ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
গণিতে বিশ্বসেরা হলেন বাংলাদেশের পাঁচ শিক্ষার্থী

কেমব্রিজ পাঠ্যক্রম-ভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল জেনারেল সার্টিফিকেট অব সেকেন্ডারি এডুকেশন (আইজিসিএসই) পরীক্ষায় এ বছর গণিতে শতভাগ নম্বর অর্জন করে বিশ্বসেরা হয়েছেন পাঁচ বাংলাদেশী শিক্ষার্থী। তাঁরা পাঁচ জনই উত্তরার গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিক্ষার্থী।
স্কুলটির ইতিহাসে এই প্রথমবার গণিতে সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী বিশ্বসেরা হয়েছেন। গণিতে শতভাগ নম্বরপ্রাপ্ত এই পাঁচ শিক্ষার্থী হলেন: মো. ফাইয়াজ সিদ্দিকী, অহনা সাহা, মোহাম্মদ মোহায়মিন উদ্দিন নাইব, বুশরা রুবানা আফরোজ এবং সম্বৃত অম্বর। এদের মধ্যে ফাইয়াজ এবং অহনা যথাক্রমে ৯৬ শতাংশ ও ৯৫.৬ শতাংশ মোট নম্বর পেয়ে স্কুল টপার হয়েছেন। এছাড়াও, অহনা সম্মানজনক “ক্যামব্রিজ আইসিই অ্যাওয়ার্ড উইথ ডিস্টিংশন” অর্জন করেছেন।
এই অর্জন ছাড়াও এ বছর এই ব্যাচের সামগ্রিক ফলাফলও ছিল অত্যন্ত প্রশংসনীয়। গ্লেনরিচ উত্তরা থেকে আইজিসিএসই পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী দু শ’ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১ জন শিক্ষার্থী ৯০ শতাংশ বা তারও বেশি নম্বর পেয়েছেন এবং প্রায় অর্ধেক শিক্ষার্থী; অর্থাৎ ৯৯ জন, ৮০ শতাংশ বা তার বেশি নম্বর পেয়েছেন। স্কুলটির সামগ্রিক গড় ফলাফল ৮০.৩ শতাংশ। গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল বাংলাদেশের শীর্ষ আন্তর্জাতিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তাদের এই ধারাবাহিকতা শুধু পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতির ফলাফল নয়, বরং প্রতিষ্ঠানটির অ্যাকাডেমিক ভিত্তি যে অত্যন্ত মজবুত এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে তারা কতটা দূরদর্শী; তারই প্রমাণ।
গ্লেনরিচ ইন্টারন্যাশনাল স্কুল, উত্তরার অধ্যক্ষ অম্লান কে. সাহা বলেন, এই ফলাফলকে কেবল নম্বরের সংখ্যা দিয়ে বিচার করা যাবে না; এটি আমাদের মানসম্পন্ন শিক্ষাব্যবস্থার সাফল্যের প্রতিফলন। আমরা এই সাফল্য উদযাপনের পাশাপাশি ভবিষ্যতেও অ্যাকাডেমিক উৎকর্ষ ধরে রাখার এবং শিক্ষার্থীদের শেখার সর্বোত্তম পরিবেশ ও উপকরণ নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল সহযোগিতা দেয়ার অঙ্গীকার পুনরায় ব্যক্ত করছি।
বর্তমান সময়ে এসটিইএম-ভিত্তিক (সায়েন্স, টেকনোলজি , ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ম্যাথম্যাটিকস) শিক্ষার চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। গ্লেনরিচ তাদের পাঠ্যক্রমে রোবোটিকস, কোডিং এবং প্রকল্পভিত্তিক শিক্ষার সংযোজন করেছে।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সমন্বয়ক পরিচয়ে ইবিতে পরিবহন সংক্রান্ত পেইজ দখলের চেষ্টা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ দখলের চেষ্টা করছেন বলে ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলের কেউ নন বলে নিশ্চিত করেছেন ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট।
পরিবহন প্রশাসকের কাছে বর্তমান গ্রুপটির অ্যাডমিনকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা ও ‘ছাত্রলীগ’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সরানোর দাবি জানান রাকিব। এদিকে (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাকিব সহ আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ হাসিব আল সজীব পরিবহন প্রশাসকের কাছে দেখা করে পুনরায় দাবি জানিয়ে আসেন। তারা উভয়ই সাবেক সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসানের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনার পর সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ গ্রুপে ঘোষণা দিয়ে যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেন গ্রুপের অ্যাডমিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসকের নির্দেশনায় তিনি এটি বন্ধ করেছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন। পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবহন প্রশাসক স্যারের নির্দেশক্রমে পেজ, গ্রুপ ও টেলিগ্রাম চ্যানেল কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। আরেক পোস্টে লিখেন, রাজনৈতিক কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেকুজ্জামান অবসান দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি নামে একটি গ্রুপ, পেজ ও টেলিগ্রাম বট পরিচালনা করছেন। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবহনের সময়সূচি সহ বিভিন্ন সমস্যার সেবা পেয়ে থাকেন।
কিছুদিন আগে ওই গ্রুপের একটি পোস্টের কমেন্টে রাকিবুল ইসলামের সাথে অ্যাডমিন প্যানেলের একপ্রকার কমেন্ট বক্সে তর্কাতর্কি হয়। তখন থেকে অ্যাডমিনের প্রতি রাকিবের ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্ম নেয়। এর ফলে অ্যাডমিনকে ফ্যাসিস্ট ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা অ্যাডমিন বানানোর জন্য পরিবহন প্রশাসককে ‘পছন্দের ব্যক্তি’ খুঁজে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
রবিউল আলম নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, পেজটির অ্যাডমিন বিভিন্ন সময় সময়উপযোগী সেবা দিয়ে এসেছেন। তার অবদান অনস্বীকার্য। সম্প্রতি তাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ওই জায়গা দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দানকারী প্রভাবশালী এক শিক্ষার্থী।
আবদুল্লাহ আল নোমান নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি নিয়ে যারা নোংরা রাজনীতি করলেন তাদের মুখে থুথু মারি। নিজের সবকিছু বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য যা করেছেন স্বর্ণাক্ষরে লিখলেও কম হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি অবসানকে সরাসরি ছাত্রলীগ বলি নাই। তবে সে ছাত্রলীগের আমলে তাদের শেল্টারে বিভিন্ন সময় পরিবহন দপ্তরে কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতো বলে কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছে। তবে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা পাইনি। বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে আমি বর্তমান প্রশাসক স্যারকে বলেছি তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমাকে অ্যাডমিন দেন বলিনি। প্রয়োজন হলে বেটার কাউকে খুঁজে দেওয়া যাবে। তবে আমি সহ-সমন্বয়ক না, সেই পরিচয়ই দেইনি। আমি সাধারণ শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে হাসিব আল সজীব বলেন, আমি এসবের কিছুই যা জানি না। চা খাচ্ছিলাম, রাকিব আমাকে সাথে নিয়ে গেছে। তারা পেইজ সংক্রান্ত আলাপ করছিল।
সাবেক সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসানকে একাধিকবার কল করলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সাবেক সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, রাকিব আমাকে বলেছিল, ‘অবসান ছাত্রলীগে সংশ্লিষ্ট এবং তাকে ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি থেকে সরাতে হবে। সে পরিবহন প্রশাসকের কাছে যেতে চেয়েছিল এটা নিয়ে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘রাকিব আমাদের সমন্বয়ক প্যানেলের কেউ না। কারো ব্যাপারে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা থাকলে প্রশাসনকে অবগত করা যায়। নিজেদের পছন্দের কাউকে বসানোর জন্য বলতে পারে না।’
