অর্থনীতি
ঋণ পুনর্গঠনের বিশেষ সুযোগ পাচ্ছে ব্যাংক

রাজনৈতিক অস্থিরতা ও বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকটের প্রেক্ষাপটে ক্ষতিগ্রস্ত ঋণগ্রহীতাদের জন্য বিশেষ নীতি-সহায়তার সুযোগ দিচ্ছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো এখন নিজ নিজ বিবেচনায় ৫০ কোটি টাকার নিচের ঋণ পুনঃতপশিল বা পুনর্গঠনের ক্ষেত্রে ডাউনপেমেন্ট, মেয়াদসহ বিভিন্ন শর্তশিথিল করতে পারবে। শিগগির এ বিষয়ে একটি সমন্বিত সার্কুলার জারি করবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
২০২৪ সালের জানুয়ারিতে ৫০ কোটি টাকার বেশি ঋণ পুনর্গঠনের জন্য পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করে। তবে সে সময় কোনো নির্দিষ্ট নীতিগত কাঠামো নির্ধারণ করা হয়নি। পরবর্তীতে কমিটি পুনর্গঠিত হয় এবং এখন পর্যন্ত বিভিন্ন ব্যাংকের মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে জমা পড়েছে ১,২০০-রও বেশি আবেদন। কোনো কোনো কেসে ২৮টি পর্যন্ত ব্যাংক জড়িত রয়েছে। এত সংখ্যক আবেদন নিষ্পত্তি সময়সাপেক্ষ হওয়ায়, নতুন কমিটি ব্যাংকগুলোকেই পুনর্গঠন সিদ্ধান্ত নেওয়ার স্বাধীনতা দেওয়ার সুপারিশ করেছে। কেবল জটিল কেসগুলোই বাংলাদেশ ব্যাংকে পাঠানো যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বর্তমানে খেলাপি ঋণ মোকাবিলায় কঠোর অবস্থানে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। আগে ব্যাংকগুলো নানা পদ্ধতিতে খেলাপি ঋণ আড়াল করলেও এখন তা সম্ভব হচ্ছে না। যার ফলে গত এক বছরে খেলাপি ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকায়—মোট ঋণের ২৪ দশমিক ১৩ শতাংশ। এ হঠাৎ ব্যাংকগুলোর প্রভিশন ঘাটতির পাশাপাশি লভ্যাংশ দিতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখন থেকে কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণ যদি ১০ শতাংশ ছাড়িয়ে যায়, সে ব্যাংক মুনাফা করলেও লভ্যাংশ দিতে পারবে না।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের শর্ত কঠোর হলেও, ব্যবসা খাত যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্য নির্ধারিত নীতিমালার আওতায় ঋণ পুনর্গঠনের ছাড় দিতে পারবে ব্যাংকগুলো। এর ফলে ব্যাংকগুলো এখন খেলাপি ঋণ কমাতে আরও সক্রিয় হচ্ছে।
বিগত সরকার আমলে কেন্দ্রীয় ব্যাংক নানা ছাড় দিয়ে খেলাপি ঋণ কম দেখানোর সুযোগ দিয়েছিল। কখনও মাত্র দুই শতাংশ ডাউনপেমেন্টে ১২ বছরের জন্য পুনঃতফসিল সুবিধা, আবার কখনও করোনাকে অজুহাত দেখিয়ে ঋণ খেলাপির তালিকায় না দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এতে একটি গোষ্ঠী নিয়মিত ঋণ পরিশোধ না করেও পুনঃতফসিল সুবিধা নিয়ে গেছে। গত পাঁচ বছরে প্রায় ২ লাখ ৫৮ হাজার কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়েছে। এর মধ্যে শুধু ২০২৪ সালেই হয়েছে ৫৬ হাজার ৫৮২ কোটি টাকা এবং ২০২৩ সালে রেকর্ড ৯১ হাজার ২২১ কোটি টাকার ঋণ পুনঃতফসিল হয়।
এবার কেন্দ্রীয় ব্যাংক চাইছে, একটি সুস্পষ্ট কাঠামোর অধীনে নীতি-সহায়তা কার্যকর করতে। এর অংশ হিসেবেই আসছে সার্বিক নির্দেশনা সংবলিত সার্কুলার।

