রাজনীতি
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই: ড. হেলাল

দেশের বর্তমান আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবনতি। মানুষের জান ও মালের নিরাপত্তা নেই। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নির্বাচনের কোনো পরিবেশ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর, ঢাকা-৮ আসনে জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
বৃহস্পতিবার (০৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর মালিবাগে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
এসময় তিনি বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনের নিশ্চয়তা দিলেও সেই নির্বাচন কিভাবে সম্পন্ন করবে তার কোনো নিশ্চয়তা দেয়নি, দিতে পারেনি। বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহনমূলক, বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন সম্ভব নয়। জুলাই চেতনা বাস্তবায়নে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম দায়িত্ব জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত করা। তারপর লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করে দেশের ৭১ শতাংশ জনগনের দাবির প্রেক্ষিতে পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা। সরকার এই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে কিংবা কোন দলের প্রতি আনুগত্যশীল হলে জনগণ কঠোর হতে বাধ্য হবে।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ৫ আগস্ট পরবর্তী একটি দল আওয়ামী লীগের ভূমিকায় নিজেদেরকে জনগণের সামনে উপস্থাপন করেছে। আওয়ামী লীগ যেভাবে চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, লুটপাট, দখল, ধর্ষণ, খূন, গুম ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করেছে একইভাবে আরেকটি দল এখন চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী, লুটপাট, দখল, ধর্ষণ, খূন, গুম ও নৈরাজ্যের সৃষ্টি করছে। যারা ক্ষমতায় যাওয়ার আগেই জনজীবন নাভিশ্বাস করে তুলছে, তারা ক্ষমতায় বসলে রাষ্ট্রের পরিস্থিতি আর পরিণতি কেমন হবে জাতি বুঝে গেছে। এজন্য জনগণ তাদেরকে ভোটের মাধ্যমেই বয়কট করবে। বয়কটের টের পেয়ে তারা জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। ৫ আগস্ট পরবর্তী জনগণ যেটাই দাবি করেছে, তারা সেই দাবির বিপক্ষে দাঁড়িয়েছে। জনগণ আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চেয়েছে, তারা নিষিদ্ধের বিপক্ষে! জনগণ সংবিধান সংস্কার চেয়েছে, তারা সংবিধান সংস্কারের বিপক্ষে, জনগণ জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি চাচ্ছে, তারা জুলাই সনদকে সাংবিধানিক স্বীকৃতি দেওয়ার বিপক্ষে! জনগণ পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন চাচ্ছে তারা পিআরেরও বিপক্ষে। জনগণ যেটাই চায়, তার বিপক্ষে অবস্থান নিচ্ছে। কারণ তাদের দলীয় নেতাকর্মীদের কর্মকান্ডে জনগণ বিরক্ত এটা তারা নিশ্চিতভাবে বুঝতে পেরেছে। তারা বুঝে গেছে আওয়ামী লীগের মত তাদেরও পরিণতি হতে বেশি সময় লাগবে না। সেজন্য তার দেশ ও জাতির স্বার্থের কথা চিন্তা না করে তারা নিজেদের স্বার্থে বিভোর।
তিনি আরো বলেন, জুলাই সনদ চায় না, গণহত্যার বিচার চায় না, রাষ্ট্রের সংস্কার চায় না; তারা দেশ ও জাতির দুশমন। জামায়াতে ইসলামীকে অনুসরণ করে দেশ ও জাতির স্বার্থে রাজনীতি করতে তিনি সকল দলের প্রতি আহ্বান জানান।
