অর্থনীতি
ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণসহ আর্থিক নিরীক্ষায় স্বাধীনতা ছিল না: আইসিএবি

ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণসহ আর্থিক নিরীক্ষায় আমাদের স্বাধীনতা ছিল না। বিভিন্ন চাপের মুখে নিরীক্ষকদের হাত-পা বাঁধা ছিল। আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন প্রকাশে আমরা বাংলাদেশ ব্যাংক ও আদালতের রায় উপেক্ষা করতে পারিনি। ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিষ্ঠানটির কাউন্সিল বা পর্ষদ সদস্য মেহেদি হাসান এসব কথা বলেন।
মেহেদি হাসান বলেন, ব্যাংক খাতের কোন ঋণকে খেলাপি ঋণ হিসেবে গণ্য করা হবে, সেই মানদণ্ড নির্ধারণ করে দিত বাংলাদেশ ব্যাংক। সেটি অনুসরণ করে বিগত সময়ে ব্যাংকগুলোর আর্থিক নিরীক্ষা প্রতিবেদন তৈরি করতে হতো।’ তিনি আরও বলেন, ‘কারও কারও ব্যক্তিগত ব্যর্থতা আমরা অভ্যন্তরীণ প্রতিবেদনে তুলে ধরেছি। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতিমালার বাইরে গিয়ে আমাদের কিছু করার সুযোগ ছিল না।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে দ্য ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএবি) আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন আইসিএবি’র সভাপতি মারিয়া হাওলাদার। উপস্থিত ছিলেন আইসিএবি’র সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিন, কাউন্সিল সদস্য মো. শাহাদাত হোসেন, মো. মনিরুজ্জামান, মোহাম্মদ মেহেদী হাসান, সাব্বির আহমেদ ও জেরিন মাহমুদ হোসেন প্রমুখ।
আর্থিক খাতের বিশেষ করে ব্যাংক ও ব্যাংকবহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে অনেক অনিয়ম-দুর্নীতি হয়েছে কিন্তু অডিট রিপোর্টে প্রকাশ পায়নি— এই দায় কার? সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইসিএবির কাউন্সিল সদস্য মোহাম্মদ মেহেদী হাসান জানান, তখন আমরা অনেক কিছু দেখেছি কিন্তু প্রকাশ করতে পারিনি কারণ আমাদের হাত-পা বাঁধা ছিল।
উদাহরণ হিসেবে তিনি জানান, ঋণ খেলাপি হয়েছে দেখেছি কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়মনীতি বলে দিয়েছে এটি খেলাপি দেখানো যাবে না। আবার অনেক ঋণ গ্রহীতা খেলাপি হওয়ার পর আদালতে গেছেন বিচারক বলে দিয়েছেন ঋণ খেলাপি করা যাবে না; ওই সময় আমাদের কিছু করার ছিল না।
তিনি জানান, আমরা প্রকাশ্য রিপোর্টে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে না পারলেও অভ্যন্তরীণ বা ইন্টার্নাল রিপোর্টে সব তথ্য দিয়েছি। কিন্তু এসব তথ্য সাধারণের কাছে প্রকাশ করা আমাদের এখতিয়ার বহির্ভূত, তাই জানাতে পারিনি।
তার এই অভিযোগকে সমর্থন করে সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ ফোরকান উদ্দিনসহ চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের অন্যান্য সদস্যরাও দাবি করেন, ব্যাংকের ইচ্ছামতো অডিট রিপোর্ট তৈরি করতে বাধ্য করা হয়েছে। কারো ঘাড়ে একাধিক মাথা ছিল না যে তাদের দাবি না মেনে প্রকৃত রিপোর্ট প্রকাশ করবে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে খেলাপি ঋণের হার নির্ধারণ করে দিয়ে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর কাছে লিখিত চিঠি পাঠানো হতো বলেও দাবি সংগঠনটির। প্রকৃত তথ্য লুকানোর কারণে আর্থিক খাতের যে দুরবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এজন্য সরাসরি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিয়মনীতি ও অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগকে দায়ী করেন আইসিএবি’র সদস্যরা।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে আসন্ন ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে সার্টিফাইড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টকে (সিএমএ) অডিট ক্ষমতা প্রদানের দাবি জানায় দি ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি)। দেশের আর্থিক খাতের দুর্বলতা, অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা দূরীকরণে ও সুশাসন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ দাবি জানায় সংগঠনটি।
