পুঁজিবাজার
ব্লক মার্কেটে ১৬ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে ৩৬টি প্রতিষ্ঠান লেনদেনে অংশ নিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানের মোট ১৬ কোটি ৫৩ লাখ ২৮ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হতে দেখা গেছে দুই কোম্পানির শেয়ার।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-লাভেলো আইসক্রীম ও রেনাটা। আজ এই দুই কোম্পানির মোট লেনদেন হয়েছে ৭ কোটি ১৪ লাখ টাকারও বেশি।
সূত্রমতে, প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে লাভেলো আইসক্রীমের। এদিন কোম্পানিটির ৪ কোটি ৭০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এরপর লেনদেন হয়েছে রেনাটা ২ কোটি ৪৪ লাখ টাকার ।
অন্য প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে- ম্যারিকো ১ কোটি ৩৬ লাখ টাকার, টেকনো ড্রাগ ১ কোটি ২৩ লাখ টাকার এবং সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল ৭৫ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
কাফি

পুঁজিবাজার
ডিবিএইচ ফাইন্যান্সের ১৭ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ডিবিএইচ ফাইন্যান্স পিএলসি কর্তৃক ডিসেম্বর ৩১,২০২৪ তারিখে সমাপ্ত বছরের জন্য ১৫ শতাংশ নগদ ও ২ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ প্রদানের প্রস্তাব শেয়ারহোল্ডাররা অনুমোদন করেছে। সম্প্রতি ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্ম এ অনুষ্ঠিত ২৯তম বার্ষিক সাধারণ সভায় শেয়ারহোল্ডারা এ প্রস্তাব অনুমোদন দেয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন কোম্পানির চেয়ারম্যান আহমেদ মোশতাকুর রাজা চৌধুরী। সভায় ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ মঈন উদ্দিন আহমেদ এবং পরিচালকদের মধ্যে নাজির রহিম চৌধুরী, খন্দকার মনোয়ারুল ইসলাম, অধ্যাপক ইমরান রহমান, অধ্যাপক নওশীন রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও নাসিমুল বাতেন,
কোম্পানী সচিব জসিম উদ্দিন, এফসিএস, এবং সাধারণ শেয়ারহোল্ডারগন অংশ গ্রহন করেন।
সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের প্রশ্নের জবাবে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাসিমুল বাতেন প্রতিষ্ঠানটির পরিচালন দক্ষতা তুলে ধরেন এবং খেলাপী ঋণ নিয়ন্ত্রনে ডিবিএইচ’র সাফল্য উল্লেখ করে বলেন ডিবিএইচের খেলাপী ঋণ প্রতিষ্ঠানটির মোট ঋনের ০.৯৭% যা দেশের আর্থিক খাতের মধ্যে সর্বনিম্ন যা প্রতিষ্ঠানটিকে পরপর ২০ বছর সর্বোচ্চ ক্রেডিট রেটিং এএএ (ট্রিপল এ) পেতে ভূমিকা পালন করেছে। এর সাথে তিনি ডিবিএইচের বিভিন্ন সিএসআর প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করেন।
ডিবিএইচের চেয়ারম্যান মোশতাকুর রাজা চৌধুরী পরিচালকবৃন্দের প্রতিবেদন ও নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন। তিনি বৈশ্বিক মন্দাবস্থার কারণে সৃষ্ট প্রতিকুল অবস্থা সত্তেও কোম্পানীর আয় নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা এবং সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে যে সকল কর্মসূচী গ্রহন করা হয়েছে তা কোম্পানির আয়ে ইতিবাচক ভূমিকা রাখছে। ভবিষ্যতেও সাফল্যের এই ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
পুঁজিবাজার
ব্র্যাক ব্যাংকের ২৫ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন

ব্র্যাক ব্যাংক পিএলসির ২৬তম বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় শেয়ারহোল্ডারবৃন্দ ২০২৪ সালের জন্য ২৫ শতাংশ লভ্যাংশের অনুমোদন করেছে। যার সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ এবং সাড়ে ১২ শতাংশ স্টক ডিভিডেন্ড আকারে বণ্টিত হবে।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। বার্ষিক সাধারণ সভায় উল্লেখযোগ্যসংখ্যক শেয়ারহোল্ডার যোগ দেন।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসানের সভাপতিত্বে এজিএমে আরও উপস্থিত ছিলেন ভাইস চেয়ারপারসন ফারুক মঈনউদ্দীন আহমেদ এবং পরিচালকবৃন্দ- ফারজানা আহমেদ, আনিতা গাজী রহমান, চৌধুরী এমএকিউ সারওয়ার এবং লীলা রশিদ।
