অর্থনীতি
বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে ওয়েসিস অ্যাক্সেসরিজের ৪৮ লাখ ডলার বিনিয়োগ

বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠান ওয়েসিস অ্যাক্সেসরিজ (প্রা.) লিমিটেড চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ে অবস্থিত বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে গার্মেন্টস অ্যাক্সেসরিজ উৎপাদনকারী একটি শিল্পকারখানা স্থাপনে ৪৮ লাখ মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করতে যাচ্ছে।
এ লক্ষ্যে বাংলাদেশ রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকা কর্তৃপক্ষ (বেপজা) এবং ওয়েসিস অ্যাক্সেসরিজ (প্রা.) লিমিটেডের মধ্যে সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেপজা কমপ্লেক্স, ঢাকায় একটি চুক্তি সই হয়। বেপজার নির্বাহী চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল আবুল কালাম মোহাম্মদ জিয়াউর রহমান, বিএসপি, এনডিসি, পিএসসি এর উপস্থিতিতে বেপজার সদস্য (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. আশরাফুল কবীর এবং ওয়েসিস অ্যাক্সেসরিজ (প্রা.) লিমিটেড -এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সেলিম রেজা নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে সই করেন।
এই প্রতিষ্ঠানটি বার্ষিক ১০ লাখ পিস কার্টন বক্স, ৪ কোটি ২০ লাখ পিস পলি ব্যাগ ও ১০ লাখ মিটার ফোম তৈরি করবে। প্রতিষ্ঠানটিতে ৩১১ জন বাংলাদেশি নাগরিকের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
এখন পর্যন্ত ওয়েসিস অ্যাক্সেসরিজসহ ৪৮টি প্রতিষ্ঠান বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলে মোট ১০২৮ দশমিক ৩৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের বিনিয়োগ চুক্তি করেছে।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে বেপজার সদস্য (প্রকৌশল) মো. ইমতিয়াজ হোসেন, সদস্য (অর্থ) আ ন ম ফয়জুল হক, নির্বাহী পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন) মো. তানভীর হোসেন, বেপজা অর্থনৈতিক অঞ্চলের প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ এনামুল হক, নির্বাহী পরিচালক (জনসংযোগ) এ এস এম আনোয়ার পারভেজ এবং ওয়েসিস এক্সেসরিজ (প্রা.) লিমিটেড এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

অর্থনীতি
৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৯ হাজার ৩৭৮ কোটি টাকা

চলতি মাসের প্রথম ৭ দিনে দেশে এসেছে ৭৭ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। যা টাকার অঙ্কে ৯ হাজার ৩৭৮ কোটি ৩৫ লাখ ৯৪ হাজার ৯৮৪ টাকা। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ১১ কোটি ০১ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, সেপ্টেম্বরের প্রথম ৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ৭৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ৫৮ কোটি ৫০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৩১ দশমিক ৯০ শতাংশ।
এ ছাড়া গত ৭ সেপ্টেম্বর একদিনে প্রবাসীরা দেশে ২৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে এসেছে ৫৬৭ কোটি ১০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ২০ দশমিক ১০ শতাংশ।
এর আগে, গত আগস্টে দেশে এসেছে ২৪২ কোটি ১৮ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। আর গত জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
অর্থনীতি
২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড

দেশের বাজারে ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) স্বর্ণের দাম এক হাজার ২৬০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা। এর মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে স্বর্ণের দাম।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গতকাল রোববার ঘোষণা দিয়ে আজ থেকে সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়। তার আগে গত ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট সোনার দাম আরও ৪ দফা বাড়ানো হয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে এখন দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে। তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৬০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৮২ হাজার ৮১০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২০১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৭৪ হাজার ৫০৫ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম এক হাজার ২৬ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ টাকা। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম ৮৭৯ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে এক লাখ ২৩ হাজার ৯৪২ টাকা।
গতকাল ঘোষণা দিয়ে আজ সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৭১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে এক লাখ ৭৩ হাজার ৩০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ২ হাজার ২২৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম এক লাখ ৪৮ হাজার ৫৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়। সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনার দাম এক হাজার ৯০১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় এক লাখ ২৩ হাজার ৬৩ টাকা। আজ সোমবার এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে। আগামীকাল থেকে নতুন রেকর্ড দামে বিক্রি হবে সোনা।
সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম এক হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
দুর্গাপূজা উপলক্ষে ভারতে যাচ্ছে ১২০০ টন ইলিশ