আইসিএমএবি’র প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন আহমেদ বলেন, সিএমএ সদস্যদেরকে একক মালিকানা, পার্টনারশিপ, এনজিও, ট্রাস্ট, এসএমই ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান যেগুলো চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আওতার বাইরে, সেগুলো নিরীক্ষার অনুমতি দেওয়া আবশ্যক। যা এফআরসি বিধিমালার শিডিউল ১ এর (গ)-তে বর্ণিত। অতএব, এনবিআর, জ্বালানি নিয়ন্ত্রক সংস্থা, দাতা সংস্থা এবং তহবিল নিরীক্ষা (যেমন- ডব্লিউপিপিএফ, গ্র্যাচুইটি) এর আওতাধীন নিরীক্ষা কাজগুলোও সিএমএদের জন্য উন্মুক্ত করা ও বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।
আইসিএমএবি’র আর্থিক বিবরণী নিরীক্ষার দাবির বিরোধিতা করে আইসিএবি। সংগঠনটি জানায়, বাংলাদেশে চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট তৈরি ও তাদের মাধ্যমে অডিট করার দায়িত্ব একমাত্র আইসিএবি’র। এই সংস্থার পাঠ্যক্রম ও পরীক্ষা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড (আইএফএসি) অনুসরণ করে। ফলে এখান থেকে পাস করা অডিটররা দক্ষ ও যোগ্য হন।
আইসিএবি জানায়, আন্তর্জাতিক মান বজায় রেখে আর্থিক প্রতিবেদন নিরীক্ষার জন্য দেশে কেবল চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টদের আইনি স্বীকৃতি রয়েছে। তারা নিয়মিতভাবে গুণগত মান নিশ্চিতে কাজ করে। এ জন্য রয়েছে আলাদা কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স বিভাগ, তদন্ত ও শৃঙ্খলা কমিটি।
তারা আরও জানায়, কস্ট অডিটের ক্ষেত্রে কোম্পানি আইনে আইসিএমএবি’র সদস্যদের সুযোগ থাকলেও এ বিষয়ে কোনো বাস্তব অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। এই কাজে আইসিএবি সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।
সংগঠনটি বলছে, অডিট পেশার মান ধরে রাখা এবং দেশের স্বার্থে সবাইকে নিয়ে সহযোগিতার পরিবেশ গড়ে তুলতে তারা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
আইসিএবি সভাপতি বলেন, দেশের অর্থনীতি এগিয়ে নিতে অপপ্রচার বন্ধ করে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমরা চাই সবাই মিলে অ্যাকাউন্টিং পেশাসহ এই কঠিন পরিস্থিতির মোকাবেলা করি।

অর্থনীতি
সবজিতে স্বস্তি, বেড়েছে মাছ-মুরগির দাম

রাজধানীর বাজারে সবজির সরবরাহ ভালো থাকায় কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত কমেছে দাম, এতে সাধারণ ভোক্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে বিপরীত চিত্র মুরগি ও মাছের বাজারে, যেখানে কেজিপ্রতি ১০ থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে দাম।
শুক্রবার (২০ জুন) সকালে তালতলা ও আগারগাঁও বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়, বরবটি ৫০ টাকা, দেশি পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ধুন্দুল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, কচুর লতি ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কচুর মুখী ৬০ টাকা, সাজনা ডাটা ১০০ টাকা, ঝিঙ্গা ৬০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা, কাঁচামরিচ ৬০ থেকে ৮০ টাকা, কাঁচা আম ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
