতোন প্রধান প্রধান এশীয় অর্থনীতির দেশের মতোন বাংলাদেশও এসময় বিদ্যুতের বর্ধিত চাহিদা মেটাতে তুলনামূলক সস্তা– কয়লার ব্যবহার বাড়ায়। ২০২৩ সালে দেশের কয়লা ব্যবহার বেড়েছে ৫ শতাংশের বেশি।
কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর মাধ্যমে চার বছরের মধ্যে প্রথমবার গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়ও কমেছে বাংলাদেশের।
গেল বছরের নভেম্বর পর্যন্ত ১১ মাসে গড় বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ছিল ৫ টাকা ২৩ পয়সা, যা ২০২২ সালের চেয়ে ৯ শতাংশ কম।
বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীল শীর্ষ ১০ অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ, তবে এই বছর সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা বাড়িয়ে এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র চালুর মাধ্যমে– দূষণমুক্ত বিদ্যুৎ উৎপাদন বৃদ্ধির আশা করছে সরকার।
তবে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট শিল্পের কর্মকর্তারা বলেছেন, আগামী বছরগুলোতে বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানির আধিপত্য বজায় থাকবে। চলতি দশকে নবায়নযোগ্য উৎস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৫ শতাংশের বেশি হবে না বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
অর্থনীতি
১২০ মিলিয়ন ডলারে পিওর ইট বিক্রি করে দিল ইউনিলিভার
খাবার পানি শোধনকারী (ফিল্টার) পিওর ইট ১২০ মিলিয়ন ডলারে বিক্রি করে দিয়েছে ইউনিলিভার। গ্লোবাল ওয়াটার টেকনোলজি কোম্পানি এও স্মিথ কর্পোরেশন নিজেদের ওয়েবসাইটে পিওর ইট কিনে নেওয়ার কথা জানিয়েছে। চলতি বছরের শুরুতে পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি করেছিলো গ্লোবাল ওয়াটার।
জানা যায়, ২০০৪ সালে ভারতের চেন্নাইতে পিওর ইট প্রথম চালু করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ার দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা এবং নিরাপদ পানি সরবরাহ করার উদ্দেশ্যে এটি চালু করা হয় বলে জানিয়েছিল ইউনিলিভার। ইউনিলিভার বাংলাদেশে ২০১০ সালে পিওর ইট চালু করে।
পিওর ইট কিনে নেওয়া এও স্মিথ কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান এবং চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কেভিন জে হুইলার বলেন, পিওর ইট বাজারে আমাদের প্রিমিয়াম ব্র্যান্ডগুলোর পরিপূরক। এটি দক্ষিণ এশিয়ায় আমাদের উপস্থিতি বাড়াতে সহায়তা করবে।
ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও পিওর ইট বর্তমানে শ্রীলঙ্কা, ভিয়েতনাম এবং মেক্সিকোয় বিক্রি হচ্ছে। পিওর ইট অধিগ্রহণের চুক্তিটি এই বছরের শুরুতে ঘোষণা করা হয়েছিল। দক্ষিণ এশিয়ায় ইউনিলিভার পিওর ইট বিক্রি থেকে বছরে ৬০ মিলিয়ন ডলার আয় করে।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনে ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি রয়েছে বাংলা। এবারের ব্যালট পেপারে চারটি বিদেশি ভাষার মধ্যে একটি ছিল বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআই’র খবর অনুযায়ী নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। প্রতিবেদন অনুসারে, এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হল নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, ‘অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশনস নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।’
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন ২ শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
নিউ ইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রদেশে এক লক্ষেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউ ইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস এবং ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’বলে ডেকে থাকেন।
আমেরিকায় যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউ ইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লক্ষাধিক বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউ ইয়র্ক প্রশাসন।
