ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউজিসির নির্ধারিত গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়েরকৃত এ রিটে পিটিশনার হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের মতো করে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে একটি বড় বৈষম্য সৃষ্টি করছে। ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রিটে আরও বলা হয়, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়মে গ্রেড প্রদান করছে, যা ইউজিসির নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (আইইউবি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ লিবারেল আর্টস (ইউলা)।
এই রিটের আদেশের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা ও মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নীতিগত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চলমান। অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল না থাকায় একাডেমিক ও চাকরিক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
এসএসসি-এইচএসসি নিয়ে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জরুরি নির্দেশনা

আগামী বছর বা ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ এবং সেগুলো শিক্ষার্থীদের মধ্যে যথাসময়ে বিতরণ নিয়ে জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। নির্দেশনা অমান্য করলে প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানিয়েছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক এস এম কামাল উদ্দিন হায়দার স্বাক্ষরিত এক জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে রোববার এ নির্দেশনা দেওয়া হয়।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র শিক্ষার্থীদের যথাসময়ে বিতরণ না মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র যথাসময়ে শিক্ষা বোর্ড থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরবরাহ করা হলেও কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদের কাছে তা ‘যথাসময়ে বিতরণ না’ করে পরীক্ষা শুরুর কিছুদিন আগে, কোনো কোনো ক্ষেত্রে ‘এক দিন আগে’ শিক্ষার্থীদের কাছে বিতরণ করে থাকে। ফলে ভুলবশত কোনো শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা না হলেও ‘সময় কম থাকার’ কারণে সেসব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ করা সম্ভব হয় না।
অননুমোদিত বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ অনেক প্রতিষ্ঠান ঢাকা শিক্ষা বোর্ড কর্তৃক বিষয় খোলার অনুমোদন না থাকলেও অননুমোদিত বিষয়ে শিক্ষার্থীদের ভর্তি করে থাকে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণের সময় প্রতিষ্ঠান কর্তৃক তাদের অনুমোদিত বিষয়ে রেজিস্ট্রেশন ও ফরম পূরণ করে থাকে। যেহেতু শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা শুরুর আগের দিন রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র দেওয়া হয়, সেহেতু সময় কম থাকার কারণে এবং পরীক্ষার প্রশ্নপত্র স্থানীয় প্রশাসনের নিরাপত্তা হেফাজতে থাকায় বোর্ডের পক্ষে ‘অননুমোদিত বিষয়ে’ ফরম পূরণ করে প্রবেশপত্র দেওয়া সম্ভব হয় না। এ কারণে শিক্ষার্থীরা ‘চরম মানসিক যন্ত্রণা’র শিকার হয় এবং তাদের ‘শিক্ষাজীবন হুমকি’র মুখে পড়ে।
নির্ধারিত সময়ে ফরম পূরণ করতে হবে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড জানিয়েছে, ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ড কর্তৃক ‘নির্ধারিত সময়ের’ মধ্যে সব শিক্ষার্থীর ফরম পূরণ সম্পন্ন করতে হবে। বিলম্ব ফিসহ ফরম পূরণের নির্ধারিত তারিখ শেষ হওয়ার পর কোনো অবস্থাতেই শিক্ষার্থীদের ফরম পূরণের সুযোগ দেওয়া হবে না। তাই ২০২৬ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণের জন্য ‘পর্যাপ্ত সময়’ দেওয়া হবে।
রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে বিতরণ শিক্ষা বোর্ড থেকে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র গ্রহণের এক সপ্তাহের মধ্যে তা পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বিতরণ করতে হবে। কোনো প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্র যথাসময়ে বিতরণ না করার কারণে কোনো জটিলতা সৃষ্টির অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানপ্রধানের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু, নিরাপত্তা জোরদারে তৎপর ইবি প্রশাসন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনার পর গাফিলতি ও নিরাপত্তা ঘাটতি নিয়ে তীব্র সমালোচনা, অভিযোগ, মানববন্ধন ও আন্দোলন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে সিসিটিভি ক্যামেরা, সার্চ লাইট ও স্ট্রিট লাইট স্থাপন-সহ নিরাপত্তা জোরদারে বিভিন্ন সংস্কারমূলক কার্যক্রম শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ।
রোববার (২০ জুলাই) উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে থাকা ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী সাংবাদিকদের সঙ্গে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান। ভিসি কনফারেন্স রুমে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. ওবায়দুল ইসলাম-সহ ইবি সাংবাদিক সমিতি, প্রেসক্লাব ও রিপোর্টার্স ইউনিটির নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
ভিসির রুটিন দায়িত্বে থাকা প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম. এয়াকুব আলী বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ ছিলেন সজ্জন ও সংস্কৃতিমনা। তার মৃত্যুতে আজ বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক চলছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের কোনো গাফিলতি নেই। ভাইস চ্যান্সেলর, প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর, ট্রেজারার, রেজিস্টার (ভারপ্রাপ্ত), প্রক্টর, ছাত্র উপদেষ্টাসহ সকলেই দিন-রাত আন্তরিকতার সঙ্গে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। আমাদের দুর্ভাগ্য যে আমরা সাজিদ আব্দুল্লাহকে হারিয়েছি। এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ছিল।
তিনি আরও বলেন, নিরাপত্তার প্রশ্নে শিক্ষার্থীদের মনে যেন দ্বিধা তৈরি না হয় সেজন্য আমরা সঠিক ও সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে সাজিদ আব্দুল্লাহ’র মৃত্যুর সঠিক কারণ খুঁজে বের করার জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করছি। শিক্ষার্থীরা যেসব দাবি জানাচ্ছে তা যৌক্তিক। দাবিগুলো পূরণে তাদেরকে ধৈর্যধারণের আহ্বান জানান তিনি।
তিনি জানান, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। একজন হাউস টিউটর এবং একজন সহকারী প্রক্টর প্রতিরাতে দায়িত্ব পালন করবেন। ক্যাম্পাসে বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে রক্ষা করা, শান্তিপূর্ণভাবে চলা এবং উন্নয়নের পথে নেওয়ার কাজটি শিক্ষক, কর্মকর্তা কর্মচারী এবং শিক্ষার্থীসহ সবার আন্তরিক সহযোগিতা ছাড়া সম্ভব নয়। এক্ষেত্রে সাংবাদিকদের সহযোগিতা ও অংশগ্রহণ প্রয়োজন।
তবে সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি আরও জানান, আমাদের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির সর্বোচ্চ ক্ষমতা- ঘটনা প্রবাহের তথ্য উদঘাটন করা। তবে কাউকে বিচার করা, ফাঁসি দেওয়া আমাদের ক্ষমতা নেই। এটা সম্পূর্ণ পুলিশবাদী কেস। আমরা সর্বোচ্চ পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারি।
সম্মেলনে কোষাধ্যক্ষ ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, এতো দিন বিগত প্রশাসনের জবাবদিহিতা না থাকার কারণে আমাদের ওপর দোষ চাপানো হচ্ছে। বিভিন্ন রাজনৈতিক বক্তৃতা-সহ নানা মাধ্যমে জিজ্ঞেসা করা হয়- ‘প্রশাসন এতো এতো টাকা কী করে?’ আমরা জবাবদিহিতা ও স্বচ্ছতার মধ্যে থাকার চেষ্টা করি। দুঃখের বিষয় হলো- হল প্রশাসন থেকে জানানো হয় না তাদের কী প্রয়োজন। প্রশাসনের কোথাও আর্থিক দৈন্যতা নেই। দৈন্যতা আছে ইউজারের, জিনিসগুলো প্রপারলি ইউজ করলে আর কোন ঝামেলা থাকবে না। সাজিদের মৃত্যুর খবর শুনে সাথে সাথে কুষ্টিয়ায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. শাহীনুজ্জামান বলেন, ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা জোরদারে আমরা কাজ করছি। ইতোমধ্যেই সার্চলাইট এবং স্ট্রিট লাইট স্থাপনের মধ্য দিয়ে ক্যাম্পাসে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কাজ শুরু হয়েছে। রোববার থেকে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের কাজ চলছে। লালন শাহ হল ও শাহ আজিজুর রহমান হল পকেট গেইটে ২৪ ঘণ্টার জন্য দু’জন আনসার সদস্য দেওয়া হয়েছে। থানা গেইটেও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে পুকুর পাড় ও জিমনেসিয়ামসহ বিভিন্ন পয়েন্টে লাইট লাগানো হয়েছে। এটা চলমান প্রক্রিয়া, আজকেও কিছু স্থানে লাইট স্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন চলমান ছিল; আজকে ইঞ্জিনিয়ার ও টেকনিশিয়ান আসছিল তারা জরিপ করছে কোথায় কোথায় ক্যামেরা স্থাপন করা যায়।
গতকাল (শনিবার) শহিদ জিয়াউর রহমান হলে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর অকাল মৃত্যুতে আমরা শোকাহত। সাজিদ এই হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতো। হলে চারটি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। একে একে অন্যান্য সমস্যাগুলোও সমাধান করা হবে৷ সাজিদ আব্দুল্লাহর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তে হল প্রশাসন থেকে কমিটি করা হয়েছে এবং তদন্তের কাজ চলছে।
এর আগে গত ১৭ জুলাই বিকেলে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সাজিদ আব্দুল্লাহর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এটা নিছক দুর্ঘটনা না-কি হত্যাকাণ্ড তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। সাজিদ শহিদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে থাকতেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইল জেলায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র পরদিন ১৮ জুলাই জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. এমতাজ হোসেনকে আহ্বায়ক করে পাঁচ সদস্যের একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি করে প্রশাসন।
অন্যদিকে একইদিনে শহিদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট ড. আব্দুল গফুর গাজীকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি করে হল প্রশাসন। উভয় কমিটিই ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। মৃত্যুর কারণ ও পেছনের সম্ভাব্য রহস্য উন্মোচনের লক্ষ্যে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তারা।
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি শিক্ষার্থীর রহস্যজনক মৃত্যু: তদন্ত শুরু, সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন

কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) আল কোরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী সাজিদ আবদুল্লাহর রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভে সমাবেশ ও দিনব্যাপী প্রশাসন ভবন অবরোধ করছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিকে শিক্ষার্থী রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন করেছে শাখা ছাত্রদল।
অপরদিকে, ইবি পুকুর থেকে শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনার দ্রুততম সময়ের মধ্যে রিপোর্ট প্রদান করতে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শহিদ জিয়াউর রহমান হলে এবং ক্যাম্পাসে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে।
শনিবার (১৯ জুলাই) বেলা ১১টা থেকে প্রশাসন ভবনের সামনে অবস্থান নেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা। এ সময় সাজিদের মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে বিক্ষোভে করতে থাকেন তারা। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ক্রিয়াশীল ছাত্র সংগঠনের নেতারাও অংশ নেন। তবে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকের সামনে মানববন্ধন শেষে র্যালি নিয়ে প্রশাসন ভবনের সামনে আসে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
