জাতীয়
অবশ্যই বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার তদন্ত করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান বিধ্বস্ত হয়ে হতাহতের ঘটনার তদন্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, এরা আমাদের সবারই সন্তান। হঠাৎ করে চিরদিনের জন্য চলে গেল। আমরা অবশ্যই এই ঘটনার তদন্ত করব। আর যারা আহত- আমরা তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করছি। সবাই তাদের জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
সোমবার (২১ জুলাই) বিমান দুর্ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করে দেশবাসীর উদ্দেশে দেওয়া এক ভিডিও বার্তায় প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
হাসপাতালে ভিড় না করার অনুরোধ জানিয়ে অধ্যাপক ইউনূস দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, হাসপাতালে সকলে ছুটে আসছে। আমরা সবার কাছে অনুরোধ করছি হাসপাতালে ভিড় করবেন না। কারণ যারা আহত তাদের জন্য এটা ভালো না। তাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধের শক্তি নেই। আমরা ভিড় করলে, আমাদের শরীর থেকে কি রোগ তাদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়বে এটা বলা মুশকিল। কাজেই দূরে থেকে দোয়া করেন সবাই।
বিমান বিধ্বস্তের এই ঘটনাকে ‘অবিশ্বাস্য’ আখ্যা দিয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আমার বলার কোনো ভাষা নেই। কিভাবে শুরু করব? সেটাও বুঝতে পারছি না। আমার মতো সারাদেশের লোক আজকে হতবাক। এ রকম একটা কান্ড ঘটতে পারে। আমরা কেউ কল্পনা করিনি। কারো ধারণার মধ্যে ছিল না। কিন্তু এই অবিশ্বাস্য ঘটনা আমাদেরকে হঠাৎ করে গ্রহণ করতে হয়েছে।
বহু শিশুর মৃত্যুতে সারা জাতি বাকরুদ্ধ মন্তব্য করে আবেগঘন ওই ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজ ক্যাম্পাসে কচি শিশুদের ওপরে পড়ল। আগুনে পুড়ে শিশুরা মারা গেল। মা-বাপদের আমরা কি জবাব দেব? কি বলবো তাদেরকে? আমরা নিজেদেরকে তো জবাব দিতে পারছি না। অজানা শিশুদের মুখ বারবার চোখে ভেসে উঠছে। সারা জাতি বাকরুদ্ধ ও শোকাহত বললে খুব কম বলা হবে। এই দুর্ঘটনার রেশ এখনো কাটেনি। এখনো লাশ আসছে হাসপাতালে। এখনো হাসপাতালে মারা যাচ্ছে। মা-বাপ এখনো খোঁজ নিচ্ছে আমার সন্তান কোথায়? তাকে আর কোনদিন চেনা যাবে কিনা? যাদের লাশ দেখছি তার মধ্যে আমার সন্তান আছে কিনা। পৃথক করার তো কোন উপায় নেই।
শিশুদেরকে স্মরণ করে অধ্যাপক ইউনূস আরও বলেন, আমরা অবশ্যই এই ঘটনার তদন্ত করব। তদন্ত হবে, কিন্তু এই নিস্পাপ শিশুগুলো আর ফিরে আসবে না।
হতাহত শিশুদের পরিবারের সঙ্গে পুরো দেশবাসী আছে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘শিশুদের বাবা মা আত্মীয়স্বজন সবার কাছে আমাদের সহানুভূতি জানাচ্ছি। বাংলাদেশের যত সন্তান আছে সবাই আপনাদের সন্তান। আপনারা নিজেদের মনকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করুন। আমরা সবাই আপনাদের সঙ্গে আছি। জাতির সমস্ত লোক আপনাদের সঙ্গে আছে।’
আগামীকাল জাতীয় শোক দিবস ঘোষণা করা হয়েছে উল্লেখ করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, আমরা নিহত শিশুদের জন্য শোক দিবস ঘোষণা করেছি। আগামীকাল শোক দিবসে আমরা সবাই মিলে তাদের কথা স্মরণ করব। তাদের আত্মার শান্তি কামনা করব। আজ থেকে সবাই তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করব। আল্লাহ আপনাদেরকে শান্তি দিন। নিহত শিশুদের জন্য দেশবাসী আমরা সবাই দোয়া করছি। আল্লাহ এই শিশুদেরকে জান্নাতবাসী করুক।

জাতীয়
গেন্ডারিয়া ও ওয়ারী থানায় নতুন ওসিসহ ডিএমপির ৫ কর্মকর্তাকে বদলি

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) নিরস্ত্র পুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার ৫ কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছে। এর মধ্যে গেন্ডারিয়া ও ওয়ারী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে দুজন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে। এছাড়া মোহাম্মদপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবেও নতুন একজন কর্মকর্তাকে পদায়ন করা হয়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক অফিস আদেশে এ বদলি করা হয়।
আদেশে গেন্ডারিয়া থানার ওসি আবু শাহেদ খানকে গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের গোলাম মর্তুজাকে গেন্ডারিয়া থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদকে গোয়েন্দা বিভাগে বদলি করা হয়েছে। লাইনওআর এর এম এ রউফ খানকে ওয়ারী থানার ওসি হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
লাইনওআরের রকিবুজ্জামান তালুকদারকে মোহাম্মদপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
কাফি
জাতীয়
ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের রেল যোগাযোগ বন্ধ

জয়পুরহাটের আক্কেলপুরে ঢাকা থেকে ছেড়ে কুড়িগ্রামগামী কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কারের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ৪টার দিকে জয়পুরহাটের আক্কেলপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণে ভদ্রকালী নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
লাইনচ্যুত হওয়ার পর থেকে উত্তরাঞ্চলের সঙ্গে সারাদেশের ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের মাস্টার খাদিজা খাতুন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী যাত্রী ও আক্কেলপুর স্টেশন সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেন সান্তাহার জংশন স্টেশন ছেড়ে হলহলিয়া রেলসেতু পার হয়ে প্রায় দেড় কিলোমিটার পর বগি থেকে ধোঁয়া ও পোড়া গন্ধ বের হলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পাওয়ার কারের দায়িত্বে থাকা লোকজনদের ঘটনাটি জানানো হয়। এরপর পৌনে ৪টার দিকে ট্রেনটি লাইনচ্যুত ভদ্রকালী এলাকায় এসে থামানো হয়। ঘটনার পর পাঁচটি বগি নিয়ে ট্রেনটি সামনের স্টেশনে চলে যায়। ঘটনার পর উত্তরবঙ্গের সঙ্গে ট্রেন যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে।
সান্তাহার রেলওয়ে জংশনের মাস্টার খাদিজা খাতুন বলেন, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ট্রেনের পাওয়ার কারের একটি বগি আক্কেলপুর রেলস্টেশনের দক্ষিণে প্রায় দুই কিলোমিটার লাইনচ্যুত হয়েছে। ঘটনার পর পাঁচটি বগি নিয়ে ট্রেনটি জয়পুরহাট স্টেশনে অবস্থান করছে। উদ্ধারকারী ট্রেন এসেছে। লাইনচ্যুত ট্রেনটি উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
জাতীয়
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা বৈঠকে অংশ নেন ১০ উপদেষ্টা

রাজধানীসহ সারাদেশের সাম্প্রতিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকে অন্তর্বর্তী সরকারের ১০ জন উপদেষ্টা অংশগ্রহণ করেন। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ওই বৈঠক হয়।
বৈঠকে অংশগ্রহণ করা ১০ জন উপদেষ্টা হলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মো. ফয়জুল কবির খান, আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল, নৌ পরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অর্থ উপদেষ্টা সালেহ উদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়ক বিশেষ সহকারী খোদা বখস্ চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ছাড়াও ঊর্ধ্বতন সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রোববার বিকেলে রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। বৈঠকের বরাত দিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, দেশের বিভিন্ন স্থানে সম্প্রতি যে ঘটনাগুলি ঘটছে সেগুলো আরও সক্রিয়ভাবে মোকাবিলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
প্রেস সচিব জানান, জুলাই আন্দোলনকে সামনে রেখে রাজনৈতিক যে ঐক্য ছিল সেই ঐক্য ধরে রাখার পাশাপাশি রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নিবিড় ও ভালো সম্পর্ক বজায় রাখার ব্যাপারে বৈঠকে গুরুত্ব আরোপ করেন প্রধান উপদেষ্টা।
জাতীয়
বিসিএস পরীক্ষা নতুন নির্দেশনা দিলেন প্রধান উপদেষ্টা