প্রসঙ্গত, আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলিতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, ‘আমি বুঝতে পারছি যে (ব্যালট পেপারের জন্য) অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুণ্ন হতে পারেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো গত্যন্তর ছিল না।’
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫-এর আওতায় দু’বছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা করা হয় । মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যে-সব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার প্রদান করা হোক।
পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী দু’পক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
এমআই
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যালট পেপারে বাংলা ভাষা
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি বিদেশি ভাষার অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলায় প্রথম ছাপা হলো নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা বোর্ড অব ইলেকশন্সের নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্য শাখার নির্বাহী পরিচালক মাইকেল জে রায়ান সোমবার (৫ নভেম্বর) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরীয় ও বাংলা।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
নিউইয়র্কে বাংলাভাষী বহু মানুষের বাস। যাদের সিংহভাগ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। ২০২০ সালের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্রের এই রাজ্যে এক লাখেরও বেশি বাংলাভাষী মানুষ বসবাস করেন। নিউইয়র্কে বাঙালিদের বসবাস মূলত ব্রুকলিন, কুইনস ও ব্রঙ্কসে। ব্রুকলিনের কেনসিংটন এলাকার একাংশকে স্থানীয়রা ‘ছোট বাংলাদেশ’ বলে ডেকে থাকেন।
যুক্তরাষ্ট্রে যত বাঙালি বসবাস করেন, তাদের ৪০ শতাংশেরই বাস নিউইয়র্কে। সামগ্রিকভাবে গোটা যুক্তরাষ্ট্রে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন লাখেরও বাংলাদেশি। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, বাংলাদেশি ভোটারদের সুবিধার্থেই ব্যালটে বাংলা ভাষা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নিউইয়র্ক প্রশাসন।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ক্ষেত্রে প্রদেশগুলোতে ভিন্ন ভিন্ন নিয়ম রয়েছে। ২০২০ সালে যেমন হিন্দিভাষী ভোটারদের কথা মাথায় রেখে ইলিনয় প্রদেশের ব্যালটে অন্য অনেক ভাষার সঙ্গে হিন্দিও রাখা হয়েছিল।
ব্রিফিংয়ে এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের উত্তরে মাইকেল জে রায়ান বলেন, আমি বুঝতে পারছি যে ব্যালট পেপারের জন্য অন্যান্য ভারতীয় ভাষাকে বাদ দিয়ে শুধু বাংলাকে বেছে নেওয়ায় অন্যান্য ভাষাভাষী ভারতীয়রা হয়ত মনঃক্ষুন্ন হতে পারেন, কিন্তু এটা ছাড়া আমাদের সামনে কোনো গত্যন্তর ছিল না।
যুক্তরাষ্ট্রের ভোটার অধিকার আইন, ১৯৬৫- এর আওতায় দুবছর আগে নিউইয়র্কের আদালতে একটি মামলা করা হয়। মামলাকারীদের দাবি ছিল, নিউইয়র্কে যেসব অঞ্চলে অভিবাসীদের সংখ্যা বেশি, সেসব অঞ্চলে ইংরেজির পাশাপাশি অন্তত একটি অভিবাসী ভাষায় ব্যালট পেপার দেওয়া হোক।
পরে নিউইয়র্কের রাজ্য প্রশাসন ও মামলাকারী- দুপক্ষের সমঝোতার ভিত্তিতে এই চার ভাষায় ব্যালট পেপার প্রকাশের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন আজ
বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে পুরো বিশ্ব। আজ মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। কমলা হ্যারিস নাকি ডোনাল্ড ট্রাম্প- কে হতে যাচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট? তা নিয়ে চলছে নানান জল্পনা-কল্পনা, মেলানো হচ্ছে নানান সমীকরণ।
প্রার্থী হওয়ার দৌড় থেকে প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের হঠাৎ ছিটকে পড়া এবং ট্রাম্পের ওপর বন্দুক হামলাসহ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যেই নাটকীয় নানান ঘটনা ঘটতে দেখা গেছে।
এবারের প্রচারণায় যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ সংকট সমাধানের পাশাপাশি ইউক্রেন ও গাজা-ইসরায়েল যুদ্ধ, আফগানিস্তানে তালেবান ইস্যুসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বৈশ্বিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব পেতে দেখা যাচ্ছে।
