টেলিকম ও প্রযুক্তি
আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ

এবার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য দুঃসংবাদ দিলো ট্রুকলার অ্যাপ। অপরিচিত নম্বরগুলো শনাক্ত করার জন্য ট্রুকলার অ্যাপ জনপ্রিয়। কোনো অচেনা নম্বর থেকে ফোন এলে ট্রুকলারের মাধ্যমে সহজেই সেই কলারের পরিচয় জেনে নেওয়া যায়।
ব্যবহারকারীদের অ্যাপ ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো করতে নানান ফিচার যুক্ত করে প্ল্যাটফর্মটি। আবার অনেক ফিচার বন্ধও করে দেয়। এবার আইফোন ব্যবহারকারীদের জন্য একটি আপডেট চালু করছে। সেই আপডেটের ফলেই আইওএসে কল রেকর্ডিং ফিচারটি বন্ধ হতে চলেছে। অর্থাৎ আইফোনে ট্রুকলার অ্যাপ ব্যবহার করে আর কল রেকর্ড করা যাবে না।
ট্রুকলার আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করেছে যে তারা ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ থেকে আইওএসে কল রেকর্ডিং ফিচারটি বন্ধ করছে। মাত্র দুই বছর আগে আইওএস প্ল্যাটফর্মে কোম্পানিটি এই ফিচারটি চালু করে।
আইফোনে কল রেকর্ডিং ফিচারটি একেবারে শুরুর দিন থেকেই ট্রুকলারের জন্য একটি চ্যালেঞ্জ ছিল। অ্যাপলের কল রেকর্ডিং প্রক্রিয়া অ্যান্ড্রয়েডের তুলনায় অনেক বেশি কঠিন এবং সীমিত, কারণ অ্যাপলের গোপনীয়তা নীতিগুলো খুবই কঠোর এবং থার্ড পার্টি অ্যাপগুলোকে সরাসরি কল রেকর্ড করার অনুমতি দেয় না।
এই চ্যালেঞ্জ কাটিয়ে ওঠার জন্য ট্রুকলার একটি সমাধান ব্যবহার করেছে। এটি কল রেকর্ডিংয়ের জন্য একটি মার্জড ‘রেকর্ডিং লাইন’ ব্যবহার করেছে, যার মধ্যে কলটিকে অন্য একটি লাইনের সঙ্গে মার্জ করার প্রক্রিয়া জড়িত রয়েছে।
ট্রুকলারের আইওএস প্রধান নকুল কাবরা বলেন যে কোম্পানি এখন তার মূল বৈশিষ্ট্যগুলোতে মনোনিবেশ করতে চায়, যেমন লাইভ কলার আইডি এবং স্বয়ংক্রিয় স্প্যাম ব্লকিং। এটিই ট্রুকলারের আসল শক্তি এবং কোম্পানি এখন এই পরিষেবাগুলো উন্নত করার দিকে মনোনিবেশ করছে।
আইফোনে কল রেকর্ডিং ফিচারটি সরিয়ে ফেলার অর্থ এই নয় যে ব্যবহারকারীদের পুরোনো রেকর্ডিং মুছে ফেলা হবে। কোম্পানি ব্যবহারকারীদের তাদের রেকর্ডিং ডাউনলোড করার, ই-মেইল, হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যান্য অ্যাপের মাধ্যমে শেয়ার করার বা আইক্লাউডে সংরক্ষণ করার বিকল্প দিয়েছে। এই পরিবর্তনটি সহজে বোঝার করার জন্য ট্রুকলার একটি হেল্প পেজও চালু করেছে।
এই সিদ্ধান্তের পেছনে আরেকটি বড় কারণ হলো অ্যাপলের নিজস্ব কল রেকর্ডিং সিস্টেম। আইওএস ১৮.১ আপডেটের মাধ্যমে অ্যাপল তার আইফোনগুলোতে ইনবিল্ট কল রেকর্ডিং এবং ট্রান্সক্রিপশন (টেক্সটে রূপান্তর) যুক্ত করেছে। ফলে ফিচারটি সরাসরি আইওএস সিস্টেমে কাজ করে এবং ব্যবহারকারীর কোনো থার্ড পার্টি অ্যাপের প্রয়োজন হবে না।

টেলিকম ও প্রযুক্তি
৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করলো হোয়াটসঅ্যাপ

বিশ্বের অন্যতম জনপ্রিয় মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপ। বিশ্বের প্রায় সব শহরেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন কয়েকশ কোটি মানুষ। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ১০০ বিলিয়নের বেশি মেসেজ আদান-প্রদান হয়হোয়াটসঅ্যাপে। এর মধ্যে শুধু ছবি আদান-প্রদানের সংখ্যা ৭০০ মিলিয়ন এবং ভিডিও আদান-প্রদানের সংখ্যা ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে যায়।
হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২.৯৫ বিলিয়নেরও বেশি। যার মধ্যে সবচেয়ে বেশি ৫৩৫.৮ মিলিয়ন ব্যবহারকারী আছে ভারতে। এই বিশাল সংখ্যক ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার ব্যাপারে তাইতো অনেকবেশি সচেতন। এজন্য একেবারেই ছাড় দেয় না মেটার মালিকানাধীন প্ল্যাটফর্মটি। এবার ৬৮ লাখ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ।
‘স্ক্যাম সেন্টার’ বা প্রতারক চক্রের সঙ্গে যোগ রয়েছে এমন সন্দেহে অ্যাকাউন্টগুলো ‘ব্যান’ করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। ২০২৫ সালের প্রথম অর্ধে এই কাজ হয়েছে বলে জানিয়েছে মূল সংস্থা মেটা। সাইবার অপরাধীরা নানানভাবে তাদের প্রতারণা চালিয়ে যাচ্ছে। স্বর্বশান্ত করছে ব্যবহারকারীদের।
মেটার পক্ষ থেকে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, ‘অনেকক্ষেত্রেই অপরাধচক্র এই ধরনের প্রতারণা চক্র চালাত। অনেক সময়ে চাপ তৈরি করে ফোর্সড লেবার-এর মাধ্যমে মূলত দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় এই ধরনের অপরাধ চক্র চলত।’
এই চক্রগুলো পরপর জালিয়াতির ফাঁদ পাতত। ক্রিপ্টোকারেন্সিতে বিনিয়োগ থেকে শুরু করে বিপুল রিটার্ন দেওয়ার মতো লোভ দেখানো হতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ব্যক্তিকে লোভ দেখিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করা হতো।
মেটা জানিয়েছে, টেক্সট মেসেজের মাধ্যমে প্রথমে যোগাযোগ করা হতো টের্গেট ব্যবহারকারীর সঙ্গে। এরপর সোশ্যাল মিডিয়া ও প্রাইভেট মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা হতো। টার্গেট করা ব্যক্তি যাতে লোভে পা দেন, তার জন্য সাফল্যের নাম করে বিভিন্ন উদাহরণও সামনে রাখতো অপরাধ চক্রগুলো।
কোনো প্রতারণার ঘটনায় অপরাধীরা একাধিক প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে টার্গেটের সঙ্গে যোগাযোগ রাখত। এর ফলে কোনো একটি সংস্থার পক্ষে প্রতারণার পুরো চিত্র সামনে আনার ক্ষেত্রে সমস্যা তৈরি হতো বলে জানিয়েছে মেটা।
মেটা এই প্রতারণা থেকে ব্যবহারকারীদের বাঁচতে করণীয় কী হতে পারে সেই ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে। পরিচিত নন বা কন্ট্যাক্ট লিস্টে নেই এমন নম্বর গ্রুপে অ্যাড করবেন না। অপরিচিত নম্বর থেকে আসা লিঙ্কে ক্লিক করা থেকে বিরত থাকুন।
যুক্তরাজ্যের ভোক্তা আইন বিশেষজ্ঞ লিসা ওয়েব বলেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীরা ভুয়া বিনিয়োগের সুযোগ থেকে শুরু করে ছলনাময়ী পণ্য এবং অস্তিত্বহীন চাকরির অফার পর্যন্ত সবকিছুর জন্য প্রতারণামূলক বিজ্ঞাপনে প্লাবিত হচ্ছে। তাই মেটাকেও আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।
টেলিকম ও প্রযুক্তি
এআই উন্নয়নে ২০০ কোটি ডলারের সম্পদ বিক্রি করবে মেটা

বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) বিস্তারে কৌশলগত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে মেটা। ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিশাল এআই অবকাঠামোর ব্যয়ভার ভাগ করে নিতে ২.০৪ বিলিয়ন বা ২০০ কোটি ডলারের ডেটা সেন্টার সংক্রান্ত সম্পদ বিক্রি করবে।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেটা প্ল্যাটফর্মস তাদের চলমান ডেটা সেন্টার প্রকল্পগুলোর কিছু সম্পদ বিক্রির মাধ্যমে আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে যৌথভাবে অবকাঠামো নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। বৃহস্পতিবার প্রকাশিত কোয়ার্টারলি ফাইলিং-এ এই পরিকল্পনার বিস্তারিত উল্লেখ করে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটা জানায়, গত জুনে তারা এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছে। এর আওতায় ২.০৪ বিলিয়ন ডলারের জমি ও নির্মাণাধীন সম্পদকে “হেল্ড-ফর-সেল” হিসেবে শ্রেণিকরণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এগুলো আগামী ১২ মাসের মধ্যে তৃতীয় কোনো পক্ষকে হস্তান্তর করা হবে। যারা ডেটা সেন্টার যৌথভাবে উন্নয়নে অংশ নেবে।
