পুঁজিবাজার
নেগেটিভ ইক্যুইটির প্রভিশন সংরক্ষণে কর্মপরিকল্পনা জমার সময় বাড়লো

পুঁজিবাজারে টানা দরপতনের পরিপ্রেক্ষিতে মার্জিন হিসাবে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। তবে প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ ৩০ জুনের মধ্যে কমিশনে জমা দিতে নির্দেশ দিলেও অনেক বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠান ব্যর্থ হওয়ায় এ সময়সীমা আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়িয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিএসইসি।
মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) অনুষ্ঠিত ৯৬৫তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র আবুল কালামের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিএসই ব্রোকার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ডিবিএ) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৫৩তম কমিশন সভায় স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজারদের গ্রাহকের মার্জিন অ্যাকাউন্টে আনরিয়েলাইজড লস বা সৃষ্ট নেগেটিভ ইক্যুইটির ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সময়সীমা চলতি বছরের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বর্ধিত করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। তবে এ সুবিধা গ্রহণ করার জন্য যেসব স্টক ব্রোকার এবং মার্চেন্ট ব্যাংকার ও পোর্টফোলিও ম্যানেজার’র নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লস রয়েছে, তাদের প্রত্যেককে নেগেটিভ ইক্যুইটি বা আনরিয়েলাইজড লসের ওপর প্রভিশন সংরক্ষণের সুনির্দিষ্ট ও গ্রহণযোগ্য কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদনসহ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে কমিশনে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও অনেকে ব্যর্থ হয়েছে। এতে ফের ডিবিএর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৯৬৫তম কমিশন সভায় কর্মপরিকল্পনা জমার সময় চলতি বছরের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়।
সেই সঙ্গে পূর্বে যেসব বাজার মধ্যস্থতাকারী প্রতিষ্ঠানসমূহ পরিচালনা পর্ষদের অনুমোদন ব্যতিত কর্মপরিকল্পনা দাখিল করেছেন সেসকল প্রতিষ্ঠান ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পুনরায় বোর্ড অনুমোদনসহ কর্মপরিকল্পনা দাখিল করতে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসএম

পুঁজিবাজার
বাজার মূলধনে যোগ হলো ৪ হাজার ২১৬ কোটি টাকা

চলতি সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচকের মিশ্র প্রতিক্রিয়ার মধ্য দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এতে সপ্তাহ ব্যবধানে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে ৪ হাজার ২১৬ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ০.৬০ শতাংশ বা ৪ হাজার ২১৬ কোটি টাকা। চলতি সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ৮ হাজার ৭ কোটি টাকা।
চলতি সপ্তাহে বেড়েছে ডিএসইর দুইটি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে ৫১.৩৮ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক বেড়েছে ২৪.৫৮ পয়েন্ট বা ১.১৮ শতাংশ। তবে ডিএসইএস সূচক কমেছে ২.০৮ পয়েন্ট বা ০.১৮ শতাংশ।
সূচকের উত্থান-পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪ হাজার ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ২৯৭ কোটি ২৩ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ১০২ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ২০ কোটি ৫৮ লাখ টাকা বা ২.৪০ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৮৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৫৯ কোটি ৪৪ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৩টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪০টি কোম্পানির, কমেছে ২২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩১টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
কাফি
পুঁজিবাজার
ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্সের আয় বেড়েছে ৯৩ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ফিনিক্স ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় বেড়েছে ৯৩.৩৩ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ২৯ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১৫ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির আয় হয়েছে ৬৮ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে আয় ছিল ৬৩ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল মাইনাস ৯৭ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ১১ পয়সা ছিল। গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ৩৩ টাকা ১৩ পয়সা।
কাফি
পুঁজিবাজার
সিটি ব্যাংকের অর্ধবার্ষিক মুনাফা বেড়েছে

সিটি ব্যাংক তাদের ২০২৫ সালের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত অনলাইন প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে বিনিয়োগকারী, শেয়ার বিশ্লেষক এবং গণমাধ্যমের কাছে ব্যাংকের আর্থিক প্রতিবেদন সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়। অনুষ্ঠানটি বিশ্বজুড়ে ওয়েবে সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত সিটি ব্যাংকের কনসোলিডেটেড শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) দাঁড়িয়েছে ২ টাকা ২৩ পয়সা, যা ২০২৪ সালের একই
মেয়াদে ছিল ১ টাকা ৮৫ পয়সা। প্রতিবেদন অনুযায়ী, এই বছরের প্রথম ছয় মাসে ব্যাংকটির কনসোলিডেটেড কর পরবর্তী মুনাফা (প্রফিট আফটার ট্যাক্স)
দাঁড়িয়েছে ৩০১ কোটি ১১ লাখ টাকা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ২৪৯ কোটি ৫১ লাখ টাকা।
আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে সিটি ব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিএফও মো. মাহবুবুর রহমান আর্থিক প্রতিবেদনের নানাদিক বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করেন। পাশাপাশি তিনি ব্যাংকের সাম্প্রতিক কৌশলগত অবস্থান এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানান।
সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হোলসেল ব্যাংকিং প্রধান মেসবাউল আসীফ সিদ্দিকী, উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও হেড অব ইন্টারনাল কন্ট্রোল এন্ড কমপ্লায়েন্স এ কে এম সায়েফ উল্লাহ কাউসার এবং ক্রেডিট রিস্ক অফিসার মোহাম্মদ ফিরোজ আলম। অনুষ্ঠানের শেষ পর্বে অংশগ্রহণকারীরা নানাবিধ প্রশ্ন ঊত্থাপন করেন এবং প্যানেল সে সকল প্রশ্নের যথাযথ উত্তর প্রদান করেন।
উল্লেখ্য, গত কয়েক বছরে সিটি ব্যাংকের কার্যক্রম ও ক্রমোন্নতি আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের নজর কেড়েছে। এ আয়োজন ব্যাংকটির সঙ্গে বিনিয়োগকারীদের সম্পর্ক উন্নয়নে নিশ্চিত ভূমিকা রাখবে।
পুঁজিবাজার
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের ইপিএস বেড়েছে ৫.৮৮ শতাংশ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের কোম্পানি স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংক পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। গত বছরের একই সময়ের তুলনায় আলোচ্য প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) বেড়েছে ৫ দশমিক ৮৮ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১৮ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ৩৪ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ৩১ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ১২ টাকা ২৪ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ৮ টাকা ৭২ পয়সা ছিল।
গত ৩০ জুন, ২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি সমন্বিত নিট সম্পদ মূল্য ছিল ১৬ টাকা ৯৬ পয়সা।
পুঁজিবাজার
ট্রাস্ট ব্যাংকের ইপিএস কমেছে

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত দ্বিতীয় প্রান্তিকের (এপ্রিল’২৫-জুন’২৫) অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) অনুষ্ঠিত কোম্পানির পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর তা প্রকাশ করা হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, চলতি হিসাববছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ১ টাকা ১৫ পয়সা। গত বছর একই সময়ে ১ টাকা ১৭ পয়সা আয় হয়েছিল।
আলোচিত হিসাববছরের প্রথম দুই প্রান্তিক মিলিয়ে তথা ৬ মাসে (জানুয়ারি’২৫-জুন’২৫) কোম্পানিটির সমন্বিত আয় হয়েছে ১ টাকা ৪৬ পয়সা। গত বছরের একই সময়ে সমন্বিত আয় ছিল ১ টাকা ৫৩ পয়সা।
দুই প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ২৮ টাকা ৪১ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ২২ টাকা ৩৫ পয়সা ছিল।
এসএম