টেলিকম ও প্রযুক্তি
১৫ মিনিটের চার্জে ১৫০ কিলোমিটার চলবে টাটার নতুন গাড়ি

নতুন বৈদ্যুতিক গাড়ি আনলো টাটা মোটরস। শুধু দারুণ রেঞ্জ নয়, নতুন এ গাড়িতে সংযুক্ত করা হয়েছে আধুনিক ডিজাইন এবং বৈশিষ্ট্য। সানরুফ থেকে শুরু করে বড় টাচস্ক্রিন, সেফটি ফিচার্স সবই রয়েছে এই গাড়িতে।
গাড়িটির নাম রাখা হয়েছে টাটা কার্ভ ইভি। এতে রয়েছে এলইডি টেল লাইট, যা গাড়িজুড়ে দেখা যাবে। ভেতরে রয়েছে ডিজিটাল ইনস্ট্রুমেন্ট ক্লাস্টার এবং টাচস্ক্রিন ইনফোটেনমেন্ট সিস্টেম। তার সঙ্গে রয়েছে প্যানারমিক সানরুফ, ওয়্যারলেস চার্জিং, অ্যাডজাস্টেবেল ড্রাইভার সিট, ইলেক্ট্রনিক পার্কিং ব্রেক ইত্যাদি।
সুরক্ষার জন্য গাড়িটিতে দেওয়া হয়েছে ৬টি এয়ারব্যাগ, লেভেল ২ অ্যাডভান্স ড্রাইভার অ্যাসিস্ট্যান্ট সিস্টেম, ডিস্ক ব্রেক, অটো-হোল্ড, এমার্জেন্সি ব্রেকিং-সহ একাধিক ফিচার্স।
টাটা কার্ভ গাড়ির একাধিক ভ্যারিয়েন্ট লঞ্চ করেছে কোম্পানি। বেস মডেলে আছে ৪৫ কিলোয়াট আওয়ার ব্যাটারি, যা ফুল চার্জে ৫০২ কিলোমিটার রেঞ্জ দিতে সক্ষম। আর টপ মডেলে রয়েছে ৫৫ কিলোওয়াট আওয়ার ব্যাটারি, যা ফুল চার্জে নন-স্টপ ৫৮৫ কিলোমিটার নিয়ে যাবে। এটি টাটা মোটরসের এখন পর্যন্ত সবচেয়ে লং রেঞ্জ ইলেকট্রিক গাড়ি।
কোম্পানির দাবি, কার্ভ ইভিতে রয়েছে আলট্রা-ফাস্ট চার্জিংয়ের ব্যবস্থাও। ডিসি চার্জিং প্রযুক্তির মাধ্যমে মাত্র ১৫ মিনিট প্লাগ-ইন রাখলেই গাড়ি চলবে ১৫০ কিলোমিটার। অর্থাৎ মাত্র ১৫ মিনিটের চার্জেই গাড়িটি ১৫০ কিলোমিটার পর্যন্ত চালানো যাবে।
টাটা মোটরসের নতুন এই ইলেকট্রিক গাড়িটি ভারতীয় বাজারে পাওয়া যাবে ১৭ লাখ ৪৯ হাজার থেকে ২১ লাখ ৯৯ হাজার রুপিতে। নতুন টাটা কার্ভ ইলেকট্রিক ছাড়াও পেট্রল মডেলেও পাওয়া যাবে।

কর্পোরেট সংবাদ
দেশে মোবাইল এক্সেসরিজ ব্র্যান্ড বিও’র সকল পণ্য নিয়ে এলো সোর্স এজ

বিশ্বে তরুন প্রজন্মের কাছে অন্যতম জনপ্রিয় মোবাইল ও কম্পিউটার এক্সেসরিজ ব্র্যান্ড বিও এর সকল পণ্য এখন বাংলাদেশে। দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি পণ্যের পরিবেশক ও সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান সোর্স এজ লিমিটেড তাদের পরিবেশিত অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি বিও ব্র্যান্ডের সকল পণ্য সারাদেশে বাজারজাত ও সরবরবরাহ করবে।
সম্প্রতি বিও এবং সোর্স এজ লিমিটেডের মধ্যে এবিষয়ে একটি চুক্তি সম্পাদিত হয়েছে। চুক্তি অনুযায়ী এখন থেকে বিও ব্র্যান্ডের একমাত্র পরিবেশক হিসেবে সোর্স এজ লিমিটেড বাংলাদেশের বাজারে সকল মোবাইল ও কম্পিউটার এক্সেসরিজ সমুহ যুক্তিসংগত মুল্যে বাজারজাত করবে এবং এক বছরের বিক্রয়োত্তর সেবা প্রদান করবে।
জানা গেছে, বিও ২০০৫ সালে উৎপাদন ও বাজারজাত করা শুরু করে আজ অবধি পৃথিবীর প্রায় ১১৭ টিরও বেশি দেশের প্রযুক্তি প্রেমী মানুষের কাছে বিও একটি অত্যন্ত সুপরিচিত নাম। বিশেষ করে প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা, আধুনিক স্মার্ট ডিজাইন, যুক্তিসংগত দাম ও ক্রেতাবান্ধব বিক্রয়োত্তর সেবা দিয়ে এটি বিশ্বের কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছে।