সভায় ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান ব্যাংকের প্রতি অবিচল আস্থা রাখার জন্য শেয়ারহোল্ডারদের ধন্যবাদ জানান। কোম্পানি সচিব এম মাহবুবুর রহমান, এফসিএস এজিএম পরিচালনা করেন।
সভায় শেয়ারহোল্ডারদের জানানো হয়, ২০২৪ সালে ব্র্যাক ব্যাংক সমন্বিতভাবে পূর্ববর্তী বছরের তুলনায় ৭৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করে ১ হাজার ৪৩২ কোটি টাকা কর-পরবর্তী নিট মুনাফা (এনপিএটি) করেছে, যা ২০২৩ সালে ছিল ৮২৮ কোটি টাকা। একক ভিত্তিতে কর-পরবর্তী নিট মুনাফা দাঁড়িয়েছে ১,২১৪ কোটি টাকায়, যেখানে আগের বছরের ৭৩০ কোটি টাকার তুলনায় প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৬৬ শতাংশ।
ব্যাংকটির চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান তাঁর বক্তব্যে সামষ্টিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও ব্যাংকের শক্তিশালী আর্থিক সক্ষমতার বিষয়টি তুলে ধরেন। তাঁর তুলে ধরা উল্লেখযোগ্য বিষয়গুলোর মধ্যে ছিল, ২০২৪ সালে একক ভিত্তিতে ব্যাংকটির গ্রাহক আমানতে ৩৪ শতাংশ এবং ঋণে ২০ প্রবৃদ্ধি অর্জন।
তিনি শেয়ারহোল্ডার, রেগুলেটর, সহকর্মী এবং স্টেকহোল্ডারদের তাঁদের সমর্থন এবং অবিচল আস্থার জন্য ধন্যবাদ জানান। পাশাপাশি তিনি ২০২৫ সালে ব্র্যাক ব্যাংক আরও বেশি সাফল্য অর্জন করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
পুঁজিবাজার
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নে বাংলাদেশ ব্যাংকের সঙ্গে বিএসইসির বৈঠক

পুঁজিবাজারের উন্নয়নে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকার মতিঝিলে অবস্থিত বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে দুপুর সাড়ে ১২টায় বৈঠকটি শুরু হয়। বৈঠকে বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের উপদেষ্টা মো. আহসান উল্লাহসহ ব্যাংকের শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, বাংলাদেশ সিকিউরিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খন্দকার রাশেদ মাকসুদ, কমিশনার ফারজানা লালারুখ ও বিএসইসির শীর্ষ কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।
বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৈঠকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের গুরুত্বপূর্ণ উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। পুঁজিবাজার থেকে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়ন তথা পুঁজি উত্তোলনের সুযোগকে প্রাধান্য দিয়ে দেশের অর্থনীতিতে ব্যাংক ঋণের উপর মাত্রাতিরিক্ত চাপ ও ঝুঁকি হ্রাসের মাধ্যমে সামষ্টিক অর্থনৈতিক উন্নয়ন নিশ্চিতের বিষয়টি এ সময় আলোচনা হয়।
এতে আরও বলা হয়, বৈঠকে কিভাবে ও কোন পদ্ধতিতে বা প্রক্রিয়া অনুসরণ করে পুঁজিবাজার হতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নে পুঁজি সরবরাহ করা যেতে পারে সে বিষয়েও বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়াও, দেশে একটি প্রাণবন্ত বন্ড মার্কেট প্রতিষ্ঠা এবং বন্ড মার্কেটের তারল্য বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়। একইসাথে উক্ত বিষয়গুলোর জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বাংলাদেশ সিকিউরিজি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের প্রতিনিধির সমন্বয়ে একটি যৌথ কমিটি গঠনের বিষয়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়। সমন্বিত ও যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে আগামীতে দীর্ঘমেয়াদী অর্থায়নের প্রধান উৎস হিসেবে পুঁজিবাজারকে সম্পূর্ণরূপে বিকশিত করে দেশের পুঁজিবাজারের সাথে সাথে দেশের সামগ্রিক অর্থনীতির বৈপ্লবিক পরিবর্তন সম্ভব হবে। সর্বোপরি, প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা বাস্তবায়নের বিষয়ে উক্ত বৈঠকে ফলপ্রসু এবং গঠনমূলক আলোচনা হয়।
উল্লেখ্য, প্রধান উপদেষ্টার সভাপত্বিত্বে গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় পুঁজিবাজারের সঠিক অবস্থা পর্যালোচনা এবং উন্নয়নে করণীয় নিয়ে একটি উচ্চপর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির চেয়ারম্যানসহ অর্থ উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী, আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব উক্ত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা পুঁজিবাজারের উন্নয়নে পাঁচটি নির্দেশনা প্রদান করেন যার মধ্যে ‘দেশের বৃহৎ কোম্পানিসমূহ দীর্ঘমেয়াদি অর্থায়নের ক্ষেত্রে ব্যাংক ঋণের পরিবর্তে পুঁজিবাজারে বন্ড বা শেয়ার ছেড়ে পুঁজি সংগ্রহ করে, সে লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ’ শীর্ষক নির্দেশনা অন্যতম।
প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা মোতাবেক ইতোমধ্যে পুঁজিবাজারের উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করেছে এবং নির্দেশনা বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানগুলোর সাথে সমন্বয় করে কার্যক্রম শুরু করেছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এসএম
পুঁজিবাজার
বিএসইসির নজরদারি ব্যবস্থা বাড়াতে অস্ট্রেলিয়ান এক্সচেঞ্জের সঙ্গে আলোচনা

অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের (এএসআইসি) ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক ফলপ্রসূ বৈঠক করেছেন প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী। বৈঠকে বিএসইসির নজরদারি ব্যবস্থা আপগ্রেড বা অবস্থা উন্নত করার জন্য দুই দেশের কমিশনের মধ্যে সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়।
বুধবার (১৮ জুন) সিডনিতে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে এএসআইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মুখপাত্র মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বৈঠকে বিএসইসির নজরদারি ব্যবস্থা আপগ্রেড করার জন্য এএসআইসি এবং বিএসইসির মধ্যে সম্ভাব্য প্রযুক্তিগত সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা হয়। বিশেষ করে রিয়েল-টাইম মেকানিজম প্রবর্তন এবং অনিয়ম সনাক্ত করতে এবং ন্যায্য ট্রেডিং অনুশীলন নিশ্চিত করার জন্য উন্নত ডেটা অ্যানালিটিক্স, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) এবং মেশিন লার্নিং (এমএল) এর উপর ভিত্তি করে উন্নত বাজার পর্যবেক্ষণ সরঞ্জাম বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনা হয়। ঝুঁকি বিশ্লেষণ এবং ডেটা-চালিত সিদ্ধান্ত গ্রহণকে সুগম করার জন্য এক্সবিআরএল (XBRL) প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে সুপারটেক এবং রিগটেক সলুশন তত্ত্বাবধান প্রযুক্তি এবং নিয়ন্ত্রক প্রযুক্তি বাস্তবায়নের বিষয়ে আলোচনায় সম্মতি হয়।
ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী বিএসইসির শাসনব্যবস্থা পর্যালোচনা করার জন্য এএসআইসির সহায়তাও চেয়েছেন, বিশেষ করে অতীতে শাসনব্যবস্থার ত্রুটিগুলি, যেমন অভ্যন্তরীণ বাণিজ্য, তথ্য ফাঁস এবং বাজার ম্যানিপুলেশনের সুযোগ করে দেয় এমন ঘাটতি এবং ফাঁকগুলি সনাক্ত করার জন্য। প্রাতিষ্ঠানিক শাসনব্যবস্থা, পরিচালনা দক্ষতা এবং নিয়ন্ত্রক দূরদর্শিতা উন্নত করার জন্য কাঠামোগত সক্ষমতা বৃদ্ধির কর্মসূচি সহ বিএসইসির জন্য একটি শক্তিশালী সাংগঠনিক মডেল তৈরির জন্য সহায়তা চাওয়া হয়।
এএসআইসির কর্মকর্তারা বিএসইসিকে সমর্থনে তাদের আগ্রহ প্রকাশ করেন এবং উভয় দল যৌথভাবে সহযোগিতার জন্য একটি কাঠামো তৈরি করতে সম্মত হয়। ফলে উভয় পক্ষ যত দ্রুত সম্ভব তাদের নিজ নিজ ফোকাল ব্যক্তিদের মনোনীত করবে।
অস্ট্রেলিয়ান সিকিউরিটিজ অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কমিশনের (এএসআইসি) পক্ষে ইন্টারন্যাশনাল সিনিয়র এক্সিকিউটিভ জেরার্ড ফিটজপ্যাট্রিক, মার্কেট ইনফ্রাস্ট্রাকচার সিনিয়র এক্সিকিউটিভ লিডার বেন কোন-উরবাখ, অ্যালিসা ফ্রেডেরিক, বেলিন্ডা স্যান্ডোনাটো সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সিডনিতে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল মো. শাখাওয়াত হোসেন, বাংলাদেশ হাই কমিশনের (ক্যানবেরা) বাণিজ্যিক কাউন্সিলর রনি চাকমা, সাবেক ডিএসই এমডি তারিক ভূঁইয়া, চেয়ার, অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস কাউন্সিল ফয়েজ দেওয়ান ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরীর সঙ্গে সভায় উপস্থিত ছিলেন।
এসএম
পুঁজিবাজার
তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ প্রতিনিধিদের নিয়ে বিএসইসির সেমিনার

বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) উদ্যোগে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের নিয়ে ‘কম্পিলিয়ান্স অফ সিকিউরিটিস মার্কেটস’ শীর্ষক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৯ জুন) সকাল ১১টায় বিএসইসি ভবনের মাল্টিপারপাস হলে এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। বিএসইসির জনসংযোগ কর্মকর্তা ও সহকারী মুখপাত্র মো. মোহাইমিনুল হক স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
অনুষ্ঠিত সেমিনারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দ (ব্যবস্থাপনা পরিচালক/পরিচালক/কোম্পানি সচিব/সিইও/সিএফও) উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানসমূহের শেয়ার বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ জুম লিংকের মাধ্যমে উক্ত সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন। বিএসইসির পরিচালক মো. আবুল কালাম উক্ত সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেছেন।
সেমিনারে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের কমপ্লায়েন্স নিশ্চিতকরণসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। কমপ্লায়েন্সের ক্ষেত্রে বিদ্যমান চ্যালেঞ্জসমূহ, কমপ্লায়েন্সের নিয়মাবলীসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়। অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানসমূহের শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দও সেমিনারে কমপ্লায়েন্স সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা নিয়ে কথা বলেন এবং অভিজ্ঞতা বিনিময় করেন। সর্বোপরি, পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানীসমূহের কমপ্লায়েন্স জোরদার করে কোম্পানিসমূহের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা বৃদ্ধির পাশাপাশি সুশাসন নিশ্চিতের বিষয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়।
রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং পুঁজিবাজারে কর্মরত পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিনিয়োগ শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ কার্যক্রম জোরদারে বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছে বিএসইসি। এরই ধারাবাহিকতায় বিএসইসি পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ৩৫৯টি কোম্পানীর শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করছে।
উল্লেখ্য, ইতোমধ্যে ৩০১টি কোম্পানীর শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের অংশগ্রহণে এধরণের ৫টি সেমিনার আয়োজিত হয়েছে এবং বর্তমান অর্থবছরেই বাকী ৫৮ টি কোম্পানির শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের অংশগ্রহণে আরো একটি সেমিনার আয়োজিত হবে। রেগুলেটরি কমপ্লায়েন্স ও প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং পুঁজিবাজারে কর্মরত পেশাজীবীদের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিএসইসির এধরণের উদ্যোগ ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। এর মধ্য দিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও কোম্পানীর শীর্ষ প্রতিনিধিবৃন্দের সমন্বয় বৃদ্ধি এবং দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে আগামীতে পুঁজিবাজারে প্রাতিষ্ঠানিক সুশাসন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করা যায়।
অর্থসংবাদ/কাফি