বেশিরভাগ মানুষের কাছে এটা ‘প্রেসিডেন্ট নির্বাচন’ হিসেবে পরিচিত হলেও এই নির্বাচনে প্রেসিডেন্ট পদের পাশাপাশি আইনসভার সদস্যদেরকেও বেছে নেবেন মার্কিন নাগরিকরা। ফলে খুব স্বাভাবিকভাবেই মার্কিন নাগরিকদের বাইরেও সারা বিশ্বের কোটি কোটি মানুষ নজর রাখছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের দিকে।
নির্বাচনের শেষ দিকের প্রচারণায় ভোটারদের নানা ধরনের আশ্বাস দিয়েছেন ট্রাম্প এবং কমলা। ভোটারদের উদ্দেশে কমলা হ্যারিস বলেছেন, নির্বাচিত হলে প্রথম দিন থেকেই তিনি জীবনযাত্রার খরচ কমানোর দিকে মনোযোগ দেবেন। তার প্রতিশ্রুতির মধ্যে রয়েছে খাদ্যসামগ্রীর মূল্য নিয়ন্ত্রণ, প্রথমবারের মতো বাড়ি কেনার সুবিধা, আবাসনের ব্যবস্থা ও ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধি।
অন্যদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্প মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং যুক্তরাষ্ট্রে জীবনযাত্রাকে সাশ্রয়ী করার অঙ্গীকার করেছেন। তার পরিকল্পনা অনুযায়ী তেল উৎপাদন বাড়িয়ে জ্বালানির দাম কমানো হবে। যদিও সুদের হার কমানো এককভাবে প্রেসিডেন্টের নিয়ন্ত্রণে নয়, তবুও তিনি এ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে হ্যারিস তার দীর্ঘকালীন প্রসিকিউটরের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন, যেখানে ট্রাম্প এরই মধ্যে দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন। ট্রাম্প মাদক চক্র ও গ্যাং সহিংসতা দমনে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। তিনি ডেমোক্র্যাটদের অধীনস্থ শহরগুলোকে পুনর্গঠন করতে চান। প্রয়োজনে সামরিক বাহিনী বা ন্যাশনাল গার্ড ব্যবহার করে দেশের অভ্যন্তরে ‘বিপজ্জনক শত্রুদের’ মোকাবিলারও ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এই প্রেসিডেন্ট।
গর্ভপাতের অধিকারকে কেন্দ্র করে কমলা হ্যারিস নির্বাচনী প্রচারে এগিয়ে রয়েছেন। সারা দেশে এই অধিকারকে সুরক্ষিত করার আইন প্রণয়নের পক্ষে জোর দিচ্ছেন তিনি।
অন্যদিকে, ট্রাম্প এই বিষয়ে একক কোনো নীতিতে এগোতে পারেননি। তিনি প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন নিয়োগ দেওয়া তিনজন বিচারপতি ২০২২ সালে গর্ভপাতের সাংবিধানিক অধিকার (‘রো বনাম ওয়েড’ রুলিং) বাতিল করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের এবারের নির্বাচনে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি চারটি বিদেশি ভাষার অন্যতম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে বাংলা। সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী, নিউইয়র্ক প্রদেশের ব্যালট পেপারে অন্য ভাষার সঙ্গে রয়েছে বাংলাও। এশীয়-ভারতীয় ভাষাগুলোর মধ্যে বাংলাই প্রথম ছাপা হলো নিউইয়র্কের ব্যালট পেপারে।
নিউইয়র্কের প্রধান শহর নিউইয়র্ক সিটিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে রায়ান বলেন, অভিবাসী ভোটারদের সুবিধার জন্য ব্যালট পেপারে ইংরেজির পাশাপাশি ৪টি ভাষা অন্তর্ভুক্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছে বোর্ড অব ইলেকশন্স নিউইয়র্ক শাখা। এই ভাষাগুলো হলো চীনা, স্প্যানিশ, কোরিয়ান ও বাংলা।
যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক রাজ্যটি অধিবাসী অধ্যুষিত। দেশটির মোট অভিবাসীদের একটি বড় অংশ থাকেন নিউইয়র্ক সিটিসহ এই রাজ্যের বিভিন্ন শহরে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, গোটা নিউইয়র্কে লোকজন দুই শতাধিক ভাষায় কথা বলেন। এসবের মধ্যে হিন্দি, পাঞ্জাবি, গুজরাটি, তামিলসহ বিভিন্ন ভারতীয় ভাষাও রয়েছে। কিন্তু সেসবের মধ্যে ভারতীয় ভাষা হিসেবে বেছে নেওয়া হয়েছে একমাত্র বাংলাকে।
এই নির্বাচনে ১৮ বছর বা তার বেশি বয়সী যেকোনো মার্কিন নাগরিক নির্বাচনে ভোট দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নর্থ ডাকোটা বাদে যুক্তরাষ্ট্রের বাকি ৪৯টি অঙ্গরাজ্যের সবগুলোতে আগেই ভোটার নিবন্ধন করা হয়। ভোটের আগেই নিবন্ধন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং নিবন্ধনের জন্য প্রতিটি অঙ্গরাজ্যে একটি নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়।