বিও ব্রান্ডের পণ্য সমুহের মধ্যে রয়েছে স্মার্ট ওয়াচ, ইয়ারবাড, হেডফোন, স্পিকার, পাওয়ার ব্যাংক, মোবাইল চার্জার, কার চার্জার, কিবোর্ড-মাউস, বিভিন্ন ধরনের ক্যাবল, কানেক্টর ও হাব। ইউরোপ-আমেরিকার অন্যতম জনপ্রিয় ব্র্যান্ড বিও এর সকল পণ্য আমাজন, ওয়ালমার্ট, কেয়ারফোর, টেসকো, টার্গেট, কস্টকো হোলসেল, হারভি নরম্যান সহ বিশ্বের সকল বড় বড় রিটেইল আউটলেট গুলোতে পাওয়া যায়। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রায় ৬০০+ আন্তর্জাতিক সার্টিফিকেট প্রাপ্ত ব্রান্ড হিসেবে এর রয়েছে ১৫০+ পণ্যের উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি পেটেন্ট।
জাতীয়
২১ সেপ্টেম্বর বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ

আগামী রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে বলে জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) এই তথ্য জানায় আইএসপিআর।
এর আগে, গত ৭ সেপ্টেম্বর দেখা গিয়েছিল এক অপূর্ব চন্দ্রগ্রহণ, যাকে অনেকেই ‘রক্তচন্দ্র’ বলছেন। আর এর ঠিক ১৫ দিন পরে, অর্থাৎ ২১ সেপ্টেম্বর ঘটতে চলেছে বছরের শেষ সূর্যগ্রহণ।
আইএসপিআর জানায়, সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ২১ সেপ্টেম্বর বিএসটি সময় ২৩টা ২৯ মিনিট ৪৮ সেকেন্ডে, সর্বোচ্চ গ্রহণের সময় ২২ সেপ্টেম্বর ১টা ৪১ মিনিট ৫৪ সেকেন্ডে এবং গ্রহণ শেষ হবে ২২ সেপ্টেম্বর ৩টা ৫৩ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের ব্যপ্তিকাল থাকবে ৪ ঘণ্টা ২৪ মিনিট। তবে বাংলাদেশ থেকে সূর্যগ্রহণের এই বিরল দৃশ্য দেখা যাবে না।
নিউজিল্যান্ড, পূর্ব মেলানেশিয়া, দক্ষিণ পলিনেশিয়া ও পশ্চিম অ্যান্টার্কটিকা অঞ্চলে সূর্যগ্রহণটি দৃশ্যমান হবে। গ্রহণটির কেদ্রীয় গতিপথের বিবরণ হলো ২১ সেপ্টেম্বর গ্রহণ শুরু যুক্তরাষ্ট্রের সামোয়া দ্বীপ থেকে উত্তর-পূর্ব দিকে দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরে স্থানীয় সময় ৫টা ৫৩ মিনিট ১৭ সেকেন্ডে। সর্বোচ্চ গ্রহণ অ্যান্টার্কটিকার ডুমন্ট ডি’উরভিল আবহাওয়া কেন্দ্র থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে ১০টা ১৩ মিনিট ৩৯ সেকেন্ডে।
গ্রহণ শেষ অ্যান্টার্কটিকার আলেকজান্ডার দ্বীপ থেকে উত্তর-পশ্চিম দিকে ১৭টা ৪৮ মিনিট ৩৮ সেকেন্ডে। সূর্যগ্রহণের সর্বোচ্চ মাত্রা থাকবে ০ দশমিক ৮৫৫।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বছরে ১৬ হাজার কোটি টাকার রেমিট্যান্স হারাচ্ছে বাংলাদেশ: না’লা

২০২৪ সালে বৈশ্বিক রেমিট্যান্সের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে প্রায় ৯০৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। এর মধ্যে উচ্চ ফি, লুকানো চার্জ ও কম এক্সচেঞ্জ রেটের কারণে বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫৭ বিলিয়ন ডলার অপচয় হয়েছে।
একই সময়ে বাংলাদেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ২৬.৯ বিলিয়ন ডলার, যার মধ্যে ১.৪৮ বিলিয়ন ডলার (প্রায় ১৬,২০০ কোটি টাকা) অতিরিক্ত খরচে হারিয়ে গেছে। এই অঙ্ক বাংলাদেশের বার্ষিক বাজেটের প্রায় ২.০২৫ শতাংশ এবং মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ০.৩৩ শতাংশের সমান।
আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও মানি ট্রান্সফার অ্যাপ ‘না’লা’ (NALA) বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা জানাতে আয়োজিত “মিট দ্য মিডিয়া গেটকীপার্স” অনুষ্ঠানে এ তথ্য তুলে ধরে।
শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর বার্ডস আই রেষ্ট্যুরেন্টে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, ‘না’লা বাংলাদেশ’-এর হেড অব গ্রোথ মাহমুদুল হাসান।
মাহমুদুল হাসান বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসীদের কষ্টার্জিত টাকা জিরো ফিতে দ্রুত এবং নিরাপদভাবে দেশে পৌঁছানোই আমাদের অঙ্গীকার। প্রবাসীরা কঠোর পরিশ্রম করে পরিবারকে সহায়তা করেন, তাঁদের উপার্জিত প্রতিটি টাকা শুধু পরিবারের জীবনমান নয়, দেশের অর্থনীতিকেও সমৃদ্ধ করে। তাই রেমিট্যান্স পাঠানোর প্রক্রিয়ায় যেন বাড়তি খরচ, লুকানো চার্জ বা বিলম্ব না হয়, সেই লক্ষ্যেই কাজ করছে না’লা।
তিনি আরও বলেন, আমাদের লক্ষ্য প্রতিটি লেনদেনে আস্থা ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা। আমরা চাই, বাংলাদেশের প্রবাসীরা গর্বের সঙ্গে বলতে পারেন—‘আমাদের টাকা নিরাপদে, দ্রুত এবং বিনামূল্যে দেশে পৌঁছাচ্ছে।’ এভাবেই রেমিট্যান্স প্রবাহকে শক্তিশালী করে জাতীয় অর্থনীতিকে এগিয়ে নেব।
এসময় প্রবাসীদের সাচ্ছন্দ্যের লক্ষ্যেই অ্যাপটি চালু হয়েছে জানিয়ে বক্তারা বলেন, প্রবাস জীবনে সবাই নানাভাবে ব্যস্ত থাকেন। ব্যাংক বা বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জে গিয়ে টাকা পাঠানো অনেক সময় ঝামেলাপূর্ণ হয়ে পড়ে, তাছাড়া অতিরিক্ত চার্জও গুনতে হয়। এমন পরিস্থিতিতে না’লা-এর তৈরি এ প্ল্যাটফর্মটির মাধ্যমে প্রবাসীরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করে ঘরে বসেই সর্বোত্তম রেটে এবং সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দেশে অর্থ পাঠাতে পারবেন।
অনুষ্ঠানে ‘না’লা’ জানিয়েছে, বর্তমানে তাদের অ্যাপ ব্যবহার করে প্রবাসীরা যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ইউরোপের ২১টি দেশ থেকে বাংলাদেশে টাকা পাঠাতে পারেন। ২০২১ সালে চালু হওয়া এই অ্যাপটির ব্যবহারকারী সংখ্যা ইতোমধ্যে ৫ লাখ ছাড়িয়েছে।
‘না’লা’ অ্যাপের মাধ্যমে বাংলাদেশে টাকা পাঠানো দেশগুলো হলো– অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, সাইপ্রাস, এস্তোনিয়া, ফিনল্যান্ড, ফ্রান্স, জার্মানি, গ্রিস, আয়ারল্যান্ড, ইটালি, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া, লুক্সেমবার্গ, মাল্টা, নেদারল্যান্ডস, পর্তুগাল, স্লোভাকিয়া, স্লোভেনিয়া, স্পেন, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, ‘না’লা’ একটি আন্তর্জাতিক ফিনটেক কোম্পানি ও মানি ট্রান্সফার অ্যাপ, যা যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ থেকে বাংলাদেশসহ আফ্রিকা ও এশিয়ার ১৪টি দেশে দ্রুত, নিরাপদ ও সাশ্রয়ী উপায়ে টাকা পাঠানোর সুবিধা দেয়। অ্যাপটির মাধ্যমে ২৪৯টি ব্যাংক ও ২৬টি মোবাইল মানি সার্ভিসে লেনদেন সম্ভব। “না’লা”-এর রয়েছে ৫ লাখের বেশি ব্যবহারকারী। প্রতিষ্ঠানটির বি টু বি (B2B) পেমেন্ট প্ল্যাটফর্ম রফিকী এপিআই (Rafiki API) আন্তর্জাতিক লেনদেনকে সহজ করেছে। এটি ওয়াই কম্বিনেটর (Y Combinator), এক্সেল (Accel), বিসসিমার-এর (Bessemer) মতো প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগপ্রাপ্ত। স্বচ্ছতা, গতি ও নিরাপত্তা—এই তিনটি মূলমন্ত্রে কাজ করছে “না’লা” (NALA)।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
