অর্থনীতি
বাড়তি ব্রয়লার মুরগির দাম, মাছের বাজারে স্বস্তি

রাজধানীর কাঁচাবাজারে ফের বেড়েছে ব্রয়লার মুরগির দাম। ঈদের পর দাম কমে গেলেও এক সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। এদিকে হঠাৎ করেই দামের এই ঊর্ধ্বগতিতে বিস্মিত হচ্ছেন ক্রেতারা। তবে মাছের বাজার কিছুটা স্থিতিশীল থাকায় সেখানেই কিছুটা স্বস্তি খুঁজছেন তারা। এদিকে গরু ও খাসির মাংসের দাম আগের মতোই রয়েছে, কিন্তু ঈদের রেশ না কাটায় সেখানে নেই তেমন বিক্রি।
শুক্রবার (১১ জুলাই) সকালে রাজধানীর রামপুরা-বনশ্রীসহ আশেপাশের একাধিক বাজার ঘুরে এবং সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজারে এখন ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬৫–১৭০ টাকা কেজিতে। গত সপ্তাহেও সেটি ছিল ১৪৫–১৫০ টাকার মধ্যে। অর্থাৎ কেজিতে ১৫–২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোনালি মুরগির দামও বেড়েছে। বর্তমানে প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০০ টাকায়, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ২৮০ টাকা।
গত বছরের সেপ্টেম্বরেই কৃষি বিপণন অধিদপ্তর ব্রয়লার মুরগির জন্য সর্বোচ্চ ১৮০ টাকা দাম নির্ধারণ করেছিল। এক বছর না যেতেই আবার সেই দামের কাছাকাছি চলে এসেছে বাজার।
রামপুরা বাজার গিয়ে দেখা গেছে, গত সপ্তাহের তুলনায় ব্রয়লার মুরগির দোকানে ভিড় অনেকটাই কম। মুরগির দোকানে দাঁড়িয়ে আছেন গৃহিণী হাসিনা আক্তার। পাশ থেকে হাঁক ডেকে বললেন, “ভাই, এই তো গত সপ্তাহে তো ১৫৫ টাকায় কিনেছি, আজকে হঠাৎ ১৭৫ বলছেন ক্যান? সপ্তাহের ব্যবধানে ২০ টাকা বাড়া কি স্বাভাবিক?” দোকানি মো. রিয়াজ উদ্দিন মুখে কিছুটা বিরক্তি নিয়ে জবাব দিলেন, “ আমরা তো নিজেরা দাম বাড়াই না। ফার্ম থেকেই এখন ১৬০–১৬৫ টাকা পড়ছে। আমাদের যদি ১০ টাকা লাভ না থাকে, চলবে কীভাবে? আমরাও তো কষ্টে আছি।”
রেজাউল করিম নামের এক পোশাককর্মী বলেন, তিনদিন আগেও অফিসের পেছনের গলির দোকানে ১৫০ টাকা কেজি ছিল। আজ বলল ১৭০! বাসায় বাচ্চাদের জন্য কিনি, নিজেরা তো যা পাই তা দিয়েই চলে। এত দাম দিলে তো মুরগিও বাদ দিতে হবে!
তিনি বলেন, এতদিন মুরগি ১৪০-১৫০ টাকার মধ্যে ছিল, আমার মতে এটাই ছিল ব্রয়লার মুরগির স্বাভাবিক দাম। এই দামে থাকলে গরিব ধনী সবাই নিজেদের চাহিদা মতো খেতে পারবে। কিন্তু মাঝেমধ্যেই হঠাৎ করে দাম কেন জানি বেড়ে যায়।
বাজার পর্যবেক্ষকদের অনেকে মনে করছেন, ফার্ম ও পরিবহনপর্যায়ে একটি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে দাম বাড়ানো হচ্ছে। যদিও খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন—বর্ষা মৌসুমে সরবরাহে কিছুটা বিঘ্ন এবং ফিডের মূল্যবৃদ্ধিই দাম বাড়ার পেছনে মূল কারণ। মুরগি বিক্রেতা রিয়াজ উদ্দিন বলেন, “দাম বাড়ছে ফার্ম থেকে। আমরা আগে যেখানে ১৪৫–১৫০ টাকায় কিনতাম, এখন সেখানে কিনতে হচ্ছে ১৬০–১৬৫ টাকায়। আমাদের যে খরচ, তাতে অন্তত ১৫ টাকা লাভ না রাখলে ব্যবসা টিকবে না। এই দামে বিক্রি করতেই বাধ্য হচ্ছি।”
তিনি আরও বলেন, কোনো কোনো গ্রাহক ভাবছেন আমরা ইচ্ছে করে দাম বাড়িয়েছি। কিন্তু আমরাও বিপদে। পরিবহন খরচ, শ্রমিক, দোকান ভাড়া—সবমিলিয়ে ন্যূনতম লাভেই চলছি।
বনশ্রী এ ব্লক এলাকার বাজারে গিয়ে দেখা গেলো সকালের মাছের বাজার অনেকটাই জমজমাট। মাছের দোকানগুলোতে তাজা রুই, কাতল, পাবদা সাজানো। দাম প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বিক্রেতারা জানান, বর্তমানে বাজারে রুই ও কাতল বিক্রি হচ্ছে ৩০০–৩৪০ টাকা কেজিতে। পাবদা ৩৫০–৪০০ টাকা, চিংড়ি ৬৫০–৭০০, টেংরা ৬০০–৭০০, শিং ৪০০–৪৫০, কৈ ২০০–২২০ এবং তেলাপিয়া–পাঙ্গাস পাওয়া যাচ্ছে ১৮০–২০০ টাকায়। দেশি শিং ও কৈ মাছের দাম অবশ্য এখনও অনেক বেশি—প্রতি কেজি যথাক্রমে ১২০০ ও ১০০০ টাকা।
বাজার করতে আসা শিক্ষক মনিরুল ইসলাম বললেন, আজকের বাজারে মুরগির দাম একটু বেড়েছে। গরু-খাসির দাম তো অনেক বেশি। সেই তুলনায় আমার মত নিম্ন মধ্যবিত্ত মানুষের জন্য মাছ এখন সবচেয়ে ব্যালান্সড অপশন।
মাছ বিক্রেতা হুমায়ুন কবির বললেন, “ঈদের পর এখন লোকজন মাংস থেকে সরে মাছেই ঝুঁকছে। দামও বাড়েনি, আবার ভালো মাছ মিলছে, তাই বিক্রিও ভালো।”
শ্যামল মিয়া নামক আরেক বিক্রেতা জানান, মাংস-মুরগির বাজারে দাম বাড়ছে, আর আমরা মাছওয়ালারা একটু স্বস্তিতে আছি। রুই কাতল আগের মতোই আছে, তাই মানুষ আসছে। পাবদা, তেলাপিয়া ভালো যাচ্ছে।
এদিকে ঈদের এক সপ্তাহ পেরোলেও এখনও রাজধানীর অধিকাংশ পরিবারে কোরবানির মাংস আছে। সেই কারণে গরু, খাসি ও ছাগলের মাংসের দোকানগুলোতে এখনো ক্রেতার অভাব। রামপুরা বাজারের মাংস ব্যবসায়ী মো. কবির হোসেন বলেন, “ঈদের পর এমনটা হতেই পারে, তবে এবার একটু বেশি সময় ধরে লোকজন মাংস কিনছে না। দাম কমেনি—গরু ৭৫০–৭৮০, খাসি ১১০০ আর ছাগল ১০০০ টাকায় বিক্রি করছি। কিন্তু বিক্রি নেই বললেই চলে। যারা কোরবানি দেয়নি, তারাও মাছ-মুরগিতে চলে গেছে।

অর্থনীতি
২৭ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২০৮ কোটি ডলার

চলতি মাসের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৮ কোটি ৭০ লাখ মার্কিন ডলার। এই হিসাবে প্রতিদিন গড়ে দেশে এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, আগস্টের প্রথম ২৭ দিনে দেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২০৮ কোটি ৭০ লাখ ডলার। আর গত বছরের একই সময়ে এসেছিল ১৯৭ কোটি ১০ লাখ ডলার। বছর ব্যবধানে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে ৫ দশমিক ৯০ শতাংশ।
