রাজনীতি
অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের কোন উন্নয়নই করেনি: প্রধানমন্ত্রী
![অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের কোন উন্নয়নই করেনি: প্রধানমন্ত্রী ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/06/শেখ-হাসিনা.jpg)
আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অস্ত্রের জোরে সংবিধান লংঘন করে অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলকারিরা দেশের কোন উন্নয়নই করেনি। আওয়ামী লীগের শাসনামলে দেশের উন্নয়ন-অগ্রযাত্রার খন্ডচিত্র তুলে ধরে তাঁর দলের নির্বাচনী প্রতীক নৌকায় ভোট প্রদানের জন্য জনগণের প্রতি তাঁর আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
তিনি বলেন, একমাত্র নৌকা ক্ষমতায় থাকলেই দেশের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয় আর অবৈধভাবে সংবিধান লংঘন করে ক্ষমতা দখলকারিরা দেশকে কিছুই দিতে পারেনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে আয়েজিত এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় দেওয়া ভাষণে একথা বলেন।
তিনি বলেন, নূহ নবী একদা নৌকায় করে মহাপ্লাবনের সময় মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের ইশারায় মানব জাতিকে রক্ষা করেছিলেন। আপনারা এই নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে স্বাধীনতা পেয়েছেন। এই নৌকা মার্কা ক্ষমতায় আসলেই দেশের মানুষের উন্নতি হয়। অস্ত্র হাতে অবৈধভাবে সংবিধান লঙ্ঘন করে ক্ষমতা দখলকারীরা দেশের কোন উন্নতি করে না। তাদের সময় দেশের কোন উন্নতি হয় নাই, উন্নতি হয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় এসেছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, আজকে বাংলাদেশের মানুষের আর্থসামাজিক উন্নতি হয়েছে। আমরা দারিদ্র্যের হার ৪১ ভাগ থেকে ১৮ দশমিক ৭ ভাগে নামিয়ে এনেছি। হতদরিদ্র যেখানে ২৫ ভাগ ছিল সেখানে আজকে হতদরিদ্রের হার মাত্র ৫ দশমিক ৬ ভাগ। ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশের মাটিতে কেউ হতদরিদ্র থাকবে না।
দরিদ্র ও ভূমিহীন সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এবং অনগ্রসর জনগোষ্ঠীকে বিনামূল্যে ঘর করে জীবন-জীবিকার ব্যবস্থা করে দেওয়ায় আওয়ামী লীগ সরকারের পদক্ষেপের উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ খেয়ে পড়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করবে, সে ব্যবস্থা আমরা করে দেব। আর একমাত্র নৌকা ক্ষমতায় থাকলে এটা সম্ভব।
তিনি বলেন, আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি আর ২০৪১ সালের বাংলাদেশ হবে উন্নত সমৃদ্ধ প্রযুক্তি জ্ঞান সম্পন্ন তারুণ্যে সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ। এটা হবে সেই ‘সোনার বাংলা’ যে বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন জাতির পিতা একদিন দেখেছিলেন। আমাদের জনগণ প্রযুক্তি শিক্ষায় দক্ষ হয়ে স্মার্ট জনশক্তি হবে এর অর্থনীতি স্মার্ট হবে এবং আমাদের সমাজ ব্যবস্থা স্মার্ট হয়ে গড়ে উঠবে।
শেখ হাসিনা বলেন, আজকে তরুণ ও যুবকেরা এবং যে শিশুটা আজকে জন্মগ্রহণ করলো সেও যেন একটি সুন্দর জীবন পায় তার জন্য আমরা প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। পাশাপাশি, জলবায়ুর অভিঘাত থেকে বাংলাদেশ যেন মুক্ত থাকতে পারে এর জন্য শতবর্ষ মেয়াদী ‘ডেল্টা পরিকল্পনা -২১০০’ আমরা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করেছি। অর্থাৎ ২১০০ সালের বাংলাদেশের উন্নয়ন কিভাবে হবে সেই পরিকল্পনাও আমরা প্রণয়ন করেছি। যাতে বাংলাদেশ এগিয়ে যেতে পারে।
