কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের ‘আস্থা’ অ্যাপে ১০ লাখ গ্রাহকের মাইলফলক অর্জন

ব্র্যাক ব্যাংকের স্মার্ট ব্যাংকিং অ্যাপ ‘আস্থা’ সম্প্রতি ১০ লাখ গ্রাহক সংখ্যার এক উল্লেখযোগ্য মাইলফক অর্জন করেছে, যা গ্রাহকদের মাঝে অ্যাপটির জনপ্রিয়তার প্রতিফলন।
এই ডিজিটাল ব্যাংকিং অ্যাপটি গ্রাহকদের প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় ব্যাংকিং প্ল্যাটফর্ম হয়ে উঠেছে, যা তাঁদের ২৪/৭ ব্যাংকিং লেনদেনের সুবিধা দিয়ে যাচ্ছে।
অ্যাপের মাধ্যমে লেনদেনের ভিত্তিতে ব্যাংকিং অ্যাপটি চলতি বছরের জুলাই মাসে ২০ হাজার কোটি টাকা লেনদেনের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। এটি বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে মাসিক অ্যাপ-ভিত্তিক লেনদেনের এক নতুন রেকর্ড। ‘আস্থা’ অ্যাপ যে দেশের ডিজিটাল ব্যাংকিং অঙ্গনে নিরাপদ, স্মার্ট ও নিরবচ্ছিন্ন ব্যাংকিং সেবার মাধ্যম হিসেবে গ্রাহকদের জীবনের অংশ হয়ে উঠেছে, এটি তার-ই প্রতিফলন।
এই মাইলফলক শুধু গ্রাহকদের কাছে ‘আস্থা’র গ্রহণযোগ্যতাই নয়, বরং ডিজিটাল উদ্ভাবনে ব্র্যাক ব্যাংকের নেতৃত্বেরও প্রতিফলন। বাংলাদেশে ডিজিটাল আর্থিক সেবার বিকাশে ‘আস্থা’ গ্রাহকদের দিয়েছে তাঁদের আর্থিক ব্যবস্থাপনার পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ, যেখানে তাঁরা যেকোনো সময় যেকোনো স্থান থেকে ব্যাংকিং লেনদেন করতে পারছেন।
‘আস্থা’ গ্রাহকদের এক প্ল্যাটফর্মেই ব্যাংকিং ও লাইফস্টাইলের বিস্তৃত সেবা দিচ্ছে। এখানে মাত্র কয়েক ট্যাপেই গ্রাহকরা ব্রাঞ্চে না গিয়ে ই-কেওয়াইসির মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট খুলতে পারেন। অ্যাকাউন্ট নম্বর, ডেবিট/ক্রেডিট কার্ড, অথবা ডিপিএস নম্বর দিয়ে সহজেই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করা যায়, যার ফলে সব ধরনের ডিজিটাল জ্ঞানসম্পন্ন গ্রাহকরা কোনোপ্রকার ঝামেলা ছাড়াই অ্যাপে রেজিস্ট্রেশন করে ব্যাংকিং সেবা নিতে পারছেন। এটি অন্তর্ভুক্তিমূলক ব্যাংকিংয়ের প্রসারেও ভূমিকা রাখছে। শুধু তা-ই নয়, গ্রাহকরা এখানে কার্ড ও লোনের জন্য আবেদন থেকে শুরু করে এটিএম/ব্রাঞ্চ/মার্চেন্টের লোকেশনও জানতে পারেন খুব সহজে।
‘আস্থা’তে গ্রাহকরা নিজেদের সুবিধানুযায়ী এনপিএসবি, বিইএফটিএন, ভিসা ডিরেক্ট এবং আরটিজিএস ব্যবহার করে ফান্ড ট্রান্সফার করতে পারেন। মোবাইল ওয়ালেট ফান্ড ট্রান্সফার, কিউআর কোড-ভিত্তিক ‘স্ক্যান অ্যান্ড পে’, ইউটিলিটি বিল পেমেন্ট এবং মোবাইল রিচার্জ সুবিধাগুলো গ্রাহকদের জীবনকে করে তুলেছে আরও সহজ। এই সেবাগুলো পেতে গ্রাহকদের দিতে হচ্ছে না কোনো চার্জ, দাঁড়াতে হচ্ছে না লাইনে, কিংবা যেতে হচ্ছে না কোনো ব্রাঞ্চে।
অ্যাপটিতে কোডের মাধ্যমে কার্ডবিহীন এটিএম উত্তোলন, স্ট্যান্ডিং ইনস্ট্রাকশনের মাধ্যমে নিয়মিত বিল প্রদান (যেমন- বিকাশ, রকেট, ইনস্যুরেন্স), বিকাশ পুল মানি ফিচারের মাধ্যমে ওয়ালেট থেকে ব্র্যাক ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডে ফান্ড ট্রান্সফারের সুবিধা রয়েছে। গ্রাহকরা এই অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের লক্ষ্যে বেনিফিশিয়ারি ওনার (বিও) অ্যাকাউন্টও খুলতে পারেন।
ব্যাংকিং ও লাইফস্টাইলের অনন্য সমন্বয় আস্থা অ্যাপকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ‘আস্থা’ লাইফস্টাইলের মাধ্যমে গ্রাহকরা বাসের টিকিট বুকিং, প্রথম আলোর ই-পেপার পড়া, ‘আস্থা প্লে’-তে কনটেন্ট স্ট্রিমিং, গান শোনা এবং ‘আস্থা লার্নিং’-এ দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সে অংশ নিতে পারেন। আধ্যাত্মিক প্রশান্তির জন্য রয়েছে ‘আস্থা ইসলামিক’, যেখানে গ্রাহকরা নির্বাচিত ধর্মীয় কনটেন্ট উপভোগ করতে পারেন। এক প্ল্যাটফর্মে একসাথে ভ্যালু এবং সহজ ও নিরাপদ ব্যাংকিং সেবা ব্র্যাক ব্যাংকের গ্রাহককেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন।
‘আস্থা’ গ্রাহকদের দীর্ঘমেয়াদি আর্থিক পরিকল্পনাতেও সহায়তা করে। গ্রাহকরা ‘আস্থা’ অ্যাপের মাধ্যমে এফডিআর/ডিপিএস খোলা বা ভাঙানো, কার্ড রিসেট বা ব্লক করা, নমিনির নাম আপডেট করা, অ্যাকাউন্ট স্টেটমেন্ট, ট্যাক্স সার্টিফিকেট ও পজিটিভ পে কনফার্মেশন ডাউনলোড করতে পারেন। এই সুবিধাগুলো বিশেষ করে এসএমই, পেশাজীবী এবং উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ কার্যকর।
এই অর্জন ডিজিটাল অন্তর্ভুক্তি, আর্থিক ক্ষমতায়ন এবং উদ্ভাবনের ব্যাপারে ব্র্যাক ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন। ‘আস্থা’র মাধ্যমে গ্রাহকরা শুধু আর্থিক লেনদেনই করছেন না, বরং বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ব্যাংকিং খাতের উন্নয়নেও ভূমিকা রাখছেন।
এমন অর্জন সম্পর্কে ব্র্যাক ব্যাংকের চিফ ডিজিটাল অফিসার মোকাররবিন মান্নান বলেন, আস্থা ব্র্যাক ব্যাংকের ডিজিটাল উদ্ভাবনের মাধ্যমে ব্যাংকিংকে সহজ ও সবার কাছে পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতির প্রতিফলন।
তিনির আরও বলেন, ১০ লাখেরও বেশি ব্যবহারকারীই প্রমাণ করে যে, অ্যাপটি মানুষের দৈনন্দিন জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে। এটি এখন আর শুধু ব্যাংকিংয়েই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি এখন দেশে আর্থিক অন্তর্ভুক্তির প্রসার, ব্যবহারকারীদের লাইফস্টাইল সুবিধা প্রদান এবং ভবিষ্যতের ডিজিটাল ইকোসিস্টেম গড়ে তোলার বিষয় নিয়ে কাজ করছে।
কাফি

কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংকের বোর্ড সভা

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির পরিচালনা পরিষদের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) ইসলামী ব্যাংক টাওয়ারে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম জুবায়দুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
সভায় এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ খুরশীদ ওয়াহাব, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুস সালাম, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. এম মাসুদ রহমান ও স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবদুল জলিল, ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. ওমর ফারুক খাঁন, শরী’আহ সুপারভাইজরি কাউন্সিলের সদস্য সচিব প্রফেসর ড. মুহাম্মাদ আব্দুস সামাদ এবং কোম্পানি সেক্রেটারি মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
সুপারস্টার গ্রুপের এসএমই’র জন্য অর্থায়ন সুবিধা বৃদ্ধি করবে আইপিডিসি

আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং সুপারস্টার গ্রুপ (এসএসজি) বাংলাদেশ একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে। যার মাধ্যমে সুপারস্টার গ্রুপের আওতাধীন ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (এসএমই) জন্য অর্থায়ন সুবিধা বৃদ্ধি করবে আইপিডিসি। এতে করে, উদ্যোক্তারা সহজে এসএসজি বিডি’র পণ্য ক্রয় ও সরবরাহ করতে পারবে, যা তাদের ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশের এসএমই খাতকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে এসএমই উদ্যোক্তারা সহজে মূলধন পাবে, যার ফলে তারা ব্যবসা সম্প্রসারণ, উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি এবং জাতীয় অর্থনীতিতে আরও ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে। সহজ লেনদেন ও ব্যবসায়িক সংযোগ বৃদ্ধির মাধ্যমে টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক উন্নয়ন এগিয়ে নিতে কাজ করছে উভয় প্রতিষ্ঠান।
চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি’র ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও চিফ অপারেটিং অফিসার মো. আশিক হোসেন বলেন, এসএমই আমাদের অর্থনীতির মেরুদণ্ড আর এই অংশীদারিত্বের মাধ্যমে উদ্যোক্তাদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় আর্থিক সরঞ্জাম সরবরাহে আমরা আরও এক ধাপ এগিয়ে যাচ্ছি। এই চুক্তি ভ্যালু চেইনকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি দেশব্যাপি উদ্যোক্তাদের জন্য দীর্ঘমেয়াদি সুযোগও তৈরি করবে।
সুপারস্টার গ্রুপ বাংলাদেশের ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান বলেন, আমরা বরাবরই শক্তিশালী ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি ও পরিচালন দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এসএমই খাতকে উন্নত করতে কাজ করেছি। আইপিডিসি’র সাথে অংশীদারিত্ব আমাদের আওতাধীন উদ্যোক্তাদের সহজ অর্থায়ন সুবিধা প্রদান করবে, ফলে তারা আরও দ্রুত ও সহজে ব্যবসা সম্প্রসারণ এবং উন্নত সেবা প্রদান করতে পারবে।
এই সমঝোতা স্মারক এসএমই খাতের প্রবৃদ্ধি, উদ্ভাবন এবং প্রতিযোগিতামূলক সক্ষমতা বৃদ্ধিতে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি এবং সুপারস্টার গ্রুপ-এর যৌথ প্রচেষ্টাকে তুলে ধরছে। এর মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে এসএমই খাতের ভূমিকা আরও দৃশ্যমান হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
কর্পোরেট সংবাদ
প্রাইম ব্যাংকের সঙ্গে সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের চুক্তি

প্রাইম ব্যাংক পিএলসি সিক্রেট রেসিপি ও ফেয়ার ইলেকট্রনিক্সের সঙ্গে একটি কৌশলগত অংশীদারিত্ব চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। সম্প্রতি রাজধানীর গুলশানে ব্যাংকের কর্পোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উভয় প্রতিষ্ঠান চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।
এই অংশীদারিত্বের আওতায় প্রাইম ব্যাংকের গ্রাহকরা এখন থেকে সিক্রেট রেসিপির সব আউটলেটে বিশেষ অফার বিভিন্ন খাবারের স্বাদ নিতে পারবেন। পাশাপাশি, দেশের বিভিন্ন স্থানে অবস্থিত ফেয়ার ইলেকট্রনিক্স আউটলেটে হাইসেন্স ব্র্যান্ডের পণ্যে আকর্ষণীয় অফার উপভোগের সুযোগ পাবেন গ্রাহকরা।
চুক্তিটি স্বাক্ষর করেন প্রাইম ব্যাংক পিএলসির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন মামুর আহমেদ এবং ফেয়ার গ্রুপের হেড অব ট্রেজারি মো. জাহিদুল কবীর। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রাইম ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অব কার্ডস অ্যান্ড রিটেইল অ্যাসেট জোয়ার্দার তানভীর ফয়সাল; ফেয়ার গ্রুপের হেড অব মার্কেটিং জে এম তসলিম কবীর এবং পেপারনি লিমিটেডের হেড অব বিজনেস কে.এস.এম. মহিতুল বারী।
এই চুক্তি প্রায়োরিটি গ্রাহকদের উন্নত লাইফস্টাইল সুবিধা ও কাস্টমাইজড অভিজ্ঞতা প্রদানে প্রইম ব্যাংকের প্রতিশ্রুতির পতিফলন, যা তাদের সামগ্রীক ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা বাড়াবে।
কর্পোরেট সংবাদ
যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামানের সম্পদ থেকে ৩৫ কোটি ডলার ফেরত চাইলো ইউসিবি

সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদের মালিকানায় থাকা যুক্তরাজ্যে শতাধিক সম্পত্তি বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে প্রশাসক প্রতিষ্ঠান গ্র্যান্ট থর্নটন। বাংলাদেশ সরকার ও দুদকের অনুরোধে যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ) তাঁর এসব সম্পদ জব্দ করে আদেশ জারি করে।
গত সোমবার টেলিগ্রাফে প্রকাশিত এক খবরে বলা হয়েছে, বিক্রি হওয়া সম্পত্তির অর্থ দিয়ে মূলত দুবাই ও সিঙ্গাপুরভিত্তিক অর্থায়নকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ঋণ শোধ করা হবে। ঋণদাতাদের তালিকায় রয়েছে সিঙ্গাপুরের ডিবিএস ব্যাংক এবং ব্রিটিশ আরব কমার্শিয়াল ব্যাংক।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন প্রকাশের পর গতকাল বাংলাদেশের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যের কোম্পানিজ হাউসে তারা সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ২৫ কোটি ডলার পাউন্ড (প্রায় ৩৫ কোটি ডলার) দাবি করেছে। টেলিগ্রাফের খবরেও তার উল্লেখ আছে। ইউসিবি থেকে পাচার হওয়া অর্থ দিয়ে যুক্তরাজ্যের লন্ডন ও দুবাইতে সম্পদ কেনা হয়েছে বলে ব্যাংকটি দাবি করেছে। ব্যাংকের অডিটে এ সম্পর্কিত প্রমাণ রয়েছে।
সাইফুজ্জামান চৌধুরী গত আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আগে ইউসিবির চেয়ারম্যান ছিলেন। বিতর্কের মুখে মন্ত্রিত্ব ছাড়ার সময় তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামান ব্যাংকটির চেয়ারম্যান ছিলেন। স্ত্রী রুকমিলা চেয়ারম্যান হলেও আদতে নেপথ্যে থেকে ব্যাংকটি চালাতেন সাইফুজ্জামান চৌধুরী।
টেলিগ্রাফের প্রতিবেদন অনুসারে, যুক্তরাজ্যে সাইফুজ্জামান চৌধুরীর সম্পত্তির মূল্য প্রায় ১৭ কোটি পাউন্ড। যুক্তরাজ্যে বিভিন্ন কোম্পানির অধীনে তিন শতাধিক ফ্ল্যাট ও হাউজিং ব্লক রয়েছে। এসব সম্পদ বিক্রি করে প্রাপ্ত অর্থ ঋণ পরিশোধে ব্যবহার করা হবে।
গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে ইউসিবি, দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে সাবেক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে বড় অঙ্কের অর্থ পাচার, বেনামি কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন এবং আত্মসাতের প্রমাণ মেলে। সেই অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে লন্ডন ও দুবাইয়ে বিলাসবহুল সম্পত্তি কেনার অভিযোগ রয়েছে।
গতকাল পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে ইউসিবি জানিয়েছে, ব্যাংকটির নিজস্ব ফরেনসিক অডিট, দুদক ও বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুসন্ধানে সাবেক পরিচালনা পর্ষদের বিরুদ্ধে ব্যাপক আর্থিক অনিয়ম পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বেনামি, কাগুজে কোম্পানির মাধ্যমে ঋণ অনুমোদন করিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্টে টাকা সরানোর প্রমাণ মিলেছে। বেনামি এসব ঋণের অর্থ দেশের বাইরে পাচার করে লন্ডন-দুবাইয়ে বাড়ি কেনা হয়েছে বলে অভিযোগ আছে। ইউসিবি সেই অর্থই ফেরত চেয়ে আবেদন করেছে।
