রাজনীতি
জামায়াত নেতৃবৃন্দের সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন

আগামী ১৯ জুলাই (শনিবার) বেলা ২টায় রাজধানী ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে সংগঠনের সেক্রেটারি জেনারেল সাবেক এমপি অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারের নেতৃত্বে একটি দল অনুষ্ঠানের স্থান পরিদর্শন করেছেন।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুরে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান পরিদর্শন করেন তারা।
জানা গেছে, সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে এই ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
পরিদর্শন করতে যাওয়া দলের অন্য সদস্যরা হলেন- সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম, এড. মোয়াযযম হোসাইন হেলাল ও এড. এহসানুল মাহবুব জুবায়ের, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি এড. মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের আমীর নূরুল ইসলাম বুলবুল, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সেক্রেটারি ড. রেজাউল করিম, ঢাকা মহানগরী উত্তরের সহকারী সেক্রেটারি ডা. ফখরুদ্দিন মানিক ও মো. ইয়াসিন আরাফাত, ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারী সেক্রেটারি কামাল হোসাইন, বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের জেনারেল সেক্রেটারি এড. আতিকুর রহমান ও বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের সেক্রেটারি জেনারেল নূরুল ইসলাম সাদ্দাম প্রমুখ।
পরিদর্শনকালে তাঁরা উদ্যানের বিভিন্ন অংশ ঘুরে ঘুরে দেখেন এবং জাতীয় সমাবেশ সুষ্ঠুভাবে বাস্তবায়নে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন। এ সময় অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার জাতীয় সমাবেশ সফল করে তুলতে সাংবাদিকদের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
কাফি

রাজনীতি
মুজিববাদী ও আওয়ামী সংবিধান পরিবর্তন করতে হবে: নাহিদ ইসলাম

গণঅভ্যুত্থানের পরে এই দেশে মুজিববাদী ও আওয়ামী সংবিধান পরিবর্তন করে একটি নতুন গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রয়োজন। যে সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ, গণঅভ্যুত্থান ও ব্রিটিশবিরোধী লড়াইয়ের কথা থাকবে বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এসসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।
তিনি বলেন, মুজিববাদী ও আওয়ামী লীগের সংবিধান গত ৫০ বছর ধরে বাংলাদেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করেনি, সমাজ ও রাষ্ট্রকে বিভাজিত করেছে। এই সংবিধান দেশকে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রে পরিণত করতে পারেনি।
সোমবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা ৬টায় সিরাজগঞ্জ শহরের বাজার স্টেশন এলাকায় পথসভা ও পদযাত্রায় তিনি এসব কথা বলেন।
নাহিদ ইসলাম বলেন, বাংলাদেশের যত গুম-খুন হয়েছে, সেগুলোর প্রত্যেকটির বিচার করতে হবে। বিচার না করা পর্যন্ত আমরা নির্বাচনে যাব না। অবশ্যই সব কিছুর বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমরা পুরনো সিস্টেমে আর ফিরত যেতে চাই না। আমাদের দেশের সংস্কার প্রয়োজন। এমন সংস্কার করতে হবে, যেন কেউ আর স্বৈরাচারী হতে না পারে।
বসুন্ধরা মিডিয়াকে নিয়ে তিনি বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপ একটি মাফিয়া গ্রুপ। বাংলাদেশের মিডিয়া এ দেশের রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করেছে। জনগণকে জিম্মি করেছে। দেশের টাকা লুট করেছে। ব্যাংকগুলোকে লুট করা হয়েছে। সেই বসুন্ধরা গ্রুপের আমরা বিচার চাই। এই বসুন্ধরার এস আলম দুর্নীতিবাজ। লুটেরাজদের অবশ্যই বিচার করতে হবে। এখনো গণঅভ্যুত্থানের পরেও ব্যবসায়ীদের রাজনৈতিক আশ্রয় দিচ্ছে, তাদেরকে প্রত্যাখ্যান করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, তারা রাজনৈতিক সমর্থন ছাড়া টিকে থাকার সুযোগ পেতো না। অন্তর্বর্তী সরকারকেও এদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কীভাবে এসব মিডিয়া অভ্যুত্থান ও জনগণের বিরুদ্ধে কথা বলতে পারে? যে প্রজন্ম গণঅভ্যুত্থান করেছে, যারা পুলিশের বুলেটের সামনে থেকে এসেছে, সেই প্রজন্ম কাউকে ভয় পায় না। ভয়ের সংস্কৃতি যারা ফিরিয়ে আনতে চাচ্ছে, তারা ভুল করছে।
এনসিপির পদযাত্রায় বাধাদানকারীদের সম্পর্কে নাহিদ ইসলাম বলেন, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে যারা এনসিপির পদযাত্রায় বাধার সৃষ্টি করতে চাচ্ছেন, আজ সিরাজগঞ্জ ও নাটোরে বিভিন্নভাবে পদযাত্রায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কোনো বাধা বা আঘাত দিলে এনসিপির নেতাকর্মীরা মেনে নেবেন না।
পদযাত্রায় মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দিন পাটওয়ারী, সিনিয়র যুগ্ম-সদস্য সচিব তাসনিম জারা, যুগ্ম-সদস্যসচিব মাহিন সরকার, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আব্দুল্লাহসহ অন্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
রাজনীতি
জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা জনগণের পাওনা ফিরিয়ে দেব: আবদুল হালিম