হ্যাকারদের নজরে এবার হোয়াটসঅ্যাপ, সুরক্ষিত থাকবেন যেভাবে

এবার জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপে সাইবার অ্যাটাকের কথা শোনা যাচ্ছে। সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যার হুমকি আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এসেছে। সর্বশেষ প্রায় ৯০ জন ব্যক্তির উপরে গুপ্তচরবৃত্তি এবং তাদের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি করার জন্য কুখ্যাত কিছু প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ব্যবহার করে টার্গেট করা হয়েছে।
নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা গুপ্তচরবৃত্তির উদ্দেশ্যে পরিচালিত এই আক্রমণের পরিধি নিয়ে উদ্বিগ্ন, যা ব্যবহারকারীদের সতর্কতার বেড়া ডিঙিয়ে ডিভাইস হ্যাক করতে এবং ব্যক্তিগত তথ্য ব্যবহার করতে দিতে পারে বলেই জানিয়েছেন তারা।
নতুন হোয়াটসঅ্যাপ স্পাইওয়্যার অ্যাটাকটি বিশেষ করে আইফোন এবং ম্যাক ব্যবহারকারীদের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছে, ফলে সংস্থা ব্যবহারকারীদের সম্ভাব্য আক্রমণ এবং এর তীব্রতা সম্পর্কে অবহিত করেছে।
হোয়াটসঅ্যাপ টার্গেটে থাকা ব্যক্তিদের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে, তাদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে যে হ্যাকাররা তাদের ডিভাইস এবং ডাটা, যার মধ্যে ব্যক্তিগত টেক্সটও রয়েছে, তা ঝুঁকির মুখে ফেলতে পারে।
ম্যালওয়্যারের কাজ করার জন্য একটি উৎসের প্রয়োজন হয়, তার বিপরীতে, এই উন্নত স্পাইওয়্যারগুলো কেবল ব্যবহারকারীকে একটি বার্তায় ক্লিক করার ফাঁদে ফেলে! এরপর ব্যবহারকারী যখন ফোন ব্যবহার শুরু করেন, তখন ম্যালওয়্যারের কাজ শুরু হয়ে যায়।
পেগাসাসের মতো স্পাইওয়্যার সাইবার যুদ্ধের নতুন হাতিয়ার হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে এমন একটি প্ল্যাটফর্মে যা প্রতিদিন কোটি কোটি মানুষ ব্যবহার করে যা তাদের টেক্সট, ছবি পাঠাতে, এমনকি ভিডিও কল করতেও সাহায্য করে।
মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম এবং এর মূল কোম্পানি মেটা ব্যবহারকারীদের সতর্ক করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছে, পাশাপাশি এই জটিল আক্রমণগুলো প্রতিরোধের জন্য বিশেষজ্ঞরা দিনরাত কাজ করছেন, যাতে এগুলো চিরতরে বন্ধ বা প্রতিরোধ করার জুতসই সমাধান খুঁজে বের করা যায়।
এই স্পাইওয়্যার অ্যাটাক বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সাধারণ নাগরিককে টার্গেট করে না, তাই হাই-প্রোফাইল ব্যক্তিদের গুরুতর ক্ষতি করার আগে এগুলো পর্যবেক্ষণ/শনাক্ত করার একটি উপায় থাকা উচিত।
নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট এবং ডিভাইস সুরক্ষিত রাখতে যা করবেন-