ড. হেলাল উদ্দিন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, জাতি যেই আশা-আকাঙক্ষায় আপনাদেরকে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় বসিয়েছে, সেই আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে মনযোগী না হলে দেশ ও জাতির যতটা ক্ষতি হবে তারচেয়ে বেশি ক্ষতি আপনাদেরই হবে। কারণ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আইনি ভিত্তি প্রয়োজনে জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি প্রয়োজন। নতুবা পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় বসবে তারাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অসাংবিধানিক অবৈধ সরকার ঘোষণা দিয়ে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সকল কর্মকান্ড বাতিল করবে। এতে বর্তমান উপদেষ্টারাও বিচারের মুখোমুখি হতে পারে। আজ যদি জনগণের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা হয়, তবে সেদিন আপনারা জনগণকে পাশে পাবেন না। তাই ফেব্রুয়ারির আগেই জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি দিয়ে সকল গণহত্যার বিচার নিশ্চিত এবং রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কার বাস্তবায়ন করে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন দিতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সোহাগ পরিবহনের কাউন্টার পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী প্রচার সম্পাদক ও ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদপ্রার্থী আবদুস সাত্তার সুমন, রমনা থানা আমীর আতিকুর রহমানসহ রমনা থানা জামায়াতে ইসলামীর দায়িত্বশীল নেতৃবৃন্দ।

রাজনীতি
তারেক রহমান কবে দেশে ফিরবেন, জানালেন ডা. জাহিদ

কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরছেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানান তিনি।
জাতীয় নির্বাচনের বহু আগেই দেশে থেকে তারেক রহমান দলকে নেতৃত্ব দেবেন জানিয়ে ডা. জাহিদ বলেন, ‘যারা নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে সেই ষড়যন্ত্র কাজে দেবে না, ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, ‘পতিত স্বৈরাচার পেছন দিক দিয়ে এসে জনগণের অধিকার হরণ করার পাঁয়তারা করছে।’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘যারা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বে বিশ্বাসী নয়, তারা ষড়যন্ত্র করছে।’
পিআর পদ্ধতি বেআইনি আবদার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, ‘সংবিধান ইচ্ছা করলেই ডাস্টবিনে ফেলে দেওয়া যায় না। আবেগী না হয়ে জন-আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে।’
রাজনীতি
আ.লীগের ক্লিন ইমেজ ব্যক্তিদের মনোনয়ন দেবে জাপা: মোস্তফা

আওয়ামী লীগের সমর্থক হলেও যারা ক্লিন ইমেজের এবং যাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা বা সহিংসতার অভিযোগ নেই, তারা জাতীয় পার্টিতে যোগ দিলে দলীয় মনোনয়ন পাবেন বলে জানিয়েছেন দলটির কো-চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রংপুর নগরীর সেন্ট্রাল রোডে জাতীয় পার্টির (জাপা) দলীয় কার্যালয়ে কর্মী সমাবেশ শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
মোস্তফা বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সমর্থক কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা-মোকাদ্দমা নেই, আমরা যদি মনে করি সে যোগ্য প্রার্থী, তাহলে আমরা দেবো না কেন? অবশ্যই দেবো। আমাদের ক্যান্ডিডেট ক্রাইসিসকে ওভারকাম করার জন্য আমরা অবশ্যই করবো।’
তিনি বলেন, ‘৩০০ আসনে আমরা প্রার্থী দেবো। এখন জাতীয় পার্টির প্রার্থীর চাইতে যদি ভালো শক্তিশালী প্রার্থী পাওয়া যায়, তার যদি ক্লিন ইমেজ থাকে এবং তার বিরুদ্ধে সহিংসতার কোনো আলামত না থাকে, তাহলে মনোনয়ন দেবো না কেন? অবশ্যই দেবো।’
ফরিদপুর, গোপালগঞ্জসহ অন্যান্য জেলাগুলোতে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সমর্থন রয়েছে উল্লেখ করে জাতীয় পার্টির এই নেতা বলেন, ‘সেখানে যদি ক্লিন ইমেজের লোক জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন, তাহলে আমরা তাকে মনোনয়ন দেবো।’
