ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এইচএসসি ও সমমানের আজকের পরীক্ষা স্থগিত

আজ মঙ্গলবারের (২২ জুলাই) এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে তার ফেসবুক আইডি থেকে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, শিক্ষা উপদেষ্টা মহোদয়ের সাথে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টা জনাব মাহফুজ আলমের সাক্ষাত হয়েছে। আজকের (মঙ্গলবার) এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন মাননীয় শিক্ষা উপদেষ্টা। এডমিন।
পরবর্তীতে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. মামুন অর রশিদ এক জরুরি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, “রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি এলাকায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমান বিধ্বস্তে হতাহতের ঘটনায় মঙ্গলবারের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন শিক্ষা উপদেষ্টা।”
এরআগে সোমবার রাতে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, ঢাকার পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার জানিয়েছিলেন, পরীক্ষা স্থগিত হওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। যথাসময়ে পূর্বের রুটিন অনুযায়ী পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। তবে মধ্যরাতে পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্ত আসে।
মঙ্গলবার রসায়ন (তত্ত্বীয়) দ্বিতীয় পত্র, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি দ্বিতীয় পত্র (মানবিক শাখা), ইতিহাস দ্বিতীয় পত্র বা গৃহ ব্যবস্থাপনা ও পারিবারিক জীবন দ্বিতীয় পত্র এবং উৎপাদন ব্যবস্থাপনা ও বিপণন দ্বিতীয় পত্র পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল।
এর আগে, গত ১০ জুলাই বন্যা পরিস্থিতির কারণে কুমিল্লা শিক্ষা বোর্ড, বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড এবং বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছিল। এরপর গত ১৭ জুলাই কারফিউয়ের কারণে গোপালগঞ্জ জেলার ঢাকা, মাদ্রাসা ও কারিগরি বোর্ডের আওতাধীন সব পরীক্ষাও স্থগিত করা হয়েছিল।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
অনিয়মের অভিযোগে পোলিং অফিসার প্রত্যাহার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। এতে অনিয়মের অভিযোগে এক পোলিং অফিসারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) বেলা সোয়া ১১টার দিকে কার্জন হল পরীক্ষা কেন্দ্রের রিটার্নিং কর্মকর্তা এ এম মহিউদ্দীন তাকে প্রত্যাহার করেন।
এর আগে, সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হল কেন্দ্রে অমর একুশে হলের একটি বুথে ভোটারকে আগে থেকে পূরণকৃত ব্যালট সরবরাহ করার অভিযোগ ওঠে পোলিং অফিসার ও অমর একুশে হলের কর্মকর্তা জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে।
এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে তাৎক্ষণিক ওই বুথ পরিদর্শন করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। এ সময় ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক জিয়াউর রহমানকে প্রত্যাহার করা হয়।
বিষয়টি স্বীকার করে পোলিং অফিসার জিয়াউর রহমান চৌধুরী বলেন, এটি একটি অনিচ্ছাকৃত ভুল।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসু নির্বাচন: ভোট দিতে সব কেন্দ্রেই শিক্ষার্থীদের লম্বা লাইন

উৎসবমুখর পরিবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনের ভোটগ্রহণ চলছে। মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে একযোগে সবগুলো কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিরতিহীনভাবে চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ক্যাম্পাসের নির্ধারিত ৮টি কেন্দ্রে (৮১০টি বুথ) শিক্ষার্থীরা ভোট দিচ্ছেন। প্রতিটি কেন্দ্রেই লম্বা লাইন। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে এসব লাইন আরও দীর্ঘ হচ্ছে। বিশেষ করে টিএসসিকেন্দ্রের লাইনটি চোখে পড়ার মতো। এখানকার লাইন টিএসসির প্রাঙ্গণ ছাড়িয়ে রাস্তায় চলে গেছে। তবে কারও মুখে নেই বিরক্তির ছাপ। সবার মাঝেই দেখা গেছে উৎসাহ-উদ্দীপনা।