এছাড়া গত ২৭ আগস্ট এক দিনে প্রবাসীরা দেশে ৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত দেশে এসেছে ৪৫৬ কোটি ৫০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। বছর ব্যবধানে যা বেড়েছে ১৭ দশমিক ৫০ শতাংশ।
গত জুলাইয়ে দেশে এসেছিল ২৪৭ কোটি ৮০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ৫৪ কোটি ৭৬ লাখ ডলার ৩০ হাজার ডলার। এছাড়া বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ২২ কোটি ৯২ লাখ ২০ হাজার ডলার, বেসরকারি ব্যাংকের মাধ্যমে ১৬৮ কোটি ৯৭ লাখ ৬০ হাজার ডলার ও বিদেশি খাতের ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ১ কোটি ১৩ লাখ ডলার রেমিট্যান্স।
এদিকে, গত ২০২৪-২৫ অর্থবছর জুড়ে দেশে প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৩০ দশমিক ৩২ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ৩২ কোটি ৮০ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স, যা দেশের ইতিহাসে কোনো নির্দিষ্ট অর্থবছরে সর্বোচ্চ প্রবাসী আয়ের রেকর্ড।
অর্থনীতি
ছয় মাসে ১.২৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে: বিডা

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন মাস পর্যন্ত মোট ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ প্রস্তাব পেয়েছে বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষসহ (বিডা) সরকারের বিভিন্ন কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বিনিয়োগ সমন্বয় কমিটির পঞ্চম সভায় এ তথ্য জানানো হয়।
এসময় বলা হয়, ২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে প্রাপ্ত বিনিয়োগ প্রস্তাবের মধ্যে বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ মোট ৪৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। স্থানীয় বিনিয়োগ মোট ৭০০ মিলিয়ন এবং যৌথ বিনিয়োগ প্রস্তাব এসেছে মোট ৮৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বিদেশি বিনিয়োগ, যা প্রায় ৩৩০ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব এসেছে চীনা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে।
এছাড়া সিঙ্গাপুর, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বিনিয়োগের প্রস্তাব দিয়েছে বলে সভায় জানান বিডার প্রতিনিধি।
প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান মো. আবদুর রহমান খান।
সভায় বিডার প্রতিনিধি আরও জানান, ১ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রস্তাবগুলোর মধ্যে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে ২৩১ মিলিয়ন ডলারের প্রস্তাব। এক্ষেত্রে প্রাথমিক প্রস্তাব থেকে চূড়ান্ত পর্যায়ে রূপান্তরের হার প্রায় ১৮ শতাংশ।
বিশ্বজুড়ে রূপান্তরের এই হার গড়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশের কাছাকাছি বলে সভায় জানানো হয়।
অর্থনীতি
প্রবাসী আয় বেশি ঢাকায়, কম লালমনিরহাটে

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে দেশে ২৪৭ কোটি ডলার (২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। এই অর্থের মধ্যে সবচেয়ে বেশি আয় এসেছে ঢাকা জেলায়, ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার। আর সবচেয়ে কম প্রবাসী আয় এসেছে লালমনিরহাটে, মাত্র ১৩ লাখ ডলার।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের প্রবাসী কর্মসংস্থান বেশি হওয়ায় রেমিট্যান্স প্রবাহেও তার প্রতিফলন ঘটেছে। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলোতে প্রবাসী আয়ের প্রবাহ তুলনামূলকভাবে দুর্বল।