অর্থনীতি
হবিগঞ্জে গ্যাসের সন্ধান, মিলবে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস

হবিগঞ্জ জেলার বাহুবল উপজেলার রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপের সংস্কার (ওয়ার্কওভার) কার্যক্রম চালানোর পর নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। এখান থেকে ১০ বছরে পাওয়া যাবে ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) কূপটিতে প্রাকৃতিক গ্যাসের প্রবাহ ধরা পড়ে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড (এসজিএফএল)।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) গ্যাসের সন্ধান পাওয়ার বিষয়টি জানিয়ে গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে এসজিএফএল।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রশিদপুর গ্যাসক্ষেত্রের ৩ নম্বর কূপ থেকে ১০ বছরে ২৫ দশমিক ৫৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন করা সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে। বর্তমানে প্রতি ঘনমিটার এলএনজির দাম ৬৫ টাকা বিবেচনা করলে ওই কূপ থেকে আনুমানিক ৪ হাজার ৭০০ কোটি টাকার গ্যাস পাওয়া যাবে।
এসজিএফএল সূত্র জানায়, এসজিএফএল ও বাপেক্সের কারিগরি বিষয়ে দক্ষ কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা ৩ নম্বর কূপের সংস্কারকাজ (ওয়ার্কওভার) সফলভাবে সম্পন্ন করেছেন। বর্তমানে সংস্থাটির আওতায় সিলেট-১০এক্স, সিলেট-১১, ডুপিটিলা-১, কৈলাসটিলা-৯, রশিদপুর-১১ ও রশিদপুর-১৩ নম্বর কূপ খনন এবং কৈলাসটিলা-৯ ও বিয়ানীবাজার-২ নম্বর কূপের ওয়ার্কওভার (সংস্কার) কাজ চলমান।
অর্থনীতি
আকু বিল পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে ৩০ বিলিয়ন ডলারে

দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩০ বিলিয়ন ডলারের ঘরে নেমে এসেছে। রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনশেষে বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাব অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে এখন ৩০ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম৬ অনুসারে রিজার্ভ এখন ২৫ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে বৃহস্পতিবার গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩১ দশমিক ৪৩ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী ছিল ২৬ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার। এরপর এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) জুলাই ও আগস্ট মাসের আমদানি বিল বাবদ প্রায় ১৫০ কোটি ডলার পরিশোধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক। এর ফলে কমেছে রিজার্ভ।
গত জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নকে (আকু) ২ দশমিক শূন্য ২ বিলিয়ন ডলার পরিশোধের পর রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছিল গ্রস হিসাবে ২৯ দশমিক ৫৩ বিলিয়ন এবং বিপিএম৬ অনুযায়ী ২৪ দশমিক ৫৬ বিলিয়ন ডলারে।
রেমিট্যান্স প্রবাহে উল্লম্ফন, রপ্তানি আয়ে ইতিবাচক প্রবণতা এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোর ঋণ সহায়তার কারণে জুন শেষে গ্রস রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ৩১ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলারে। গত ২৮ মাসের মধ্যে যা ছিল সর্বোচ্চ। বিপিএম৬ অনুযায়ী এ সময় রিজার্ভ বেড়ে দাঁড়ায় ২৬ দশমিক ৬৯ বিলিয়ন ডলার।
২০২১ সালের আগস্টে দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৪৮ বিলিয়ন ডলারের রিজার্ভে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তবে পরবর্তী সময়ে ধারাবাহিক পতনে আওয়ামী লীগ সরকারের শেষ সময়ে গত জুলাই শেষে রিজার্ভ নেমে যায় ২০ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলারে।
বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর অর্থপাচারে কঠোর নিয়ন্ত্রণ, হুন্ডি প্রবাহ কমে যাওয়া এবং বৈধ পথে রেমিট্যান্স বাড়ায় পরিস্থিতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে ২০২৪-২৫ অর্থবছরে প্রবাসী আয়ে প্রায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে, যা ডলারে হিসাব করলে দাঁড়ায় ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন।
অর্থনীতি
স্বর্ণের দামে নতুন রেকর্ড, ভরি ১ লাখ ৮১ হাজার টাকা ছাড়ালো

দেশের বাজারে স্বর্ণের দাম আরও বাড়ানো হয়েছে। সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ গ্রাম) সোনায় ২ হাজার ৭১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা। এর মাধ্যমে অতীতের সব রেকর্ড ভেঙে নতুন উচ্চতায় উঠেছে সোনার দাম।
স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার (পাকা সোনা) দাম বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে এই দাম বাড়ানো হয়েছে। সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) থেকে নতুন দাম কার্যকর হবে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি (বাজুস)।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বাজুস স্ট্যান্ডিং কমিটি অন প্রাইসিং অ্যান্ড প্রাইস মনিটরিং কমিটি বৈঠকে করে এই দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পরে কমিটির চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমানের সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এর আগে গত ৪ ও ২ সেপ্টেম্বর এবং ৩১ ও ২৭ আগস্ট সোনার দাম আর ৪ দফা বাড়ানো হয়। ৪ দিনের মাথায় এখন দাম বাড়ানোর কারণ হিসেবে বাজুস বলছে, স্থানীয় বাজারে তেজাবী সোনার দাম বেড়েছে, তাই সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এনে সোনার দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এখন সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ৭১৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ৮১ হাজার ৫৫০ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৬০১ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭৩ হাজার ৩০৪ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ২২৮ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪৮ হাজার ৫৪১ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ১ হাজার ৯০১ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ লাখ ২৩ হাজার ৬৩ টাকা।
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর সবচেয়ে ভালো মানের বা ২২ ক্যারেটের প্রতি ভরি সোনায় ৩ হাজার ৪৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ৭৮ হাজার ৮৩২ টাকা। ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৯০৫ টাকা বাড়িয়ে ১ লাখ ৭০ হাজার ৭০৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়।
এছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনায় ২ হাজার ৪৮৪ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১ লাখ ৪৬ হাজার ৩১৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়। আর সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনায় ২ হাজার ১২৩ টাকা বাড়িয়ে দাম নির্ধারণ করা হয় ১ লাখ ২১ হাজার ১৬৬ টাকা। এতো দিন এটাই সোনার সর্বোচ্চ দাম ছিলো। আজ রোববার পর্যন্ত এই দামে সোনা বিক্রি হয়েছে। আগামীকাল থেকে নতুন রেকর্ড দামে বিক্রি হবে সোনা।
সোনার দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে রুপার দাম। ২২ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ২ হাজার ৮১১ টাকা। এছাড়া ২১ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ৬৮৩ টাকা, ১৮ ক্যারেটের এক ভরি রুপার দাম ২ হাজার ২৯৮ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির এক ভরি রুপার দাম ১ হাজার ৭২৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
অর্থনীতি
৬ দিনে রেমিট্যান্স এলো ৬ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা

চলতি মাস সেপ্টেম্বরের ৬ দিনে ৫১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় এসেছে দেশে। স্থানীয় মুদ্রায় যা প্রায় ৬ হাজার ২৯৫ কোটি ২০ লাখ টাকা (প্রতি ডলার ১২২ টাকা ধরে)। রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান জানান, সেপ্টেম্বরের ৬ দিনে ৫১ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা গত বছরের (২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের ৬ দিন) একই সময়ের তুলানায় ৪ কোটি ডলার কম। গত বছরের একই সময়ে রেমিট্যান্স আসে ৫৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাই থেকে ৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ৫৪১ কোটি ৬০ লাখ ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত ২০২৪-২৫ অর্থবছরের একই সময়ে এসেছিল ৪৬৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত অর্থবছরে একই সময়ের তুলনায় ৭২ কোটি ২০ ডলার বেশি এসেছে। প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৫ দশমিক ৪ শতাংশ।
চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে এসেছে ২৪৭ কোটি ৭৯ লাখ ১০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৩০ হাজার ২৩৯ কোটি টাকা। সদ্য বিদায়ী আগস্টের পুরো সময়ে এসেছিল ২৪২ কোটি ২০ লাখ ডলার বা ২৯ হাজার ৫৪৮ কোটি ৪০ লাখ টাকার রেমিট্যান্স।
এর আগে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩২৯ কোটি ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল, যা ছিল বছরের রেকর্ড পরিমাণ। পুরো অর্থবছর (২০২৪-২৫) জুড়ে প্রবাসী আয় এসেছে ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার, যা আগের অর্থবছরের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। এর আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাসভিত্তিক রেমিট্যান্স প্রবাহ ছিল জুলাইয়ে ১৯১ দশমিক ৩৭ কোটি ডলার, আগস্টে ২২২ দশমিক ১৩ কোটি ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ দশমিক ৪১ কোটি ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ দশমিক ৫০ কোটি ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার এবং জুনে ২৮২ কোটি ডলার।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সরকার ঘোষিত প্রণোদনা ও প্রবাসী আয়ের পথ সহজ করায় রেমিট্যান্স প্রবাহ ইতিবাচক ধারায় রয়েছে।
অর্থনীতি
আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমে ৮.২৯ শতাংশ, তিন বছরে সর্বনিম্ন

চলতি বছরের আগস্ট মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি কমে বিগত তিন বছরেরও বেশি সময়ের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে পৌঁছেছে। এ মাসে পয়েন্ট-টু-পয়েন্ট ভিত্তিতে দেশের সার্বিক মূল্যস্ফীতি কমে ৮.২৯ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি সামান্য বেড়েছে।
রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস) ।
বিবিএসের তথ্য মতে, গত জুলাই মাসে মূল্যস্ফীতি ছিল ৮.৫৫ শতাংশ। সেই হিসাবে জুলাইয়ের তুলনায় আগস্টে মূল্যস্ফীতি কমেছে ০.২৬ শতাংশ। গত বছরের আগস্টে মূল্যস্ফীতির হার ছিল ১০.৪৯ শতাংশ।
অন্যদিকে আগস্টে খাদ্য মূল্যস্ফীতি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭.৬০ শতাংশে। জুলাই মাসে এ হার ছিল ৭.৫৬ শতাংশ। আর ২০২৪ সালের আগস্টে খাদ্যমূল্যস্ফীতির হার ছিল ১১.৩৬ শতাংশ।
খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি জুলাইয়ের ৯.৩৮ শতাংশ থেকে কমে আগস্টে ৮.৯০ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। ২০২৪ সালের আগস্টে এ হার ছিল ৯.৭৪ শতাংশ।
এদিকে, স্বল্প আয়ের দক্ষ ও অদক্ষ শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধির হার সামান্য কমে ৮.১৫ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে টানা ৪৩ মাস ধরেই মজুরি বৃদ্ধির হার মূল্যস্ফীতির হারের চেয়ে পিছিয়ে রইল, যা নিম্ন আয়ের পরিবারগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় সংকটকে আরও তীব্র করে তুলেছে।
অর্থনীতিবিদরা বলছেন, গত বছরের তুলনায় খাদ্যপণ্যের দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরলেও খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের অব্যাহত চাপের কারণে সার্বিক মূল্যস্ফীতি এখনও চড়া রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় ব্যাংক আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য মূল্যস্ফীতি ৬.৫ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে।
কাফি