জানা গেছে, এসময়ে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনের লিখিত আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে প্রায় ৫ ঘণ্টা পর প্রশাসন ভবনের অবরোধ তুলে নিলেও প্রকৃতপক্ষে দাবিসমূহ স্বাক্ষরিত হওয়ার পর প্রধান ফটকের তালা খোলা হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা সাজিদের মৃত্যুর তদন্ত দ্রুততম সময়ে সম্পন্ন করে পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট প্রকাশ, পুরো ক্যাম্পাস সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনা, আবাসিক হলে শিক্ষার্থীদের এন্ট্রি ও এক্সিট শতভাগ মনিটরিংয়ের আওতায় নিয়ে আসা, ক্যাম্পাসের চারপাশে পূর্ণাঙ্গ নিরাপত্তাবেষ্টিত বাউন্ডারি ওয়াল নির্মাণ করা, ক্যাম্পাসে পর্যাপ্ত স্ট্রিট লাইট স্থাপন ও সক্রিয় রাখা ও বহিরাগত প্রবেশ নিয়ন্ত্রণসহ বিভিন্ন দাবি জানান।
মানববন্ধনে শাখা ছাত্রদল আহ্বায়ক সাহেদ আহমেদ বলেন, আমার ভাই সাজিদের মৃত্যর ঘটনায় আমরা শোকাহত। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের দাবি জানাই। কোষাধ্যক্ষকে হুশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই, নতুন অর্থবছর শুরু হয়েছে। অর্থের কোন অভাব নেই। শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনে যা কিছু প্রয়োজন তার সবই আপনাদের করতে হবে। আপনাদের জন্য আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে আসিনি, আমাদের জন্য আপনারা এখানে এসেছেন।
আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. খান মুহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, আমরা আমাদের সন্তানদের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছি। প্রশাসনের কাছে জানতে চাই, আমার ছেলে কেন এভাবে মৃত্যুবরণ করলো? এর সুষ্ঠু তদন্ত না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের এই আন্দোলনের সাথে আমরা থাকবো। যে ব্যবস্থাপনার ঘাটতির কারণে সাজিদের মত ছেলেরা জীবন দেয়, এই জীবন দেয়ার ব্যবস্থা কে ভেঙ্গে দিতে হবে। সুরক্ষিত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে।
এদিকে, দুপুরেতদন্ত কমিটির আহ্বায়ক ও কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেনের নেতৃত্বে মরদেহ উদ্ধারের তথ্য ও সাজিদের কক্ষ পরিদর্শন করে তথ্য সংগ্রহ করা হয়।
এসময় তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক বলেন, রবিবার তার রুমমেট, বন্ধু সার্কেল এবং শিক্ষকদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলা হবে। এ ঘটনার ব্যপারে সাংবাদিকদের নিকট যদি কোন তথ্য থাকে তা প্রদানের জন্য কমিটির পক্ষ থেকে অনুরোধ করছি।
তিনি আরও বলেন, সুরতহাল রিপোর্ট রেজিস্ট্রারের (ভারপ্রাপ্ত) কাছ থেকে চাওয়া হয়েছে। সাজিদের ব্যবহৃত মোবাইলের এক সপ্তাহের কল রেকর্ডও রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত)-এর মাধ্যমে চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে চাওয়া হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাজিদের যোগাযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে কমিটির দুজন সদস্যকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে শহিদ জিয়াউর রহমান হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী বলেন, নির্ধারিত দিনের পূর্বে ৪টি সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করেছি এবং প্রশাসনে সাথে মিটিং হয়েছে পরবর্তীতে আরও পর্যাপ্ত ক্যামেরা স্থাপন করা হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, তদন্ত কার্যক্রম কীভাবে দ্রুত করা যায়, সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোও মেনে নেওয়া হয়েছে। আজকে থেকেই সিসিটিভি লাগানোর কাজ শুরু হয়েছে। আমরা এখন যত পদক্ষেপ ই নেই না কেন, সাজিদকে তো আর ফিরে পাব না। তবে তার মৃত্যু রহস্য উদঘাটনের ক্ষেত্রে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সর্বোচ্চ সহযোগিতা করব।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদের আকস্মিক মৃত্যুতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা গভীরভাবে মর্মাহত ও শোকাহত। দেশের বাইরে থাকায় সরাসরি আমি উপস্থিত থাকতে না পারা আমার জন্য দুঃখজনক। বিষয়টি জানার পরপরই আমি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টদের জানিয়েছি। আমি বলেছি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে যতদ্রুত সম্ভব প্রতিবেদন দাখিল করে। এছাড়া শিক্ষার্থীরা যে দাবিগুলো করছে সেগুলো অত্যন্ত যৌক্তিক দাবি। আমরা তাদের দাবির সাথে একমত। শিক্ষার্থীদের দাবি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছি।