এরই মধ্যে গত জুলাই মাসে দুদকের দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে সাবেক ভূমিমন্ত্রী ও সাবেক ইউসিবি চেয়ারম্যান সাইফুজ্জামান চৌধুরী, তাঁর স্ত্রী রুকমিলা জামানসহ সাত সাবেক পরিচালকের মোট ৫৭০ কোটি টাকার শেয়ার জব্দ করা হয়েছে। এ তালিকায় বশির আহমেদ, আনিসুজ্জামান চৌধুরী, এম এ সবুর, বজল আহমেদ, নুরুল ইসলাম চৌধুরী এবং রুকমিলা জামানও রয়েছেন।
ইউসিবি আরও জানিয়েছে, শেয়ার বাজেয়াপ্ত হওয়া ও ব্যাংকটিকে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত করা কয়েকজন সাবেক পরিচালক আদালতে আবেদন করে ব্যাংকের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) বন্ধের চেষ্টা চালিয়েছিলেন। অবশ্য উচ্চ আদালতের নির্দেশে সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এজিএম স্থগিত করতে চাওয়া সাবেক পরিচালকদের মধ্যে আছেন সাবেক ভূমিমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বশির আহমেদ, শওকত আজিজ রাসেল এবং এম এ সবুর। ইউসিবি জানায়, বশির আহমেদ একাধিক অর্থ পাচার মামলায় অভিযুক্ত, তাঁর বিদেশ ভ্রমণে সরকারি নিষেধাজ্ঞা আছে। এ ছাড়া শওকত আজিজ রাসেলের ঋণের পরিমাণ ৬০০ কোটি টাকা এবং আরও প্রায় এক হাজার ৯০০ কোটি টাকার ঋণ আদালতের স্থগিতাশের কারণে ‘খেলাপি’ হিসেবে শ্রেণিবদ্ধ করা যাচ্ছে না।
কর্পোরেট সংবাদ
ভিসা এক্সিলেন্স ইন ওয়ালেট পার্টনারশিপ অ্যাওয়ার্ড পেলো বিকাশ

পার্টনারদের নিয়ে ডিজিটাল ওয়ালেট ইকোসিস্টেমকে শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখায় ভিসা ‘এক্সিলেন্স ইন ওয়ালেট পার্টনারশিপ’ অ্যাওয়ার্ড পেয়েছে বিকাশ।
সম্প্রতি রাজধানীর একটি হোটেলে ভিসা লিডারশিপ কনক্লেভ বাংলাদেশ-২০২৫ আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিকাশের প্রতিষ্ঠাতা ও চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার কামাল কাদীরের হাতে পুরস্কার তুলে দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক আরিফ হোসেন খান। এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভিসা’র গ্রুপ কান্ট্রি ডিরেক্টর (ভারত ও সাউথ এশিয়া) সন্দীপ ঘোষ ও কান্ট্রি ম্যানেজার সাব্বির আহমেদ এবং বিকাশ এর চিফ কমার্শিয়াল অফিসার আলী আহম্মেদ।
উল্লেখ্য, বিকাশের ওয়ালেট পার্টনারশিপের মাধ্যমে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান, কার্ড সেবাদানকারী পেমেন্ট সিস্টেম, আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান, ই-কমার্স, রাইড-শেয়ারিং, ফুড ডেলিভারি সেবাসহ নানা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত হয়ে গ্রাহকদের জন্য সহজ, নিরাপদ ও দ্রুত লেনদেনের সুযোগ তৈরি করেছে। পার্টনারশিপ ও কোলাবোরেশন এর মাধ্যমে আরো বৃহৎ গ্রাহকগোষ্ঠীকে বৈচিত্র্যপূর্ণ ডিজিটাল আর্থিক সেবা দিয়ে তাদের দৈনন্দিন লেনদেনে স্বাধীনতা ও সক্ষমতাও এনে দিয়েছে বিকাশসহ সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ।
এবছর বিভিন্ন খাতে অসাধারণ কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আন্তর্জাতিক পেমেন্ট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান ভিসা ব্যাংক, ফিনটেক ও রিটেইল খাতের ১৭টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০টি পুরস্কারে সম্মানিত করে। দেশের ডিজিটাল অর্থনীতিতে ভালো পারফর্ম্যান্সের স্বীকৃতিস্বরূপ ফিনটেক, মার্চেন্ট এক্সেপ্টেন্স, ই-কমার্স, ক্রস-বর্ডার পেমেন্টস, ভিসা ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড অপারেশনস এবং কমার্শিয়াল কার্ডস ক্যাটাগরিতে এই পুরস্কারগুলো প্রদান করা হয়।