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম বলেছেন, জামায়াত সকল জুলম নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা জনগণের পাওনা ফিরিয়ে দেব।
রোববার (৬ জুলাই) সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ মগবাজার আলফালাহ মিলনায়তনে আগামী ১৯ জুলাই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় সমাবেশ’ সফল করার লক্ষ্যে ঢাকা অঞ্চল দক্ষিণের উদ্যোগে জেলা, মহানগরী কর্মপরিষদ সদস্য এবং উপজেলা, থানা আমীর ও সেক্রেটারিদের নিয়ে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য ও ঢাকা দক্ষিণ অঞ্চলের পরিচালক সাইফুল আলম খান মিলন। সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
তিনি বলেন, সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে আগামী ১৯ জুলাই ঢাকাস্থ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে অনুষ্ঠিতব্য ‘জাতীয় সমাবেশ’ বাস্তবায়ন করতে হবে। সকল গণহত্যার বিচার, প্রয়োজনীয় মৌলিক সংস্কার, জুলাই সনদ ও ঘোষণাপত্র বাস্তবায়ন, জুলাই অভ্যুত্থানে শহীদ ও আহতদের পরিবারের পুনর্বাসন, পিআর পদ্ধতিতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান, প্রবাসীদের ভোট প্রদানের ব্যবস্থা এবং লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করার দাবিতে ‘জাতীয় সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে ইনশাআল্লাহ।
তিনি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জাতীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে প্রচার কার্যক্রম, গণসংযোগ ও জেলা থেকে তৃণমূল পর্যন্ত জনশক্তি ও সাধারণ মানুষকে সংগঠিত করে সামনের দিনগুলোতে সদা তৎপর থাকার উপর গুরুত্বারোপ করেন। ফ্যাসিস্টদের বিদায়ের পর মজলুম জননেতাএটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তিলাভ এবং নানা ষড়যন্ত্র ও চক্রান্ত ডিঙ্গিয়ে ১২ বছর পর দলীয় প্রতীক দাঁড়িপাল্লাসহ দলের নিবন্ধন ফিরে পাওয়ায় তিনি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করেন।
তিনি আরও বলেন, বিগত ১৮ বছরে জামায়াতের শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে হত্যা, জামায়াত ও ছাত্রশিবির শতশত নেতাকর্মীদের গুম, খুনসহ নানা নির্যাতন চালিয়ে জামায়াতের আদর্শিক আন্দোলনকে থামানো যায়নি। ভবিষ্যতেও থামানো যাবে না, ইনশাআল্লাহ।
আবদুল হালিম বলেন, জামায়াত সকল জুলম নির্যাতনের অবসান ঘটিয়ে দেশে ন্যায় ও ইনসাফ কায়েমের মাধ্যমে একটি সুখী-সমৃদ্ধ রাষ্ট্র গঠন করতে চায়। জনগণকে সাথে নিয়েই আমরা জনগণের পাওনা ফিরিয়ে দেব। এ লক্ষ্য অর্জনে জামায়াত নেতাকর্মীদের জনসম্পৃক্ততার কোনো বিকল্প নেই। আমাদের সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্ঠায় আল্লাহর রহমতে জাতীয় সমাবেশে অবিস্মরণীয় উপস্থিতির মাধ্যমে প্রমাণিত হবে, জামায়াত জনগণের দল। জামায়াত আগামী দিনে দেশ ও সমাজ পরিচালনা করবে, ইনশাআল্লাহ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য মাওলানা মঈন উদ্দিন আহমাদ, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ও নারায়ণগঞ্জ মহানগরী আমির মাওলানা আবদুল জব্বার, নারায়ণগঞ্জ জেলা আমির মমিনুল হক সরকার, ঢাকা জেলা আমীর মাওলানা দেলোয়ার হোসাইন, মুন্সিগঞ্জ জেলা আমির মাওলানা রুহুল কুদ্দুস, নরসিংদী জেলা আমির মাওলানা মোসলেহ উদ্দিনসহ সংশ্লিষ্ট মহানগরী ও জেলা সমূহের কর্মপরিষদ সদস্যসহ থানা আমির-সেক্রেটারি বৃন্দ।
কাফি
রাজনীতি
ফেব্রুয়ারিতেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার: ফখরুল