তারুণ্যের শক্তি বাংলাদেশের অগ্রগতি উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী নৌকায় তাঁর প্রার্থীদের বিজয়ী করার জন্য সমাবেশ স্থলে আগতদের ওয়াদা চান। জনতা যখন সমস্বরে দু’হাত তুলে প্রধানমন্ত্রীকে সমর্থন জানায়।
প্রধানমন্ত্রী জনসভায় ফরিদপুর, রাজবাড়ী এবং মাগুরার নির্বাচনী আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে জনগণকে পরিচয় করিয়ে দেন এবং এবং তাদের জন্য ভোট প্রত্যাশা করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুর রহমান, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক সভায় বক্তব্য রাখেন।
বিকেল সোয়া ৩ টায় শেখ হাসিনা যখন জনসভা মঞ্চে তখন ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠ ছাপিয়ে জনতার ব্যাপ্তি বহুদূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা নেড়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানালে জনগণও প্রতিউত্তর দেয়।
এরআগে পদ্মাসেতু পাড়ি দিয়েই ফরিদপুর পৌঁছান প্রধানমন্ত্রীর। তাঁর সফরকে কেন্দ্র করে ফরিদপুর যেন উৎসবের নগরীর রূপ লাভ করে।
গত ২০ ডিসেম্বর সিলেটে হজরত শাহজালাল (রহ.) ও হজরত শাহ পরান (রহ.) এর মাজার জিয়ারত এবং এরপর সিলেটের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে নির্বাচনী জনসভার মধ্য দিয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন আওয়ামী লীগ প্রধান।
এরপর ৩০ ডিসেম্বর, শেখ হাসিনা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় জনসভায় ভাষণ দেন, যেটি তার নির্বাচনী এলাকাও এবং ঢাকায় ফেরার পথে মাদারীপুরের কালকিনিতে আরেকটি জনসভায় ভাষণ দেন। আগের দিন তিনি বরিশালের বঙ্গবন্ধু উদ্যানে এব বিশাল নির্বাচনী সভায় ভাষণ দান শেষে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতার সমাধি সৌধে পুস্তসতবক অর্পণ করে বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত এই নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাঁর পৈত্রিক নিবাসে রাত্রিযাপন করেন।
তিনি ২৬ ডিসেম্বর রংপুর সফর করেন এবং তারাগঞ্জ, মিঠাপুকুর ও পীরগঞ্জ উপজেলায় নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেন। এছাড়া আওয়ামী লীগের তেজগাঁও কার্যালয় থেকে তিনি বেশ কয়েক দফায় বিভিন্ন জেলার নির্বাচনী সভায় ভার্চুয়ালি বক্তব্য প্রদান করেন।
গতকাল ইংরেজী নববর্ষের প্রথম দিনে তিনি রাজধানীর কলাবাগান ক্রীড়া চক্র মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ প্রদান করেন।
আওয়ামী লীগ সূত্র জানায়, আগামী ৪ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জে জনসভার মধ্য দিয়ে দলীয় প্রধানের নির্বাচনী প্রচারণা শেষ করার কথা রয়েছে।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে অনেক ষড়যন্ত্র-চক্রান্ত আছে। যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধে সমর্থন দেয়নি, পরাজিত শাক্তি- তাদের চক্রান্ত থেমে যায়নি। আর যেহেতু তারা জানে, কারও কাছে আমরা মাথা নত করি না, সেজন্য চক্রান্ত আরও বেশি। দৃঢ় কন্ঠে তিনি বলেন,“আমি জাতির পিতার কন্যা, কারও কাছে মাথা নত করি না, কারও কাছে মাথা নত করব না।” তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দুর্নীতি করতে আসেনি, নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে আসেনি, এসেছে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে। বিশ্বব্যাংক যখন পদ্মা সেতু নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ দিয়েছিল, তখন আমি চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলাম। কিন্তু তারা দুর্নীতি প্রমাণ করতে পারেনি। আমি বঙ্গবন্ধুর মেয়ে, চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলাম নিজেদের টাকায় পদ্মা সেতু করব, করেছি। বাঙালি কারও কাছে মাথা নত করবে না। তিনি বলেন,“একমাত্র নৌকা মার্কায় ভোট দিলেই আমি