উল্লেখ্য, এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ফুটবল মাঠে শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহর গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন ইবি শাখা, ছাত্রশিবির’সহ ক্রিয়াশীল সকল সামাজিক ও রাজনৈতিক ছাত্রসংগঠন শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে একাত্মতা পোষণ করেন এবং তাদের সাথে সহাবস্থান করেন।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
শিক্ষার্থীর মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্তের দাবিতে ছাত্রশিবিরের ‘টর্চ লাইট’ মিছিল

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র রহস্যজনক মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবিতে ‘টর্চ লাইট’ মিছিল ও সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এসময় নিরাপদ ক্যাম্পাস ও শতভাগ আবাসিকতা নিশ্চিত করার দাবিও জানান সংগঠনটি।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) রাত ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া মোড় থেকে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে প্রধান ফটকের সামনে সমবেত হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে তারা।
মিছিলে তারা ‘আমার ভাই মরলো কেন’ প্রশাসন জবাব চাই’, ‘পুকুরে লাশ কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘সাজিদ হত্যার তদন্ত, করতে হবে করতে হবে’, ‘আর কত পরলে লাশ, প্রশাসনের হবে লাজ’, ‘ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিশ্চিত কর, করতে হবে’, ‘লাশ নিয়ে রাজনীতি, চলবে না চলবে না’, ‘প্রশাসনের তালবাহানা, চলবে না চলবে না’, ‘শিবিরের অ্যাকশন, ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘দিয়েছি তো রক্ত, আরো দিবো রক্ত’ ইত্যাদি স্লোগান দেয়।
এসময় শাখা ছাত্রশিবির নেতা হাসানুল বান্না অলি বলেন, ‘সদর হাসপাতালের ডাক্তার বলেছে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট আসতে আড়াই মাস সময় লাগবে। আমরা আগামী ২ দিনের মধ্যে পোস্টমর্টেম রিপোর্ট দেখতে চাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির আগামী ৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন টালবাহানা করে তদন্তের নামে মুলা ঝুলিয়ে দেয়। আমরা কেউ সাজিদের মতো হতে চাই না। আমরা তার রহস্যময় মৃত্যুর সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অপরাধীর সর্বোচ্চ শাস্তি চাই।’
শাখা ছাত্রশিবিরের সভাপতি মু. মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘আমরা আজকে সবাই এখানে একত্রিত হয়েছি আমাদের ভাই সাজিদ আবদুল্লাহকে কেন হারালাম এটা জানার জন্যে। এটার সুষ্ঠু তদন্ত প্রশাসনকে করতে হবে। এটা নিয়ে প্রশাসন কোন অবহেলা করতে পারবে না, এটাকে নিয়ে কোন রাজনীতির আশ্রয় নেয়া যাবে না। আপনারা শিক্ষার্থীদের কাছে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন-দশ কার্যদিবসের ভেতরে তদন্ত রিপোর্ট পেশ করবেন। যদি তা এগারো দিনে গড়ায় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়কে অচল করে দেয়া হবে। আজকে ছাত্রশিবির দলীয় দাবি নিয়ে এখানে আসে নাই, শিক্ষার্থীদের দাবি নিয়ে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এখানে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে, শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।’
এছাড়া তিনি আরও বলেন, ‘এখানে শিক্ষার্থীদের শতভাগ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় নাই। গুরুত্বপূর্ণ স্থানে লাইটিং ও সিসিটিভি স্থাপন করা হয় নাই, যদি আপনারা মনে করেন আপনাদের টাকা নাই, নিজেদের কাঙ্গালী মনে হয়, তাহলে আমাদেরকে বলুন ভিক্ষা দিয়ে প্রশাসনকে সহায়তা করবো। কিন্তু এই কাঙ্গালিপনা আমাদের দেখাবেন না।’
তিনি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি নিশ্চিত করতে হবে। শিক্ষার্থীদের আবাসন নিশ্চিত করতে হবে। বড় ভাই রাজনীতি সিস্টেম আর চলবে না। শুধু এখানে-সেখানে বক্তব্য দেয়া প্রশাসনের কাজ নয়। শিক্ষার্থীদর নিরাপত্তা নিশ্চিত সহ সুবিধা-অসুবিধা দেখা প্রশাসনের কাজ। যদি শিক্ষার্থীদের সুবিধা-অসুবিধা না বুঝেন তাহলে এমন এক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে যাতে প্রশাসন টিকতে পারবে না। ইকসু নিশ্চিত করতে হবে তাহলে প্রশাসন হবে শিক্ষার্থীবান্ধব। নাহলে প্রশাসন শিক্ষার্থীবান্ধব হবে না। আগামীকাল থেকে শিক্ষার্থীদের দাবি আদায়ে যে আন্দোলন হবে ইসলামী ছাত্রশিবির সবসময় সাথে থাকবে।’
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইবি শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় দুই তদন্ত কমিটি গঠন

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাহ আজিজুর রহমান হল পুকুরে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় প্রশাসন কর্তৃক পাঁচ সদস্যের ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি এবং ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করেছে শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রশাসন।
শুক্রবার (১৮ জুলাই ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মনজুরুল হক স্বাক্ষরিত অফিস আদেশ ও শহীদ জিয়াউর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. আব্দুল গফুর গাজী স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে এসব তথ্য জানা যায়।
অফিস সূত্রে জানা যায়, গত (১৭জুলাই) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে শাহ আজিজুর রহমান হল সংলগ্ন পুকুর থেকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ’র ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে সঠিক ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদানের জন্য উপাচার্য একটি ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছেন।
ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক হিসেবে রয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন। অন্য সদস্যরা হলেন- শাহ আজিজুর রহমান হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড.এ টি এম মিজানুর রহমান, লালন শাহ হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. গাজী আরিফুজ্জামান খান, আল হাদিস অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তাফিজুর রহমান ও সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড.খাইরুল ইসলাম।
গঠিত কমিটিকে আগামী ১০ (দশ) কার্যদিবসের মধ্যে উপাচার্যের নিকট রিপোর্ট পেশ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।
ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এমতাজ হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সদস্যদের নিয়ে আগামীকাল থেকেই কার্যক্রম শুরু করবো। যেহেতু বিষয়টি শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার সাথে জড়িত।’
এদিক হল প্রশাসনের আদেশ সূত্রে জানা যায়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের আল-কুরআন অ্যান্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০২১-২০২২ বর্ষের শহীদ জিয়াউর রহমান হলের ১০৯ নং কক্ষে অবস্থানরত মেধাবী শিক্ষার্থী সাজিদ আব্দুল্লাহ এর পুকুরে ডুবে মৃত্যুর বিষয়টি যথাযথ তদন্ত করে প্রতিবেদন প্রদানের লক্ষ্যে ৩ সদস্যের কমিটি গঠন করা হলো।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহীনুজ্জামান বলেন, ‘ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করেছে হল প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের পক্ষ থেকেও একটি তদন্ত কিমিটি করছে। ময়নাতদন্ত করা হয়েছে, রিপোর্ট পেলেই আমরা প্রকৃত ঘটনাটি জানতে পারবো। সবকিছুই পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে বিচার বিশ্লেষণ করা হবে।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (উপাচার্যের দায়িত্বে থাকা) অধ্যাপক ড. এম এয়াকুব আলী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা বের করা হবে।’
অর্থসংবাদ/সাকিব/কাফি