জাপার এই কো-চেয়ারম্যান বলেন, ‘গণতন্ত্রের স্বার্থে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি এবং এ ধরনের মব ভায়োলেন্সে নেই, তাদের বাঁচানোর জন্য বিএনপির একটা ভূমিকা থাকতে হবে। তা নাহলে বিএনপি একা হয়ে যাবে। সামনে যদি নির্বাচনে জাতীয় পার্টি না থাকে, তাহলে ইসলামী ঐক্যজোট, জামায়াতে ইসলামী, চরমোনাই, এনসিপি, গণঅধিকার পরিষদ দলগুলো একদিকে থাকতে চায়, আরেকদিকে থাকতে চায় বিএনপি; এখন তারা যদি বলে, পিআর পদ্ধতি ছাড়া নির্বাচনে যাবো না, তখন তারা যদি সরে দাঁড়ায়, তাহলে বিএনপি একা হবে। তাহলে একক নির্বাচন জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে গ্রহণযোগ্য হবে না। বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য স্বাধীনতাবিরোধী শক্তিরা কিন্তু চেষ্টা করছে।’
তিনি বলেন, ‘তারা দেখছে বিএনপি তো এগিয়ে আছে, তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় যাবে। এখন বিএনপিকে আঘাত করতে গেলে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন ছাড়া নির্বাচনে যাবে না জামায়াতে ইসলামী। এরকম একটা খোঁড়া অজুহাত খুঁজে বিএনপিকে বিপদে ফেলার জন্য চেষ্টা চলছে।’
এসময় জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য এস এম ইয়াসির, মহানগর কমিটির সিনিয়র সহসভাপতি লোকমান হোসেন, সহসভাপতি জাহিদুল ইসলাম, জেলা কমিটির সদস্যসচিব আব্দুর রাজ্জাক, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক হাসানুজ্জামান নাজিমসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
মাজার ভাঙা ও লাশ পুড়িয়ে দেওয়া রাসুলের শিক্ষা নয়: রিজভী

আজ আমরা নিজেরা দ্বিধাবিভক্ত। আমরা কারো মাজার ভাঙছি। কোনো লাশ পুড়িয়ে দিচ্ছি। এটা তো রাসুলের শিক্ষা নয় বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষ্যে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ আমরা গণতন্ত্রের চেতনাই বলি, আমরা রাষ্ট্রীয় চেতনাই বলি– পৃথিবীর কাছে নিদর্শন দিয়ে গেছেন আরবের সেই মহামানব। আমরা সেখান থেকে শিক্ষা না নিয়ে আমরা নিজেদের যে ধর্ম, নিজেদের যে ইসলাম, সেটাকেই আমরা কত ফেরকা, কত ফিতা, কত ধরনের কথাবার্তা দিয়ে শুধু বিভাজন করছি। অথচ ঐক্যের প্রতীকই ছিলেন আমাদের মহানবী।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আজ যে মহামানবকে নিয়ে এখানে আলোচনার আয়োজন করা হয়েছে, মিলাদের আয়োজন করা হয়েছে, তার সম্পর্কে আমার মতো একজন ক্ষুদ্র মানুষের বিস্তারিত বলা খুবই কঠিন ব্যাপার। এটা সম্ভব নয়। শুধু তার রেখে যাওয়া যে আদর্শ এবং তিনি আল্লাহর কাছ থেকে প্রাপ্ত যে বাণী সমগ্র বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে দিয়েছেন, ছড়াতে গিয়ে তিনি যে অনুপম নিদর্শন এবং তার ব্যক্তিগত চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য তিনি রেখে গেছেন। যদি আমরা সামান্যতম অনুকরণ করতাম বা আমরা লালন করতাম তাহলে এই দেশ থেকে অন্যায়-অনাচার, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার, হানাহানি রক্তারক্তি সব বন্ধ হয়ে যেত।
তিনি বলেন, যিনি আমাদের মডেল, যিনি আমাদের আদর্শের প্রতীক, তাকে আমরা কেউ অনুসরণ করি না। তাকে আমরা কেউ অনুকরণ করি না। এটাই হলো মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, আজ যে দেশে বাস করছি, সেই দেশের যিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ছিলেন, তিনিও মুসলমান ছিলেন, কাজে না হলেও নামে ছিলেন। একবার বলেছিলেন মদিনা চার্টার অনুযায়ী দেশ চালাবেন, সেটা আমরা কি দেখলাম– তার এক মন্ত্রীর ১৪০টা বাড়ি লন্ডনে, তার বাড়ি থাকার পরও তার ছেলেমেয়ের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জায়গা।