ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
ইউজিসির নির্ধারিত গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলক করতে হাইকোর্টে রিট

বাংলাদেশের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়সমূহে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি বাধ্যতামূলকভাবে বাস্তবায়নের দাবিতে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। জনস্বার্থে দায়েরকৃত এ রিটে পিটিশনার হিসেবে রয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মো. গোলাম কিবরিয়া।
রোববার (২০ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের এবং বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চে এ রিটের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে আদালত আগামী রবিবার আদেশের জন্য দিন ধার্য করেন।
রিট আবেদনে উল্লেখ করা হয়, দেশের ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ৬টি বিশ্ববিদ্যালয় ইউজিসির গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করে নিজেদের মতো করে ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ করছে, যা উচ্চশিক্ষার মানদণ্ডে একটি বড় বৈষম্য সৃষ্টি করছে। ইউজিসি কর্তৃক নির্ধারিত অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল যথাযথভাবে অনুসরণ না করায় শিক্ষার্থীরা একাডেমিক ও পেশাগত ক্ষেত্রে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
রিটে আরও বলা হয়, ইউজিসি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কার্যক্রম তদারকির দায়িত্বে থাকলেও অনেক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজস্ব নিয়মে গ্রেড প্রদান করছে, যা ইউজিসির নীতিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অভিন্ন গ্রেডিং পদ্ধতি অনুসরণ না করা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় গুলো হলো: নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (এআইইউবি), ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ওফ বাংলাদেশ (আইইউবি), ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি (ইউআইইউ) এবং ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ওফ লিবারেল আর্টস (ইউলা)।
এই রিটের আদেশের মাধ্যমে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সমতা ও মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে একটি নীতিগত দিকনির্দেশনা পাওয়া যেতে পারে বলে সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন।
প্রসঙ্গত, দেশে বর্তমানে ১১৬টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কার্যক্রম চলমান। অভিন্ন গ্রেডিং স্কেল না থাকায় একাডেমিক ও চাকরিক্ষেত্রে ছাত্রছাত্রীরা অনেক সময় তুলনামূলকভাবে পিছিয়ে পড়ছে।
কাফি

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ, গণনা শুরু ৭টায়

বিভিন্ন অভিযোগের মধ্য দিয়ে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল কেন্দ্রে স্থাপিত ২২৪টি বুথে এ ভোটগ্রহণ কার্যক্রম পরিচালিত হয়। সন্ধ্যায় ৭টায় ভোট গণনা শুরু হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন কার্যালয়।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয় কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোতায়েন করা হয় ১ হাজার ৫৩৪ জন পুলিশ সদস্য, ৭ প্লাটুন বিজিবি এবং ৫ প্লাটুন আনসার সদস্য। এছাড়াও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ক্যাম্পাসে এবং এর আশেপাশে অবস্থান নেয়, যাতে যেকোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা দ্রুত মোকাবিলা করা যায়।
নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসে নিয়ন্ত্রিত চলাচল নিশ্চিত করতে নেয়া হয় কিছু বিশেষ ব্যবস্থা। মীর মশররফ হোসেন হল সংলগ্ন গেট ও প্রান্তিক গেট ছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য সব গেট ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়।
এছাড়াও, ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ক্যাম্পাসের সকল প্রকার ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্টের দোকান, পুরাতন পরিবহন চত্ত্বর সংলগ্ন দোকান, নতুন কলা ভবন সংলগ্ন মুরাদ চত্বরের দোকান, প্রান্তিক গেটের উত্তর পাশের কাপড়ের মার্কেট ও প্রধান গেট সংলগ্ন দোকানসমূহ বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়। তবে, সকল আবাসিক হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন ও প্রয়োজনীয় দোকান খোলা রাখার নির্দেশনা দেয়া হয় এবং পর্যাপ্ত খাবার মজুত রাখার কথা বলা হয়।
নির্বাচনী নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলার অংশ হিসেবে ১১ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ (নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট) ব্যতীত সকল ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়। এ সময়ে শুধুমাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকারযুক্ত এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত যানবাহন ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। সকল স্টাফ বাস শুধুমাত্র প্রান্তিক গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারবে।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে ছাত্রদল প্যানেলের ভোট বর্জন

নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগ এনে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেল। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানায়।
ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের অভিযোগ, শিবির সমর্থিত প্যানেলকে জেতাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াতের সাথে আঁতাত করেছে।
ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টারও বেশি সময় আগে বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রদল সমর্থিত জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসাইন বৈশাখী নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন।
প্রায় ৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে বিভিন্ন কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে, বিরতিহীনভাবে ভোটগ্রহণ চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
নির্বাচনকে ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটগুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সকাল সোয়া ৮টার দিকে ক্যাম্পাসের পেছনে গেরুয়া এলাকা সংলগ্ন ফটকে বহিরাগত প্রবেশ নিষেধ লেখা ব্যানার ঝোলানো হয়েছে। এ ছাড়া ক্যাম্পাসের বিভিন্ন জায়গায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।
এবারের নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ১১ হাজার ৮৯৭ জন শিক্ষার্থী তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে ছাত্র ৬ হাজার ১১৫ জন এবং ছাত্রী ৫ হাজার ৭২৮ জন। ভোটগ্রহণের জন্য ২১টি কেন্দ্রে ২২৪টি বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—আল বেরুনী হলে ২১০ জন, আ ফ ম কামালউদ্দিন হলে ৩৩৩ জন, মীর মশাররফ হোসেন হলে ৪৬৪ জন, শহীদ সালাম-বরকত হলে ২৯৮ জন, মওলানা ভাসানী হলে ৫১৪ জন, শহীদ রফিক-জব্বার হলে ৬৫০ জন, বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হলে ৩৫০ জন, ২১ নম্বর ছাত্র হলে ৭৩৫ জন, জাতীয় কবি নজরুল হলে ৯৯২ জন এবং তাজউদ্দীন আহমদ হলে ৯৪৭ জন।
ছাত্রীদের হলভিত্তিক ভোটার সংখ্যা হলো—নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলে ২৭৯ জন, জাহানারা ইমাম হলে ৩৬৭ জন, প্রীতিলতা হলে ৩৯৬ জন, বেগম খালেদা জিয়া হলে ৪০৩ জন, সুফিয়া কামাল হলে ৪৫৬ জন, ১৩ নম্বর ছাত্রী হলে ৫১৯ জন, ১৫ নম্বর ছাত্রী হলে ৫৭১ জন, রোকেয়া হলে ৯৫৬ জন, ফজিলাতুন্নেছা হলে ৭৯৮ জন এবং তারামন বিবি হলে ৯৮৩ জন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচন: বিএনপি-ছাত্রদলের বিরুদ্ধে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে নিয়ম ভাঙার অভিযোগ উঠেছে বিএনপি ও ছাত্রদল নেতাদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে শিক্ষার্থীরা।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ১০ সেপ্টেম্বর বেলা ১২টার মধ্যে প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও বহিরাগতদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হলেও এ নির্দেশনা অমান্য করে নির্দ্বিধায় প্রবেশ করেছেন শাখা ছাত্রদলের সাবেক নেতাকর্মী ও বহিরাগতরা।
এদিকে মধ্যরাতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠকে বসেন শাখা ছাত্রদলের সভাপতি ও বিএনপি’র যুক্তরাজ্যের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. পারভেজ মল্লিক, জার্মান প্রবাসী সাবেক ছাত্রদল নেতা মারুফ মল্লিক এবং শাখা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল ইসলাম অভি। এ ঘটনা জানাজানি হলে শিক্ষার্থী ও প্রার্থীদের তোপের মুখে পড়েন তারা।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করলেও বহিরাগত ও প্রাক্তন নেতারা সহজেই ক্যাম্পাসে প্রবেশ করছেন। আগের রাতে ইসির সঙ্গে বৈঠকও করেন তারা। এতে নির্বাচনী পরিবেশ প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে বলে তারা মনে করেন।
তবে ফেসবুক স্ট্যাটাসে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. মশিউর রহমান রোজেন। তার দাবি, ছাত্রদল ঘোষিত নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সঙ্গে কাজ করছেন তিনি। তাই নির্দেশনা মেনে নির্বাচনের দিনের অনুমতি পত্র আনতে সেখানে গিয়েছিলেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জাকসু নির্বাচনে ভোটগ্রহণ শুরু

