রাজনীতি
পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে: ড. হেলাল

পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ সংসদীয় আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য পদপ্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে ঢাকা-৮ আসনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিশেষ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় তিনি বলেন, পিআর পদ্ধতি নিশ্চিত করেই নির্বাচন দিতে হবে। জনগণের দাবি উপেক্ষা করে ফ্যাসিবাদী খুনি হাসিনার তৈরি আইনে যেনতেন কোনো নির্বাচন জনগণ চায় না, মেনে নিবে না। যেই নির্বাচন জনগণ চায় না, সেই নির্বাচনে জামায়াতে ইসলামী যাবে না। জনগণের ইচ্ছের প্রতিফলন ঘটলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জামায়াতে ইসলামী নির্বাচনে অংশগ্রহন করবে।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতিবাজ-চাঁদাবাজ-সন্ত্রাসীদের ভোটের মাধ্যমে বয়কট করতে হবে। যারা ক্ষমতায় আসারআগেই ৫ আগস্ট পরবর্তী সারাদেশে খুন, গুম, সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি, লুটপাট, দখলদারিত্বের মহোৎসবে মেতে উঠেছে তারা ক্ষমতায় গেলে জনগণ নিরাপদে-নির্বিঘ্নে রাতে ঘুমাতেও পারবেনা। জামায়াতে ইসলামী ক্ষমতায় গেলে মানুষ ঘরের দরজা খুলে র্নিভয়ে, নির্বিঘ্নে, নিরাপদে ঘুমাতে পারবে। চুরি-ছিনতাই, মাদক, সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। নারীর স্বাধীনতার নামে যারা নারীদের অধিকার লুন্ঠন করেছে, ধর্ষণ করেছে তাদের ঘুম হারাম হয়েযাবে। জামায়াতে ইসলামীর নেতৃত্বে ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সবার আগে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে প্রতিটি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করা হবে। মানুষের জানমাল, ইজ্জতের নিরাপত্তা রাষ্ট্র কর্তৃক নিশ্চিত করা হবে।
এসময় বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদের সদস্য অধ্যক্ষ আব্দুর রব বলেছেন, যারা পিআর পদ্ধতি বুঝে না দাবি করে, তাদেরকে পিআর বুঝাতে যা যা করণীয় তা করা হবে। যাদেরকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বুঝাতে ১৭২ দিন হরতাল পালন করতে হয়েছে। তারাই এখন পিআর খায় না মাথায় দেয় জিজ্ঞেস করে। অধ্যক্ষ আব্দুর রব বলেন, জামায়াতে ইসলামী বরাবরই নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় নেতৃত্বের পরিবর্তন ঘটাতে চায়। এজন্য অবশ্যই নির্বাচন প্রয়োজন, তবে হাসিনা মার্কা যেনতেন কোনো নির্বাচন মানবে না। জামায়াতে ইসলামী নির্বাচন চায়, যেমন নির্বাচন দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ চায়। দেশের ৭১ শতাংশ জনগণ পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়, জামায়াতে ইসলামীও পিআর পদ্ধতিতে ভোট চায়।
এসময় তিনি আরো বলেন, জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর ভাষা সৈনিক অধ্যাপক গোলাম আযম তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার রূপরেখা দিলে বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার বিরোধীতা করে বলেছিল, পাগল আর শিশু ব্যতীত কেউ নিরপেক্ষ নয়। তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা না দিয়ে একতরফা নির্বাচন করে। পরবর্তীতে দেশের জনগণের তুমুল আন্দোলনের মুখে সরকার গঠনের ১১ দিনের মাথায় সংবিধান পরিবর্তন করে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধানে অন্তর্ভূক্ত করতে বাধ্য হয়। এবং একতরফা সংসদ ভেঙ্গে দিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় বসে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে সেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দেয়। এরপর বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পেরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন সংগ্রাম করছে। ফ্যাসিবাদ আওয়ামী লীগের পতনের পর দেশের জনগণ যখন পুরোনো ব্যবস্থার পরিবর্তে নতুন ব্যবস্থায় নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায় তখন যারা পুরোনো ব্যবস্থা বহাল চায় তাদের রাজনৈতিক উদ্দেশ্য কিন্তু খারাপ। তারাও আওয়ামী লীগের মতোই ফ্যাসিবাদ কায়েম করতে চায়। এদেশের জনগণ আর কোন ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা হতে দিবে না। তিনি বলেন, ছাত্র-জনতা চাচ্ছে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও গণহত্যার বিচারের নিশ্চয়তা না দিয়ে শুধু নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ায় জনমনে সংশয় তৈরি হয়েছে। জনমনে আরো বেশি সংশয় তৈরি হয়েছে, যখন প্রধান নির্বাচন কমিশনারের উপস্থিতিতে তার কার্যালয়ে সীমানা পুনঃনির্ধারনের শুনানিতে হামলা হয় তখন কমিশন নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে। তাহলে এই কমিশন অবাধ, সুষ্ঠু,নিরপেক্ষ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন জাতিকে উপহার দিতে পারবে বলে জনগণ মনে করে না। তিনি অনতিবিলম্বে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করার পাশাপাশি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পরিচালক মো. শামছুর রহমান। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য পল্টন থানা আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াতে ইসলামীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সহকারী পরিচালক শাহীন আহমেদ খানের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগরীর কর্মপরিষদ সদস্য শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম, শাহবাগ পূর্ব থানা আমীর আহসান হাবীব, শাহবাগ পশ্চিম থানা আমীর এডভোকেট শাহ মাহফুজুল হক, চৌধুরী, মতিঝিল দক্ষিণ থানা আমীর মোতাছিম বিল্লাহ, মতিঝিল উত্তর থানা আমীর মো. শামছুল বারি, মতিঝিল পূর্ব থানা আমীর মো. নুর উদ্দিন, রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমানসহ ঢাকা-৮ আসনের সকল থানা আমীর-সেক্রেটারীবৃন্দ।

রাজনীতি
নির্বাচনে অভিনব পন্থায় কারচুপি হয়েছে: উমামা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে অভিনব পন্থায় কারচুপি হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা।
তিনি বলেছেন, নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির জাতির সাথে কী পরিমাণ বেঈমানি করেছে, তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) ভোর ৫টা ৪০ মিনিটে নিজের ফেসবুক প্রোফাইলে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে এসব কথা লিখেছেন উমামা ফাতেমা।
তিনি লিখেছেন, “কারচুপির নির্বাচনের জন্য ১৪০০ মানুষ মরছে! একই ইতিহাস, একই ব্যবস্থা। মাঝে দিয়ে এতগুলা পরিবার নিঃস্ব হলো। অভিনব পন্থায় নির্বাচন কারচুপি হয়েছে। বাংলাদেশের ইতিহাসের কালো রাত হয়ে থাকবে। নিজেদের হীনস্বার্থের জন্য ইসলামি ছাত্রশিবির কি পরিমাণ বেঈমানি করেছে জাতির সাথে তা ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে। ”
এর আগে মঙ্গলবার দিবাগত রাত সোয়া তিনটার পর ফেসবুকে দেওয়া আরেক পোস্টে ডাকসু নির্বাচনের ফলাফল বর্জনের করেন উমামা। ওই পোস্টে তিনি লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন। ”
রাজনীতি
মিছিল নয়, সিজদার মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করবো: শিবির সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভিপিসহ শীর্ষ পদে জয়ী হয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থীরা। তবে বিজয় মিছিল না করতে সারাদেশের নেতাকর্মীদের আহ্বান সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে ঢাবির সিনেট ভবনে ডাকসু নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ আহ্বান জানান তিনি।
ওই পোস্টে শিবির সভাপতি জাহিদুল লিখেন, আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ মহান। অবশেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরাই বিজয়ী হলো। আমরা সারাদেশের কোথাও কোনো মিছিল করবো না। শুধু মহান রবের নিকট সিজদার মাধ্যমে শুকরিয়া আদায় করবো। এই বিজয় আল্লাহর একান্ত দান। আমরা অহংকারী হবো না, সবার প্রতি উদার ও বিনয়ী থাকবো।
তিনি আরও লিখেন, স্বপ্নের ক্যাম্পাস গড়ার পথযাত্রী, আমরা থামবো না। প্রিয় মাতৃভূমি হবে সবার বাংলাদেশ।
ঘোষিত ফলাফলে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) ১৪ হাজার ৪২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদলের আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ৫ হাজার ৭০৮ ভোট। স্বতন্ত্র প্রার্থী উমামা ফাতেমা পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৮৯ ভোট পেয়েছেন। আরেক স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন পেয়েছেন ৩ হাজার ৮৮৪ ভোট পেয়েছেন।
জিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী এস এম ফরহাদ ১০ হাজার ৭৯৪ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্রদল নেতা তানভীর বারী হামীম পেয়েছেন ৫ হাজার ২৮৩ ভোট। এ ছাড়া প্রতিরোধ পর্ষদের মেঘমল্লার বসু পেয়েছেন ৪ হাজার ৯৪৯ ভোট।
