ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দুর্গাপূজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টানা ১২ দিন ছুটি

শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে টানা ১২ দিন ছুটি থাকবে। আগামী ২৮ সেপ্টেম্বর থেকে এ ছুটি শুরু হবে। চলবে ৭ অক্টোবর পর্যন্ত। দেশের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক তথা স্কুল-কলেজগুলো এ ছুটির আওতায় পড়বে।
তবে বাড়তি পাওনা হলো, ২৬ ও ২৭ সেপ্টেম্বর শুক্রবার-শনিবার ছুটি থাকায় এ দুটি দিনও ছুটি পাচ্ছে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা। এ ছাড়া ৬ অক্টোবর লক্ষ্মীপূজা থাকা এ দিনটিতেও ঐচ্ছ্বিক ছুটি পাবেন বিদ্যালয়-মহাবিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সর্বশেষ প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, সরকারি ও বেসরকারি মাধ্যমিক এবং নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়সমূহে মোট ১২ দিন বন্ধ থাকবে।
এ সময় দুর্গাপূজার পাশাপাশি ফাতেহা-ই-ইয়াজ দাহম, প্রবারণা পূর্ণিমা ও শ্রী শ্রী লক্ষ্মীপূজার ছুটিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেহেতু সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত, তাই তাদের ছুটির বিষয়টি স্ব স্ব বিশ্ববিদ্যালয় নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত দেবে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে শিবির প্যানেলের বাইরে বিজয়ী হলেন যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন। এতে জিএস ও দুই এজিএসসহ মোট ২১টি পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির মনোনিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
আর ভিপিসহ মোট চারটি পদে বিজয়ী হয়েছে স্বতন্ত্র ও অন্য প্যানেলের প্রার্থীরা। তাদের মধ্যে ভিপি পদে আব্দুর রশিদ জিতু (স্বতন্ত্র), সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক পদে আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস) এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র) বিজয়ী হয়েছেন।
আর শিবির মনোনিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট থেকে বিজয়ীরা হলেন, জিএস মো. মাজহারুল ইসলাম, এজিএস (ছাত্র) ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (ছাত্রী) আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা, শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা, পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাফায়েত মীর, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম, সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রায়হান উদ্দীন, নাট্য সম্পাদক মো রুহুল ইসলাম, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আক্তার লুবনা, সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মো. মাহাদী হাসান, তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা, সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) মো. তৌহিদ হাসান, স্বাস্হ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক হুসনী মোবারক এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. তানভীর রহমান।
এছাড়া, কার্যকরী সদস্যরা হলেন- মো. তরিকুল ইসলাম, মো. আবু তালহা, মো. মহসিন, নাবিলা বিনতে হারুণ, ফাবলিহা জাহান ও নুসরাত জাহান ইমা। এ পদে নির্বাচিত সবাই সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী ছিলেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে শিবিরের ভূমিধস জয়

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে ভিপি পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রশিদ জিতু ও জিএস পদে ছাত্রশিবির মনোনীত প্যানেলের মো. মাজহারুল ইসলাম নির্বাচিত হয়েছেন। শনিবার বিকেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচনের এ ফলাফল ঘোষণা করে জাকসু নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচনে এজিএস (ছাত্র) পদে ফেরদৌস আল হাসান ও এজিএস (ছাত্রী) পদে আয়েশা সিদ্দিকা মেঘলা নির্বাচিত হয়েছেন। তারা দুজনই ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী।
নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত ফলাফলে দেখা যায়, জাকসুর কেন্দ্রীয় সংসদে শীর্ষ ৪টি পদের মধ্যে ৩টিসহ মোট ২৫টি মধ্যে ২১ টি পদে বিজয়ী হয়েছেন ছাত্রশিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা।