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন আগামী ফেব্রুয়ারি মাসেই জাতীয় নির্বাচনের আয়োজন করবে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ সোমবার সকালে সিলেটে পৌঁছে হযরত শাহজালাল (র.) এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এমন প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
সিলেট জেলা ও মহানগর বিএনপির সহযোগিতায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সুস্থতার জন্য দোয়া ও এক আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতেই সকাল ৯টায় সিলেটে পৌঁছান মির্জা ফখরুল।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, নির্বাচনের মাধ্যমেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা ও দেশের সঠিক পথে অগ্রযাত্রা সম্ভব।
তিনি আরও বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলন, বিশেষ করে জুলাইয়ের রক্তাক্ত ছাত্র গণঅভ্যুত্থান, যে নতুন পথ দেখিয়েছে তা সবাইকে বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে।
এ সময় তিনি দাবি করেন, দেশে বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা, হাজারো প্রাণহানি ঘটেছে।
কাফি
রাজনীতি
সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকে হুমকি দিয়েছি: হাসনাত

সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ।
রোববার (৬ জুলাই) রাতে একটি জাতীয় দৈনিকের অনলাইন ভার্সনে ‘সাংবাদিকদের হুমকি দিলেন হাসনাত আব্দুল্লাহ’ শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ হলে তিনি এ মন্তব্য করেন।
এদিন রাত ৯টা ৪০ মিনিটের দিকে ওই গণমাধ্যমের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা প্রতিবেদনটির কমেন্টে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কমেন্টে হাসনাত লিখেছেন, ‘সাংবাদিকদের নয়, বসুন্ধরা মিডিয়াকেই হুমকি দিয়েছি।’
এর আগে রাত ৮টার দিকে রাজশাহী নগরীর রেলগেট এলাকা থেকে জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত এনসিপির পদযাত্রায় অংশ নেন তিনি।
সেখানে সাংবাদিকদের দিকেও নজর রাখা হচ্ছে জানিয়ে হাসনাত বলেন, ‘আমরা সাংবাদিকদের দেখছি। আমরা সাংবাদিকদের ওপরে নজর রাখছি। এই সাংবাদিকেরাই জুলাই অভ্যুত্থানে আমাদেরকে সন্ত্রাসী আখ্যা দেওয়ার জন্য লেগেছিল।’
এ সময় তিনি বলেন, ‘খুনি হাসিনার পক্ষে বসুন্ধরা মিডিয়া যে ভূমিকা পালন করেছে, আমরা তা ভুলে যাইনি। বসুন্ধরা গ্রুপের সাংবাদিকরা আবারও নগ্নভাবে অপরাধের বৈধতা দিতে মাঠে নেমেছেন। তারা আরেকটি এক-এগারো ঘটানোর ষড়যন্ত্র করছেন। জনগণ তা কখনো বরদাশত করবে না।’
তিনি আরো বলেন, ‘দেশের মানুষের ভোটাধিকার ও ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে আনতে জুলাই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে এই আন্দোলন চূড়ান্ত লক্ষ্য অর্জন না হওয়া পর্যন্ত চলবে।’
এনসিপির এই নেতা বলেন, ‘বাংলার আকাশে দুর্যোগের ঘনঘটা দেখা দিচ্ছে। আপনাদেরকে সতর্ক থাকতে হবে। আমরা বেঁচে থাকতে আর বাসা থেকে কাউকে উঠিয়ে নিয়ে গুম হতে দেওয়া যাবে না। কোনো মায়ের বুক আর খালি হবে না। কোনো ইলিয়াস আর হারিয়ে যাবে না। কোনো দেশপ্রেমিক সাংবাদিককে বিদেশে থাকতে হবে না।’
রাজনীতি
আশুরা মুসলিমদের দ্বীন প্রতিষ্ঠার ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়: ড. হেলাল