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, আমাদের ওপর বিপদ আসে, আমরা দেশেই থাকি, আমাদের নেত্রী দেশেই থাকেন, মিথ্যা মামলায় পাঁচ-ছয় বছর তিনি নির্যাতনে কারাবন্দি অবস্থায় থাকেন, আমরা কোনো পন্থি দল নই, বাংলাদেশপন্থি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল। আপনারা কি পন্থি আপনারা নিজেরাই প্রমাণ করেছেন। ১৯৮১ সালের দেশে যখন ফিরলেন, জিয়াউর রহমান যখন আপনাকে ফেরার অনুমতি দিলেন, দেশে ফিরলেন কোন দেশ থেকে? আপনি এসেছিলেন, আবার ৫ আগস্টে কোন দেশে পালিয়ে গেলেন? আপনাদের অধিকাংশ লোক কোন দেশে পালিয়ে গেছে? এটা জনগণ দেখেছে। এখনো দেখছি। আবার ওই দেশ থেকেই আমরা অডিও বার্তা, ভিডিও বার্তা শুনি যে তোমরা উল্টে দাও, পাল্টে দাও, কারো হাত ভেঙ্গে দাও, কারো পা ভেঙ্গে দাও, এটা কীভাবে সম্ভব।
তৌহিদী জনতার নামে আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে জানিয়ে বিএনপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশ একটি উদার নৈতিক দেশ। বাংলাদেশের বিভিন্ন ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে বাস করে। এই দেশের পূজামণ্ডপ পাহারা দেয় আলেম-ওলামারা। সেই দেশে মাজার ভেঙে সেখানে লাশ পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনা ঘটেছে। এটার আমি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি, প্রতিবাদ জানাচ্ছি। অবশ্যই এর পেছনে আন্তর্জাতিক কোনো ষড়যন্ত্র আছে। বিএনপির আমলে চক্রান্ত করেছিলেন শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে কলঙ্কিত করার জন্য এখন আবার সেই প্রচেষ্টা চলছে কি না, এটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে খতিয়ে দেখতে হবে।
মিলাদ মাহফিলে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর শরাফত আলী শফু। এতে মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দলের আহ্বায়ক মাওলানা সেলিম রেজা।
রাজনীতি
বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে পাকিস্তানি হাইকমিশনারের সৌজন্য সাক্ষাৎ

বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের নবনিযুক্ত হাইকমিশনার ইমরান হায়দার বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।
সাক্ষাৎকালে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
এ সৌজন্য সাক্ষাতে পারস্পরিক সম্পর্ক ও বিভিন্ন দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে বৈঠকের বিস্তারিত বিষয়বস্তু সম্পর্কে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি।
রাজনীতি
চাঁদাবাজদের মা-বাবার নামসহ তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, যারা চোর, বাটপার, চাঁদাবাজ ও হুমকিদাতা বাংলাদেশের প্রত্যেক জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ডে তাদের মা-বাবার নাম-ঠিকানাসহ তালিকা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) রাতে পঞ্চগড় সরকারি অডিটোরিয়ামে বিচার, সংস্কার ও গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন সংবিধানের দাবিতে রাজনৈতিক কর্মশালা ও সমন্বয় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সারজিস আলম বলেন, পঞ্চগড় জেলা ছাত্রদল স্কুলগুলোতে ছাত্রদলের কমিটি দেওয়া শুরু করেছে। যেই সাহস শেখ হাসিনা ও ছাত্রলীগ করতে পারেনি সেই সাহস চব্বিশ পরবর্তী বাংলাদেশে ছাত্রদল করছে। এই বাংলাদেশের কোনো স্কুল-কলেজে ছাত্ররাজনীতির নামে লেজুরবৃত্তি রাজনীতি চলবে না। স্কুল-কলেজগুলোতে আহ্বায়ক কমিটির নামে আওয়ামী লীগের মতো বিএনপির অযোগ্য লোকজন সভাপতি হয়ে পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা করছে।
সভায় এনসিপির যুগ্ম-আহ্বায়ক সারোয়ার তুষারসহ পঞ্চগড়ের এনসিপি ও জাতীয় যুবশক্তির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।