মেটার ফাইলিং অনুযায়ী, ৩০ জুন পর্যন্ত তাদের মোট হেল্ড-ফর-সেল সম্পদের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩.২৬ বিলিয়ন ডলার। তবে এই সম্পদ বিক্রিতে কোনো ক্ষতি দেখায়নি প্রতিষ্ঠানটি। বরং ‘বুক ভ্যালু’ ও ‘মার্কেট ভ্যালু’র মধ্যে যেটা কম, সেটার ভিত্তিতে তা মূল্যায়ন করা হয়েছে।
এই পদক্ষেপ প্রযুক্তি জগতের একটি নতুন বাস্তবতার ইঙ্গিত দিচ্ছে। যেখানে আগে গুগল, অ্যামাজনের মতো কোম্পানিগুলো নিজেদের সব অবকাঠামো নিজস্ব অর্থে নির্মাণ করত, সেখানে এখন তারা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা চালিত ডেটা সেন্টার তৈরির বিপুল ব্যয় মাথায় রেখে আর্থিক অংশীদার খুঁজছে।
মেটার চিফ ফিনান্স অফিসার সুসান লি এ প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা আর্থিক অংশীদারদের সঙ্গে একত্রে ডেটা সেন্টার উন্নয়নের উপায় খুঁজছি। যদিও আমরা অধিকাংশ ব্যয় নিজেরাই বহন করবো। কিছু প্রকল্পে উল্লেখযোগ্য বাহ্যিক অর্থায়ন যুক্ত হতে পারে। যা ভবিষ্যতের পরিবর্তিত অবকাঠামো চাহিদা অনুযায়ী সুযোগ দেবে।”
মেটা সিইও মার্ক জুকারবার্গ আগেই ঘোষণা দিয়েছেন, এআই এবং সুপারইন্টেলিজেন্স-এর জন্য তারা সুপারক্লাস্টার নামে অনেক বড় ডেটা সেন্টার নির্মাণের উদ্যোগ নিচ্ছেন। তিনি বলেন, “এই সুপারক্লাস্টারগুলোর একটি পুরো ম্যানহাটনের বড় অংশের সমান।”
এই ঘোষণার পাশাপাশি মেটা তাদের বার্ষিক মূলধন ব্যয়ের পূর্বাভাস ২ বিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে ৬৬ থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত করেছে। এর পেছনে রয়েছে বিজ্ঞাপন আয়ে চমকপ্রদ বৃদ্ধি। যা এআই নির্ভর কনটেন্ট ডেলিভারি ও টার্গেটিংয়ের উন্নতির কারণে সম্ভব হয়েছে।
এই বৃদ্ধি, মেটার দীর্ঘমেয়াদী এআই ইনফ্রাস্ট্রাকচারের ব্যয় কিছুটা হলেও ভারসাম্য করতে সাহায্য করেছে।
জাতীয়
ভোক্তা অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তিতে মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে ভোক্তা অধিদপ্তরের সভা

দেশের ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তির লক্ষ্যে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২৮ জুলাই) সকাল ১১ টায় জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান।
অধিদপ্তরের পরিচালক (অভিযোগ ও তদন্ত) মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম জানান, মোবাইল ফোনের গ্রাহকগণ বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করছেন। কিন্তু অপারেটরগণ নিয়মিত অভিযোগের শুনানীতে উপস্থিত থাকছেন না, কোন কোন অপারেটরের পক্ষে ক্রমাগত সময় চাওয়ায় অভিযোগগুলো নিষ্পত্তিতে বিলম্ব হচ্ছে।
সভায় অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) আব্দুল জলিল ও অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ, গ্রামীনফোন, রবি, বাংলালিংক, টেলিটক প্রতিনিধি, বিটিআরসি প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ মোবাইল টেলিকম অপারেটর এসোসিয়েশনের মহাসচিব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া সভায় মোবাইল ফোন অপারেটরদের বিরুদ্ধে ভোক্তাদের প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ উপস্থাপন করা হয় ও পর্যালোচনা করা হয়।
