জাতীয়
লিবিয়া থেকে শুক্রবার দেশে ফিরছেন ১৬১ বাংলাদেশি

লিবিয়ার ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিক শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে ঢাকায় ফিরছেন। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ত্রিপোলীর বাংলাদেশ দূতাবাস এক বার্তায় এ তথ্য জানিয়েছে।
বার্তায় উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস, লিবিয়ার ধারাবাহিক ও নিরলস প্রচেষ্টা এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহায়তায় লিবিয়ার গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে ১৬১ জন বাংলাদেশি নাগরিককে দেশে প্রত্যাবর্তন করা হয়েছে। প্রত্যাবাসিত অভিবাসীরা আইওএম কর্তৃক ভাড়া করা বুরাক এয়ারের একটি বিশেষ ফ্লাইটে ২৯ আগস্ট (শুক্রবার) আনুমানিক সকাল ৭টায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, ঢাকায় অবতরণ করবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।
দূতাবাসের একটি প্রতিনিধিদল বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দরে উপস্থিত থেকে প্রত্যাবাসিত অভিবাসীদের বিদায় জানান। এ সময় প্রতিনিধিদল অভিবাসীদের নিরাপদ প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করতে দূতাবাসের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ তুলে ধরে।

জাতীয়
দেশে বায়ুদূষণে গড় আয়ু কমছে সাড়ে ৫ বছর

বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু কমার পেছনে বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বায়ুদূষণ। কেবল বায়ুদূষণের কারণে দেশের মানুষের গড় আয়ু সাড়ে পাঁচ বছর কমছে। তুলনায় ধূমপান ২ বছর এবং শিশু ও মাতৃকালের পুষ্টিহীনতা ১.৪ বছর জীবনকাল কমিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রকাশিত নতুন এয়ার কোয়ালিটি লাইফ ইনডেক্স (একিউএলআই) প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বস্তুকণা দূষণ (পিএম২.৫) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) নির্দেশিকা অনুযায়ী ৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার মান পূরণ করলে একজন বাংলাদেশি গড়ে সাড়ে পাঁচ বছর দীর্ঘজীবী হতে পারেন। দেশের সবচেয়ে দূষিত এলাকা- গাজীপুর, নারায়ণগঞ্জ ও ঢাকা- এ কারণে একজন বাসিন্দার জীবনকাল সাড়ে ৬ বছর হ্রাস পায়।
প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে বায়ুদূষণই জীবনকাল হ্রাসের সবচেয়ে বড় বাহ্যিক হুমকি। দেশের ১৬ কোটি ৬৮ লাখ মানুষ এমন অঞ্চলে বসবাস করছে, যেখানে বার্ষিক গড় বস্তুকণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকা এবং দেশের জাতীয় মান ৩৫ মাইক্রোগ্রাম পার কিউবিক মিটার ছাড়িয়ে গেছে। সবচেয়ে কম দূষিত জেলা লালমনিরহাটেও কণা দূষণ ডব্লিউএইচও নির্দেশিকার সাতগুণ বেশি।
১৯৯৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে বাংলাদেশে কণা দূষণের মাত্রা ৬৬ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে, যার ফলে মানুষের জীবনকাল আরও ২ দশমিক ৪ বছর হ্রাস পেয়েছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামে দূষণ দেশের জাতীয় মান অনুযায়ী হ্রাস করলে জীবনকাল যথাক্রমে ৪ দশমিক ১ ও ৩ দশমিক ৩ বছর বাড়তে পারতো।
প্রতিবেদনে দক্ষিণ এশিয়ার বায়ুদূষণেও সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে এই অঞ্চলে বায়ুদূষণ ২.৮ শতাংশ বেড়েছে। দক্ষিণ এশিয়ায় বায়ুদূষণের কারণে মানুষের গড় আয়ু ৩ বছর এবং সবচেয়ে দূষিত এলাকায় ৮ বছরেরও বেশি হ্রাস পাচ্ছে।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, প্রাকৃতিক দাবানল যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বায়ুর মান খারাপ করেছে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে দাবানলের ঘনত্ব ও পুনরাবৃত্তি বেড়েছে, যা পূর্বে অর্জিত স্বচ্ছ বাতাসের অগ্রগতি বিপরীতমুখী করছে।
একিউএলআই পরিচালক তনুশ্রী গাঙ্গুলি বলেছেন, এখনও বায়ুদূষণই বিশ্বের মানুষের জীবনকাল ছোট হওয়ার প্রধান কারণ। জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে এলে স্থানীয়ভাবে বায়ুর মান যেমন উন্নত হবে, তেমনি জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায়ও সহায়ক হবে। এজন্য দেশগুলোর সঠিক তথ্যভিত্তিক নীতি প্রণয়ন জরুরি।
কাফি
জাতীয়
পদোন্নতি পেয়ে উপসচিব হলেন ২৬৮ কর্মকর্তা