এছাড়াও ছোট ফুলকপি প্রতি পিস ৫০ টাকা, লাউ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৬০ টাকা, ইন্ডিয়ান গাজর ১২০ টাকা, মুলা ৫০ টাকা, দেশি শসা ৫০ টাকা এবং হাইব্রিড শসা ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারে লাল শাক ১০ টাকা আঁটি, লাউ শাক ৩০ থেকে ৪০ টাকা, কলমি শাক দুই আঁটি ২০ টাকা, পুঁই শাক ৩০ টাকা এবং ডাটা শাক দুই আঁটি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আলু ২৫ টাকা, দেশি পেঁয়াজ ৫৫ টাকা এবং ইন্ডিয়ান পেঁয়াজ ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মুরগির বাজারে সোনালি কক মুরগি কেজিতে ৬০ টাকা বেড়ে ৩৩০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, লাল লেয়ার ৩১০ টাকা, সাদা লেয়ার ৩০০ টাকা, ব্রয়লার ১৬০ টাকা এবং দেশি মুরগি ৬৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা গেছে। এক কেজি ওজনের ইলিশ ২,৬০০ টাকা, ৭০০ গ্রাম ইলিশ ২,৪০০ টাকা, চাষের শিং মাছ ৩০০ থেকে ৪০০ টাকা, দেশি শিং ১,০০০ টাকা, রুই ৩৫০ থেকে ৪৫০ টাকা, দেশি মাগুর ৮০০ থেকে ১,০০০ টাকা, মৃগেল ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, চাষের পাঙ্গাস ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, চিংড়ি ৮০০ থেকে ১,২০০ টাকা, বোয়াল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বড় কাতল ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কৈ মাছ ২২০ থেকে ২৩০ টাকা, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ১,৩০০ টাকা, টেংরা মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৫০০ টাকা এবং পাঁচ মিশালি মাছ ২২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
মাংসের বাজারে গরুর মাংস ৭৮০ থেকে ৮০০ টাকা, গরুর কলিজা ৮০০ টাকা, মাথার মাংস ৪৫০ টাকা, বট ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা এবং খাসির মাংস ১,২০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। আদা বিক্রি হচ্ছে ১৩০ থেকে ২০০ টাকা, দেশি রসুন ১৩০ টাকা, ইন্ডিয়ান রসুন ১৮০ টাকা, দেশি মশুর ডাল ১৪০ টাকা, মুগ ডাল ১৮০ টাকা, ছোলা ১১০ টাকা এবং খেসারির ডাল ১৩০ টাকা কেজিতে। চালের বাজারে মিনি কেট ৮২ থেকে ৯২ টাকা, নাজিরশাইল ৮৪ থেকে ৯০ টাকা, স্বর্ণা ৫৫ টাকা এবং চাল ‘২৮’ বিক্রি হচ্ছে ৬৫ টাকা কেজি দরে। ডিমের বাজারে লাল ডিম ডজনপ্রতি ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২২০ টাকা এবং দেশি মুরগির ডিমের হালি বিক্রি হচ্ছে ৯০ টাকায়।
অর্থনীতি
এনবিআর সংস্কারে ৬ সদস্যের কমিটি

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সংস্কারে সবে ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণে ছয় সদস্যের সমন্বয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনবিআর সদস্য (কর লিগ্যাল ও এনফোর্সমেন্ট) ব্যারিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকীকে প্রধান সমন্বয়কারী করে এই কমিটি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) এনবিআরের প্রথম সচিব (বোর্ড প্রশাসন) মো. জাহিদ নেওয়াজের সই করা এই আদেশ জারি করা হয়েছে।
কমিটির সদস্যরা হলেন- সদস্য (কর প্রশাসন ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা) জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ, সদস্য (কাস্টমস ও ভ্যাট প্রশাসন) ফারজানা আফরোজ, সদস্য (কর অডিট ইন্টেলিজেন্স ও ইনভেস্টিগেশন) মো. আলমগীর হোসেন, সদস্য (কাস্টমস নিরীক্ষা, আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) কাজী মোস্তাফিজুর রহমান, সদস্য (মূসক নীতি) ড. মো. আব্দুর রউফ।
আদেশে বলা হয়েছে, উপদেষ্টার দপ্তর, অর্থ মন্ত্রণালয় ‘রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫’ বাস্তবায়ন ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে একটি স্বতন্ত্র ও বিশেষায়িত বিভাগের মর্যাদায় উন্নীত করার প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে রাজস্ব নীতি পৃথকীকরণের কাঠামো প্রণয়নের লক্ষ্যে জাতীয় রাজস্ববিষয়ক পরামর্শক কমিটি ও গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনের সঙ্গে আলোচনার নির্দেশনা ২৫ মে প্রদান করা হয়।
এরই ধারাবাহিকতায় এনবিআরের বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ) ও বিসিএস (কর) ক্যাডারের ছয়জন সদস্যদের সমন্বয়ে একটি কমিটি গঠন করা হলো, যারা এ সংক্রান্ত সব কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার পদক্ষেপ সমন্বয় করবেন। এই কমিটি রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সঙ্গে সমন্বিতভাবে সভায় মিলিত হয়ে কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণ করবেন। পরবর্তীতে করণীয় নির্ধারণ করার জন্য বিসিএস (কর) এবং বিসিএস (কাস্টমস ও ভ্যাট এক্সাইজ) ক্যাডারের প্রতিনিধিদের সঙ্গে পরামর্শক্রমে উপদেষ্টার সঙ্গে সভায় মিলিত হবেন।
এনবিআর বিলুপ্ত করে গত ১২ মে মধ্যরাতে রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ জারি করা হয়। এই অধ্যাদেশ বাতিল ও টেকসই রাজস্ব সংস্কারসহ মোট চার দফা দাবিতে ১৪ মে থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধাপে ধাপে ২৫ মে পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। ২৫ মে রাতে অর্থ উপদেষ্টার দপ্তর থেকে একটি প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
এনবিআর বিলুপ্তির অধ্যাদেশ বাতিলসহ চার দফা দাবিতে চলা আন্দোলন কর্মসূচি ১৩ দিন পর প্রত্যাহার করা হয়। চারটি দাবির মধ্যে তিনটি দাবি পূরণ হওয়ায় কর্মবিরতি প্রত্যাহার করা হয়। তবে চেয়ারম্যানের অপসারণের দাবিতে অনড় রয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
গত ২৫ মে রাতে ঐক্য পরিষদ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
এর আগে, অর্থ উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি জারি করে দাবি মেনে নেওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়।
ঐক্য পরিষদের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১২ মে মধ্যরাতে জারি হওয়া রাজস্ব নীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা অধ্যাদেশ, ২০২৫ বাতিলসহ মোট চার দফা দাবিতে গত ১৪ মে থেকে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের আহ্বানে সারা দেশের কাস্টমস, ভ্যাট ও ট্যাক্স বিভাগের সব স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ধাপে ধাপে আজ পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন।
ঐক্য পরিষদের চারটি দাবি হলো—অধ্যাদেশ অবিলম্বে বাতিল করা, অবিলম্বে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা, রাজস্ব সংস্কারবিষয়ক পরামর্শক কমিটির সুপারিশ জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃক প্রস্তাবিত খসড়া এবং পরামর্শক কমিটির সুপারিশ আলোচনা-পর্যালোচনাপূর্বক প্রত্যাশী সংস্থা, ব্যবসায়ী সংগঠন, সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক নেতৃত্বসহ সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের মতামত নিয়ে উপযুক্ত ও টেকসই রাজস্ব ব্যবস্থা সংস্কার নিশ্চিত করা।
অর্থনীতি
বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কায় তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান

তথ্য-প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) সভাপতি তাসকীন আহমেদের নেতৃত্বে শ্রীলঙ্কায় সফররত বাণিজ্য প্রতিনিধিদলের সদস্যরা বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) কলম্বোয় দেশটির উপ-পররাষ্ট্র ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র এবং উপ-অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমার সঙ্গে তাদের মন্ত্রণালয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে গেলে তারা এ আহ্বান জানান।
সাক্ষাৎকালে শ্রীলঙ্কার উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরুন হেমাচন্দ্র বলেন, দুদেশের বেসরকারিখাতের সম্পর্ক উন্নয়নের মাধ্যমে আগামীতে শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের মধ্যকার বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়বে।
বাংলাদেশের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি (এফটিএ) স্বাক্ষরের বিষয়ে তিনি জানান, শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে থাইল্যান্ড এবং সিঙ্গাপুরের সঙ্গে এফটিএ স্বাক্ষর করেছে। বাংলাদেশে সঙ্গে এফটিএ-এর সম্ভাব্য সুফল ও ঝুঁকি নিয়ে বর্তমানে বিশ্লেষণ চলছে। তিনি বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের তার দেশের সম্ভাবনাময় খাতসমূহে বিনিয়োগের আহ্বান জানান এবং এ লক্ষ্যে সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎকালে ডিসিসিআই সভাপতি তাসকীন আহমেদ জানান, ভূ-রাজনৈতিক কারণে বর্তমানে বৈশ্বিক বাণিজ্যের ধারা পরিবর্তন হচ্ছে। দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার খুলছে।
তিনি বলেন, যদিও বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় বৃহত্তম তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক, তবে প্রযুক্তি, পণ্যের মূল্য সংযোজন এবং উদ্ভাবনের দিক থেকে শ্রীলঙ্কা বেশ এগিয়ে রয়েছে। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যেরও প্রচুর সম্ভাবনা রয়েছে। যেখানে দুদেশের বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগে ইতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে।
ডিসিসিআই সভাপতি আরও বলেন, বন্ধুত্বপূর্ণ উভয় দেশের মধ্যে একটি এফটিএ সই হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য এবং জনগণের মধ্যকার সংযোগ আরও সুদৃঢ় হবে।
তিনি জানান, বাংলাদেশি প্রতিষ্ঠানগুলো শ্রীলঙ্কার ব্যবসায়িক অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করতে অত্যন্ত আগ্রহী এবং শ্রীলঙ্কার উদ্যোক্তারাও বাংলাদেশে বিনিয়োগে এগিয়ে আসবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ঢাকা চেম্বারের সাবেক সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার অর্থনীতি প্রায় একই ধাঁচের, যেখানে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্য চুক্তি (পিটিএ) বাস্তবিক অর্থে ততটা কার্যকর হবে না, এক্ষেত্রে পূর্ণাঙ্গ মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি সই হলে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য আরও ত্বরান্বিত হবে।
পৃথক বৈঠকে শ্রীলঙ্কারর উপ-অর্থ ও পরিকল্পনা মন্ত্রী ড. হর্ষনা সুরিয়াপেরুমা বলেন, আমাদের একসঙ্গে কাজ করার অবারিত সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে তথ্য-প্রযুক্তি ও ডিজিটাল সেবা, ওষুধ, চা, জ্বালানি, আর্থিক সেবা এবং পর্যটন খাত যৌথ বিনিয়োগের জন্য প্রচুর সম্ভাবনাময়।