সভায় বিস্তারিত আলোচনান্তে প্রাপ্ত অভিযোগসমূহ দ্রুত নিষ্পত্তি ও ভোক্তাসাধারণের স্বার্থে সর্বসম্মতিক্রমে নিম্নবর্ণিত সিদ্ধান্তসমূহ গৃহীত হয়:
মোবাইল ফোন অপারেটরগণ অধিদপ্তরে দাখিলকৃত অভিযোগসমূহ আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে যাচাই বাছাই করে নিষ্পত্তিযোগ্য অভিযোগসমূহ স্বীয় উদ্যোগে নিষ্পত্তি করে বাস্তবায়ন প্রতিবেদন দাখিল করবেন। যেসব অভিযোগের বিষয়ে অপারেটররা দ্বিমত করবেন সেসব অভিযোগ যথারীতি শুনানীর মাধ্যমে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিষ্পত্তি করবে। শুনানীতে নিয়মিত উপস্থিত থাকার জন্য অপারেটরগণ নির্দিষ্ট কর্মকর্তাকে দায়িত্ব প্রদান করবেন। অভিযোগের গ্রহণযোগ্যতা/আমলযোগ্যতা যাচাইয়ে যেসব টেকনিক্যাল বিষয় বিবেচনায় নিতে হবে, অপারেটরগণ সেসব বিষয়ের একটা চেকলিস্ট তৈরি করে আগামী ৭ (সাত) দিনের মধ্যে অধিদপ্তরে প্রেরণ করবেন।
অব্যবহৃত ডাটা ও কলটাইম পরবর্তী প্যাকেজের সাথে যুক্ত হওয়ার প্রযোজ্য শর্তাবলী স্পষ্ট করে ব্যবহারকারীকে জানাতে হবে। কাস্টমার কেয়ার প্রতিনিধির সাথে কোন অভিযোগের বিষয়ে কথা বলার সময়ে অভিযোগকারীর সীম থেকে কলচার্জ বাতিল/গ্রহণযোগ্য করার সম্ভাব্যতা পরীক্ষা করে মোবাইল ফোন অপারেটরগণ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন। পুরনো সীম নতুন করে বিক্রয়ের ক্ষেত্রে সীমের প্যাকেটে পরিষ্কার ভাষায় ইংরেজীতে “Re-Used” এবং বাংলায় “পূর্বে-ব্যবহৃত” লিখতে হবে যাতে সীম ক্রয়ের পূর্বেই ভোক্তাগণ জানতে পারেন।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
আজ বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেট পাবেন যেভাবে

আজ শুক্রবার (১৮ জুলাই) গ্রাহকদের বিনামূল্যে এক জিবি ইন্টারনেট দেবে মোবাইলফোন অপারেটরগুলো। এই ইন্টারনেটের মেয়াদ পাঁচদিন।
গত বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)।
বিজ্ঞপ্তিতে ওই দিন বিটিআরসি জানায়, জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস পালন, জনআকাঙ্ক্ষা পূরণ এবং জনস্বার্থে ১৮ জুলাই ফ্রি ইন্টারনেট ডে ঘোষণা উপলক্ষে গ্রাহকদের ফ্রি ইন্টারনেট দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ১৮ জুলাই সব গ্রাহককে পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিটিআরসির স্পেকট্রাম বিভাগের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম মনিরুজ্জামান জানান, ১৮ জুলাই স্মরণে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের গত ৩ জুলাইয়ের নির্দেশনা এবং ৮ জুলাই কমিশনের ভাইস-চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ৯ জুলাই মোবাইল অপারেটরদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ১৮ জুলাই দেশের সব মোবাইল ফোন গ্রাহককে পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ইন্টারনেট সম্পূর্ণ বিনামূল্যে দিতে হবে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ জানিয়েছে, জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ১৮ জুলাই সব মোবাইল গ্রাহক পাচ্ছেন পাঁচদিন মেয়াদি এক জিবি ফ্রি ডাটা। ফ্রি ডাটা পেতে ডায়াল করুন জিপি *121*1807#, রবি *4*1807#, বাংলালিংক *121*1807 এবং টেলিটক *111*1807# নম্বরে।