গ্রুপের অ্যাডমিন খালেকুজ্জামান অবসান বলেন, ‘আমি কারো শেল্টারে কিছু করিনি এবং কোনো রাজনীতিতেই সংশ্লিষ্ট নই সেটা ক্যাম্পাসে সবাই জানে। আমাকে পরিবহনে দপ্তরে দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা হুট করে সরে যাওয়ার জন্য বলল। আমি শিক্ষার্থীদের উপকারের কথা চিন্তা করে এসব কাজ করেছি। পেইজে অন্য কাউকে এডমিন বানানোর কথা বললে আমি মানা করে দিয়েছিলাম। পরিবহন প্রশাসক আমাকে এসব জানানোর পর আমি গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, সমন্বয়কারীদের একজন গ্রুপটির অ্যাডমিনকে ছাত্রলীগ ও ফ্যাসিস্ট সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে। পরে আমি বিষয়টি অ্যাডমিনকে (অবসান) জানাই। তারপর সে আবেগতাড়িত হয়ে গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। আমি তাকে সরে যাওয়ার জন্য কোনো প্রেসার দেইনি। আমি লম্বা ছেলেটাকে (রাকিব) বলেছিলাম— অবসান দক্ষ লোক। সে এসব কাজ ভালো বুঝে। হঠাৎ আমি এমন কাউকে কোথায় পাবো। তখন ছেলেটা আমাকে লোক খুঁজে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এদিকে পেইজ বন্ধের ব্যাপারে তিনি জানান, খুব শিগগিরই পরিবহন সংক্রান্ত অফিসিয়াল পেইজ ওপেন করা হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ১২ থেকে ১৬তম গ্রেডে ৫ পদে ১৬৪ কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদন ২০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে—চলবে ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
১. পদের নাম: সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার
পদসংখ্যা: ২৪টি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৬টি
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১১৫টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৪টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম : ভাণ্ডার রক্ষক
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
প্রার্থীর বয়স: ১৮-৩২ বছর (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে)
আবেদন ফি—
টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে সার্ভিস চার্জসহ আবেদন ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ১৬৮ টাকা, ২ থেকে ৫ নম্বর পদের জন্য ১১২ টাকা এবং সব পদের ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের ৫৬ টাকা ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু ভোটে ঢাবিতে মোতায়েন থাকবে ২০৯৬ পুলিশ সদস্য

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন উপলক্ষে আগামীকাল মঙ্গলবার ঢাবি ক্যাম্পাসে দুই হাজার ৯৬ জন পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) ডাকসু নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তার বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
তিনি বলেন, আজ এখানে ডিএমপির এক হাজার ৭৭১ জন পুলিশ সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন। আগামীকাল দুই হাজার ৯৬ জন পুলিশ সদস্য নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরাও থাকবেন।
ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, রেগুলার ফোর্স ছাড়াও পুলিশের বিশেষায়িত টিম, সোয়াত ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট এখানে রয়েছে। এছাড়া, সাদা পোশাকে ডিবি সদস্যরা টহলে রয়েছেন। সার্বক্ষণিক সিসি ক্যামেরা দিয়ে মনিটরিং করা হচ্ছে। এ টহল ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বহাল থাকবে বলে জানান তিনি।
ডাকসুতে নিরাপত্তা ইস্যু নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই বলেও জানান শেখ সাজ্জাত আলী। পাশাপাশি, সোমবার রাত ৮টা থেকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসে লাইসেন্সধারী অস্ত্র বহন করা যাবে না বলে তিনি জানান।
এছাড়া, কোনো অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটলে আইন হাতে তুলে না নিতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
৪৫তম বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ

৪৫তম বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার তৃতীয় পর্যায়ের সংশোধিত সময়সূচি প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) গত ২৮ আগস্ট প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিটি বাতিল করে নতুন বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
নতুন বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ৬৪ জন প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষা আগামী ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে পিএসসির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হবে।
পিএসসি জানিয়েছে, প্রার্থীদের নির্ধারিত অনলাইন ফরম বিপিএসসি ফরম-১ পরীক্ষার দিন বোর্ডে জমা দিতে হবে। এই ফরম কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করতে হবে। ফরমের সঙ্গে প্রয়োজনীয় সব সনদ ও ডকুমেন্টের দুটি সত্যায়িত কপি জমা দিতে হবে এবং মূল সনদ পরীক্ষার বোর্ডে প্রদর্শন করতে হবে। নির্দেশনা অনুযায়ী ফরম ও কাগজপত্র জমা না দিলে প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হবে।
এ ছাড়া লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ প্রার্থীদের মৌখিক পরীক্ষার আগে অনলাইনে বিপিএসসি ফরম-৩ পূরণ করে জমা দিতে হবে। অনলাইনে জমা দেওয়া ফরমের দুটি কপি মৌখিক পরীক্ষার দিনে বোর্ডে জমা দিতে হবে।
কমিশন জানায়, কোনো প্রার্থীর নামে ডাকযোগে সাক্ষাৎকারপত্র পাঠানো হবে না। পরীক্ষার সময়সূচি ঘোষণার পর প্রার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইট থেকে সাক্ষাৎকারপত্র ডাউনলোড করতে পারবেন। নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে সাক্ষাৎকারপত্র, প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এবং অন্যান্য প্রমাণপত্র সঙ্গে নিয়ে মৌখিক পরীক্ষার বোর্ডে উপস্থিত হতে হবে।
পিএসসি আরও জানিয়েছে, গ্রহণযোগ্য কারণ ছাড়া কোনো প্রার্থীর মৌখিক পরীক্ষার তারিখ পরিবর্তন করা হবে না। তবে প্রয়োজনে তারিখ পরিবর্তনের সর্বময় ক্ষমতা কমিশন সংরক্ষণ করে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবিতে ত্রুটিপূর্ণ বাস উদ্বোধন, ১ মাসে নতুন সংযোজনের আশ্বাস

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) পরিবহন পুলে শিক্ষার্থীদের জন্য যুক্ত হয়েছে নতুন চারটি ভাড়াকৃত ডাবল ডেকার বাস। পাবনা বাস ডিপো থেকে ভাড়া করা হয়েছে এসব বাস। তবে এসব বাস ত্রুটিপূর্ণ হওয়ার অভিযোগ এসেছে। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা সমালোচনা চলছে। তবে ১ মাসের মধ্যে নতুন সংযোজন হবে বলে আশ্বাস দেন পরিবহন প্রশাসক ও বিআরটিসি পাবনা ডিপোর ডিজিএম মনিরুজ্জামান বাবু।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় এসব বাস উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ। এসময় উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর আলম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ড. মনজুরুল হক, পরিবহণ প্রশাসন অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ, পাবনা বাস ডিপোর ডেপুটি জেনারের ম্যানেজার (ডিজিএম) মনিরুজ্জামান বাবু সহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। উদ্বোধন শেষে সবাই বাসে চড়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করেন।
জানা গেছে, এই বাসগুলো ঢাকার বিভিন্ন রুটে চলেছিলেন। যার ফলে দুর্ঘটনা-সহ বিভিন্ন কারণে বাসগুলোতে ত্রুটি রয়েছে।