আশুরা মুসলমানদেরকে দ্বীন প্রতিষ্ঠার ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতে ইসলামীর ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর ও জামায়াত মনোনীত ঢাকা- ৮ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন।
রোববার (৬ জুলাই) বিকেলে মতিঝিলের বায়তুল আমান মসজিদে পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। জামায়াতের ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল উত্তর থানার উদ্যোগে এ আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন। এছাড়া মহানগরী মজলিসে শুরা সদস্য ও মতিঝিল উত্তর থানা আমীর শামসুল বারীর সভাপতিত্বে ও থানা সেক্রেটারি রবিউল ইসলামের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন থানার কর্মপরিষদ সদস্য হাফিজুল্লাহ খান, ইঞ্জিনিয়ার আলমগীর হোসেন আকাশ সহ থানার ওয়ার্ড সভাপতি-সেক্রেটারিবৃন্দ।
এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, স্বৈরাচার ও জালেম শাসকের বিরুদ্ধে আশুরা এক ঐতিহাসিক বিপ্লবের দিন। আশুরা আমাদেরকে একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠার বিরুদ্ধে আপোষহীন প্রতিবাদের চেতনা ধারণ করে অন্যায় ও জুলুমের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর শিক্ষা দেয়। ১০ই মহররম শুধু মুসলমানদের জন্যই নয় বরং পূর্ববর্তী সকল উম্মতের কাছে ও একটি মর্যাদা পূর্ণদিন, যা ঐতিহাসিক অনেক ঘটনার স্বাক্ষ্য বহন করে।
তিনি বলেন, এই দিনেই আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পৃথিবী সৃষ্টিসহ ১০জন নবী ও রাসূলকে বিভিন্ন নিয়ামত দানও বিপদ-মুসিবত থেকে রক্ষা করে ছিলেন। ৬১হিজরীর এইদিনে অত্যাচারী শাসক ইয়াজিদের অন্যায়, অত্যাচার ও ইসলামের মুলনীতি লঙ্ঘনের প্রতিবাদ করতে গিয়ে রাসূল (সা.) এর দৌহিত্র ইমাম হোসাইন (রা) স্ব-পরিবারে কারবালার ময়দানে শাহাদাত বরণ করেন। মূলত কারবালার লড়াই ছিল জালিম শাসকের বিরুদ্ধে মজলুমের লড়াই। ইমাম হুসাইন(রা.) স্ব-পরিবারে শাহাদতের মাধ্যমে দুনিয়াবাসীকে জানিয়ে গেছেন পার্থিব স্বার্থের কাছে কোনো মুমিন মাথানত করতে পারেনা। ফলে আশুরা প্রতিটি মুসলমানকে ত্যাগের মাধ্যমে দ্বীন প্রতিষ্ঠার কঠিন ময়দানে টিকে থাকার শিক্ষা দেয়। তাই আমাদের জাতীয় জীবনে সকল অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়ে সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে আশুরার মহান শিক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা দেশে এমন এক ইনসাফপূর্ণ সমাজ কায়েম করতে চাই, যেখানে মানুষে মানুষে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। রাষ্ট্রই প্রত্যেক নাগরিকের সকল সমস্যার সমাধান করবে। রাষ্ট্রের সকল ক্ষেত্রেই আইনের শাসন ও সামাজিক ন্যায়-বিচার নিশ্চিত হবে। আমরা তেমনি এক শান্তির সমাজ প্রতিষ্ঠায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। মূলত, আল্লাহর আইনই নির্ভূল। তাই দুনিয়ায় শান্তি ও আখেরাতে মুক্তির দেশে আল্লাহর আইন ও সৎলোকের শাসন প্রতিষ্ঠার কোন বিকল্প নেই। কারণ, মানুষের তৈরি বিধান দিয়ে মানুষের কল্যাণ কোন ভাবেই সম্ভব নয়। তিনি জুলাই বিপ্লবকে অর্থবহ করতে গণহত্যাকারীদের বিচার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোর দাবি জানান। অন্যথায় ফ্যাসীবাদ নতুন রূপে ফিরে আসবে।
আলোচনা শেষে মুসলিম উম্মাহর জন্য শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
কাফি