লাইনে দাঁড়ানো সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী সাইমা বলেন, গত কয়েকদিন ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ ছিল। অনেক প্রার্থীর সঙ্গে দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। অনেক যোগ্য প্রার্থী আছেন। আশা করি যোগ্য প্রার্থীরা বিজয়ী হয়ে ক্যাম্পাস সংস্কারের কাজ করবেন।
সাইকোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী তর্পিতা ইসলাম বলেন, এটা জীবনের প্রথম ভোট। তাই সকালেই চলে আসছি। আশা করি ভোট সুষ্ঠু হবে।
হিস্ট্রি বিভাগের শিক্ষার্থী রিফা সানজিদা প্রিয়ন্তী বলেন, ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ক্যাম্পাসে উৎসবমুখর পরিবেশ চলছে। ভোট গ্রহণও শান্তিপূর্ণভাবেই হচ্ছে। আমরা রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস চাই। আশা করি যোগ্য ব্যক্তি বিজয়ী হবেন এবং রাজনীতিমুক্ত ক্যাম্পাস গড়ে তাদের ইশতেহারগুলো বাস্তবায়ন করবেন।
এদিকে সকাল থেকেই কেন্দ্রগুলো পরিদর্শনের বের হয়েছেন প্রার্থীরা। উদয়ন স্কুল কেন্দ্রে ভোট দিতে সকালেই উপস্থিত হন ভিপি পদে দুই হেভিওয়েট প্রার্থী ছাত্রদল প্যানেলের আবিদুল ইসলাম ও ছাত্রশিবির প্যানেলের আবু সাদিক কায়েম।
ভোট দিতে এসে শতভাগ জয়ের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জিএস প্রার্থী তানভীর বারী হামীম ও আবু বাকের মজুমদার।
আবু বাকের মজুমদার বলেন, আনন্দদায়ক পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ লাইন আমরা দেখতে পেয়েছি। আমরা আশাবাদী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা তাদের যোগ্য নেতৃত্ব বেছে নেবেন।
আবিদুল ইসলাম বলেন, অনেক দীর্ঘ সময় পরে ডাকসু নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন করে গণতন্ত্রের দ্বার উন্মোচন হতে যাচ্ছে, ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আপনারা আপনাদের বিবেক খাটিয়ে যথাযথ নেতৃত্ব বেছে নিন।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
প্রসঙ্গত, এবার ডাকসু নির্বাচনে ২৮ পদের বিপরীতে লড়ছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে পুরুষ প্রার্থী ৪০৯ জন ও নারী প্রার্থী ৬২ জন। তবে বিভিন্ন পদের মধ্যে মূল আকর্ষণ সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ১৯ জন, সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) ২৫ ও মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন প্রার্থী লড়ছেন।
এর বাইরে কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক ১৩ জন, ছাত্র পরিবহন সম্পাদক ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইন সম্পাদক ১১ জন এবং ক্যারিয়ার উন্নয়ন সম্পাদক পদে ১৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ ছাড়া ১৩টি সদস্য পদের বিপরীতে সর্বোচ্চ ২১৭ জন লড়ছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ডাকসুর ভোটগ্রহণ শুরু

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে এই ভোটগ্রহণ শুরু হয়। বিকেল ৪টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ চলবে।
দীর্ঘবিরতির পর আয়োজিত ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
এবারের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৩৯ হাজার ৮৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২০ হাজার ৯১৫ জন এবং নারী ভোটার ১৮ হাজার ৯৫৯ জন।
ভোটাররা ডাকসুর ২৮টি পদ এবং প্রতিটি হল সংসদের ১৩টি পদে ভোট দেবেন। কেন্দ্রীয় সংসদের পদগুলোতে মোট ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। অন্যদিকে, হল সংসদের ১৮টি হল থেকে এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। অর্থাৎ প্রতিটি ভোটার আজ মোট ৪১টি পদে ভোট দেবেন।
এদিকে ভোটকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনস্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তোলা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটগণনার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রগুলোতে এলইডি স্ক্রিনে সরাসরি ফলাফল প্রদর্শনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন নিশ্চিতে সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যেন শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট দিতে পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্নে ক্যাম্পাসের প্রবেশপথগুলোতে সোমবার রাত থেকেই অবস্থান নিয়েছেন বিপুলসংখ্যক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য। এসব জায়গায় পুলিশের পাশাপাশি বিএনসিসিসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলার দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা অবস্থান নিয়েছেন।
ভোটকেন্দ্রগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। টিএসসি এলাকায় পুলিশের অস্থায়ী ক্যাম্প বসানো হয়েছে। এছাড়াও কাম্পাসে ডগ স্কোয়াড ও বম্ব ডিসপোজাল ইউনিট নিয়োজিত করা রয়েছে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সমন্বয়ক পরিচয়ে ইবিতে পরিবহন সংক্রান্ত পেইজ দখলের চেষ্টা

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সহ-সমন্বয়ক পরিচয়ে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ ফেসবুক পেইজ ও গ্রুপ দখলের চেষ্টা করছেন বলে ‘রাকিবুল ইসলাম’ নামে এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক প্যানেলের কেউ নন বলে নিশ্চিত করেছেন ইবির সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট।
পরিবহন প্রশাসকের কাছে বর্তমান গ্রুপটির অ্যাডমিনকে ‘ফ্যাসিস্ট’ আখ্যা ও ‘ছাত্রলীগ’ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সরানোর দাবি জানান রাকিব। এদিকে (৮ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টায় রাকিব সহ আল-ফিকহ এন্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ২০১৮-১৯ হাসিব আল সজীব পরিবহন প্রশাসকের কাছে দেখা করে পুনরায় দাবি জানিয়ে আসেন। তারা উভয়ই সাবেক সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসানের অনুসারী বলে জানা গেছে।
এদিকে এই ঘটনার পর সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ‘ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি’ গ্রুপে ঘোষণা দিয়ে যাবতীয় কার্যক্রম বন্ধ করে দেন গ্রুপের অ্যাডমিন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন প্রশাসকের নির্দেশনায় তিনি এটি বন্ধ করেছেন বলে পোস্টে উল্লেখ করেছেন। পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে, পরিবহন প্রশাসক স্যারের নির্দেশক্রমে পেজ, গ্রুপ ও টেলিগ্রাম চ্যানেল কার্যক্রম বন্ধ করা হলো। আরেক পোস্টে লিখেন, রাজনৈতিক কারণে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ল’ এন্ড ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী খালেকুজ্জামান অবসান দীর্ঘদিন ধরে ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি নামে একটি গ্রুপ, পেজ ও টেলিগ্রাম বট পরিচালনা করছেন। যেখানে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পরিবহনের সময়সূচি সহ বিভিন্ন সমস্যার সেবা পেয়ে থাকেন।
কিছুদিন আগে ওই গ্রুপের একটি পোস্টের কমেন্টে রাকিবুল ইসলামের সাথে অ্যাডমিন প্যানেলের একপ্রকার কমেন্ট বক্সে তর্কাতর্কি হয়। তখন থেকে অ্যাডমিনের প্রতি রাকিবের ব্যক্তিগত আক্রোশের জন্ম নেয়। এর ফলে অ্যাডমিনকে ফ্যাসিস্ট ও ছাত্রলীগ সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তুলে সরিয়ে দেওয়ার দাবি জানান। একইসঙ্গে তারা অ্যাডমিন বানানোর জন্য পরিবহন প্রশাসককে ‘পছন্দের ব্যক্তি’ খুঁজে দেবেন বলে আশ্বাস দেন।
রবিউল আলম নামে এক শিক্ষার্থী ফেসবুকে লিখেছেন, পেজটির অ্যাডমিন বিভিন্ন সময় সময়উপযোগী সেবা দিয়ে এসেছেন। তার অবদান অনস্বীকার্য। সম্প্রতি তাকে ছাত্রলীগ ট্যাগ দিয়ে ওই জায়গা দখল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে জুলাই যোদ্ধা পরিচয় দানকারী প্রভাবশালী এক শিক্ষার্থী।
আবদুল্লাহ আল নোমান নামে এক শিক্ষার্থী লিখেছেন, ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি নিয়ে যারা নোংরা রাজনীতি করলেন তাদের মুখে থুথু মারি। নিজের সবকিছু বাদ দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসের জন্য যা করেছেন স্বর্ণাক্ষরে লিখলেও কম হবে।