অন্য পদগুলোতে নির্বাচিতরা হলেন- শিক্ষা ও গবেষণা সম্পাদক আবু ওবায়দা ওসামা (শিবির প্যানেল), পরিবেশ ও প্রকৃতি সংরক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. শাফায়েত মীর (শিবির প্যানেল), সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জাহিদুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), সাংস্কৃতিক সম্পাদক মহিবুল্লাহ শেখ জিসান (স্বতন্ত্র), সহ সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. রায়হান উদ্দীন (শিবির প্যানেল), নাট্য সম্পাদক মো. রুহুল ইসলাম (শিবির প্যানেল), ক্রীড়া সম্পাদক-মাহমুদুল হাসান কিরন (স্বতন্ত্র), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (নারী) ফারহানা আক্তার লুবনা (শিবির প্যানেল), সহ-ক্রীড়া সম্পাদক (পুরুষ) মো. মাহাদী হাসান (শিবির প্যানেল), তথ্য প্রযুক্তি ও গ্রন্থাগার সম্পাদক মো. রাশেদুল ইসলাম লিখন (শিবির প্যানেল), সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক আহসাব লাবিব (গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ-বাগছাস), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (নারী) নিগার সুলতানা (শিবির প্যানেল), সহ-সমাজসেবা ও মানবসম্পদ উন্নয়ন বিষয়ক সম্পাদক (পুরুষ) মো. তৌহিদ হাসান (শিবির প্যানেল), স্বাস্হ্য ও খাদ্য নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক হুসনী মোবারক (শিবির প্যানেল) এবং পরিবহন ও যোগাযোগ সম্পাদক মো. তানভীর রহমান (শিবির প্যানেল)।
এছাড়া কার্যকরী সদস্য (নারী) পদে ৩ জন- নাবিলা বিনতে হারুন, ফাবলিহা জাহান, নুসরাত জাহান ইমা এবং কার্যকরী সদস্য (পুরুষ) পদে ৩ জন মো. তরিকুল ইসলাম, আবু তালহা, মো. আলী চিশতী নির্বাচিত হয়েছেন। বিজয়ী সদস্যরা সবাই শিবির সমর্থিত প্যানেলের।
জানা যায়, গত ১১ সেপ্টেম্বর সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত জাকসু নির্বাচনের ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। এরপর ৪২ ঘণ্টা ভোট গণনার পর ফলাফল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ১১ হাজার ৭৫৯ জন ভোটারের মধ্যে প্রায় ৬৮ শতাংশ শিক্ষার্থী ভোট দিয়েছেন। কেন্দ্রীয় সংসদের ২৫টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন মোট ১৭৭ জন প্রার্থী।
এর মধ্যে সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৮ জন এবং যুগ্ম সম্পাদক (এজিএস) পদে ১৬ জন প্রার্থী রয়েছেন। নারী প্রার্থীর সংখ্যা ৬।
নির্বাচনে অংশ নিয়েছে মোট আটটি পূর্ণ ও আংশিক প্যানেল। তবে ভোট গ্রহণ শুরুর পর কারচুপির অভিযোগ তুলে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলসহ ৫টি প্যানেল নির্বাচন বর্জন করে। বর্জনকারীদের মধ্যে রয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষার্থীদের সম্প্রীতির ঐক্য, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ও ছাত্র ফ্রন্টের ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এবং স্বতন্ত্রদের ‘অঙ্গীকার পরিষদ’।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
‘পাগলা মসজিদের টাকার চেয়েও কঠিন’ জাকসুর ভোট গণনা: কুদ্দুস বয়াতি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে সৃষ্ট ধীরগতি ও অস্বচ্ছতার অভিযোগের মধ্যে এবার মন্তব্য করেছেন জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী কুদ্দুস বয়াতি। দীর্ঘ ৪০ ঘণ্টা অপেক্ষার পরও ফলাফল ঘোষণা হতে দেরি হওয়ায় তিনি তার ফেসবুকে একটি কৌতুকপূর্ণ পোস্ট দিয়েছেন, যা মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে তিনি তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টে লেখেন, “পাগলা মসজিদের বস্তা বস্তা টাকা গুনে শেষ নিমিষেই, আর ১১ হাজার ভোট গুনতে তিন দিন!”
তার এই ব্যঙ্গাত্মক মন্তব্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনার সৃষ্টি হয়। তার পোস্টের নিচে অনেকেই মন্তব্য করে নিজেদের ক্ষোভ ও হতাশা প্রকাশ করেন।
আতিকুল হাসান নামের একজন মন্তব্য করেন, “নির্বাচন কমিশন আছে ঝামেলায়। কার মন রাখবে- বিএনপি নাকি জামায়াত।”
রাকিব নামের আরেকজন লেখেন, “ইতা মানুষে বুঝে।”
এমডি রাজন নামের এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেন, “ছাত্রলীগ-ছাত্রশিবির মিলে যেভাবে শিবিরকে জয় করায়, আমার মনে হয় জাতীয় নির্বাচনও যদি এমন হয়, জামায়াত সরকার গঠন করে ফেলবে!”
মহিউদ্দিন মাহি লিখেছেন, “শিবিরকে গণনার দায়িত্ব দেওয়া হউক।”
সাকোর আহম্মেদ ঠাট্টা করে বলেন, “অনেক ভোট তো, সময় দিয়ে সহযোগিতা করুন!”