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ প্রতিবেদনে দেখা যায়, জুলাই মাসে ঢাকা বিভাগের ১৩ জেলা থেকে এসেছে ১৩৮ কোটি ৪০ লাখ ডলার রেমিট্যান্স। এর মধ্যে শুধু ঢাকা জেলাতেই ১০২ কোটি ৭২ লাখ ডলার, যা দেশের যেকোনো জেলার মধ্যে সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় অবস্থানে টাঙ্গাইল, ৪ কোটি ৩১ লাখ ডলার; তৃতীয় অবস্থানে নারায়ণগঞ্জ, ৪ কোটি ৫০ হাজার ডলার। বিভাগটির মধ্যে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রাজবাড়ী থেকে ৮৯ লাখ ডলার।
চট্টগ্রাম বিভাগে ১১ জেলার প্রবাসীরা পাঠিয়েছেন ৫৯ কোটি ৮১ লাখ ডলার। এর মধ্যে চট্টগ্রাম জেলা শীর্ষে ১৬ কোটি ৫৪ লাখ ডলার এবং দ্বিতীয় অবস্থানে কুমিল্লা ১২ কোটি ৩০ লাখ ডলার। এছাড়া নোয়াখালী থেকে এসেছে ৭ কোটি ২৮ লাখ, ব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ৬ কোটি ৩০ লাখ, ফেনী থেকে ৬ কোটি ১৯ লাখ এবং চাঁদপুর থেকে ৫ কোটি ৬০ লাখ ডলার। বিভাগটিতে সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে রাঙ্গামাটি ও বান্দরবন থেকে—প্রতিটি জেলা থেকে ১৭ লাখ ডলার।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় মোট রেমিট্যান্স এসেছে ১৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার। এর মধ্যে সিলেট জেলা একাই দিয়েছে ১০ কোটি ২৬ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মৌলভীবাজার ৩ কোটি ৯২ লাখ ডলার, হবিগঞ্জ ২ কোটি ৬৭ লাখ ও সুনামগঞ্জ ২ কোটি ৬৬ লাখ ডলার।
খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় এসেছে মোট ৯ কোটি ৫২ লাখ ডলার। এর মধ্যে যশোর জেলা শীর্ষে ১ কোটি ৮২ লাখ ডলার, কুষ্টিয়া ১ কোটি ৫০ লাখ, খুলনা ১ কোটি ২১ লাখ এবং ঝিনাইদহ ১ কোটি ২০ লাখ ডলার। সবচেয়ে কম এসেছে বাগেরহাট থেকে—৭১ লাখ ডলার।
রাজশাহী বিভাগের ৮ জেলায় মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৭ কোটি ৭৩ লাখ ডলার। এর মধ্যে বগুড়া ১ কোটি ৫৬ লাখ ডলার ও পাবনা ১ কোটি ৫১ লাখ ডলার নিয়ে শীর্ষে রয়েছে। চাপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছে ১ কোটি ৩০ লাখ ডলার, সিরাজগঞ্জ থেকে ৯৪ লাখ ডলার এবং রাজশাহী জেলা থেকে ৮৯ লাখ ডলার। সবচেয়ে কম রেমিট্যান্স এসেছে জয়পুরহাট থেকে—৪৫ লাখ ডলার।
বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় এসেছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ ডলার। বরিশাল জেলা একাই দিয়েছে ২ কোটি ৪১ লাখ ডলার। দ্বিতীয় অবস্থানে ভোলা ৯৮ লাখ ডলার, পিরোজপুর ৭৭ লাখ ডলার, বরগুনা ৫৪ লাখ ডলার, পটুয়াখালী ৫৯ লাখ ডলার এবং সর্বনিম্ন ঝালকাঠি থেকে এসেছে ৪৭ লাখ ডলার।
ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় এসেছে ৪ কোটি ২৫ লাখ ডলার। এর মধ্যে সর্বাধিক এসেছে ময়মনসিংহ জেলা থেকে ২ কোটি ১১ লাখ ডলার। জামালপুর থেকে এসেছে ১ কোটি ২৮ লাখ ডলার, নেত্রকোনা থেকে ৫৪ লাখ ডলার এবং সবচেয়ে কম শেরপুর থেকে ৩২ লাখ ডলার।
রংপুর বিভাগের আট জেলায় মোট রেমিট্যান্স এসেছে ৩ কোটি ১৯ লাখ ডলার। এর মধ্যে সর্বাধিক গাইবান্ধা ৮৬ লাখ ডলার, রংপুর ৫৯ লাখ ডলার এবং দিনাজপুর ৫২ লাখ ডলার। আর সর্বনিম্ন এসেছে লালমনিরহাট থেকে, মাত্র ১৩ লাখ ডলার। এছাড়া পঞ্চগড় থেকে এসেছে ১৮ লাখ ডলার।
অর্থনীতি
রিজার্ভ ফের ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়াল