আসন্ন দুর্গাপূজা উপলক্ষে এ বছর ভারতে ১ হাজার ২০০ টন ইলিশ মাছ রপ্তানি করবে বাংলাদেশ। আজ সোমবার (০৮ সেপ্টেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত আদেশ জারি করেছে। ভারতে শর্তসাপেক্ষে ইলিশ রপ্তানির নীতিগত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
দুর্গাপূজা উপলক্ষে প্রতিবছরই ইলিশ রপ্তানি করে বাংলাদেশ। বিশেষ করে পশ্চিমবঙ্গে বাংলাদেশের ইলিশের চাহিদা বেশি।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে বলা হয়, ১১ সেপ্টেম্বর অফিস চলাকালে হার্ড কপিতে আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী রপ্তানিকারকেরা। আবেদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ ট্রেড লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর সার্টিফিকেট, ভ্যাট সার্টিফিকেট, বিক্রয় চুক্তিপত্র, মৎস্য অধিদপ্তরের লাইসেন্সসহ সংশ্লিষ্ট দলিলাদি দাখিল করতে হবে।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আদেশে আরও বলা হয়, প্রতি কেজি ইলিশের ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য সাড়ে ১২ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে সরকার। ইতিমধ্যে যাঁরা আহ্বান ব্যতিরেকেই আবেদন করেছেন, তাঁদেরও নতুনভাবে আবেদন দাখিল করতে হবে।
গত বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় প্রথমে ভারতে তিন হাজার টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে শেষ পর্যন্ত ২ হাজার ৪২০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিয়েছিল। এবার এর অর্ধেক ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেওয়া হলো। গতবার সব মিলিয়ে অনুমতি দেওয়া হয়েছিল ৪৯টি প্রতিষ্ঠানকে।
অনুমোদিত পরিমাণের চেয়ে বেশি ইলিশ রপ্তানি না করা, অনুমতি কোনোভাবেই হস্তান্তর না করা এবং অনুমোদিত রপ্তানিকারক ছাড়া ঠিকায় (সাব-কন্ট্রাক্ট) রপ্তানি না করার শর্তও থাকছে। বলা হয়েছে, সরকার যেকোনো সময় রপ্তানি বন্ধ করতে পারবে। সব সময়ই এসব শর্ত থাকে।
অর্থনীতি
হবিগঞ্জে গ্যাসের সন্ধান, মিলবে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের সংস্কার (ওয়ার্কওভার) কার্যক্রম চালানোর পর নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখান থেকে ১০ বছরে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কূপটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসজিএফএল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপ থেকে ১০ বছরে ২৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির দাম ৬৫ টাকা বিবেচনা করলে ওই কূপ থেকে আনুমানিক ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস পাওয়া যাবে।
এসজিএফএল সূত্র জানায়, এসজিএফএল ও বাপেক্সের কারিগরি বিষয়ে দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৩ নম্বর কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে সংস্থাটির আওতায় সিলেট-১০এক্স, সিলেট-১১, ডুপিটিলা-১, কৈলাসটিলা-৯, রশিদপুর-১১ ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ খনন এবং কৈলাসটিলা-৯ ও বিয়ানীবাজার-২ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার (সংস্কার) কাজ চলমান।
অর্থনীতি
আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারে

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে এখন ৩০ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী ছিল ২৬ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ প্রায় ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে কমেছে রিজার্ভ।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছিল গ্রস হিসাবে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে।
রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লম্ফন, রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ঋণ সহায়তার কারণে জুন শেষে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। বিপিএম৬ অনুযায়ী এ সময় রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিক পতনে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে গত জুলাই শেষে রিজার্ভ নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থপাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, হুন্ডি প্রবাহ কমে যাওয়া এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ায় পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ডলারে হিসাব করলে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন।