জাতীয়
ডেঙ্গু পরীক্ষার ফি নির্ধারণ করলো সরকার

ডেঙ্গু শনাক্তে চার ধরনের পরীক্ষার সর্বোচ্চ মূল্য নির্ধারণ করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। আজ সোমবার (৩০ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী, সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গুর মূল পরীক্ষা এনএসওয়ান (NS1)-এর জন্য সর্বোচ্চ ৫০ টাকা নেওয়া যাবে। এ ছাড়া আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষার মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৫০ টাকা।
বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের জন্য এনএসওয়ান, আইজিজি ও আইজিএম পরীক্ষায় সর্বোচ্চ ৩০০ টাকার। এ ছাড়া সিবিসি পরীক্ষার মূল্য হবে ৪০০ টাকা।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পরিচালক (হাসপাতাল ও ক্লিনিক সমূহ) ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। এতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবু জাফরের অনুমোদন রয়েছে।
এছাড়া আরও তিনটি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় অস্থায়ী ভিত্তিতে দুটি অ্যাম্বুল্যান্স প্রদান, জনসচেতনা সৃষ্টিতে প্রচারণা চালানো ও বরগুনা জেলায় ডেঙ্গু রোগের চিকিৎসার্থে এবং প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

জাতীয়
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে: প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, সমাজে বিদ্যমান শৃঙ্খলা, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে কেউ যেন নষ্ট করতে না পারে সেজন্য সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ছাত্র-শ্রমিক-জনতার ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে গঠিত অন্তর্বর্তী সরকার সম্প্রীতির এই বন্ধনকে অটুট রাখতে বদ্ধপরিকর।
শুভ জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দেওয়া এক বাণীতে প্রধান উপদেষ্টা এসব কথা বলেন। তিনি জন্মাষ্টমী উপলক্ষ্যে দেশের সনাতন ধর্মাবলম্বী সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
ড. ইউনূস বলেন, ধর্মাবতার শ্রীকৃষ্ণের জন্মতিথি ‘শুভ জন্মাষ্টমী’ হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। সমাজে সাম্য ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে শ্রীকৃষ্ণ আজীবন ন্যায়, মানবপ্রেম ও শান্তির বাণী প্রচার করেছেন। শ্রীকৃষ্ণ যেখানেই অন্যায়-অবিচার দেখেছেন, সেখানেই অপশক্তির হাত থেকে শুভশক্তিকে রক্ষার জন্য আবির্ভূত হয়েছেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি আমাদের সংস্কৃতির অনন্য বৈশিষ্ট্য। আবহমানকাল থেকে এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করছে।
শ্রীকৃষ্ণের আদর্শ ও শিক্ষা পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও ভ্রাতৃত্বের বন্ধনকে আরও সুদৃঢ় করবে উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে ভরপুর বৈষম্যমুক্ত এক নতুন বাংলাদেশ গড়ার আহ্বান জানান।
জাতীয়
ডিএমপিতে চালু হলো অনলাইন জিডি

পুলিশি সেবা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। এরই অংশ হিসেবে গত ১০ আগস্ট থেকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সব থানায় অনলাইন জিডি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এখন থেকে যে কেউ ঘরে বসেই অনলাইনে করতে পারবেন সাধারণ ডায়েরি (জিডি)।
গুগল প্লে স্টোর থেকে অনলাইন জিডি (Online GD) অ্যাপটি ডাউনলোড করে নির্দেশনা মোতাবেক স্মার্টফোনের মাধ্যমে সহজেই করা যাবে জিডি।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলি রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য জানান।
তিনি জানান, থানায় নিয়মিত জিডির মতোই এতে একজন আবেদনকারী একটি জিডি নম্বর প্রাপ্ত হবেন এবং জিডি সংক্রান্ত হালনাগাদ তথ্যও পাবেন। ব্যবহারকারীর নিবন্ধিত মোবাইল নম্বর ও জাতীয় পরিচয়পত্র যাচাইয়ের মাধ্যমে আবেদনকারীর তথ্য সংরক্ষণ করা হয় বিধায় এতে ব্যক্তিগত গোপনীয়তাও বজায় থাকে।
অনলাইন জিডির মাধ্যমে পুলিশের কাজের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি বৃদ্ধির পাশাপাশি নাগরিকদের মূল্যবান সময়ও সাশ্রয় হবে। কেবল জিডি করাই নয়, জিডির ভিত্তিতে পুলিশ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে জানার সুযোগ থাকায় এটি নাগরিক জীবনে স্বস্তিও বয়ে আনবে। অনলাইন জিডির পাশাপাশি প্রচলিতভাবেও জিডি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
জাতীয়
জলাধার, মাঠ-পার্ক সংরক্ষণে বিভিন্ন সংস্থায় ডিএনসিসির চিঠি

জলাধার, মাঠ ও পার্ক সংরক্ষণে বিভিন্ন সংস্থায় চিঠি পাঠিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি)।
রাজধানীর পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান রক্ষায় পার্ক, খেলার মাঠ ও জলাধার সংরক্ষণে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) প্রণীত ‘বিশদ অঞ্চল পরিকল্পনা (ড্যাপ) ২০২২-২০৩৫’-এ প্রস্তাবিত এসব স্থানের জমি ক্রয়-বিক্রয় ও ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন রোধে সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোতে চিঠি পাঠিয়েছে সংস্থাটি।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) ডিএনসিসির জোবায়ের হোসেন জানিয়েছেন, সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে ভূমি মন্ত্রণালয়, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ, রাজউক, সহকারী কমিশনার (ভূমি), সাবরেজিস্ট্রার, রেজিস্ট্রার ও জেলা প্রশাসকদের কার্যালয়ে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, নগরের বাসযোগ্যতা বজায় রাখা ও টেকসই উন্নয়নের জন্য পার্ক, খেলার মাঠ, জলকেন্দ্রিক পার্ক ও জলাধার সংরক্ষণ অত্যন্ত জরুরি।
চিঠিতে প্রস্তাবিত এসব স্থানের ভূমি ব্যবহার পরিবর্তন না করা, খাজনা আদায় সংক্রান্ত বিধি আরোপ এবং ক্রয়-বিক্রয় বন্ধ করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
এর আগে ডিএনসিসির ৫ম বোর্ড সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়। এ অনুসারে প্রস্তাবিত পার্ক ও জলকেন্দ্রিক পার্কের স্থানে সচেতনতামূলক সাইনবোর্ড স্থাপন এবং অননুমোদিত দখল ও ব্যবহার রোধে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
ডিএনসিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ইতোমধ্যে আফতাবনগর সংলগ্ন বাড্ডা এলাকার সাঁতারকুল, বাড্ডা ও সুতিভোলা মৌজার প্রায় ১৫০ একর জলকেন্দ্রিক পার্কের প্রস্তাবিত স্থানে সাইনবোর্ড স্থাপন সম্পন্ন হয়েছে।
একইভাবে বৃহত্তর মিরপুরের বাউনিয়া, সেনপাড়া পর্বতা, বিশিল, পাইকপাড়া, নন্দারবাগ, বড় সায়েক, মিরপুর ও নবাবের বাগ এলাকায় প্রায় ৭৫৯ একর, কাফরুলের লালাসরাই এলাকায় ১৮.১১ একর, ক্যান্টনমেন্ট থানার জোয়ার সাহারায় ৪৩.২৯ একর, মিরপুরে ৫৮৭ একর, বাড্ডা-ভাটারা-সাঁতারকুল, বাড্ডা ও সুতিভোলায় ১৮৫.২৩ একর, খিলগাঁও এলাকায় ১৭০.৫০ একর, তুরাগের বাউনিয়ায় ১৯৭.২৬ একর, পল্লবীর মারুলে ২৪.৬১ একর এবং দক্ষিণ খান, উত্তর খান ও বরুয়া এলাকায় ৭১.২৬ একর জমিতে প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠে সাইনবোর্ড স্থাপনের কাজ চলমান রয়েছে।
মোট প্রায় ১,৫০০ একর প্রস্তাবিত জলাধার, পার্ক ও খেলার মাঠ সংরক্ষণে এসব উদ্যোগ বাস্তবায়িত হলে নগরের পরিবেশ, জীববৈচিত্র্য ও নাগরিক জীবনমান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হবে বলে মনে করে ডিএনসিসি।
জাতীয়
দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোনো সুযোগ নেই: ধর্ম উপদেষ্টা

জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার কোনো সুযোগ নেই বলে উল্লেখ করেছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন করতে সরকারের পাশাপাশি সব বাহিনী প্রস্তুতি নিচ্ছে।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) দুপুরে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার লাউরেরঘর এলাকায় শ্রী শ্রী অদ্বৈতচার্য মন্দির কমপ্লেক্স নির্মাণ কাজ পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, সরকার নির্বাচনী রোডম্যাপ ঘোষণা করেছে। নির্বাচন কমিশন সেই অনুযায়ী কাজ করবে। এরই মধ্যে পুলিশের ট্রেনিং, সেনাবাহিনীর কতজন লোক থাকবে সেই কাজও শুরু হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রত্যাশা, নির্ধারিত তারিখে এই সরকার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পূর্ণ করতে পারবে। নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে আমরা পুরোনো ঠিকানায় চলে যাবো।
এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসেন, তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মেহেদী হাসান মানিক প্রমুখ।
জাতীয়
চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে ঢাকায় তেল, উদ্বোধন শনিবার

দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম থেকে পাইপলাইনে ঢাকায় জ্বালানি তেল আসবে। আগামী শনিবার (১৬ আগস্ট) সকালে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদষ্টো ফাওজুল কবির খান চট্টগ্রামে এসে গুপ্তাখালস্থ পদ্মা অয়েল কোম্পানির ডেসপাস টার্মিনালে পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।
অনুষ্ঠানে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ইঞ্জিনিয়ার ইন চিফ মেজর জেনারেল মুহাম্মদ হাসান উজজামান বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের এ কার্যক্রম দেশের জ্বালানি খাতের ইতিহাসে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার পাশাপাশি তেল চুরি এবং অপচয় ঠেকানোসহ কোটি কোটি টাকা সাশ্রয় করবে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। এর আগে পরীক্ষামূলকভাবে বেশ কয়েক দফায় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হয়।
কর্মকর্তারা জানান, আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের পর থেকে এ পাইপ লাইন ব্যবহার করে তিনটি তেল বিপণন কোম্পানি জ্বালানি তেল সরবরাহ সর্বাধুনিক প্রযুক্তিসমৃদ্ধ অটোমেটেড ডিপো। সর্বাধুনিক এই ডিপো থেকে চাঁদপুর, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ সন্নিহিত অঞ্চলের প্রয়োজনীয় জ্বালানি তেল সরবরাহ করা হবে। যা এখন নৌপথে চাঁদপুরে পাঠানো হয়ে থাকে।
এ ডিপোতে জ্বালানি তেল গ্রহণ এবং সরবরাহ সবকিছু নিয়নি্ত্রত হবে সর্বাধুনিক প্রযুক্তিতে। তেলের ওজন, তাপমাত্রা, সরবরাহ সবই পরিচালিত হবে কম্পিউটারাইজড প্রযুক্তিতে। ম্যানুয়েলি কোনো কাজই হবে না। চট্টগ্রামের ডেসপ্যাচ টার্মিনালের স্ক্যাডা মাস্টার কন্ট্রোল স্টেশন থেকেই পুরো পাইপলাইনের কার্যক্রম নিয়ন্ত্রণ এবং পরিচালনা করা হবে।
স্ক্যাডা, টেলিকমিউনিকেশন এবং লিক ডিটেকশন করতে এ পাইপ লাইনের সাথে অপটিক্যাল ফাইবার ক্যাবল লাইন সংযক্ত রয়েছে। ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের ২৪১ কিলোমিটার অংশে ১৬ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপ বসানো হয়েছে, যা পতেঙ্গা থেকে নারায়ণগঞ্জের গোদনাইল পর্যনত্ম বিসত্মৃত । পাশাপাশি, গোদনাইল থেকে ফতুলস্না ডিপো পর্যনত্ম ৮ দশমিক ২৯ কিলোমিটার পৃথক ১০ ইঞ্চি ব্যাসের পাইপলাইন স্থাপন করা হয়েছে।