ক্ষমতায় আসতে পারব, উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তুলতে পারব। এ মাটি (ফরিদপুর) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাটি, এই মাটি আওয়ামী লীগের ঘাঁটি, নৌকার ঘাঁটি।” শেখ হাসিনা বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে শিক্ষার হার অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। এই শিক্ষার পেছনে বর্তমান সরকার অনেক টাকা খরচ করে যাচ্ছে। জাতির পিতা বলেছিলেন, শিক্ষার পেছনে যেটা খরচ হয়, সেটা খরচ নয় বিনিয়োগ। আমাদের লক্ষ্যই দেশের মানুষের উন্নয়ন করা, সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করে যাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর বাংলায় কোনো মানুষ ক্ষুধার্ত থাকবে না। দারিদ্র্য থাকবে না, গৃহহীন থাকবে না- সেই লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রত্যেকটা মানুষের জীবন উন্নত করাই আমাদের লক্ষ্য।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়স্ক ভাতা আওয়ামী লীগ প্রথম চালু করে। একুশ বছর পর সরকার গঠন করার পর, দেশের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনে আওয়ামী লীগ। আর ২০০১ সালে খালেদা জিয়া বিদেশিদের কাছে গ্যাস বিক্রীর মুচলেকা দিয়ে ক্ষমতায় আসে। বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতায় এসেই সন্ত্রাস,জঙ্গিবাদ,দুর্নীতি, মানুষহত্যা, গুম ও খুনের রাজনীতি এবং আওয়ামী লীগের হাজার হাজার নেতা-কর্মীকে অত্যাচার-নির্যাতন গ্রেপ্তার করে জনজীবন বিপর্যস্ত করে তোলে। ফলে দেশে ইমার্জেন্সি আসে। ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী ২৩৩টি আসনে একভাবে জয়লাভ করে, আর বিএনপি- যারা আজকে বড় বড় কথা বলে, লম্ফঝম্ফ করে, তারা পেয়েছিল ৩০টি আসন। যে কারনে ২০১৪ সালে তারা নির্বাচন করেনি। ২০১৮ সালের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার নামে তারা মনোনয়ন বাণিজ্য করে ভরাডুবির শিকার হয়। ২০০৯ থেকে ২০২৩ এই ১৫ বছর টানা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আছে বলেই দেশটার উন্নয়ন হয়েছে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে যে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ করে গিয়েছিলেন, আমরা সে দেশকে আজকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদায় এনে দিয়েছি। ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ, ব্রডব্যান্ড-ইন্টারনেট, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট, কম্পিউটার ও প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছি। আমরা পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করছি। পদ্মা সেতুসহ হাজার-হাজার কি.মি. রাস্তাঘাট, পুল, ব্রীজ অবকাঠামো ও প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছি। দেশের তৃণমূল, পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীসহ তরুণ প্রজন্মকে আত্মনির্ভরশীল করতে সরকার কাজ করছে। এসময় তাঁর সরকারের বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়া, নানা সুযোগ-সুবিধা এবং অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ নিয়ে গুটিকতক ব্যবসায়ী, মিডিয়া মালিকদের বিভিন্ন কারসাজি এবং টাকা ছাড়ানোর কঠোর সমালোচনা করেন । টাকা দিয়ে জনগণকে কেনা যায়না বলেও অভিমত ব্যক্ত করেন তিনি। “আমাদের আরো কাজ বাকী, এখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে নিজেদের গড়ে তুলতে হবে। কে ক্ষমতায় থাকলে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে উঠবে?”- তাঁর এই প্রশ্নের উত্তরে জনগণ ‘নৌকা’, ‘নৌকা’ বলে চারপাশ প্রকম্পিত করে তোলে। তিনি বলেন, “একমাত্র নৌকা মার্কা যদি ভোট পায়, শুধুমাত্র নৌকা মার্কা ভোট পেলেই আমি সরকারে আসতে পারবো। আর উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে গড়তে পারবো। নৌকা মার্কাই দিতে পারবে এর সমাধান।”