>> হোয়াটসঅ্যাপে অপরিচিত নম্বর থেকে কোনও লিঙ্ক এলে সেখানে ক্লিক করবেন না।
>> নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট টু স্টেপ ভেরিফিকেশন অন করে রাখুন। এর ফলে আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের উপর সুরক্ষার একটা অতিরিক্ত আস্তরণ পড়বে।
>> হোয়াটসঅ্যাপের লেটেস্ট ভার্সনেই থাকে যাবতীয় উন্নত ও আধুনিক সিকিউরিটি ফিচার। তাই নিজের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট আপডেটেড করুন নিয়মিত।
>> নিজেদের হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট কোথায় কোথায় সক্রিয় তা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যদি অপরিচিত কোনো ডিভাইস লক্ষ্য করেন, তাহলে অননুমোদিত অ্যাক্সেস প্রতিরোধ করতে দূরবর্তীভাবে লগ আউট করুন।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে যা করবেন

দৈনন্দিন ঘরের কাজ সহজ করতে আমরা অনেক বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার করি। টিভি, ফ্রিজ, ওভেন, টোস্টার, ইস্ত্রি, গিজার, হিটার মেশিনসহ আরও অনেক কিছু। তবে এগুলো ব্যবহারে কাজ সহজ হলেও মাস শেষে বিদ্যুৎ বিল দেখে মাথায় হাত পরে যায়।
তবে আপনি বাড়ির বিদ্যুৎ খরচ কমাতে কিছু কৌশল অবলম্বন করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কমাতে পারেন-
>> অনেক পুরোনো ডিভাইসগুলো বদলে নিতে পারেন। পুরোনো ডিভাইসগুলোতে বিদ্যুৎ খরচ তুলনামূলক বেশি হয়। বাড়ির ফ্যান, লাইট, ফ্রিজ, এসি ধীরে ধীরে বদলে নিন।
>> সবচেয়ে বেশি বিদ্যুৎ পোড়ে বাল্ব বা টিউবলাইটে। লাইটের ক্ষেত্রে এলইডি লাইট ব্যবহার করতে পারেন। এটি কম ওয়াটেও বেশি আলো পাওয়া যায়। সেই সঙ্গে বিদ্যুৎ খরচও কম হয়।
>> এসি যত্নে রাখুন, প্রতি পনেরো দিনে একবার এসির কনডেনসার কয়েল পরিষ্কার করলে বিদ্যুৎ খরচ অনেকটাই কমে। তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে রাখলে অতিরিক্ত লোড পড়ে না।
>> এসির হিটিং, ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশনার সিস্টেমের নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ গুরুত্বপূর্ণ। নির্দিষ্ট সময় অন্তর ফিল্টার বদলানো থেকে শুরু করে বছরে একবার সার্ভিসিং, অনেকটা বিদ্যুৎ খরচ বাঁচিয়ে দিতে পারে।
>> আধুনিক ফ্রিজ আর টিভির জন্য ভোল্টেজ স্ট্যাবিলাইজারের প্রয়োজন নেই, অথচ এগুলো মাসে ৩০-৪৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ টেনে নিতে পারে।
>> চার্জার, সেট-টপ বক্স বা টিভি প্লাগে লাগিয়ে রাখলে প্রতিমাসে ৫-১০ ইউনিট পর্যন্ত খরচ হয়। অনেকেই ইলেকট্রনিক্স প্রোডাক্টের স্যুইচ অফ করেন কিন্তু প্লাগ লাগানোই থাকে। এই অবস্থাতেও বিদ্যুৎ খরচ হয়। একে ‘ফ্যান্টম’ বা ‘স্ট্যান্ডবাই’ বলে। প্লাগ থেকে সুইচ অফ করে রাখলে কিছুটা খরচ বাঁচানো সম্ভব।
>> ওয়াশিং মেশিনে কাপড় ধোয়ার ক্ষেত্রে ঠান্ডা পানি ব্যবহার করতে পারেন। এতে বিদ্যুৎ সাশ্রয় হতে পারে। পাশাপাশি ফুল লোডে চালানো হচ্ছে কি না সেটা দেখাও গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে জামাকাপড় শুকনোর জন্য ড্রায়ার ব্যবহার না করে রোদে মেলে দিলেও অনেক বিদ্যুৎ বাঁচবে।