কর্পোরেট সংবাদ
এসডিজি অ্যাওয়ার্ড অর্জন করলো ইউনিলিভার বাংলাদেশ

বাংলাদেশের ‘মোস্ট সাসটেইনেবল কোম্পানি অব দ্য ইয়ার’ হিসেবে স্বীকৃতি অর্জন করেছে দেশের শীর্ষস্থানীয় নিত্য-ব্যবহার্য ও ভোগ্যপণ্য (এফএমসিজি) উৎপাদন ও বিপণনকারী প্রতিষ্ঠান ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড (ইউবিএল)। একইসঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ‘মোস্ট সাসটেইনেবল এফএমসিজি কোম্পানি অব দ্য ইয়ার’ পুরস্কারও অর্জন করেছে।
ষাট বছরেরও বেশি সময় ধরে, ৩৯.২৫% সরকারি মালিকানাধীন এই এফএমসিজি (কনজিউমার গুডস / ভোগ্যপণ্য) কোম্পানিটি শুধু আন্তর্জাতিক মানের পণ্য উৎপাদন ও সরবরাহ করেই নয়, বরং মানুষের জীবনমান উন্নয়ন, সামাজিক অগ্রগতি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ইতিবাচক অবদান রেখে চলেছে। ইউনিলিভার বাংলাদেশ লিমিটেড জাতিসংঘ ঘোষিত ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যের মধ্যে ১৩টিতে কৌশলগতভাবে অবদান রেখে আসছে এবং ২০২০ সাল থেকে এখন পর্যন্ত প্রায় ১২ কোটি মানুষের জীবন স্পর্শ করেছে ও ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
২০২৫ সালের এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ড উদ্যোগে ‘সেরা টেকসই কোম্পানি’ হিসেবে সম্মাননা অর্জনের পাশাপাশি, ইউনিলিভার বাংলাদেশ আরও ৬টি ক্যাটাগরিতে পুরস্কৃত হয়েছে। বাংলাদেশ ব্র্যান্ড ফোরাম আয়োজিত উদ্যোগে ইউনিলিভার বাংলাদেশ সামগ্রিক ভাবে সর্বোচ্চ সংখ্যক সম্মাননা অর্জন করেছে।
ইউনিলিভার বাংলাদেশ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের জন্য পুরস্কৃত হয়েছে। ‘সাসটেইনেবল পার্টনারশিপস অ্যান্ড ইনস্টিটিউশন্স’ ক্যাটাগরিতে ‘ডোমেক্স অ্যান্ড ভূমিজ’স ফাইট অ্যাগেইনস্ট পুওর স্যানিটেশন’, ‘সাসটেইনেবল কমিউনিটি’ ক্যাটাগরিতে ‘এমপাওয়ারিং দ্য ইয়ুথ ইন ভলান্টিয়ারিজম’ এবং ‘ডিসেন্ট ওয়ার্ক অ্যান্ড ইকোনমিক গ্রোথ’ ক্যাটাগরিতে ‘ওয়েস্ট ওয়ার্কার্স লাইভলিহুড এনহ্যান্সমেন্ট ইন চট্টগ্রাম’ প্রকল্পেও পুরস্কার পেয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ‘রেসপন্সিবল কনজাম্পশন অ্যান্ড প্রোডাকশন’ ক্যাটাগরিতে ‘রেসপনসিবল সোর্সিং ফর আ গ্রিনার টুমরো’ এবং ‘ক্লাইমেট অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট ক্যাটাগরিতে ‘সাসটেইনেবিলিটি ইন মোশন: টুওয়ার্ডস আ গ্রিনার টুমরো’ প্রকল্পে ‘অনারেবল মেনশন’ অর্জন করেছে।
বাংলাদেশে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায়, বাংলাদেশ সাসটেইনেবল সামিটে আয়োজিত ‘এসডিজি ব্র্যান্ড চ্যাম্পিয়ন অ্যাওয়ার্ডস ২০২৫’ অনুষ্ঠানে ইউনিলিভার বাংলাদেশ এই সম্মাননাগুলো লাভ করে।

কর্পোরেট সংবাদ
পদত্যাগ করলেন ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান

ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ করেছেন। বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) তিনি পরিচালনা পর্ষদের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। ইসলামী ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর ২২ আগস্ট ইসলামী ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ পুনর্গঠন করে দেয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। ৫ সদস্যের পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয় বিগত সরকারের সময়ে রাষ্ট্রীয় মালিকানার সোনালী ও রূপালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করা ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন ডেপুটি গভর্নরের সুপারিশে তাকে এ পদে বসানো হয়।
চেয়ারম্যান হওয়ার পর সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পায় কেন্দ্রীয় ব্যাংক। গত ৩ জুলাই বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের (বিআরপিডি) দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি গভর্নর ড. মো. কবির আহাম্মদ ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদকে জরুরি ভিত্তিতে ডেকে পাঠান। ওই সময় তাকে পদত্যাগ করতে বলা হয়। ব্যাংকটির স্বতন্ত্র পরিচালক অধ্যাপক জোবায়দুর রহমানকে চেয়ারম্যান করা হবে এমন আলোচনা রয়েছে।
সূত্র জানায়, ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পদত্যাগ না করে পদে থাকতে বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে লবিং করতে শুরু করেন। এর মধ্যে গত ১৫ জুলাই ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যাংক হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। গত ১৬ জুলাই ইসলামী ব্যাংকে বিশেষ অভিযানে যায় সংস্থাটি। বিএফআইইউর বিশেষ অভিযানে গত আগস্টের পর ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ ইসলামী ব্যাংক থেকে কী কী সুবিধা নিয়েছেন সে বিষয়ে বিভিন্ন তথ্য নেওয়া হয়েছে। সম্প্রতি এক মাসের জন্য তার যুক্তরাষ্ট্র সফরে ব্যাংক থেকে কোনো খরচ নিয়েছেন কিনা, নিলে কোন খাতের নামে নিয়েছেন সে সম্পর্কিত তথ্যও নেওয়া হয়েছে।
জানা গেছে, সম্প্রতি ওবায়েদ উল্লাহ আল মাসুদ পরিচালনা পর্ষদ বা বাংলাদেশ ব্যাংকে আনুষ্ঠানিকভাবে অবহিত না করেই এক মাসের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে যান। এ বিষয়ে বোর্ডে কোনো মেমো উত্থাপন করেননি তিনি। কেবল মৌখিকভাবে অবহিত করে যান যে, ক্রেডিট লাইন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক একটি ব্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করবেন। যদিও বিশেষ আমন্ত্রণ ছাড়া কোনো ব্যাংকের চেয়ারম্যানের এ ধরনের ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত বৈঠকের সুযোগ নেই। ব্যাংকের পরিচালনাগত বিষয়ে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ বৈঠক করবে। পর্ষদ কেবল নীতি প্রণয়নে ভূমিকা রাখবে।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
ইসলামী ব্যাংক ময়মনসিংহ জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন

ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির ময়মনসিংহ জোনের অর্ধ-বার্ষিক ব্যবসায় উন্নয়ন সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ব্যাংকের ময়মনসিংহ জোনাল অফিস কনফারেন্স হলে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ব্যাংকের অ্যাডিশনাল ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. আলতাফ হুসাইন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ডেপুটি ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মো. রফিকুল ইসলাম। ময়মনসিংহ জোনপ্রধান আ. কাদের সরদারের সভাপতিত্বে সম্মেলনে জোনের অধীন শাখাসমূহের প্রধান, নির্বাহী ও কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের পর্ষদ সভা

ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের ৩০৬তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৫ জুলাই) ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের বোর্ড রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান।
সভায় ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান মো. আজিজুর রহমান, এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মো. আবদুল কুদ্দুছ, রিস্ক ম্যানেজমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. সাইফুল আলম, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মো. রাগিব আহসান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (চলতি দায়িত্ব) মো. সিরাজুল ইসলাম ও কোম্পানী সচিব (চলতি দায়িত্ব) নিজাম কাজী এসিএস উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
কর্পোরেট সংবাদ
সর্বজনীন পেনশন স্কিম গতিশীল করতে এনআরবি ব্যাংকের সঙ্গে সমঝোতা

জাতীয় পেনশন স্কিম বাস্তবায়ন আরও গতিশীল করার লক্ষ্যে এনআরবি ব্যাংক পিএলসি এবং জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের মধ্যে একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১৪ জুলাই) অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান মো. মহিউদ্দিন খান। প্রধান অতিথি ছিলেন অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগের সচিব ড. মো. খায়েরুজ্জামান মজুমদার।
সমঝোতা স্মারক অনুষ্ঠানে এনআরবি ব্যাংক পিএলসির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী তারেক রিয়াজ খান।
জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ পরিচালিত সর্বজনীন পেনশন স্কিমে চারটি পৃথক কর্মসূচি রয়েছে- প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা এবং সমতা। প্রতিটি অংশগ্রহণকারীর জন্য একটি ইউনিক পেনশন আইডি প্রদান করা হয়, যার মাধ্যমে তারা অনলাইনে তাৎক্ষণিকভাবে তাদের চাঁদা এবং মুনাফা পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। অবসরোত্তর আর্থিক নিরাপত্তার পাশাপাশি, এই স্কিমে আয়কর রেয়াত, ঋণ সুবিধা এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিতদের জন্য সরকারি সহঅংশীদারত্বের সুবিধাও রয়েছে।
কর্পোরেট সংবাদ
ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি সাড়ে ৮ হাজার কোটি টাকা

চলতি ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকার নিট ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এই ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি আমানত সংগ্রহে ব্যাংকটির টেকসইতার প্রতিফলন। বিগত কয়েক বছর ধরে ব্র্যাক ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের এই লক্ষণীয় ডিপোজিট প্রবৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ব্যাংকটির ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের এমন মাইলফলক ব্যাংকিং খাতে আমানত সংগ্রহে নতুন বেঞ্চমার্ক তৈরি করে চলেছে।
এই সাফল্য উদ্যাপনের লক্ষ্যে ব্যাংকটি ১৫ জুলাই ২০২৫ ঢাকায় একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আয়োজনে ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে যোগ দেন ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান এবং ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড অব ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক।
এ সময় ব্র্যাংকটির ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্কের রিজিওনাল হেড, ক্লাস্টার হেড এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজারসহ উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জোনাল হেড (নর্থ) এ. কে. এম. তারেক এবং সিনিয়র জোনাল হেড (সাউথ) তাহের হাসান আল মামুন।
ব্যাংকের এমন সাফল্যে গ্রাহক আস্থা এবং গ্রাহকদের সাথে সুসম্পর্কের বিষয়টির ওপর জোর দিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান বলেন, গ্রাহকের সাথে আস্থার সম্পর্ককে আমরা আমানত সংগ্রহে সবচেয়ে বড় দক্ষতা হিসেবে দেখি। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ২০২৫ সালের বাকি সময়ে এবং সামনের বছরগুলোতেও ডিপোজিট প্রবৃদ্ধিতে আমাদের এমন সাফল্য অব্যাহত থাকবে।