তিনি জানান, শ্রীলঙ্কা এরই মধ্যে একটি উচ্চাভিলাষী ডিজিটাল রোডম্যাপ প্রণয়ন করেছে এবং এই পরিকল্পনার অধীনে আগামী দুই বছরের মধ্যে দেশকে একটি পূর্ণাঙ্গ ডিজিটাল রাষ্ট্রে রূপান্তর এবং প্রতিটি সেবা স্বয়ংক্রিয় করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, শ্রীলঙ্কায় অত্যাধুনিক ডেটা সেন্টার স্থাপনের ব্যাপারে সরকারের পক্ষ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে, যেখানে বাংলাদেশের উদ্যোক্তারা এগিয়ে আসতে পারেন। এছাড়াও, তিনি বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের শ্রীলঙ্কার ওষুধ শিল্পে বিনিয়োগের আহ্বান জানান, যাতে দেশটির স্থানীয় চাহিদা পূরণ করা সম্ভব হবে।
এসময় ডিসিসিআইয়ের ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী এবং সহ-সভাপতি সালিম সোলায়মান উপস্থিত ছিলেন।
অর্থনীতি
সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের অর্থ জমা বেড়েছে ৩৩ গুণ

ইউরোপের দেশ সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে জমা থাকা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে। যেখানে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ গুণের বেশি।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) সুইজারল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুইস ন্যাশনাল ব্যাংক (এসএনবি) বিশ্বের সব দেশের সঙ্গে ২০২৪ সালে তাদের দেশের ব্যাংকগুলোর দায় ও সম্পদের পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে।
প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২৪ সাল শেষে সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের কাছে বাংলাদেশের নামে পাওনা রয়েছে ৫৯ কোটি ৮২ লাখ সুইস ফ্রাঁ বা ৫৮৯৫৪৪ মিলিয়ন ফ্রাঁ। বাংলাদেশি মুদ্রায় (প্রতি ফ্রাঁ ১৫০ টাকা ধরে) যার পরিমাণ ৮ হাজার ৯৭২ কোটি টাকা। ২০২৩ সাল শেষে যার পরিমাণ মাত্র ছিল ১৭৭১৩ মিলিয়ন ফ্রাঁ। এ হিসাবে জমা অর্থের পরিমাণ বেড়েছে ৩৩ গুণের বেশি।
সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে দায়ের মধ্যে বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, আমনাতকারীদের পাওনা এবং পুঁজিবাজারে বাংলাদেশের নামে বিনিয়োগের অর্থ রয়েছে। এর মধ্যে ৯৫ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের ব্যাংকগুলোর পাওনা, যা বাণিজ্যকেন্দ্রিক অর্থ বলে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
অভিযোগ আছে, সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকে থাকা অর্থের একটি অংশ পাচার করা সম্পদ হতে পারে। তবে এ বিষয়ে নিশ্চিতভাবে কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। গত কয়েক বছর ধরে সুইজারল্যান্ড বার্ষিক ব্যাংকিং পরিসংখ্যান প্রকাশ করছে।
জানা গেছে, অর্থপাচার নিয়ে বাংলাদেশের আর্থিক গোয়েন্দা ইউনিট বা বিএফআইইউ সুইজারল্যান্ডের এফআইইউর সঙ্গে কয়েক দফা যোগাযোগও করেছিল। কিন্তু ব্যক্তির তালিকা সম্বলিত কোনো তথ্য তারা দেয়নি।
সুইজারল্যান্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, অবৈধভাবে কেউ অর্থ নিয়ে গেছে এমন প্রমাণ সরবরাহ করলে তারা তথ্য দেওয়ার ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে পারে। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক বা প্রতিষ্ঠান যদি নিজের বদলে অন্য দেশের নামে অর্থ গচ্ছিত রাখে তাহলে তা সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোতে বাংলাদেশের নামে থাকা পরিসংখ্যানের মধ্যে আসেনি।
একইভাবে সুইস ব্যাংকে গচ্ছিত রাখা মূল্যবান শিল্পকর্ম, স্বর্ণ বা দুর্লভ সামগ্রীর আর্থিক মূল্যমান হিসাব করে এখানে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। অনেক দেশের নাগরিকই মূল্যবান সামগ্রী সুইজারল্যান্ডের বিভিন্ন ব্যাংকের ভল্টে রেখে থাকেন।
অর্থনীতি
দুই প্রকল্পে ১১ হাজার কোটি টাকা ঋণ দেবে এডিবি

ব্যাংকখাত শক্তিশালী করতে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় দুই প্রকল্পে বাংলাদেশকে ৯০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ অনুমোদন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ১১ হাজার কোটি টাকা।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলায় অবস্থিত এডিবির সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত বোর্ড সভায় এ ঋণ অনুমোদন দেওয়া হয়।
ঋণের অর্থের ৫০ কোটি ডলার ব্যাংকখাত সংস্কারে এবং ৪০ কোটি ডলার জলবায়ু সহনশীল ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। ৯০ কোটি মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রতি ডলার ১২২ দশমিক ২০ টাকা ধরে এ অর্থের পরিমাণ ১০ হাজার ৯৯৮ কোটি টাকা।
ব্যাংকখাতে ৫০ কোটি ডলার
এডিবির অনুমোদিত ৫০ কোটি ডলারের নীতিভিত্তিক ঋণটি ‘ব্যাংকখাত স্থিতিশীলকরণ ও সংস্কার কর্মসূচি, উপ-প্রকল্প ১’র আওতায় দেওয়া হয়েছে। এ ঋণের মূল লক্ষ্য বাংলাদেশের ব্যাংকখাতের নিয়ন্ত্রণমূলক তত্ত্বাবধান, করপোরেট সুশাসন, সম্পদের গুণগত মান এবং সার্বিক স্থিতিশীলতা বাড়ানো। এ কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশ ব্যাংকের তারল্য ব্যবস্থাপনা কাঠামো আরও কার্যকর হবে এবং ব্যাংকখাতের উল্লেখযোগ্য খেলাপি ঋণ সমাধানে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
এডিবির প্রধান আর্থিকখাত বিশেষজ্ঞ সঞ্জীব কৌশিক জানান, এ অর্থ নিয়ন্ত্রক সংস্থার সক্ষমতা বাড়াতে, ব্যাংকখাতের মূলধন বাড়াতে এবং ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি উদ্যোগের জন্য সাশ্রয়ী অর্থায়নের সুযোগ উন্নত করতে সহায়ক হবে। বাংলাদেশের ব্যাংকখাত মূলত শিল্প ও বৃহৎ ঋণগ্রহীতাদের ওপর নির্ভরশীল হওয়ায় সাধারণ মানুষ প্রায়শই ক্ষুদ্র ঋণ প্রতিষ্ঠানের ওপর নির্ভর করে। এ ঋণ কার্যকর আর্থিক মধ্যস্থতা নিশ্চিত করবে এবং আর্থিক অন্তর্ভুক্তির হার বাড়াতে সাহায্য করবে।
জলবায়ু সহনশীলতায় ৪০ কোটি ডলার
এডিবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অনুমোদন হলো ‘জলবায়ু-সহনশীল অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন কর্মসূচির’ দ্বিতীয় ধাপের জন্য ৪০ কোটি ডলার ঋণ।
এ কর্মসূচিতে ফ্রান্সের এজেন্স ফ্রান্সাইজ ডি ডেভলপমেন্ট (এএফডি) থেকে প্রায় ১১৩ মিলিয়ন ডলার এবং এশিয়ান ইনফ্রাস্ট্রাকচার ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংক (এআইআইডি) থেকে অতিরিক্ত ৪০০ মিলিয়ন ডলার সহ-অর্থায়ন রয়েছে। এ ঋণের মাধ্যমে বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় তার সক্ষমতা বাড়াতে, জলবায়ু গুরুত্বপূর্ণ খাতগুলোতে নির্গমন কমাতে এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নকে সহায়তা করতে পারবে।
এডিবির জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ সমীর কাঠিওয়াড়া বলেন, এ কর্মসূচি সরকারি সংস্থাগুলোর মধ্যে সমন্বয় বাড়াবে। জলবায়ু অর্থায়ন সংগ্রহে বাধা দূর করবে এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অভিযোজন ও প্রশমন প্রচেষ্টা জোরদার করবে। কর্মসূচির আওতায় ‘বাংলাদেশ জলবায়ু উন্নয়ন অংশীদারত্ব’ প্রতিষ্ঠিত হবে। যা জলবায়ু অর্থায়ন সুরক্ষিত করতে এবং সরকারি মন্ত্রণালয়গুলোকে জলবায়ু প্রকল্পগুলো আরও কার্যকরভাবে তৈরি, বাস্তবায়ন ও মূল্যায়নে সহায়তা করবে।
তিনি বলেন, এছাড়াও এটি স্থানীয় যুব-সম্পর্কিত এবং লিঙ্গ সংবেদনশীল অভিযোজন ব্যবস্থাগুলোকে শক্তিশালী করবে এবং শস্য বিমা ও দুর্যোগ ঝুঁকি বিমার মতো উপকরণসহ একটি জাতীয় দুর্যোগ ঝুঁকি অর্থায়ন কৌশলকে সমর্থন করবে।