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল ৯টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হল কেন্দ্রের ২২৪টি বুথে শুরু হয় এই ভোটগ্রহণ। যা টানা চলবে বিকেল ৫টা পর্যন্ত।
এর আগে, বুধবার দিবাগত রাতে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট বাক্স পৌঁছে দেওয়া হয় এবং সকালে প্রতিটি কেন্দ্রে ব্যালট পোঁছে দেওয়া হয়।
এদিকে, ভোটকে কেন্দ্র করে পুরো ক্যাম্পাসে নেওয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। নির্বাচন উপলক্ষে ক্যাম্পাসের শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য ১৫০০ পুলিশ, ৭ প্ল্যাটুন বিজিবি ও ৫ প্ল্যাটুন আনসার ক্যাম্পাসের পরিসীমায় মোতায়েন করা হয়েছে। এ ছাড়া, ক্যাম্পাসে যে কোনো অপ্রীতিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা মোকাবিলায় আনসার এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য ক্যাম্পাসে এবং ক্যাম্পাসের বাইরে অবস্থান করছে।
এদিকে, মীর মশরারফ হোসেন হল-সংলগ্ন গেট এবং প্রান্তিক গেট ব্যতীত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল গেইট ১০ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা ৬টা থেকে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার ভাসমান দোকান, টারজান পয়েন্টের দোকান, পুরাতন পরিবহন চত্ত্বর-সংলগ্ন দোকান, নতুন কলা ভবন-সংলগ্ন মুরাদ চত্বরের দোকান, প্রান্তিক গেইটের উত্তর পাশের কাপড়ের মার্কেট ও গেইটের সকল দোকান এবং প্রধান গেইট সংলগ্ন সকল দোকান ১১ সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বন্ধ থাকবে।
সব আবাসিক হলের অভ্যন্তরে ক্যান্টিন ও দোকান খোলা রাখা এবং পর্যাপ্ত খাবার মজুদ রাখার জন্য বলা হয়েছে। গতকাল বুধবার সন্ধ্যা ৬টা হতে ১২ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টা পর্যন্ত জরুরি বিভাগ (নিরাপত্তা, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস, ইন্টারনেট) ব্যতীত সব ধরনের মোটরসাইকেল চলাচল নিষেধ করা হয়েছে। এই সময়ে শুধু মাত্র শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গোলাকার স্টিকার এবং নির্বাচন কমিশনের স্টিকারযুক্ত গাড়ি ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে পারবে। সব স্টাফ বাস প্রান্তিক গেট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবশে করবে।
এবারের জাকসু নির্বাচনে ২৫ পদে ১৭৮ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৯ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ৯ জন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (নারী) পদে ৬ জন এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক (পুরুষ) পদে ১০ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত ইবি ছাত্রশিবিরের

ডাকসু নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের বিজয় উপলক্ষে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে কণ্ঠস্বর শহীদ আবরার ফাহাদের কবর জিয়ারত করেছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রশিবির।
বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শহীদ আবরার ফাহাদের পিতা বরকত উল্লাহকে সঙ্গে নিয়ে কবর জিয়ারত করেন তারা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শাখা সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী পরিষদ সদস্য মু. মাহমুদুল হাসান, ইবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি ইউসুফ আলী, কুষ্টিয়া শহর সভাপতি আবু ইউসুফ, কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম ও অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।
কবর জিয়ারত শেষে নেতৃবৃন্দ জানান, ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে প্রথম বীর শহীদ আবরার ফাহাদ। ২০১৯ সালে ৭ অক্টোবর আবরার ফাহাদকে শিবির ট্যাগ দিয়ে নিষিদ্ধ ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা শহীদ করে। গতকাল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনে ইসলামী ছাত্রশিবির নিরঙ্কুশ বিজয় লাভ করে। এর মাধ্যমে ভারতীয় আধিপত্যবাদের মসনদ ভেঙেচুরে তছনছ হয়ে যায়। তাই আজকে আমরা গভীরভাবে শহীদ আবরার ফাহাদকে স্মরণ করে আজকে তার কবর জিয়ারত করতে আসি। আল্লাহর কাছে দোয়া করছি আবরার ফাহাদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ ভারতীয় আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত হবে এবং আল্লাহ তায়ালা শহীদ আবরার ফাহাদের শাহাদাতকে কবুল করুন।