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ আবারও ৩১ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (২৭ আগস্ট) দিন শেষে গ্রস রিজার্ভ দাঁড়িয়েছে ৩১ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলার।
একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব পদ্ধতি বিপিএম–৬ অনুযায়ী রিজার্ভ হয়েছে ২৬ দশমিক ৩১ বিলিয়ন ডলার।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট গ্রস রিজার্ভ ছিল ৩০ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার এবং বিপিএম–৬ অনুযায়ী ২৫ দশমিক ৮৭ বিলিয়ন ডলার।
মোট রিজার্ভ থেকে স্বল্পমেয়াদি দায় বাদ দিয়ে নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের পরিমাণ পাওয়া যায়। তবে এর বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, তা হলো ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ। এ তথ্য আনুষ্ঠানিক প্রকাশ করে না কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে গেছে। প্রতি মাসে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে সাড়ে তিন মাসের বেশি আমদানি ব্যয় মেটানো যাবে। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। তখন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী ব্যক্তিদের নজিরবিহীন অর্থপাচার ও বৈশ্বিক ও অভ্যন্তরীণ নানা কারণে কোভিড-১৯ পরবর্তী সময়ে আমদানি ব্যয় বেড়ে যাওয়ায় বড় ধরনের চাপের মুখে পড়ে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয়ন (রিজার্ভ)। বড় ধরনের বাণিজ্য ঘাটতিতে পড়ে ক্রমাগত চলতি হিসাবের ঘাটতিও বেড়েছিল বাংলাদেশের। ডলারের বিপরীতে টাকা দর অবনমন হতে থাকলে প্রভাব পড়ে জ্বালানির দর ও আমদানিতে। সংকটে মেটাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। ফলে আস্তে আস্তে তলানিতে নামে রিজার্ভ। ওই সময় রিজার্ভ বাড়াতে বাংলাদেশ বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা নিতে আইএমএফ এর কাছে ৪৭০ কোটি ডলারের ঋণ সহায়তা চেয়ে ২০২২ সালের জুলাইতে আবেদন করে বাংলাদেশ।
অর্থনীতি
আলুর ন্যূনতম দাম ২২ টাকা, ৫০ হাজার মেট্রিক টন কিনবে সরকার

আলুর ন্যায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কোল্ড স্টোরেজ গেইটে কেজিপ্রতি সর্বনিম্ন মূল্য ২২ টাকা নির্ধারণ করেছে সরকার। একই সঙ্গে ৫০ হাজার মেট্রিক টন আলু সরকারি উদ্যোগে ক্রয় করে হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে এবং আগামী অক্টোবর-নভেম্বর মাসে বাজারে বিক্রি করা হবে।
বুধবার (২৭ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, উৎপাদন খরচের তুলনায় বাজারে আলুর সাম্প্রতিক বিক্রয়মূল্য কম থাকায় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। এ পরিস্থিতিতে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা অনুসারে কৃষি সচিবের নেতৃত্বে একটি চার সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি গঠন করা হয়, যেখানে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সচিবরা সদস্য হিসেবে ছিলেন।
কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে সরকার আলুর ন্যূনতম দাম নির্ধারণ ও বিপণন ব্যবস্থা নিয়ন্ত্রণে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। পাশাপাশি আগামী মৌসুমে আলু চাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার কথাও জানানো হয়েছে।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়সমূহ দ্রুত এ বিষয়ে কার্যক্রম শুরু করবে।
কাফি