জাতীয়
দাফনের জন্য ঢাবি ক্যাম্পাসে হাদির মরদেহ
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় মসজিদ সংলগ্ন কবরস্থানে পৌঁছেছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেল ৩টার দিকে মরদেহ বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সটি ঢাবির কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ সংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলে এসে পৌঁছায়। সেখানে কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশেই সমাহিত করা হবে হাদিকে।
জাতীয়
ইসির নিবন্ধন সনদ পেল আমজনতার দল
আমজনতার দলের নিবন্ধন সংক্রান্ত দাবি আপত্তি নিষ্পত্তি করে চূড়ান্তভাবে নিবন্ধন সনদ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ এর স্বাক্ষরিত নিবন্ধন সনদটি আমজনতার দলের সাধারণ সম্পাদক তারেক রহমানকে হস্তান্তর করে ইসি।
এর আগে দুটি দাবি আপত্তির বিষয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর শুনানি করে নির্বাচন কমিশন। ইসি জানায়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ এর চ্যাপ্টার ৬এ এর বিধান অনুযায়ী নিবন্ধনের শর্তাদি পূরণ করায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট হয়ে আমজনতার দলকে রাজনৈতিক দল হিসেবে নিবন্ধন করেছে।
উল্লেখ্য, গত ৪ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ জানিয়েছিলেন, নিবন্ধন পাওয়ার শর্তপূরণ করায় তারেকের আমজনতার দলকে নিবন্ধন দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কারও আপত্তি রয়েছে কি না, তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আগামী ৯ ডিসেম্বর সময় দিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে আপত্তি আসায় দলটির শুনানি করে সন্তুষ্ট হয়ে নিবন্ধন দিল নির্বাচন কমিশন।
এমকে
জাতীয়
হাদির হত্যাকারী সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই: অতিরিক্ত আইজিপি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারী ফয়সাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত আইজিপি খন্দকার রফিকুল ইসলাম। রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
অতিরিক্ত আইজিপি বলেন, ফয়সালের শেষ অবস্থান নিয়ে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য নেই। এটা পেতে আমাদের বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তবে সে যে দেশের বাইরে চলে গেছে, এমন নির্ভরযোগ্য তথ্য পাইনি। অনেক সময় অপরাধীদের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়।
এ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড বলা হচ্ছে। কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পেয়েছেন কি না– এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমরা এখনো স্পেসিফিক কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পৃক্ততা পাইনি। তবে আমরা সঠিক তথ্য পেতে চেষ্টা করছি।
এ সময় ডিবি প্রধান শফিকুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ধারণা হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড হতে পারে। এখানে ব্যক্তিগত কোনো উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে মনে হয়নি। ঘটনার শুরু থেকে আমরা মাঠে ছিলাম। সব এজেন্সি সমন্বিতভাবে কাজ করেছি। এটাকে আমরা সর্বাধিক গুরুত্ব দিয়ে সম্ভাব্য সবগুলো দিক দেখছি।
এমকে
জাতীয়
ওসমান হাদি দেশের জন্য নির্ভীক পথপ্রদর্শক: আইন উপদেষ্টা
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলছেন, ওসমান হাদি দেশের জন্য নির্ভীক পথপ্রদর্শক ছিল। সে দেখিয়ে দিয়ে গেছে কীভাবে ফ্যাসিস্টদের বিরুদ্ধে কথা বলতে হয়। কথা বলতে গিয়ে সে নিজেকে জাতির জন্য উৎসর্গ করেছে। এ জাতি তাকে মনে রাখবে আজীবন। হাদির জানাজায় এত মানুষের সমাগম বাংলাদেশের ইতিহাসে বিরল।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের কাঞ্চনে স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ৭ম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, শহীদ হাদির জন্য দোয়া চাই আল্লাহ তায়ালা যেন হাদিকে জান্নাতের সর্বোচ্চ জায়গায় স্থান দেন। হাদি এই নস্যাৎ পৃথিবীর চেয়ে ভালো জায়গায় অবস্থান করছে বলে বিশ্বাস করি ৷ হামলাকারীর চেয়ে দেশে সৃষ্টিশীল মানুষের সংখ্যা বেশি। দেশে আত্মত্যাগকারী তরুণের সংখ্যা অনেক বেশি।