জানা গেছে, পরিবহন পুলে মোট বাস রয়েছে ৫৬টি। নতুন ডাবল ডেকার চারটি ভাড়া বাস যুক্ত হয়ে এই সংখ্যা দাঁড়ালো ৬০টি। তার মধ্যে শিক্ষক-কর্মকর্তাদের ৮টি এসি বাসসহ নিজস্ব বাস ২৪টি এবং ভাড়াকৃত ৩৬টি। এর মধ্যে শিক্ষার্থীদের জন্য বরাদ্দ ৬টি বাস। বাকি নিজস্ব বাসগুলো কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বরাদ্দ রয়েছে। এদিকে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য নিজস্ব ডাবল ডেকার বাস আছে একটি এবং সর্বশেষ সংযোজনসহ ভাড়াকৃত ডাবল ডেকারের সংখ্যা ১৩টি। বাকিসবই ভাড়া বাসে যাতায়াত করেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, উদ্বোধন হওয়া বাসগুলোর বডির যেখানে সেখানে ভাঙ্গা, সামনের গ্লাস ও একাধিক জানালায় জোড়া-তালি দেওয়া। তাছাড়াও বাসগুলোতে ছোটবড় অনেক ত্রুটি রয়েছে। চালকরা জানিয়েছে, বাসগুলো ঢাকায় চলাচল করার কারণে এমন হয়েছে। তবে ইঞ্জিন ঠিক আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বলেন, এত ঢাক-ঢোল পিটিয়ে ভাড়া করা ত্রুটিপূর্ণ বাস উদ্বোধন করতে দেখিনি। আমরা আশা করেছিলাম নতুন বাস, পরে শুনলাম ভাড়া করা পুরোনো বাস উদ্বোধন করেছে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাজমিন বলেন, শিক্ষার্থীর দুর্ভোগ কমানোর জন্যে যদি তারা বাস আনে তাহলে নতুন বাস কেন আনলো না। ফিটনেসহীন গাড়ী শিক্ষার্থীদের আরো দূর্ভোগ বাঁড়াবে। কেননা বর্তমান যে ডাবল ডেকার সহ অন্যান্য বাস যে গুলো আছে যেগুলো মাঝরাস্তায় হুটহাট বন্ধ হয়ে যায়, অটো ইঞ্জিনে আগুন লাগে, এগুলোর কারণ যদি খুজতে যাই অনেক গুলো আসবে তার মাঝে প্রধান হলো ফিটনেসহীন লক্কর-ঝক্কর গাড়ি। একে রাস্তা খারাপ তার উপর এমন পুরাতন গাড়ি শিক্ষার্থীর জীবনের কতটুকু নিরাপত্তা দিবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তাদের, শিক্ষকদের কোন ফিটনেসবিহীন গাড়ি বরাদ্দ হয় না কিন্তু শিক্ষার্থীর জন্যে কেন বারবার পুরাতন গাড়িগুলো বরাদ্দ হয়। প্রতিবছর বাজেট হয় এবং শিক্ষার্থীরা পরিবহন ফি জমা প্রদান করে কিন্তু শিক্ষার্থীদের জন্যে ভালো পরিবহনের ব্যবস্থা হয় না।
এবিষয়ে পাবনা ডিপোর ডিজিএম মনিরুজ্জামান বাবু বলেন, উপাচার্যের অনুরোধের ভিত্তিতে আমরা এক সপ্তাহের মধ্যে বিআরটিসির চারটি বাস দিতে পেরেছি। ২০১৯ সালের পর বিআরটিসিতে কোনো দ্বিতল বাস আসেনি। বিআরটিসির প্রত্যেক বাসের লাইফটাইম হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ বছর। সেই হিসেবে আজকে সংযুক্ত বাসগুলো ২০১৯ সালের তৈরি হলেও এখনো চলাচলের উপযুক্ত রয়েছে। আগামী এক মাসের মধ্যে বাসগুলোর আরও সংস্কার করা হবে যেন বোঝা না যায় বাসগুলো পুরাতন। চালকদের ট্রেনিং, বাসের মধ্যে অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ব্যবস্থা, ফ্যান লাইট এবং ডেকোরেশনের জন্য এক মাস সময় নিয়েছি এবং আশাকরি এই সময়ের মধ্যে বাসগুলো রিফর্ম করতে পারবো।’
ইবির পরিবহণ প্রশাসন অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, ইউজিসির কিছু কন্ডিশন থাকায় আমরা বাস কিনতে পারছি না। আবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু বাধ্যবাধকতা থাকায় বাস কেনা এখন সম্ভব না। বিআরটিসি হলো সরকারি পরিবহন সার্ভিস। ২০১৯ সালে ৯টি বাস এবং আজকে চারটি বাস সহ পরিবহন পুলে বিআরটিসির ১৩ টি বাস সংযুক্ত হলো। বিআরটিসির চেয়ারম্যান উপাচার্যের সাথে কথা বলেছেন। উনি জানিয়েছেন, আপতত বিআরটিসির রিফাইন্ড বাস দেয়া হয়েছে যা পরবর্তীতে নতুন বাস যুক্ত করার সুযোগ আসলে পরবর্তীতে সমন্বয় করা হবে। শিক্ষার্থীরা যেহেতু কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ রুটে চলাচল করে সেহেতু আগামীকাল থেকে বাসের সময় এবং পরবর্তীতে নামকরণ করা হবে।
এবিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে লোকেশনগত সমস্যার কারণে যানবাহনের উপর নির্ভর করতে হয়। আজকের এই চারটি দ্বিতল বাস শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত। বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণমাত্রায় আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না করা পর্যন্ত আমরা উত্তরোত্তর যানবাহন ব্যবস্থা উন্নত করে যাবো। বিআরটিসি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আমরা কথা হয়েছে। তারা নতুন সংযোজন আসলে আমাদের বাসগুলো পরিবর্তন করে দিবে।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম