অর্থনীতি
সবজির দামে পুড়ছে মানুষ, ডিমের ডজন ১৫৫

বেশ কিছুদিন ধরে সবজির বাজারে ঊর্ধ্বগতির দাম কমার কোনো লক্ষণ নেই। প্রায় সব ধরনের সবজির দাম ৮০ টাকার ঘরে আটকে আছে। তবে করলা, বেগুন ও টমেটোর মতো সবজিগুলোর দাম আরও বেশি। সবজির সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। প্রতি ডজন ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ১৫৫ টাকা দরে।
শুক্রবার (২২ আগস্ট) সকালে রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে সবজির চড়া দামের এমন চিত্র দেখা গেছে।
রাজধানীর শনিরআখরা কাঁচাবাজারে সবজি কিনতে আসা ইকরাম আহমেদ বলেন, আমাদের আয় সীমিত, টানাটানির সংসার। এরমধ্যে কোনো ক্ষেত্রে বেশি খরচ হলে অন্যদিকে টান পড়ে যায়। সবজির মূল্যবৃদ্ধি আসলেই আমাদের কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগের চেয়ে সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছি। তবে দু-এক কেজি না কিনলে তো রান্না চলবে না। অল্প অল্প করে নিচ্ছি।
শুধু শুধু ইকরাম নন, বাজারে আসা ক্রেতাদের সবাই সবজির চড়া দামে নাকাল। অনেকে দাম বেশি হওয়ায় সবজি কেনা কমিয়ে দিয়েছেন। কেউ আবার সবজি না কিনেই ফিরে যাচ্ছেন খালি হাতে।
বিক্রেতারা বলছেন, টানা বৃষ্টির কারণে এখন সবজির উৎপাদন আর সরবরাহ কম। তাই দাম বেড়েছে।
সবুজ হোসেন নামের একজন বিক্রেতা বলেন, এখন কম উৎপাদনের মৌসুম চলছে। এসময় আবহাওয়ার কারণে জমিতে সবজি চাষ কম হয়, ফলে সরবরাহও কমে যায়। এরমধ্যে অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে অনেক এলাকার সবজিক্ষেত তলিয়ে গেছে। এ কারণে বাজারে সবজির দাম বেড়েছে।০
বাজারে এখন আলু, বই কচু ও কাঁচা পেঁপে ছাড়া আর কোনো সবজি ৮০ টাকার কমে মিলছে না। এমনকি গ্রীষ্মের সবজি ঢ্যাঁড়স-পটোলও বিক্রি হচ্ছে ৮০-১০০ টাকায়। এছাড়া বরবটি, বেগুন, উস্তা, চিচিঙ্গা, ঝিঙ্গার, ধুন্দল কাঁকরোলের দাম বাজারভেদে ১০০ থেকে ১২০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে এখন কাঁচামরিচের দামও অনেক চড়া। প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ৩২০ টাকা পর্যন্ত। কয়েকদিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচামরিচের দাম ছিল ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা। বাজারে এখন প্রতি পিস চালকুমড়া ৭০ টাকা, লাউ ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মিষ্টি কুমড়ার ফালি ৪০ টাকা বিক্রি হচ্ছে।
সবজির সঙ্গে সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ডিমের দামও। আগে প্রতি ডজন ডিম ১৪০ টাকায় বিক্রি হলেও এখন বেড়ে হয়েছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকা। পাড়া-মহল্লার দোকানে প্রতি হালি ডিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৫২ টাকা দরে। মাত্র একমাস আগেও প্রতি ডজন ডিমের দাম ছিল ১২০ থেকে ১২৫ টাকা।
ডিমের দাম বেশি কেন—জানতে চাইলে মালিবাগ বাজারের ডিম বিক্রেতা বুলু মিয়া জানান বাজারে অন্যান্য পণ্যের দাম বাড়ায় প্রভাব পড়েছে ডিমের দামেও। সবজির দাম বাড়লেই স্বাভাবিকভাবে ডিমের চাহিদা বেড়ে যায়। এছাড়া বৃষ্টির কারণে ডিমের সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে।
বাজারে ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি ১৭০ থেকে ১৮৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে কেজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোনালি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা কেজি দরে।
কাফি

অর্থনীতি
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে পৌঁছাবে: বিশ্বব্যাংক

মূল্যস্ফীতির চাপ কমার ফলে বেসরকারি ভোগ বৃদ্ধি পাওয়ায় ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বাংলাদেশের প্রকৃত জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪.৮ শতাংশে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট আপডেটে এই পূর্বাভাস দিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
বিশ্বব্যাংক জানায়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে মারাত্মক ব্যাঘাত সত্ত্বেও পরবর্তী প্রান্তিকে অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে গতি ফিরে এসেছে। বহিরাগত খাতের চাপ হ্রাস, রিজার্ভ স্থিতিশীলতা এবং মুদ্রাস্ফীতি কমে আসা সামগ্রিকভাবে অর্থনীতিতে স্বস্তি এনে দিয়েছে।
তবে চ্যালেঞ্জ এখনো রয়ে গেছে বলে জানায় সংস্থাটি। বিশ্বব্যাংক বলছে, বেসরকারি বিনিয়োগের প্রবৃদ্ধি তীব্রভাবে মন্থর, কর্মসংস্থান সৃষ্টি স্থবির এবং উচ্চ অনাদায়ী ঋণের কারণে ব্যাংকিং খাত ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দুর্বল রাজস্ব আদায়ও অর্থনীতির পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করছে।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের তুলনায় বিনিয়োগের উন্নতি হবে বলে আশা করা হচ্ছে, তবে তা মন্থর থাকতে পারে, যা রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং ব্যাংকিং খাতে চলমান দুর্বলতা প্রতিফলিত করে।
আমদানি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে চলতি হিসাবের ভারসাম্য সামান্য ঘাটতিতে ফিরে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডের উন্নতির ফলে রাজস্ব বৃদ্ধির কারণে রাজস্ব ঘাটতি জিডিপির ৫ শতাংশের নিচে থাকবে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
অর্থনীতি
আট ব্যাংক থেকে ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কিনলো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

দেশের বৈদেশিক মুদ্রাবাজার স্থিতিশীল রাখতে এবং রেমিট্যান্স ও রপ্তানি আয়ের প্রবাহকে সহায়তা দিতে ব্যাংকগুলো থেকে অতিরিক্ত ডলার কিনছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আজ সোমবার (৬ অক্টোবর) ৮টি ব্যাংক থেকে মোট ১০ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার (১০৪ মিলিয়ন ডলার) কেনা হয়েছে।
এদিন প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১২১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৮০ পয়সা। মাল্টিপল প্রাইস নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে এসব ডলার কেনাবেচা সম্পন্ন হয়েছে।
২০২৫-২৬ অর্থবছরে এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ১৯৮১ মিলিয়ন (প্রায় দুই বিলিয়ন) মার্কিন ডলার কিনেছে। বাংলাদেশ ব্যাংক গত ১৩ জুলাই থেকে নিলামের মাধ্যমে ডলার কেনা শুরু করে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবেই এখন পর্যন্ত এই বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা সংগ্রহ করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান বলেন, আজ মাল্টিপল প্রাইস অকশনের মাধ্যমে ৮ ব্যাংক থেকে ১০৪ মিলিয়ন বা ১০ কোটি ৪০ লাখ ডলার কেনা হয়েছে। এ সময় প্রতি ডলারের দর নির্ধারণ হয় ১২১ টাকা ৭৮ পয়সা থেকে ১২১ টাকা ৮০ পয়সার মধ্যে। এ নিয়ে চলতি অর্থবছরের এ পর্যন্ত নিলাম পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ১৯৮ কোটি ১০ লাখ ডলার কিনেছে।
বেসরকারি একটি ব্যাংকের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর বলেন, শক্তিশালী রেমিট্যান্সপ্রবাহ ও রপ্তানি আয়ের কারণে ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিনের আমদানি দায়, বিশেষ করে জ্বালানি আমদানির বিল পরিশোধ করতে পেরেছে। এসব দায় শোধ হয়ে যাওয়া এবং আমদানি চাপ কমে আসায় বর্তমানে বাজারে ডলারের সরবরাহ চাহিদার তুলনায় বেশি। ফলে বিনিময় হার ক্রমেই নিচের দিকে নেমে আসছে।
অর্থনীতি
সহজক্যাশের সঙ্গে লেনদেনে সতর্ক থাকার আহ্বান কেন্দ্রীয় ব্যাংকের

সহজক্যাশ লিমিটেডের নামে কোনো মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (এমএফএস) চালুর আবেদন গৃহীত হয়নি এবং এমন কোনো অনুমোদন প্রক্রিয়াধীনও নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কোনো ধরনের লেনদেন করা বা প্রতিশ্রুতির ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন থাকার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
সম্প্রতি বিভিন্ন জাতীয় পত্রিকায় সহজক্যাশ লিমিটেডের নামে প্রকাশিত একটি চাকরির বিজ্ঞাপন বাংলাদেশ ব্যাংকের নজরে এসেছে। এতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ‘সহজক্যাশ লিমিটেড বর্তমানে প্রাক-পরিচালন পর্যায়ে রয়েছে এবং এমএফএস চালুর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন প্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সহজক্যাশ লিমিটেডের নামে এমএফএস চালুর আবেদন গৃহীত হয়নি এবং এ ধরনের কোনো এমএফএস চালুর অনুমোদন প্রক্রিয়াধীন নেই।
সহজক্যাশ লিমিটেডের নামে কোনো এমএফএস চালুর আবেদন গ্রহণ করা হয়নি এবং অনুমোদন প্রক্রিয়াধীনও নেই বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে লেনদেন বা প্রতিশ্রুতি দেওয়ার ক্ষেত্রে জনগণকে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে জনস্বার্থে এ সতর্কবার্তা জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দামে রেকর্ড, ভরি ছাড়ালো ২ লাখ টাকা

দেশের বাজারে ফের সোনার দাম বাড়ানোর ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)। প্রতি ভরিতে সর্বোচ্চ তিন হাজার ১৪৯ টাকা বাড়ানো হয়েছে।
নতুন দাম অনুযায়ী সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম দাঁড়াচ্ছে ২ লাখ ৭২৬ টাকা। যা এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ দাম। আজ প্রতি ভরি সোনা ১ লাখ ৯৭ হাজার ৫৭৬ টাকায় বেচাকেনা হয়েছে।
সোমবার (৬ অক্টোবর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বাজুস। মঙ্গলবার (৭ অক্টোবর) থেকেই নতুন দাম কার্যকর হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবি সোনার (পিওর গোল্ড) মূল্য বেড়েছে। ফলে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় সোনার নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৮.৩৬ শতাংশ

চলতি সেপ্টেম্বর মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৩৬ শতাংশে। যা আগের মাস আগস্টে ছিল ৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। আগের বছরের সেপ্টেম্বরে এই হার ছিল ৯ দশমিক ৯২ শতাংশ।
সোমবার (৬ অক্টোবর) বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে এই চিত্র উঠে এসেছে।
বিবিএসের তথ্য মতে, সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য খা3তে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৭ দশমিক ৬৪ শতাংশ, যা আগস্টে ছিল ৭ দশমিক ৬০ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে খাদ্য বহির্ভূত খাতে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আগস্ট মাসে যা ছিল ৮ দশমিক ৯০ শতাংশ। আর গত বছরের সেপ্টেম্বরে খাদ্য খাতে ১০ দশমিক ৪০ ও খাদ্য বহির্ভূত খাতে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশ হারে মূল্যস্ফীতি হয়েছিল।
খাদ্যপণ্যের দাম বেড়েছে, পাশাপাশি বাসাভাড়া, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা খাতে ব্যয়ের বৃদ্ধি সামগ্রিক মূল্যস্ফীতি বাড়িয়েছে। ডলারের বিনিময় হার ও আমদানি ব্যয়ের চাপও মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির অন্যতম কারণ হিসেবে কাজ করছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।