স্বচ্ছতা বজায় রেখে ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে বিসিএস পরীক্ষা আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূস।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক বৈঠকে এ নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ক্যালেন্ডার অনুযায়ী প্রতি বছর নির্দিষ্ট সময়ে পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন করতে হবে। বিসিএস পরীক্ষা হলো ‘এন্ট্রি পয়েন্ট’। যারা এই পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তারাই সরকার চালাবে। কাজেই এন্ট্রি পয়েন্টে যদি কোনো ধরনের অনিয়ম হয় তাহলে গোটা সিস্টেমে সেটার প্রভাব থেকে যাবে।
‘সমস্যা ও সংকট যেগুলো আছে দায়িত্ব নিয়ে সেগুলো সমাধান করে ফেলতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কারের জন্য সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। যারা ভবিষ্যতে সরকার চালাবে তাদের জন্যও এটা প্রয়োজন,’ বলেন তিনি।
বৈঠকে সরকারি কর্ম কমিশনের আর্থিক স্বায়ত্তশাসন ও প্রশাসনিক স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার বিষয়ে আলোচনা করেন কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম।
তিনি আরও জানান, কমিশন এরইমধ্যে পাঁচ বছরের রোডম্যাপ দিয়েছে এবং প্রতিবছর নভেম্বর থেকে পরের বছরের অক্টোবর মধ্যেই পরীক্ষা ও নিয়োগ সম্পন্ন হবে।
কমিশন সদস্যরা জানান, গত ১৫ বছর রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের কারণে বিসিএস পরীক্ষায় বিভিন্ন ধরনের অনিয়ম, স্বজনপ্রীতি, প্রশ্নফাঁসের মতো ঘটনা ঘটেছে। পিএসসিতে যেন আর কখনো অনিয়ম ফিরে না আসে, এটি যেন সবার আস্থার জায়গা হয় সেটি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সংস্কারকাজ সম্পন্ন করা হয়েছে। প্রশ্নপত্রের মান এমনভাবে উন্নীত করা হচ্ছে যাতে এই পরীক্ষার প্রস্তুতি দিয়ে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতাতেও চাকরিপ্রত্যাশীরা প্রতিযোগিতা করতে পারেন।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মোবাশ্বের মোনেম, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজউদ্দিন মিয়া এবং পিএসসি সদস্য মো. সুজায়েত উল্যা, মো. জহিরুল ইসলাম ভূঁইয়া, অধ্যাপক ড. এম সোহেল রহমান, অধ্যাপক ড. চৌধুরী সায়মা ফেরদৌস, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. মো. আনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ড. শাহনাজ সরকার ও বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন সচিবালয়ের সচিব ড. মো. সানোয়ার জাহান ভূঁইয়া।
জাতীয়
জাতীয় সনদ চূড়ান্ত করতে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে ঐকমত্য কমিশনের সভা

জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫ চূড়ান্ত করতে এবং বাস্তবায়নের উপায় ও পদ্ধতি নিয়ে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আবারও বিস্তারিত আলোচনা করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে তিন ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে এক সভায় এই আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বিশেষজ্ঞ হিসেবে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এম এ মতিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুষদের ডিন মোহাম্মদ ইকরামুল হক, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র অ্যাডভোকেট ড. শরিফ ভূইয়া ও ব্যারিস্টার ইমরান সিদ্দিক।
সভায় বিশেষজ্ঞরা সনদের চূড়ান্ত করা খসড়া পর্যালোচনা করেন এবং বাস্তবায়নের সম্ভাব্য উপায় সম্পর্কে সাংবিধানিক, আইনগত ও রাজনৈতিক দিকগুলো নিয়ে মতামত দেন।
এ সময় কমিশনের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ, সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার, বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. ইফতেখারুজ্জামান, সফর রাজ হোসেন ও ড. মো. আইয়ুব মিয়া। এছাড়া জাতীয় ঐকমত্য গঠন প্রক্রিয়ায় যুক্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার সভায় অংশগ্রহণ করেন।
উল্লেখ্য, সনদ চূড়ান্ত করতে এরইমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিক অনানুষ্ঠানিক বৈঠকে আলোচনা করেছে ঐকমত্য কমিশন। সেই ধারাবাহিকতায় রাজনৈতিক দল ও জোটগুলোর কাছ থেকে সনদ বাস্তবায়নের উপায় সম্পর্কে মতামত সংগ্রহ করা হয়। রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে পাওয়া সেই সব মতামতও আজকের সভায় পর্যালোচনা করা হয়।