এবিষয়ে অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলাম বলেন, আমি অবসানকে সরাসরি ছাত্রলীগ বলি নাই। তবে সে ছাত্রলীগের আমলে তাদের শেল্টারে বিভিন্ন সময় পরিবহন দপ্তরে কর্মকর্তাদের সাথে খারাপ আচরণ করতো বলে কর্মকর্তারা আমাকে জানিয়েছে। অনেকে অভিযোগ করেছে। তবে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা পাইনি। বিতর্কিত ব্যক্তি হিসেবে আমি বর্তমান প্রশাসক স্যারকে বলেছি তাকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য। আমাকে অ্যাডমিন দেন বলিনি। প্রয়োজন হলে বেটার কাউকে খুঁজে দেওয়া যাবে। তবে আমি সহ-সমন্বয়ক না, সেই পরিচয়ই দেইনি। আমি সাধারণ শিক্ষার্থী।
জানতে চাইলে হাসিব আল সজীব বলেন, আমি এসবের কিছুই যা জানি না। চা খাচ্ছিলাম, রাকিব আমাকে সাথে নিয়ে গেছে। তারা পেইজ সংক্রান্ত আলাপ করছিল।
সাবেক সহ-সমন্বয়ক নাহিদ হাসানকে একাধিকবার কল করলেও সংযোগ পাওয়া সম্ভব হয়নি।
সাবেক সহ-সমন্বয়ক গোলাম রব্বানী বলেন, রাকিব আমাকে বলেছিল, ‘অবসান ছাত্রলীগে সংশ্লিষ্ট এবং তাকে ট্রান্সপোর্ট কমিউনিটি থেকে সরাতে হবে। সে পরিবহন প্রশাসকের কাছে যেতে চেয়েছিল এটা নিয়ে।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক এস এম সুইট বলেন, ‘রাকিব আমাদের সমন্বয়ক প্যানেলের কেউ না। কারো ব্যাপারে ছাত্রলীগের সংশ্লিষ্টতা থাকলে প্রশাসনকে অবগত করা যায়। নিজেদের পছন্দের কাউকে বসানোর জন্য বলতে পারে না।’
গ্রুপের অ্যাডমিন খালেকুজ্জামান অবসান বলেন, ‘আমি কারো শেল্টারে কিছু করিনি এবং কোনো রাজনীতিতেই সংশ্লিষ্ট নই সেটা ক্যাম্পাসে সবাই জানে। আমাকে পরিবহনে দপ্তরে দায়িত্বে থাকা এক কর্মকর্তা হুট করে সরে যাওয়ার জন্য বলল। আমি শিক্ষার্থীদের উপকারের কথা চিন্তা করে এসব কাজ করেছি। পেইজে অন্য কাউকে এডমিন বানানোর কথা বললে আমি মানা করে দিয়েছিলাম। পরিবহন প্রশাসক আমাকে এসব জানানোর পর আমি গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি।’
পরিবহন প্রশাসক অধ্যাপক ড. আব্দুর রউফ বলেন, সমন্বয়কারীদের একজন গ্রুপটির অ্যাডমিনকে ছাত্রলীগ ও ফ্যাসিস্ট সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ তোলে। পরে আমি বিষয়টি অ্যাডমিনকে (অবসান) জানাই। তারপর সে আবেগতাড়িত হয়ে গ্রুপের কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করে। আমি তাকে সরে যাওয়ার জন্য কোনো প্রেসার দেইনি। আমি লম্বা ছেলেটাকে (রাকিব) বলেছিলাম— অবসান দক্ষ লোক। সে এসব কাজ ভালো বুঝে। হঠাৎ আমি এমন কাউকে কোথায় পাবো। তখন ছেলেটা আমাকে লোক খুঁজে দেবে বলে আশ্বস্ত করেছেন।
এদিকে পেইজ বন্ধের ব্যাপারে তিনি জানান, খুব শিগগিরই পরিবহন সংক্রান্ত অফিসিয়াল পেইজ ওপেন করা হবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে বড় নিয়োগ

জনবল নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর। প্রতিষ্ঠানটি ১২ থেকে ১৬তম গ্রেডে ৫ পদে ১৬৪ কর্মী নিয়োগে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। আবেদন ২০ আগস্ট সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে—চলবে ১০ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। আগ্রহী প্রার্থীরা আগামী ১০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।
প্রতিষ্ঠানের নাম: প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর
১. পদের নাম: সহকারী লাইব্রেরিয়ান কাম ক্যাটালগার
পদসংখ্যা: ২৪টি
বেতন স্কেল: ১১,৩০০-২৭,৩০০ টাকা (গ্রেড-১২)
২. পদের নাম: সাঁটলিপিকার কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ৬টি
বেতন স্কেল: ১১,০০০-২৬,৫৯০ টাকা (গ্রেড-১৩)
৩. পদের নাম: উচ্চমান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক
পদসংখ্যা: ১১৫টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৪. পদের নাম: সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ১৪টি
বেতন স্কেল: ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা (গ্রেড-১৪)
৫. পদের নাম : ভাণ্ডার রক্ষক
পদসংখ্যা: ৫টি
বেতন স্কেল: ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা (গ্রেড-১৬)
প্রার্থীর বয়স: ১৮-৩২ বছর (১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে)
আবেদন ফি—
টেলিটক প্রিপেইড নম্বর থেকে সার্ভিস চার্জসহ আবেদন ফি বাবদ ১ নম্বর পদের জন্য ১৬৮ টাকা, ২ থেকে ৫ নম্বর পদের জন্য ১১২ টাকা এবং সব পদের ক্ষেত্রে অনগ্রসর শ্রেণির প্রার্থীদের ৫৬ টাকা ফরম পূরণের অনধিক ৭২ ঘণ্টার মধ্যে এসএমএসের মাধ্যমে জমা দিতে হবে।
আবেদনের শেষ তারিখ: আগামী ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।