রাজনীতি
বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি জামায়াত আমির

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বাইপাস সার্জারির জন্য হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) সন্ধ্যায় জামায়াত আমিরের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
সেখানে বলা হয়েছে জামায়াত আমিরের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার খবর পেয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ফোন করে তার শারীরিক অবস্থা ও চিকিৎসার সামগ্রিক খোঁজখবর নিয়েছেন। তিনি ডা. শফিকুর রহমানের আশু রোগমুক্তি কামনা করেন।
ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ না করলেও জানা গেছে, রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন জামায়াত আমির। আগামী সপ্তাহে তার বাইপাস সার্জারি হওয়ার কথা আছে।
জামায়াত আমির ডা. শফিকুর রহমান সম্প্রতি সমাবেশে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। পরে তার ফলোআপ চিকিৎসার অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে এনজিওগ্রাম করা হয়।
চিকিৎসকরা তার হার্টে তিনটি প্রধান রক্তনালিতে ব্লক ধরা পড়ার কথা জানিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞদের মতে, তার এ অবস্থায় বাইপাস সার্জারি করানোই সবচেয়ে যুক্তিযুক্ত সিদ্ধান্ত হতে পারে।

রাজনীতি
মুজিববাদী সংবিধান বাংলাদেশে আর থাকতে দিতে পারি না: সারজিস আলম

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সমন্বয়ক সারজিস আলম বলেছেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, বাহাত্তরের সংবিধান একটা দলের ছিল। যে সংবিধান আরেকটা দেশ থেকে পাস হয়ে এসেছে। এই মুজিববাদী সংবিধান আর বাংলাদেশে থাকতে দিতে পারি না।
তিনি আরও বলেন, আমরা আজ এই মঞ্চে মুজিববাদী সংবিধান ভেঙেচুরে শেষ করে দিয়ে নতুন সংবিধান চাইতে এসেছি।
রোববার (৩ আগস্ট) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জাতীয় নাগরিক পার্টির সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
হতাশার কথা জানিয়ে সারজিস বলেন, ২৩ বছরে পাকিস্তান শাসনে ছিলাম, অধিকার পাইনি। ৫৪ বছরেও দেশেও অধিকার পাইনি। আজ থেকে এক বছর আগে আমরা এই শহীদ মিনারে ছিলাম। এদিন হাসিনার পতনের ডাক এসেছিল। এক বছর হয়ে গেছে, আজও আমাদের অধিকার পাইনি। আমরা আর হতাশার কথা শুনতে চাই না।
সারজিস আলম বলেন, এক বছর আগে এই শহীদ মিনারে যারা ছিল, তাদের অনেকে আজ শহীদ। তাদের পরিবার এখানে আছে। আমরা এই শহীদ ভাইদের হত্যার বিচার চাইতে এসেছি। আমরা এই সরকারের কাছে মৌলিক সংস্কারের নিশ্চয়তা চেয়েছি। শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন ও আহত যোদ্ধাদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করতে এখানে এসেছি।
এনসিপির উত্তরাঞ্চলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের লড়াই ২৪-এর নয়। বিডিআর হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছে, ১৩ সালে শাপলা চত্বরে যারা নির্মম হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে, তাদের বিচার চাইতে এসেছি।
দেশে জঙ্গিবাদ নিয়ে সারজিস আলম বলেন, এই বাংলাদেশে যেমন জঙ্গিবাদ মেনে নেব না, তেমনি জঙ্গি নাটকও মেনে নেব না। এই বাংলাদেশে সিভিল সোসাইটি নামে সব দালালকে আর মেনে নেব না।
রাজনীতি
তারুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক: তারেক রহমান

তরুণ ভোটারদের কাছে ধানের শীষের জন্য ভোট চাইলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। রুণ্যের প্রথম ভোট, ধানের শীষের জন্য হোক’ এই আহ্বান সারা দেশে ছড়িয়ে দিতে উপস্থিত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান।
রোববার (৩ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর শাহবাগে জুলাই গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ছাত্রদলের ‘ছাত্রসমাবেশে’ দেওয়া প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন-৭১ স্বাধীনতা অর্জনের যুদ্ধ, ২৪ স্বাধীনতা রক্ষার যুদ্ধে যারা শহিদ হয়েছেন, তাদের প্রতি শ্রদ্ধা। প্রিয় যোদ্ধারা, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে। এ দেশে কেউ প্রতিহিংসার রাজনীতি চায় না। জনগণ চায়, রাজনীতিরি গুণগত পরিবর্তন।
ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ছাত্রদলের শত শত নেতাকর্মী হতাহত হয়েছে। গণ-অভ্যুত্থানের সময় শুধুমাত্র ছাত্রদলের ২ হাজার নেতাকর্মী গ্রেপ্তার হয়েছে। যেই সংগঠনে তোমাদের মতো সাহসী মায়ের সন্তানেরা আছে, সেই সংগঠনের নেতাকর্মীদের কেউ দমিয়ে রাখতে পারবে না।
তারেক রহমান বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পার হয়েছে। বাংলাদেশ এখন একটি পরিণত দেশ। এই পরিণত দেশে মানুষ বিভেদ চায় না। কথামালার রাজনীতি নয়। আমরা শুরু করেছি জীবন-মান উন্নয়নের রাজনীতি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, বিশ্বে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে কারিগরি প্রযুক্তি এবং দক্ষতা অর্জন করতে হবে। আগামী দিনে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে স্কুল পর্যায় থেকে কারিগরি শিক্ষা থাকবে।
রাজনীতি
ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারও নেই: রাকিবুল

ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারো নেই বলে মন্তব্য করেছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টার দিকে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর শাহবাগে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সমাবেশ স্বাগত বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
রাকিবুল ইসলাম বলেন, দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান যদি নির্দেশনা দেন, নেতাকর্মীরা সারা দেশ অবরোধ করে দিতে পারে।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়াল বক্তব্য দিবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দিবেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এ ছাড়া বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারাও সমাবেশে বক্তব্য দেবেন।
এরই মধ্যে সমাবেশে উপস্থিত হয়েছেন, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন শ্যামলসহ ছাত্রদলের সাবেক নেতারা।
ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই সমাবেশে সঞ্চালনা করেন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন।
রাজনীতি
দেশে হাসিনাকে আর রাজনীতি করার সুযোগ দেব না: মির্জা ফখরুল

বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে আর কোনোদিন রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রোববার (০৩ আগস্ট) রাজধানীর শাহবাগে ছাত্র-সমাবেশে তিনি এ মন্তব্য করেন। জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে মাসব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ সমাবেশের আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের সামনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এই বাংলাদেশকে নতুন করে তৈরি করার। সারাদেশ থেকে তরুণ এখানে এসেছেন। এটা অত্যন্ত আনন্দের দিন। একই সঙ্গে কষ্টের দিন। গত বছর এই দিনে আমাদের দেশের মানুষকে হত্যা করছিল আওয়ামী লীগ।
গণঅভ্যুত্থান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, শুধু ৩৬ দিনের আন্দোলন নয়, গত ১৬ বছর ধরে আমাদের নেতাকর্মীরা জীবন দিয়েছেন, শুধুমাত্র সুন্দর একটা বসবাসযোগ্য আবাস ভূমি হিসাবে বাংলাদেশকে দেখার জন্য।
সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক চেষ্টা করা হচ্ছে আমাদের বিভক্ত করার জন্য। আমাদের পাশের দেশ শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। সেখান থেকে মাঝে মাঝে হুমকি দিচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল তৈরির চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনাকে কোনোদিন রাজনীতি করার সুযোগ দেব না।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব, সঞ্চালনা করছেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
কাফি
রাজনীতি
জামায়াত আমিরের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে সার্জারি সম্পন্ন হয়। দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবির এই অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন।
রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে ওপেন হার্ট সার্জারি শেষে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনে দলটির নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের এসব তথ্য দেন।
আজ সকাল সাড়ে ৮টায় জামায়াত আমিরের বাইপাস সার্জারি শুরু হয়। এ অস্ত্রোপচার পরিচালনা করেন দেশের খ্যাতনামা হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাহাঙ্গীর কবির ও তার টিম। সার্জারি চলে বেলা ১২টা পর্যন্ত। পরে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে দলের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে জামায়াতের নায়েবে আমির আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ডা. শফিকুর রহমানের সার্জারির আপডেট তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের ওপেন হার্ট সার্জারি সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে এবং তিনি সুস্থ রয়েছেন। এ মুহূর্তে তিনি নিবিড় পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। তার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই।
পরে সার্জারির বিষয়ে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরে ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ডা. শফিকুর রহমানের দুটি ধমনিতে ৪টি বাইপাস করা হয়েছে। আগামী সাত দিনের মধ্যে বাসায় যেতে পারবেন জামায়াত আমির। আগামী তিন দিনের মধ্যে আইসিইউ থেকে কেবিনে ট্রান্সফার করা হবে তাকে। এ ছাড়া আগামী ৩ সপ্তাহের মধ্যে রাজনৈতিক মাঠে ফিরতে পারবেন জামায়াত আমির।
ডা. জাহাঙ্গীর কবির বলেন, জামায়াত আমির ইউনাইটেড বা ডা. জাহাঙ্গীর কবিরের কাছে অপারেশন করিয়েছেন, সেটা মুখ্য নয়। উনি বাংলাদেশে অপারেশন করিয়েছেন সেটাই মুখ্য। এর মাধ্যমে বাংলাদেশের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা যে রয়েছে, সেটির দৃষ্টান্ত স্থাপন হলো।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ দেশের চিকিৎসকের মাধ্যমেই উন্নত চিকিৎসা স্বল্প খরচে করতে পারে।
এর আগে, ১৯ জুলাই ঢাকায় এক সমাবেশ চলাকালে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন জামায়াতের আমির। এরপর প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৩০ জুলাই করা হয় এনজিওগ্রাম। তাতে ধরা পড়ে তার হৃদপিণ্ডের পাঁচটি আর্টারিতে ব্লক। চিকিৎসকেরা বিদেশে চিকিৎসার পরামর্শ দিলেও, দেশেই চিকিৎসা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেন ডা. শফিকুর রহমান।