কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মো. হাবিবুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কর্পোরেট সংবাদ
স্টার্ট-আপ অর্থায়নে ব্র্যাক ব্যাংককে পুনঃঅর্থায়ন সহায়তা দেবে বাংলাদেশ ব্যাংক

দেশের ক্রমবর্ধমান স্টার্ট-আপ খাতকে অর্থায়ন সুবিধা দিতে ব্র্যাক ব্যাংকের সাথে চুক্তি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এই চুক্তির আওতায় স্টার্ট-আপ খাতের উন্নয়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সৃষ্ট ৫০০ কোটি টাকার পুনঃঅর্থায়ন তহবিল ব্যবহারের সুযোগ পাবে ব্র্যাক ব্যাংক, যা ব্যাংকটির এই খাতে অর্থায়ন সক্ষমতা আরও বৃদ্ধি করবে। এ উদ্যোগের লক্ষ্য হলো, অর্থায়ন সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে উদীয়মান উদ্যোক্তাদের সক্ষমতা বৃদ্ধি করা এবং তাঁদেরকে জাতীয় অর্থনীতিতে আরও বেশি অবদান রাখতে উৎসাহিত করা।
গত ২ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুর। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর নূরুন নাহার ও নির্বাহী পরিচালক হুসনে আরা শিখা উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান এবং ব্র্যাক ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন চুক্তিপত্র হস্তান্তর করেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন অংশগ্রহণকারী ২২টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। বাংলাদেশ ব্যাংকের এসএমই অ্যান্ড স্পেশাল প্রোগ্রামস ডিপার্টমেন্টের সহায়তায় এই উদ্যোগটি বাস্তবায়ন করা হবে।
এই সম্ভাবনাময় খাতের উদ্যোক্তাদের অর্থায়নের মাধ্যমে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের স্টার্ট-আপ ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই খাতটি ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়েছে এবং বৈশ্বিক অংশীদারদের সঙ্গে টেকসই সম্পর্কও গড়ে তুলছে। ব্র্যাক ব্যাংকের মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন সুবিধাটি উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী উদ্যোগ সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন পেতে সহায়তা করবে, যা দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও প্রযুক্তিগত উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্যোগ বাংলাদেশের সম্ভাবনাময় তরুণ উদ্যোগগুলোর বিকাশে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশ ব্যাংক এবং সরকারের অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে এ ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ, যা দেশের অন্তর্ভুক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি ও টেকসই উন্নয়নে অবদান রাখবে।
কর্পোরেট সংবাদ
দেশে সর্বপ্রথম ডিজিটাল এসএমই ঋণ চালু করল ব্র্যাক ব্যাংক

প্রান্তিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য দেশের প্রথম ইনস্ট্যান্ট ডিজিটাল ঋণসুবিধা ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক।
এই সুবিধার ফলে এখন থেকে ছোট ব্যবসায়ী, দোকানদার এবং প্রান্তিক উদ্যোক্তারা মাত্র কয়েক মিনিটেই সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত ব্র্যাক ব্যাংক থেকে ঋণ নিতে পারবেন।
এসএমই-কেন্দ্রিক ব্যাংক হিসেবে শুধুমাত্র ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের জন্য দেশের প্রথম এই ই-লোন সুবিধা চালু করেছে ব্র্যাক ব্যাংক, যা প্রান্তিক অঞ্চলের উদ্যোক্তাদের উন্নয়নে ব্যাংকটির ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
প্রান্তিক এসএমইদের বাংলাদেশের অর্থনীতির মেরুদণ্ড বলা হলেও কাগজপত্রের ঝামেলা, জটিল শর্তাবলি এবং ঋণ প্রদানে দীর্ঘসূত্রতার কারণে এই খাত দীর্ঘদিন ধরে ফরমাল ঋণসুবিধার বাইরে ছিলো। ফলে, তাঁরা একপ্রকার বাধ্য হয়েই উচ্চসুদে স্থানীয় ঋণদাতাদের কাছ থেকে ঋণ নিতেন, যেখানে তাঁদের আয়ের বড় একটি অংশই চলে যেতো। আবার, প্রতিটি ঋণের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত জনবল, ব্যয়বহুল ম্যানুয়াল প্রক্রিয়া ও বিলম্বের কারণে ব্যাংকের দিক থেকেও গ্রাহকসেবা বিঘ্নিত হতো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের বিশেষ অনুমতিতে ব্র্যাক ব্যাংক ‘সাফল্য ই-লোন’ মডেল তৈরি করেছে, যাতে যাদের প্রয়োজন, তাঁদের কাছে খুব দ্রুত ও সহজেই এই আনুষ্ঠানিক ঋণসুবিধা পৌঁছে যায়। এখানে নেই ব্রাঞ্চে যাওয়া বা কাগজপত্রের ঝামেলা। গ্রাহকরা কেবল জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়েই এই ডিজিটাল ঋণ নিতে পারবেন। আবেদনের কয়েক মিনিটের মধ্যেই অনুমোদিত অর্থ সরাসরি গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে চলে যাবে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও উদ্যোক্তারা ব্যাপক উপকৃত হবেন।
ঋণ পরিশোধ প্রক্রিয়াটিও অত্যন্ত সহজ ও সুবিধাজনক। উদ্যোক্তারা তাঁদের সুবিধামতো চ্যানেল, যেমন- এজেন্ট পয়েন্ট, বিকাশ, ব্যাংকের শাখা বা উপশাখা, ব্যবহার করে ছয় মাসের সহজ কিস্তিতে ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে পারবেন।
ইতিমধ্যে শেরপুর, রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, জামালপুর, সাতক্ষীরাসহ দেশের দুর্গম চরাঞ্চলের ৫ হাজারেরও বেশি মানুষের কাছে এই ঋণসুবিধা পৌঁছে গেছে। পর্যায়ক্রমে এ সেবা আরও সম্প্রসারণ করা হবে। গ্রাম ও হাটবাজারে এখন আর ঋণের জন্য সপ্তাহের পর সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হয় না; মাত্র কয়েক মিনিটেই ঋণের টাকা পোঁছে যাচ্ছে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে।
ব্র্যাক ব্যাংকের এমন উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিয়ে ব্যাংকটির অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব এসএমই ব্যাংকিং সৈয়দ আব্দুল মোমেন বলেন, “প্রান্তিক উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থায়ন সুবিধা সহজ করার লক্ষ্যে ‘সাফল্য ই-লোন’ চালু ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যক্ত করা প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ঋণ প্রক্রিয়া ডিজিটাল করার মাধ্যমে আমরা এখন দ্রুততম সময়ে এবং কম খরচে উদ্যোক্তাদের ঋণ দিতে পারছি। এই উদ্ভাবনী সেবার ফলে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের দৈনন্দিন সমস্যা দূর হওয়ার পাশাপাশি তাঁদের ব্যবসায়ের উন্নয়নও নিশ্চিত হবে, যা জাতীয় অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি। প্রযুক্তি ও গ্রাহককেন্দ্রিক প্রোডাক্টের মাধ্যমে দেশের প্রতিটি কোণে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করাই আমাদের লক্ষ্য।”
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ ফাইন্যান্স ও ইউআইইউ’র মধ্যে চুক্তি

বাংলাদেশ ফাইন্যান্স পিএলসি এবং ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) মধ্যে একটি কৌশলগত সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরিত হয়েছে। স্নাতক কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, গবেষণা ও উদ্ভাবনকে এগিয়ে নেওয়া এবং আর্থিক সাক্ষরতা উদ্যোগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে এ চুক্তি করা হয়।
সম্প্রতি ঢাকার ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ক্যাম্পাসে উভয় প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। যা শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং সমাজকে ক্ষমতায়নে দীর্ঘমেয়াদি সহযোগিতার সূচনা হিসেবে বিবেচিত হবে।
এই অংশীদারিত্ব শিক্ষাঙ্গন ও শিল্পক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করবে দক্ষতা উন্নয়ন কর্মশালা, ক্যারিয়ার ট্রেনিং, ইন্টার্নশিপ এবং চাকরি মেলায় অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের জন্য। যৌথ প্রশিক্ষণ কর্মসূচি, গবেষণা সহযোগিতা এবং আর্থিক সাক্ষরতা ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে ইউআইইউয়ের শিক্ষকবৃন্দও উপকৃত হবেন।
এছাড়াও উভয় প্রতিষ্ঠান স্টার্টআপ ফাইন্যান্সিং, সিএসআর কার্যক্রম, ইনোভেশন মেন্টরশিপ এবং ইউআইইউ অ্যালামনাই ও কর্মীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সুবিধা প্রদানের সুযোগগুলো একসঙ্গে অন্বেষণ করবে।
এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মো. কায়সার হামিদ বলেন, শিক্ষা ও শিল্পক্ষেত্রের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরি করে ভবিষ্যৎ নেতাদের ক্ষমতায়নই আমাদের লক্ষ্য। ইউআইইউ-এর সঙ্গে এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে আমরা আরও শক্তিশালী ট্যালেন্ট পাইপলাইন তৈরি করতে এবং সমাজে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে সক্ষম হবো।
ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মো. আবুল কাসেম মিয়া বলেন, ইউআইইউ সবসময় শিক্ষার্থীদের বাস্তব জীবনের জন্য প্রস্তুত করার ওপর গুরুত্ব দিয়ে আসছে। বাংলাদেশ ফাইন্যান্সের সঙ্গে এই চুক্তি স্নাতকদের কর্মসংস্থান, গবেষণা ও উদ্ভাবনের নতুন দ্বার উন্মোচন করবে। এটি ভবিষ্যৎ প্রস্তুত গ্র্যাজুয়েট গড়ে তোলার একটি অগ্রযাত্রা।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
সেরা নারী চিফ টেকনোলজি অফিসার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন ব্র্যাক ব্যাংকের নুরুন নাহার

যুক্তরাজ্যের খ্যাতনামা ম্যাগাজিন ‘উইমেন’স ট্যাবলয়েড পাবলিকেশনস ইউকে’ ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ টেকনোলজি অফিসার (সিটিও) নুরুন নাহার বেগমকে ‘বেস্ট ওম্যান সিটিও’ অ্যাওয়ার্ড দিয়েছে। লন্ডনভিত্তিক এই জনপ্রিয় ম্যাগাজিনটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে এ পুরস্কার প্রদান করেছে।
‘উইমেন’স ট্যাবলয়েড অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ব্র্যাক ব্যাংকের সিটিও-কে এই সম্মাননা দেওয়া হয়।
ম্যাগাজিনটির এমন আয়োজনের লক্ষ্য হলো, ঊর্ধ্বতন ও সিএক্সও পর্যায়ের অসাধারণ নারী নেতৃত্ব, নারী উদ্যোক্তা এবং নারীকেন্দ্রিক উদ্যোগে প্রতিশ্রুতিশীল প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বীকৃতি ও সম্মাননা জানানো।
ব্র্যাক ব্যাংকের হোমগ্রোন ট্যালেন্ট নুরুন নাহার বেগম বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতের শীর্ষস্থানীয় নারীদের একজন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে প্রথম ও একমাত্র নারী সিটিও হিসেবে তিনি প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং বিপ্লবের পথিকৃৎ। আর্থিক প্রযুক্তি খাতে ২৫ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন নুরুন নাহার বেগম শুধু সিনিয়র লিডার হিসেবেই নয়, বরং দেশের প্রযুক্তি খাতে নারীদের জন্য জাতীয় অনুপ্রেরণার প্রতীক হিসেবেও তিনি সুপরিচিত।
বাংলাদেশের প্রযুক্তি খাতে পুরুষ আধিপত্য লক্ষণীয়। এমন একটি খাতে বাধা-বিপত্তি ভেঙে তিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে গিয়েছেন এবং তৈরি করেছেন এমন এক স্ট্যান্ডার্ড, যা নতুন ক্ষেত্র তৈরি করার মাধ্যমে তরুণ প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করেছে। তাঁর কাজ শুধু ব্র্যাক ব্যাংককে ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ের শীর্ষেই নেয়নি, বরং বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে নারীরা কী কী করতে পারে, সেটিও নতুনভাবে সংজ্ঞায়িত করেছে।
নুরুন নাহার বেগমের এই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি প্রসঙ্গে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, নাহার ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল ট্রান্সফরমেশনের অন্যতম প্রধান চালিকাশক্তি। ব্যাংকের শুরুর যাত্রা থেকেই তিনি শক্তিশালী প্রযুক্তি অবকাঠামো গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। গ্রাহকদের জন্য দ্রুত, সহজ, সুবিধাজনক ও নিরাপদ ব্যাংকিং নিশ্চিত করতে তাঁর অভিজ্ঞতা অসংখ্য ডিজিটাল প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা করেছে। এই অর্জন ব্র্যাক ব্যাংক পরিবারের জন্য এক গৌরবময় মুহূর্ত। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, এই সম্মাননা বাংলাদেশের অন্যান্য কর্পোরেট পেশাজীবীদের তাঁদের ক্যারিয়ারে উৎকর্ষতা সাধনে অনুপ্রাণিত করবে।
প্রযুক্তি ক্ষেত্র ছাড়াও নুরুন নাহার বেগম নারী ক্ষমতায়নে এক অগ্রণী কণ্ঠস্বর। তিনি ব্র্যাক ব্যাংকের ইন্টার্নাল উইমেন ফোরাম ‘তারা ফোরাম’-এর নেতৃত্ব দিয়েছেন। উল্লেখ্য, এই ফোরামটি ব্র্যাক ব্যাংককে দেশের অন্যতম নারীবান্ধব প্রতিষ্ঠানে রূপান্তর করতে কার্যকর ভূমিকা রেখেছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্রিটিশ কাউন্সিলের উদ্যোগে টেকসই স্থাপত্য নিয়ে গবেষণা

বাংলাদেশের টেকসই স্থাপত্য নিয়ে একটি গবেষণাধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে ব্রিটিশ কাউন্সিল। ব্রিটিশ কাউন্সিলের অর্থায়নে পরিচালিত এই গবেষণাটি পরিচালনার জন্য এই বছরের মার্চ মাসে বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার একটি প্রতিযোগিতামূলক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচিত হয়।
গবেষণায় নিযুক্ত দলটি এখন মাঠ পর্যায়ে দেশজুড়ে বিদ্যমান টেকসই এবং জলবায়ু-সহনশীল স্থাপত্যচর্চা ও এ সংক্রান্ত পদ্ধতিগুলোর নথিভুক্তকরণ এবং সংক্ষিপ্ত বিবরণ প্রস্তুত করার লক্ষ্যে কাজ করছে। এই উদ্দেশ্যে এসকল প্রকল্পগুলোর স্থপতি, স্থাপত্য তত্ত্বাবধায়ক এবং ব্যবহারকারীদের সাক্ষাৎকার ভিত্তিক তথ্য বিশ্লেষণ করে, স্থাপত্যচর্চার অন্তর্নিহিত বৃহত্তর প্রেক্ষাপট তুলে ধরার মাধ্যমে চর্চাগুলোর প্রায়োগিক ব্যবহারবিধি উপস্থাপন করা হবে।
বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্য বিষয়ক গবেষণার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়ে ব্রিটিশ কাউন্সিল বাংলাদেশের ডিরেক্টর প্রোগ্রামস ডেভিড নক্স বলেছেন, পরিবেশ এবং অর্থনীতির জন্য টেকসই স্থাপত্য বর্তমানে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে, কারণ এটি সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং ব্যবহারিক রূপরেখার এক অসাধারণ সমন্বয়। এটি জলবায়ু সহনশীলতাকে সমর্থন করতে পারে, সেই সাথে ব্যবসা ও কর্মসংস্থানের জন্য নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে পারে।
বেঙ্গল ইন্সটিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস এন্ড সেটেলমেন্টসের মহাপরিচালক অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফ আরও বলেন, বাংলাদেশে টেকসই স্থাপত্যচর্চা একসময় আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ ছিল। কিন্তু সময়ের পরিবর্তন আর পরিবেশগত চ্যালেঞ্জের কারণে সেই চর্চাগুলোকে আবার নতুনভাবে ভাবা এবং পুনরুজ্জীবিত করা জরুরি হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি, কমিউনিটিভিত্তিক উদ্যোগ আর পেশাদার পর্যায়ে যে সব নতুন উদ্ভাবন হচ্ছে, সেগুলো চিহ্নিতকরণও সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
অধ্যাপক কাজী খালিদ আশরাফের নেতৃত্বে এই উদ্যোগের নকশা ও নির্দেশনা প্রদানকারী গবেষণা দলে রয়েছেন- বেঙ্গল ইনস্টিটিউট ফর আর্কিটেকচার, ল্যান্ডস্কেপস অ্যান্ড সেটেলমেন্টসের পরিচালক স্থপতি নুসরাত সুমাইয়া; যুক্তরাজ্যের ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্টমিনস্টারের সিনিয়র রিসার্চ ফেলো অধ্যাপক রিপিন কালরা; ঢাকার সেন্টার ফর অ্যাডভান্সড স্টাডিজের নির্বাহী পরিচালক ড. আতিকুর রহমান; এবং ঝিনাইদহ এবং ঢাকার স্থপতি এবং ল্যান্ডস্কেপ বিষয়ক স্থপতি খোন্দকার হাসিবুল কবির।