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
![](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2023/02/Logo_OS_250_72.webp)
রাজনীতি
সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
![সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব নেবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/obaidul-kader.jpg)
সহিংসতায় নিহত পরিবারের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে নির্মম হত্যাকাণ্ড তারাই ঘটিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রজেক্ট ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে তারা। এই হত্যা ও ধ্বংসযজ্ঞের দায় তাদের।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর তেজগাঁওয়ে জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের কয়েকটি ওয়ার্ডের নেতাদের সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেই সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি-জামায়াত সারি সারি লাশের ওপর দাঁড়িয়ে ক্ষমতা নিতে চায়। তাদের কোনোভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না।
এসময় আওয়ামী লীগ নেতাদের নিজ নিজ এলাকায় অবস্থান নেওয়ার নিদের্শনা দেন দলের সাধারণ সম্পাদক।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ২০১৮ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কোটা নিয়ে একদিনের জন্যও আন্দোলন হয়নি। তবে কেন হঠাৎ করে এ মরণপণ আন্দোলন। এ আন্দোলনের কুশীলব তারেক জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি-জামায়াতের দোসররা এ হামলা চালিয়েছে। এ আন্দোলন যতক্ষণ শিক্ষার্থীদের হাতে ছিল, ততক্ষণ কোনো সহিংসতা বাংলাদেশে হয়নি। পুলিশও সহনশীল ভূমিকা পালন করেছে। সব পক্ষ ধৈর্য ধরেছে।
তিনি বলেন, এ আন্দোলনে বিএনপি-জামায়াতের সশস্ত্র ক্যাডাররা টার্গেট করে হামলা চালিয়েছে। তাদের এ হামলা পুরো পূর্বপরিকল্পিত। কোথায় কোথায় হামলা করবে, আগে থেকে তারা নীলনকশা তৈরি করেছে এবং তার মহড়া দিয়েছে মাসের পর মাস ধরে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে তাদের সেই ২০১৩, ১৪ এবং ১৫ সালে অগ্নিসন্ত্রাসীদেরকে ঢাকায় এনে তাণ্ডব শুরু করেছে।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের মেগা উন্নয়ন মেট্রোরেল, সেতুভবন ও বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ সব সরকারি স্থাপনায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এগুলো দেখলে বোঝা যায় কারা এসব করেছে। যারা সরকারের উন্নয়ন দেখতে চায় না তারাই করেছে।
আন্দোলনকারীরা ঘাপটি মেরে বসে আছে, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে আশঙ্কা করে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের পদায়ন করেছে। হামলা পরিচালনার জন্য তাদেরকে পরিকল্পিতভাবে নিয়োগ করা হয়েছে; কোথায় কে হামলা চালাবে, কারা সহযোগিতা করবে সবকিছু প্রস্তুত ছিল।
তিনি বলেন, তারেক জিয়াকে লন্ডন থেকে এনে ক্ষমতায় বসানোর পরিকল্পনা আজকে জাতির সামনে উন্মোচিত হয়ে গেছে। বাংলাদেশের জনগণ দেশের শান্তি স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক
![বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Bd-chatto-leage.jpg)