কাফি
টেলিকম ও প্রযুক্তি
বাংলাদেশের গেমিং দুনিয়ায় এলো ইনফিনিক্সের জিটি ৩০ প্রো

বাংলাদেশে মোবাইল গেমিং ও ইস্পোর্টস এখন প্রবেশ করছে এক নতুন যুগে। তরুণদের সক্রিয় অংশগ্রহণ, বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের উপস্থিতি দিন দিন বাড়ছে। এই প্রেক্ষাপটে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি ব্র্যান্ড ইনফিনিক্স দেশের বাজারে প্রথমবারের মতো আনল জিটি সিরিজের স্মার্টফোন- ‘জিটি ৩০ প্রো’, যা দেশের গেমিং ভবিষ্যতের প্রতি ব্র্যান্ডটির দৃঢ় প্রতিশ্রুতি তুলে ধরে।
গত কয়েক বছরে, বাংলাদেশে মোবাইল গেম খেলা কেবল বিনোদনের মাধ্যম না থেকে রূপ নিয়েছে একটি প্রতিযোগিতামূলক সংস্কৃতিতে। পাবজি মোবাইল সুপার লিগ-এর মতো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতাগুলো তরুণদের জন্য তৈরি করেছে কাঠামোবদ্ধ সুযোগ। পাশাপাশি, দ্রুতগতির ইন্টারনেট ও শক্তিশালী স্মার্টফোনের প্রসার গেম খেলার হার উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে দিয়েছে।
পাবজি মোবাইল সুপার লিগ ২০২৫-এর অফিসিয়াল গেমিং ফোন পার্টনার হিসেবে জিটি ৩০ প্রো ইনফিনিক্সের এই অগ্রযাত্রায় ভূমিকা রাখছে। একই সঙ্গে ব্র্যান্ডটি আয়োজন করছে ‘পাবজি মোবাইল ক্যাম্পাস ক্লাব ২০২৫’ প্রতিযোগিতা, যেখানে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জাতীয় পর্যায়ে বিজয়ের লক্ষ্যে অংশ নিচ্ছেন।
এই উদ্যোগ শুধু নতুন গেমারদের প্রতিভাই তুলে ধরবে না, বরং মোবাইল গেমিংকে একটি স্বীকৃত দক্ষতা ও কমিউনিটি গঠনের মাধ্যম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতেও সহায়ক হবে।
গেমারদের অভিজ্ঞতা আরও উন্নত করতে জিটি ৩০ প্রো ফোনে যুক্ত হয়েছে জিটি ট্রিগার, অল-ডে ফুল এফপিএস সিস্টেম, এবং ম্যাগচার্জ কুলার—যা প্রতিযোগিতামূলক গেমিংয়ে প্রয়োজনীয় পারফরম্যান্স নিশ্চিত করে।
এ প্রসঙ্গে ইনফিনিক্স বাংলাদেশের একজন প্রতিনিধি বলেন, আমরা দেখছি, বাংলাদেশের একটি নতুন প্রজন্ম শুধু গেম খেলছে না—তারা প্রতিযোগিতা করছে, কনটেন্ট তৈরি করছে, দল গঠন করছে এবং একটি শক্তিশালী গেমিং কমিউনিটি গড়ে তুলছে। জিটি ৩০ প্রো হলো সেই যাত্রায় তাদের পাশে থাকার আমাদের প্রচেষ্টা।
প্রযুক্তিগত দিক ছাড়াও, এই স্মার্টফোনের আনুষ্ঠানিক উন্মোচন বাংলাদেশের দ্রুত বর্ধনশীল তরুণ প্রযুক্তি সংস্কৃতির প্রতি এক গুরুত্বপূর্ণ স্বীকৃতি বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকেরা। আজকের তরুণদের কাছে গেমিং কেবল শখ নয়—এটি এখন পরিচয়, যোগাযোগ এবং স্বপ্নের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।
জিটি ৩০ প্রো বাজারে এসেছে তিনটি রঙে—ডার্ক ফ্লেয়ার, শ্যাডো অ্যাশ ও ব্লেড হোয়াইট। গেমিং ফোনটি পাওয়া যাচ্ছে দুটি সংস্করণে- স্ট্যান্ডার্ড এবং গেমিং মাস্টার এডিশন। মূল্য শুরু হচ্ছে ৩৯,৯৯৯ টাকা থেকে। ম্যাগচার্জ কুলার সহ প্যাকেজের মূল্য ৪১,৯৯৯ টাকা। উভয় সংস্করণে অভ্যন্তরীণ পারফরম্যান্স একই থাকলেও বাহ্যিক নকশা ও উপকরণে কিছু পার্থক্য রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ভিত্তিক প্রতিযোগিতা, উন্নতমানের গেমিং ডিভাইসের প্রসার এবং তরুণ খেলোয়াড়দের সরব উপস্থিতি—সব মিলিয়ে এটি স্পষ্ট যে, বাংলাদেশে মোবাইল গেমিং ও ইস্পোর্টস এখন আর শুরুর পর্যায়ে নেই। জিটি ৩০ প্রো দেশের এই অগ্রযাত্রার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশহিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।