বিসিএস প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্যাডারের সিনিয়র সহকারী সচিব পদমর্যাদার ২৬৮ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়েছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) এসব কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দিয়ে পৃথক প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
পদোন্নতিপ্রাপ্তদের মধ্যে ২৬২ জন বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে এবং আটজন দেশের বাইরে বিভিন্ন দূতাবাসে প্রথম সচিব হিসেবে কর্মরত আছেন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের সিনিয়র সহকারী সচিব থেকে উপসচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়েছে। আজই প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে পদোন্নতি সংক্রান্ত সার-সংক্ষেপ অনুমোদন দেওয়া হয়।
পদোন্নতির বিধিমালা অনুযায়ী, সিনিয়র সহকারী সচিব পদে পাঁচ বছর চাকরিসহ অন্তত ১০ বছর চাকরির অভিজ্ঞতা থাকলেই উপসচিব পদে পদোন্নতি পাওয়ার কথা। বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা সেই যোগ্যতা অর্জন করেছেন ২০২২ সালের ৩ জুন। তাদের দীর্ঘ দিন পদোন্নতি হয়নি।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানায়, ২০১২ সালের ৩ জুন সরকারি চাকরিতে যোগ দেন বিসিএস ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তারা। সেই হিসাবে তাদের উপসচিব পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জিত হয় ২০২২ সালের ৩ জুন। ২০২৪ সালের ১৮ জানুয়ারি উপসচিব পদে পদোন্নতিযোগ্য কর্মকর্তাদের তথ্য চেয়ে পাঠায় জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। নানা কারণেই আর ৩০তম ব্যাচের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি হয়নি। এই ব্যাচে ২৭৭ জন কর্মকর্তা যোগদান করেন।
মন্ত্রণালয় আরও জানায়, লেফট আউটসহ প্রশাসন ক্যাডারের ৩১৯ কর্মকর্তা পদোন্নতির যোগ্য হয়েছেন। এছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের ২২৩ কর্মকর্তা ডিএস পুলে যোগ দিতে আবেদন করেছেন। তাদের মধ্য থেকে ২৬৮ জন কর্মকর্তাকে পদোন্নতি দেওয়া হলো।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বর্তমান প্রশাসনে অতিরিক্ত সচিবের ২১২ পদে কর্মকর্তা আছেন ৩৫৮ জন। যুগ্মসচিবের ৫০২টি পদে রয়েছেন এক হাজার ২৮ জন। সুপারনিউমারারি পদসহ উপসচিবের অনুমোদিত পদসংখ্যা এক হাজার ৪২০। বিপরীতে কর্মরত আছেন এক হাজার ৪০০ জন। অর্থাৎ প্রতিটি স্তরেই নির্দিষ্ট পদের চেয়ে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক কর্মকর্তা বেশি রয়েছেন। ফলে পদ খালি না থাকায় পদোন্নতিপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আগের পদেই কাজ করে যেতে হবে।
জাতীয়
ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটির তারিখ পুনর্নির্ধারণ

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) ছুটি ৫ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ৬ সেপ্টেম্বর পুনর্নির্ধারণ করছে সরকার। বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) ছুটি পুনর্নির্ধারণ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, অ্যালোকেশন অব বিজনেস অ্যামাং দ্য ডিফারেন্স মিনিস্ট্রিস অ্যান্ড ডিভিশন্স-এ জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে দেওয়া ক্ষমতাবলে সরকার পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) উপলক্ষে সাধারণ ছুটি নির্ধারিত তারিখ ৫ সেপ্টেম্বর শুক্রবারের পরিবর্তে ৬ সেপ্টেম্বর শনিবার পুনর্নির্ধারণ করলো। সেই হিসাবে পুনর্নির্ধারণের পরও ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ছুটি শনিবার সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যেই যাচ্ছে।
জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) ছুটি পুনর্নির্ধারণ করলো সরকার। আগে ৫ সেপ্টেম্বর ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) ধরে ছুটির নির্ধারণ করা হয়েছিল। কিন্তু গত রোববার (২৪ আগস্ট) জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি জানায়, ওইদিন দেশের কোথাও রবিউল আউয়াল মাসের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সফর মাস ৩০ দিনে শেষ হয়। রবিউল আউয়াল মাস শুরু হয় মঙ্গলবার। সেই হিসাবে ঈদে মিলাদুন্নবী (স.) হবে ৬ সেপ্টেম্বর। বাংলাদেশে ঈদে মিলাদুন্নবীর (স.) দিন সাধারণ ছুটি।
ছুটি পুনর্নির্ধারণের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ছুটিকালীন সব সরকারি, আধা-সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত, আধা-স্বায়ত্তশাসিত এবং বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে।
এছাড়া জরুরি পরিষেবা যেমন- বিদ্যুৎ, পানি, গ্যাস ও অন্যান্য জ্বালানি, ফায়ার সার্ভিস, বন্দরের কার্যক্রম, পরিচ্ছ কার্যক্রম, টেলিফোন ও ইন্টারনেট, ডাক সেবা এবং এ সংশ্লিষ্ট সেবা কাজে নিয়োজিত যানবাহন ও কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
হাসপাতাল ও জরুরি সেবা এবং এ সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মীরা এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবেন।
চিকিৎসাসেবায় নিয়োজিত চিকিৎসক ও কর্মী এবং ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জামাদি বহনকারী যানবাহন ও কর্মী এবং জরুরি কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত অফিস এই ছুটির আওতার বাইরে থাকবে বলে প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু রাখার বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেবে। আদালতের কার্যক্রমের বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিবে।
জাতীয়
রোজার আগে নির্বাচন, ৬০ দিন আগে তফসিল ঘোষণা: ইসি সচিব

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাইরে অন্য কিছু ভাবার সুযোগ নেই। রমজানের আগেই নির্বাচন হবে। ৬০ দিন আগে তফসিল হবে নির্বাচন কমিশন (ইসি) সচিব আখতার আহমেদ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
তফসিল ও ভোট কবে হবে? এমন প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, ভোট গ্রহণের ৬০ দিন আগে তফসিল দেব। প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর বলেছে, আগামী রমজানের আগে ভোট করার জন্য। আমার যদি ভুল না হয়ে থাকে তাহলে ১৭ বা ১৮ ফেব্রুয়ারি রমজান শুরু। আবার রমজানতো চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। এভাবে আপনি নির্বাচনের তারিখ বের করতে পারেন।
গণপরিষদ ও গণভোটের দাবির বিষয়ে আখতার আহমেদ বলেন, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা কেবল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য। এর বাইরে আমাদের অন্য কোনো কিছু ভাবার সুযোগ নেই।
জাতীয়
দেশের তিন স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা, একটির কার্যক্রম স্থগিত

বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের অলাভজনক তিনটি স্থলবন্দর বন্ধ ঘোষণা এবং একটি স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের ৪০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ তথ্য জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন তিনটি বন্ধ করে দেওয়া স্থলবন্দর হচ্ছে— নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ স্থলবন্দর এবং রাঙামাটির তেগামুখ স্থলবন্দর।
এ ছাড়া সিলেট বিভাগের হবিগঞ্জ জেলার চুনারুঘাট উপজেলার বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম স্থগিত রাখার প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে।
এর আগে, ২ মার্চ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, তিনটি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর সম্পূর্ণ বন্ধ এবং একটি স্থলবন্দরের অপারেশনাল কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করা হয়। বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের আটটি স্থলবন্দর কার্যকর বা অকার্যকরের বিষয়ে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের গঠিত যাচাই কমিটি এ সুপারিশ করে।
কমিটি প্রতিবেদনে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ও বাণিজ্য সম্ভাবনা বিবেচনায় নীলফামারীর ডোমার উপজেলার চিলাহাটি স্থলবন্দর, চুয়াডাঙ্গার দৌলতগঞ্জ, রাঙ্গামাটির তেগামুখ স্থলবন্দরের কার্যক্রম চালুর জন্য অবকাঠামো নির্মাণের প্রয়োজন নেই বলে সুপারিশ দেয়। এছাড়া হবিগঞ্জের বাল্লা স্থলবন্দরের কেদারকোটে নির্মিত স্থলবন্দরের ভারতীয় অংশে কোনো অবকাঠামো ও সড়ক না থাকায় চালু করা সম্ভব হচ্ছে না উল্লেখ করে বাল্লা স্থলবন্দরের অপারেশন কার্যক্রম বন্ধ রাখা যেতে পারে বলে সুপারিশ করে। একই সঙ্গে কমিটি ময়মনসিংহের গোবরাকুড়া-কড়ইতলী স্থলবন্দরের দুটি স্থানের পরিবর্তে একটি স্থানে কার্যক্রম চালু রাখার সুপারিশ করে।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর দেশের বিভিন্ন স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বিগত সরকারের আমলে নির্মিত দেশের অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন বিভিন্ন স্থলবন্দরের বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য একটি উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
এর পরিপ্রেক্ষিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় গত ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের ৮টি অলাভজনক ও কার্যক্রমহীন স্থলবন্দর যাচাই করা হয়। এসব স্থলবন্দর কার্যকর/অকার্যকরের বিষয়ে যাচাইয়ের লক্ষ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়, অর্থ বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধির সমন্বয়ে ছয় সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ওই ৮টি স্থলবন্দর সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিবেদন দাখিল করে।