জাতীয়
ওএসডি হওয়া ৭৬ পুলিশকে একযোগে পদায়ন

বাংলাদেশ পুলিশের ডিআইজি, অতিরিক্ত ডিআইজি এবং পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৭৬ বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওএসডি) পদায়ন করা হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পুলিশ-১ শাখার উপসচিব মো. মাহবুবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ পদায়ন করা হয়।
এর আগে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পৃথক তিনটি প্রজ্ঞাপনে পুলিশের ৮২ জন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বিশেষ ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওএসডি) করা হয়েছিল। তাদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত আইজিপি, ১৩ জন ডিআইজি, অর্ধশতাধিক অতিরিক্ত ডিআইজি এবং ১৫ জন পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা ছিলেন।
ওএসডি হওয়া ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাদের বিভিন্ন রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত, রাজশাহীর সারদায় সংযুক্ত, পিটিসিতে সংযুক্ত করা হয়েছে।
পদায়ন হওয়া ৭৬ পুলিশ কর্মকর্তাদের তালিকা দেখতে ক্লিক করুন এখানে।

জাতীয়
বৃহস্পতিবার গ্যাস থাকবে না যেসব এলাকায়

গ্যাসের পাইপলাইন স্থানান্তরের জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) রাজধানীর ১২টি এলাকায় গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি।
বুধবার (৬ আগস্ট) তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশনব্যবস্থা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ওই পাইপলাইন স্থান্তরের কাজ করা হবে। পাইপলাইন স্থানান্তর করা হবে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড পাসপোর্ট অফিস-মৌচাক বাসস্ট্যান্ড ও বউ বাজার ব্রিজ-গোদনাইল-এনায়েতনগর-সিদ্ধিরগঞ্জ অংশে। এ কারণে বৃহস্পতিবার দুপুর ২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
গ্যাস শাটডাউনের আওতায় থাকা এলাকাগুলো হলো—সিদ্ধিরগঞ্জ, চিটাগাং রোড, মিজমিজি, চৌধুরীবাড়ি, বাতেন পাড়া, মৌচাক, পাসপোর্ট অফিস, লাকি বাজার, বউ বাজার, হাজিগঞ্জ থেকে ওয়াবদারপুল ও চেয়ারম্যান বাড়ি। নির্ধারিত সময়ে সব ধরনের গ্রাহক পর্যায়ে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকবে।
এসব এলাকার পাশাপাশি আশপাশের এলাকায়ও গ্যাসের স্বল্পচাপ বিরাজ করতে পারে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
জাতীয়
পরিবহন খাত সংস্কার ছাড়া সড়কে প্রাণহানি বন্ধ নয়: যাত্রী কল্যাণ সমিতি

সড়ক পরিবহনখাতের সর্বাত্মক সংস্কার ছাড়া সড়কে প্রতিদিন ঘটে চলা প্রাণহানি বন্ধ করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
বুধবার (৬ আগস্ট) নোয়াখালীসহ সারাদেশে ঘটে যাওয়া সাম্প্রতিক সড়ক দুর্ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এক বিবৃতিতে এ মন্তব্য করেন সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী।
সংবাদমাধ্যমে পাঠানো ওই বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনদাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে সড়ক পরিবহন আইন প্রণয়ন হলেও, মাফিয়া চক্রের চাপে তা যথাযথভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব হয়নি। ফলে বিগত সরকারের সময়েই সড়ক দুর্ঘটনার হার বেড়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারও সেই পুরোনো পথেই হাঁটছে। পরিবহন মালিক-শ্রমিক সংগঠনগুলোর চাপে আইনটি আরও দুর্বল করার অপচেষ্টা চলছে। আর এই নতিস্বীকারের সুযোগে সড়কে চলছে এক ধরনের ‘মহোৎসবমুখর গণহত্যা’।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, সড়কে প্রতিদিন গড়ে অর্ধশতাধিক দুর্ঘটনায় ২০ থেকে ৩০ জন প্রাণ হারাচ্ছেন এবং শত শত মানুষ আহত ও পঙ্গুত্ব বরণ করছেন। বিচারহীনতা, ক্ষতিপূরণ না পাওয়া এবং আইনি সহায়তার অভাবে দুর্ঘটনার শিকার পরিবারগুলো আর্থিকভাবে নিঃস্ব হয়ে পড়ছে। বিশেষ করে নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো এসব ঘটনার কারণে চরম দারিদ্র্যের মুখে পড়ছে।
মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আইনের শাসন ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর জবাবদিহিতার অভাবে সড়কে দুর্ঘটনার নামে গণহত্যা এখন চরম আকার ধারণ করেছে। তাই আর দেরি না করে সড়ক পরিবহনখাতের মূলগত সংস্কার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
কাফি
জাতীয়
ডেঙ্গুতে আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৪২৮

ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় সারাদেশে আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ৪২৮ জন।
বুধবার (৬ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুম থেকে পাঠানো ডেঙ্গুবিষয়ক এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি রোগীর মধ্যে বরিশাল বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১০৪ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৩৯ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ৭৪ জন, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে ৫১ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ৬২ জন, খুলনা বিভাগের ৩০, ময়মনসিংহ বিভাগে (সিটি করপোরেশনের বাইরে) ১৪, রাজশাহী বিভাগে ৫০ ও রংপুর বিভাগে ৪ জন রয়েছেন।
গত ২৪ ঘণ্টায় ৪০৯ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। চলতি বছরে এ যাবত ২১ হাজার ৪৬১ জন ডেঙ্গুরোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন।
চলতি বছরের ৩ আগস্ট পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২২ হাজার ৮১২ জন। চলতি বছর মোট ৯২ জনের মৃত্যু হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
শুক্রবার থেকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ

বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এর আগেও এমন নিষেধাজ্ঞা একাধিকবার দিয়েছে ডিএমপি।
বুধবার (৬ আগস্ট) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী সাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টু রোড ক্রসিং এর মধ্যবর্তী এলাকা) যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬-এর ২৯ ধারায় বর্ণিত অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগেও চলতি বছরের ১০ মে ডিএমপি যমুনা ও সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
জাতীয়
নির্বাচন আয়োজনের জন্য ইসিকে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের চিঠি

২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়। এ চিঠির মাধ্যমে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নির্বাচন কমিশনকে অনুরোধের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হলো।
বুধবার প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে দেওয়া চিঠিতে উল্লিখিত সময়ে প্রত্যাশিত মানের অবাধ, সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব এম সিরাজ উদ্দিন মিয়া।
গত ৫ আগস্ট জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবসে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আগামী বছর ফেব্রুয়ারি মাসে রোজা শুরুর আগে নির্বাচন আয়োজনের জন্য নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দেওয়ার কথা বলেন। তারই ধারাবাহিকতায় আজ এই চিঠি পাঠালো প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণ উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে অবিলম্বে এ ক্ষেত্রে সব প্রস্তুতি ও প্রাতিষ্ঠানিক আয়োজন শুরুর কথা বলেছেন। বিগত ১৫ বছরে নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার প্রেক্ষাপটে আগামী নির্বাচন যেন মহাআনন্দের ভোট উৎসবের দিন হিসেবে স্মরণীয় হয়, তেমন আয়োজনের ওপর প্রধান উপদেষ্টা জোর দিয়েছেন বলে উল্লেখ করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে নির্বাচন আনন্দ-উৎসবে, শান্তি-শৃঙ্খলায়, ভোটার উপস্থিতিতে, সৌহার্দ্য ও আন্তরিকতায় অবিস্মরণীয় হয়ে ওঠার যে প্রত্যাশা করেছেন তা উল্লেখ করা হয়। নির্বাচন আয়োজনে যথোপযুক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারের গুরুত্বারোপের পাশাপাশি একটি প্রত্যাশিত সুষ্ঠু, অবাধ, শান্তিপূর্ণ, উৎসবমুখর নির্বাচন আয়োজনে সরকারের সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রত্যয়ের কথাও নির্বাচন কমিশনকে জানানো হয়েছে।
শেষে প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণার ভিত্তিতে উল্লেখিত সময়ে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণের জন্য অনুরোধ করেন প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব।
কাফি