এজিএস পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের প্রার্থী মুহা. মহিউদ্দীন খান পেয়েছেন ১১ হাজার ৭৭২ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ছাত্রদলের এজিএস প্রার্থী তানভীর আল হাদী মায়েদ পেয়েছেন ৫ হাজার ৬৪ ভোট। বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের এজিএস প্রার্থী আশরেফা খাতুন পেয়েছেন ৯০০ ভোট।
এর আগে, মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীন বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে। বড় কোনো ঘটনা ছাড়াই শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে শেষ হয়েছে ডাকসুর ৩৮তম নির্বাচন। এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ৪৭১ জন। আর ১৮টি হল সংসদে নির্বাচন হয়েছে ১৩টি পদে। হল সংসদের ২৩৪টি পদের বিপরীতে প্রার্থী ছিলেন ১ হাজার ৩৫ জন।
ডাকসুতে এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৮৭৪। এর মধ্যে পাঁচটি ছাত্রী হলে ১৮ হাজার ৯৫৯ আর ১৩টি ছাত্র হলে ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন ভোটার ছিলেন।
কাফি
রাজনীতি
যে প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, তা সন্তোষজনক: সারজিস

এনসিপি নেতা সারজিস আলম বলেছেন, দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এখন পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, তা সন্তোষজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাশিত সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথাগুলো বলেন।
সারজিস আলম পোস্টে লিখেন, দু-একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা বাদ দিলে এখন পর্যন্ত যে প্রক্রিয়ায় ডাকসু নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে, তা সন্তোষজনক। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে প্রত্যাশিত সংখ্যায় অংশগ্রহণ করেছে।
তিনি আরও লিখেন, ভোট গণনা চলছে, এরপরই ফলাফল। শিক্ষার্থীসহ সারা দেশ এই ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা অভ্যুত্থানের ফসল এই ডাকসু। শুধু রাজনৈতিক কামড়াকামড়ি আর জেতা-হারার ভয়ে ডাকসুটা যেন নষ্ট না হয়। যদি এটা হয়, তাহলে যাদের কারণে এটা হবে, তারা এর দায় কখনো এড়াতে পারবেন না এবং এই দায়ের বোঝা নিয়ে সামনে চলতেও পারবেন না।
নিজে জিততে না পারলে ডাকসু সফলভাবে শেষ হতে দেব না—এমন মনোভাব বাদ দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে সারজিস লিখেন, ডাকসু বানচাল করার মধ্য দিয়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনাদের রাজনীতির কবর রচিত হবে।
রাজনীতি
ড. কামাল হোসেন হাসপাতালে ভর্তি

সংবিধান প্রণেতা ও সুপ্রিম কোর্টের বিশিষ্ট আইনজীবী এবং গণফোরামের ইমেরিটাস সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা ছাড়াও শারীরিক কিছু সমস্যা নিয়ে তিনি রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী এমন তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, কামাল হোসেনকে গত রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার ইউরিনের সমস্যা রয়েছে। এখন আগের চেয়ে একটু ভালো আছেন। ড. কামাল হোসেনের জন্য আইনজীবী ও দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী।
রাজনীতি
ভোট সুষ্ঠু হলে ফলাফল যাই হোক মেনে নেব: ছাত্রদল সভাপতি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদের (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট সুষ্ঠু হলে ফলাফল যাই হোক, মেনে নেব বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকালে ডাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ বিষয়ে সাংবাদিকদের কাছে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রাকিবুল ইসলাম রাকিব বলেন, আমরা এখন পর্যন্ত প্রত্যাশা রাখছি নির্বিঘ্নেই এই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, বুথের তুলনায় যথেষ্ট পোলিং এজেন্ট নেই, যা সমস্যা তৈরি করছে। একজন ভোটারকে দুটো ব্যালট পেপার দেওয়ারও অভিযোগ আছে।
আজ সকাল ৮টা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে যা চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
এর আগে, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকদের সামনে ব্যালট বাক্স সিলগালা করা হয়।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
প্রসঙ্গত, এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।