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ বিগত ১৭ বছর দেশের আইনব্যবস্থা, শিক্ষাব্যবস্থাসহ অর্থনীতিকে নানাভাবে ভঙ্গুর করে দিয়েছিল বিগত সরকার। ফলে ২৪-এর ছাত্রজনতার গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এ দেশের মানুষ একটি শোষক গোষ্ঠী থেকে মুক্তি পেয়েছে।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এস এম এ ফয়েজ, মঞ্জুরি কমিশনের সদস্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, স্টেট ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের প্রেসিডেন্ট ডা. এ এম শামীম, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মো. আক্তার হোসেন খাঁন প্রমুখ।
সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০টি বিভাগের ৬৭২ জনকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই সঙ্গে তিনজন শিক্ষার্থীকে চ্যান্সেলর’স গোল্ড মেডেল, চারজন শিক্ষার্থীকে ভাইস-চ্যান্সেলর সিলভার মেডেল এবং ২০ জন শিক্ষার্থীকে ডিনস অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়।
এমকে
জাতীয়
এখন থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে: ইসি সানাউল্লাহ
নির্বাচন কমিশনার (র) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ বলেছেন, আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে এখন থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযান চলবে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের অডিটোরিয়ামে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
সানাউল্লাহ বলেন, অভিযান চলমান আছে। আমরা বলেছি এটা নিয়মিতভাবে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে জানানো হবে।
এর আগে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির সার্বিক পর্যালোচনায় বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে বৈঠকে বসেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। নির্বাচন ভবনে দুপুর ২টা ৫০ মিনিটে এই বৈঠক শুরু হয়।
সিইসির সভাপতিত্বে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব, তিন বাহিনী প্রধান বা তাদের উপযুক্ত প্রতিনিধি, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার, মহাপুলিশ পরিদর্শক (আইজিপি), এনএসআই, ডিজিএফআই, কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব, আনসার ও ভিডিপির মহাপরিচালক এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার অংশ নেন।
বৈঠকে চার নির্বাচন কমিশনার আব্দুর রহমানেল মাছউদ, তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার, আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং নির্বাচন কমিশন সচিব আখতার আহমেদ উপস্থিত ছিলেন।
এরও আগে দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত আগারগাঁওস্থ নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠক করেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান ও বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খান।
ভোটের তফসিল ঘোষণার পর তিন বাহিনী প্রধানের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের এটি প্রথম সাক্ষাৎ।
এমকে
জাতীয়
হাইকমিশনে হামলা নিয়ে দিল্লির বিবৃতি প্রত্যাখ্যান ঢাকার
দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনে উগ্র ভারতীয়দের দ্বারা আক্রমণের ঘটনায় দিল্লি যে ব্যাখ্যা দিয়েছে, সেটি প্রত্যাখ্যান করেছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ প্রতিক্রিয়া জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ভারতের রাজধানী দিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে হত্যার হুমকি দেয়া হয়েছে।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আরও বলেন, একজন বাংলাদেশি নাগরিক নৃশংসভাবে খুন হয়েছে। তাকে সংখ্যালঘিষ্টের নাগরিক হিসেবে উত্থাপন করা হয়েছে যা একদমই ঠিক না। এখন পর্যন্ত ভারত যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলে আশা করে ঢাকা। শুধু কিছু লোক এসেছে, হুমকি দিয়েছে তা নয়। দুজন গার্ড ছিল, তারা দাঁড়িয়ে ছিল। বাংলাদেশ দূতাবাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও বাড়াবে দিল্লি।
এমকে