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট (bsl.org.bd) আজ হ্যাক হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ওয়েবসাইটটিতে প্রবেশ করে দেখা যায়, ছাত্রলীগ এবং এর কার্যক্রম সম্পর্কে স্বাভাবিক তথ্যের পরিবর্তে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের ছবিসহ একটি ভিজ্যুয়াল বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যার পরে চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে একাধিক বার্তা রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত ওয়েবসাইটটি এই অবস্থায় ছিল।
ওয়েবসাইটের উপরে, ‘Hacked by The Resistance’ বলে একটি বাক্য দেখা যাচ্ছে। সেখানে আরও লেখা রয়েছে, ‘এটি এখন আর কোনো প্রতিবাদের আন্দোলন নয়, এটি যুদ্ধ।’
ওয়েবসাইটের যেকোনো জায়গায় ক্লিক করলে এখন অপারেশন হান্টডাউন নামে একটি টেলিগ্রাম চ্যানেলের সাথে লিঙ্ক করা হচ্ছে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ছাত্রশিবির-ছাত্রদল ও বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী
![ছাত্রশিবির-ছাত্রদল ও বহিরাগতরা ঢাবির হলে তাণ্ডব চালিয়েছে: মুক্তিযুদ্ধ মন্ত্রী ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/06/Minister-AKM-Mozammel-Haque.jpg)
স্বাধীনতাবিরোধী আল বদর, আল শামসের বংশধর, ছাত্র শিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা ও বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে তাণ্ডব চালিয়েছে বলে দাবি করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ. ক. ম মোজাম্মেল হক।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ‘মুক্তিযুদ্ধ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে অবমাননার বক্তব্যের’ বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলন তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ‘যতদিন আমাদের কোমলমতি ছাত্র-ছাত্রীরা কোটাবিরোধী আন্দোলন করছিলেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, আমরা বলেছি; ওরা ওদের দাবি… একজন এ দেশের নাগরিক হিসেবে একটা দাবি করতেই পারে, সেটা কর্তৃপক্ষের কাছে দাবি করতেই পারে। আমরা আপনারাও অনেক সময় সরকারের কাছে অনেক দাবি করি। দাবি করাতো কোনো অন্যায় না, করতেই পারে এবং তারা নিয়মতান্ত্রিকভাবে আন্দোলন করতে পারে, কেউ বাধা দেয়নি।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের কোটাবিরোধী ছাত্ররা, আমাদের সন্তানরাই। তারা যারা আন্দোলন করেছে, আমরা কেউই কোনো বাধা দেই নাই। তারা শান্তিপূর্ণভাবে তাদের বক্তব্য গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে করেছে। কিন্তু এরপরে যখন তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার বলে হলগুলো তছনছ করলো, সবকিছু ভাঙচুর করলো, হলের গেটগুলোও ভেঙে ফেলল, আপনারা দেখেছেন।’
‘তারপর আপনারা লক্ষ্য করেছেন, স্বাধীনতা বিরোধী সেই আল বদর, আল শামসের বংশধর যারা সেই ছাত্রশিবির এবং বিএনপির প্রেতাত্মা ছাত্রদলের ছেলে-মেয়েরা এবং বহিরাগতরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হলে ঢুকে কী তাণ্ডব চালিয়েছে। চট্রগ্রামসহ বাংলাদেশের সর্বত্রই।’
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ছাত্রলীগের উপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে: কাদের
![ছাত্রলীগের উপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে: কাদের ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/03/wabaydul-kader.jpg)