এমনকি বিদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকরাও ভোটার নিবন্ধনে নাম লেখাতে পারেন। এক্ষেত্রে পোস্টাল ব্যালোটে বা ডাকযোগে ভোট দেওয়ার জন্যও তারা আবেদন করতে পারেন। ভোটাররা কতক্ষণ ভোট দিতে পারবেন, সেটি অঙ্গরাজ্য গুলোর সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করে।
যুক্তরাষ্ট্রের বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যে সাধারণত আগাম ভোটের সুযোগ দেওয়া হয়। যার ফলে তালিকাভুক্ত ভোটাররা নির্বাচনের দিনের আগেই তাদের ভোট দিতে পারেন।
সেখানে ডাকযোগে ভোট দেওয়ার ব্যবস্থাও রয়েছে। এক্ষেত্রে অসুস্থতা, প্রতিবন্ধীদের জন্য, ভ্রমণ বা অন্য কোনো কারণে দেশ বা অঙ্গরাজ্যের বাইরে থাকায় ভোটকেন্দ্রে যেতে পারেন না যারা তাদের জন্য ডাকযোগে ভোট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে। যারা নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যাবেন, তাদের সশরীরে ভোট কেন্দ্রে হাজির হয়ে ভোট দিতে হবে।এর মধ্যেই প্রায় ৭৫ লাখ ভোটার আগাম ভোট দিয়েছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
বিশ্বে সাংবাদিক হত্যার ৮৫ শতাংশ মামলায় শাস্তি হয় না: ইউনেস্কো
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে সাংবাদিক হত্যা নিয়ে দায়ের করা মামলার ৮৫ শতাংশ এখনও অমীমাংসিত বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের বিজ্ঞান ও সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থা ইউনেস্কো। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে এসব হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের শাস্তি হয়নি বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধের দায়মুক্তির অবসানের আন্তর্জাতিক দিবসে, সব রাষ্ট্রকে সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির অবসানের প্রতিশ্রুতি রক্ষা করার আহ্বান জানিয়েছে এই সংস্থাটি।
ইউনেস্কোর একটি নতুন প্রতিবেদন অনুসারে, সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তির মাত্রা এখনও দুঃখজনকভাবে অত্যন্ত বেশি। ৮৫ শতাংশ। ছয় বছরে যা মাত্র ৪ পয়েন্ট কমেছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০২২ এবং ২০২৩ সালে, সত্য ঘটনা খুঁজে বের করার পেশাগত দায়িত্ব পালনকালে প্রতি চারদিনে একজন সাংবাদিককে হত্যা করা হয়েছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই কাউকে দায়ী করা সম্ভব হয়নি।
ইউনেস্কোর মহাপরিচালক অড্রে আজৌলে বলেন, আমি আমাদের সব সদস্য রাষ্ট্রের প্রতি আহ্বান জানাই যাতে এই অপরাধগুলো যারা ঘটিয়েছে তাদের শাস্তি নিশ্চিত করা সম্ভব হয়। এ জন্য যা কিছু করা দরকার তার সবকিছুই আপনাদের করা উচিত। ভবিষ্যতে সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলা ঠেকাতে অপরাধীদের বিচার করা এবং দোষী সাব্যস্ত করা একটি প্রধান মানদণ্ড।
ইউনেস্কোর নতুন প্রতিবেদনে উল্লেখযোগ্য হারে সাংবাদিক হত্যার দায়মুক্তি অব্যাহত থাকার কথা উল্লেখ করা হয়। শুধু তাই নয়, ২০০৬ সাল থেকে ইউনেস্কোর রেকর্ড করা এসব হত্যার ৮৫ শতাংশই অমীমাংসিত বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
যদিও ইউনেস্কো এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে। কারণ ৬ বছর আগে এই হার ছিল ৮৯ শতাংশ এবং বারো বছর আগে ছিল আরও বেশি; যা ৯৫ শতাংশ। সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে অপরাধ কমানোর বিষয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে তাদের প্রচেষ্টা বাড়িয়েছে রাষ্ট্রগুলো, বলছে ইউনেস্কো।
ইউনেস্কোর (২০২২ -২০২৩) সালের রিপোর্টে জানানো হয়েছে, মোট ১৬২ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। আগের দুই বছরের (২০২০-২১) তুলনায় প্রায় অর্ধেক মৃত্যু হয়েছে দেশগুলোতে সশস্ত্র সংঘাতের সময়।
অন্যান্য দেশে, বেশিরভাগ সাংবাদিক মারা গেছেন সংগঠিত অপরাধ, দুর্নীতি বা জনগণের বিক্ষোভের ঘটনা কভার করতে গিয়ে। প্রতিবেদনটিতে আরও উদ্বেগজনক তথ্য দেয়া হয়েছে যে, ২০১৭ সাল থেকে নারী সাংবাদিক হত্যার সংখ্যা সর্বোচ্চ পর্যায়ে রয়েছে। যেখানে ১৪ জন নারী নিহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
এমআই