জাকসু নির্বাচনের ভোট গণনা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ বাড়ছে। শনিবার বিকেল ৫টার পর থেকে ফল ঘোষণা শুরু হলেও, ধীরগতি নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে। নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক লুৎফুল এলাহী জানান, দুপুর ২টা ২০ মিনিট পর্যন্ত ২১টি কেন্দ্রের ভোট গণনা শেষ হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাবির হল সংসদগুলোতে নির্বাচিত হয়েছেন যারা

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনের ভোটের ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়েছে। হল সংসদের ফল ঘোষণার মাধ্যমে এ কার্যক্রম শুরু হয়।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ৫টা ৪০ মিনিটে সিনেট ভবনে এ ফলাফল ঘোষণা শুরু হয়। এ সময় আলবেরুনি হল সংসদের ফল ঘোষণা করা হয়।
২১ নম্বর (ছাত্র) হলের ভিপি ইবনে শিহাব, জিএস ওলিউল্লাহ মাহাদী এবং এজিএস হয়েছেন তুষার আহমেদ।
জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম হলের ভিপি রাকিবুল ইসলাম, জিএস আলী আহমেদ ও এজিএস নির্বাচিত হয়েছেন সামিন ইয়াসির।
আ ফ ম কামাল উদ্দিন হলের ভিপি জিএমএম রায়হান কবীর, জিএস আবরার শাহরিয়ার এবং (বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়) এজিএস হয়েছেন রিপন মন্ডল।
মীর মশাররফ হোসেন হলের ভিপি খালেদ জুবায়ের, জিএস শাহরিয়ার নাজিম এবং এজিএস হয়েছেন আরাফাত হোসেন।
মওলানা ভাসানী হলের ভিপি আবদুল হাই স্বপন, জিএস হৃদয় পোদ্দার এবং এজিএস রাকিব হাসান।
শহীদ সালাম-বরকত হলের ভিপি মারুফ হোসেন, জিএস মাসুদ রানা এবং এজিএস হয়েছেন আবরার আজিম ভুঁইয়া।
আলবেরুনী হলের ভিপি রিফাত আহমেদ শাকিল, জিএস মুনতাসির বিল্লাহ খান এবং এজিএস হয়েছেন সাদমান হাসান খান।
নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে (বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায়) ভিপি বুবলী আহমেদ ও জিএস হয়েছেন সুমাইয়া খানম। এছাড়া হলটিতে এজিএস পদে কোনো প্রার্থী পাওয়া যায়নি।
১০ নম্বর (ছাত্র) হলের ভিপি আসিফ মিয়া, জিএস মেহেদী হাসান এবং এজিএস হয়েছেন নাদিম মাহমুদ।
১৫ নম্বর (ছাত্রী) হলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় ভিপি হয়েছেন শারমীন খাতুন, জিএস মেহনাজ মোহনা এবং এজিএস হয়েছেন শাহানা আক্তার।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলে জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। ওইদিন রাত সোয়া ১০টা থেকে ভোট গণনা শুরু হলেও তা এখনো চলমান। এবার মোট ভোট পড়েছে প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ।
জাকসু নির্বাচনে মোট ভোটার ১১ হাজার ৭৪৩ জন। ছাত্রদের হলের মধ্যে আল বেরুনী হলে ভোটার ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, ১০ নম্বর ছাত্র হলে ৫২২ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন ভোটার রয়েছেন।
ছাত্রীদের হলের মধ্যে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন ভোটার রয়েছেন।
এবার প্রায় ৬৭-৬৮ শতাংশ ভোট পড়েছে। কেন্দ্রীয় সংসদে মোট ২৫টি পদে লড়েছেন ১৭৭ জন প্রার্থী। ভিপি পদে ৯ ও জিএস পদে আটজন প্রার্থী ছিলেন। ছাত্রীদের ১০টি আবাসিক হলে ১৫০টি পদের মধ্যে ৫৯টিতে কোনো প্রার্থী ছিলেন না। একজন করে প্রার্থী ছিলেন ৬৭টি পদে। সে হিসাবে মাত্র ২৪টি পদে ভোট নেওয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলের মধ্য দুটি হলে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থীরা নির্বাচিত হয়েছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচন: আরও এক কমিশনারের পদত্যাগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে গতকাল পদত্যাগ করেছিলেন নির্বাচন কমিশনের সদস্য অধ্যাপক মাফরুহি সাত্তার পদত্যাগ করেন। এবার সেই তালিকায় নাম লেখালেন আরেক নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক রেজওয়ানা করিম স্নিগ্ধা।
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দুপুর ২টার দিকে তিনি পদত্যাগের ঘোষণা দেন।
এর আগে পদত্যাগের সময় মাফরুহি সাত্তার বলেছিলেন, নির্বাচনে আমি অনেক অনিয়ম দেখেছি, যা প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে। আমার মতামতের সুরাহা না করেই ভোট গণনা শুরু হয়। এ অবস্থায় নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন সম্ভব নয়।
তবে এর মাঝেই জাকসু নির্বাচনের চূড়ান্ত ফলাফল সন্ধ্যায় ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন জাকসুর প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মনিরুজ্জামান। আজ দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হবে।
এর আগে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। চলে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই দিন ভোট গণনা শুরু হয় রাত সোয়া ১০টায়। টানা তিন দিন ভোট গণনা শেষে ফলাফল ঘোষণার সময় জানায় নির্বাচন কমিশন। এ নির্বাচন নিয়ে নানা নাটকীয় পরিবেশ তৈরি হয়। এর আগে নির্বাচন বয়কট করেছে ছাত্রদলসহ চারটি প্যানেল।