ছাত্রলীগের উপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বুধবার (১৭ জুলাই) দুপুরে তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা ও ঢাকা মহানগর (উত্তর ও দক্ষিণ) আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চলমান কোটা আন্দোলন প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, এখন কোটা আন্দোলন সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নেই। সন্ত্রাসী বিএনপি, জামায়াত, ছাত্রদল, ছাত্রশিবির আন্দোলনকে সরকার পতনের আন্দোলনে রূপ দিতে চাচ্ছে। ঢাকা কলেজ ছাত্রলীগের কর্মী সবুজ, চট্টগ্রাম সন্তোদীপনকে হত্যা করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যসহ অন্যান্য উপাচার্যদের জিম্মি করা হয়েছে। ছাত্রলীগের উপর বিনা উসকানিতে হামলা চালানো হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, যেকোনো দাবির প্রতি শেখ হাসিনার সরকার সহনশীল। তরুণ প্রজন্ম সংঘর্ষে লিপ্ত হবে, এটা কাম্য নয়। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধের প্রতি আঘাত করলে, রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করলে, জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি করলে সরকারকে কঠোর হতেই হয়।
তিনি বলেন, কোটা আন্দোলনকে ঘিরে বিএনপি-জামায়াত লাশের রাজনীতি করতে চায়। গতকাল তাদের ষড়যন্ত্রে সারাদেশে ছাত্রদল ও ছাত্রশিবির সহিংসতা করেছে। বিশেষ করে তারা ঢাকায় পরিস্থিতি ঘোলা করেছে।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা গণমাধ্যমের স্বাধীনতার উপর বিশ্বাসী। এই বর্বর আক্রমণে গণমাধ্যমের অনেক কর্মীও আহত হয়েছেন। তবে মিডিয়ার হেডিং দেখলে মনে হয় সব আক্রমণকারী ছাত্রলীগ। সব জায়গা ছাত্রলীগের নাম। অথচ হলে হলে ছাত্রলীগের মেয়েদের বের করে দেওয়া হয়েছে। ছাত্রলীগের বই-পোস্তক, জামা-কাপড় পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই এই অবস্থা। এছাড়া সহকারী প্রক্টরকে শহীদ মিনার এলাকায় পেটানো হয়েছে, এটা কত বর্বর।
তিনি আরও বলেন, ছাত্রলীগের কেউ অপরাধ করলে শেখ হাসিনা ছাড় দেননি৷ অপরাধ করলে দলের লোককেও শাস্তি দেওয়ার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কোটা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের প্রেতাত্মা বললেন সাদ্দাম
![কোটা আন্দোলনকারীদের রাজাকারের প্রেতাত্মা বললেন সাদ্দাম ইসলামী ব্যাংক](https://orthosongbad.com/wp-content/uploads/2024/07/Hussain-Saddam-student-league-president1.jpg)
চলমান কোটা আন্দোলনে প্ল্যাটফর্মে এখন যারা রয়েছে তারা রাজাকারের প্রেতাত্মা বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি করেন তিনি।
সাদ্দাম হোসেন বলেন, কোটা আন্দোলন এখন আর সাধারণ শিক্ষার্থীদের হাতে নেই, এখানে যারা রয়েছে তারা রাজাকারের প্রেতাত্মা। আন্দোলনের নামে শিক্ষার্থীদের গিনিপিগ বানানো হয়েছে, তাদের কাজে লাগিয়ে একটি গোষ্ঠী রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, কোন প্রক্রিয়ায় সোমবারে ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে জানতে হবে। যারা আক্রান্ত হয়েছে উল্টো তাদের হামলাকারী বানানো হয়েছে। কিন্তু কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীরাই প্রথমে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়। ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন হলে নেতাকর্মীরা অবস্থান করেছিলেন। কিন্তু যেখানে যাকে যেভাবে পেয়েছে আক্রমণ চালিয়েছে কোটা আন্দোলনকারীরা। হলের বিভিন্ন কক্ষ ভাঙচুর করা হয়েছে। এরপরও ছাত্রলীগ দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চেয়েছিল।
ছাত্রলীগ সভাপতি বলেন, এখন যারা আন্দোলনে রয়েছে তারা কোটা সমস্যার সমাধান চায় না। শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্তি করে রাজাকারের রাজনীতি পুনর্বাসন করতে চায়। তাই আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ফিরে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানান সাদ্দাম।
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য বিকৃতকারীদের ছাড় দেওয়া হবে না। যারা আমি রাজাকার বলছেন তাদের উদ্দেশ্য করে একটি কথা বলতে চাই, সবকিছুর জবাব দেওয়া হবে। প্রতিটি ঘটনার জবাব দেওয়া হবে।
এমআই