পুঁজিবাজার
বোনাস লভ্যাংশে সম্মতির জন্য ঢাকা ব্যাংকের আবেদন

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ঢাকা ব্যাংক পিএলসি ৩১ ডিসেম্বর,২০২৪ সমাপ্ত হিসাববছরে ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশে অনুমোদনের জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে (বিএসইসি) আবেদন করেছে।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, ঢাকা ব্যাংক গত ১৬ জুন বিএসইসিতে ঘোষিত ৫ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশের সম্মতির জন্য চিঠি পাঠিয়েছে।
বিএসইসি থেকে অনুমোদনের পরে ঘোষিত বোনাস লভ্যাংশ ঢাকা ব্যাংকের শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে বিতরণ করা হবে।
গত ৩১ ডিসেম্বর, ২০২৪ সমাপ্ত হিসাব বছরে ঢাকা ব্যাংক ১০ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর মধ্যে ৫ শতাংশ নগদ ও ৫ শতাংশ বোনাস।
এসএম

আন্তর্জাতিক
ট্রাম্পের শুল্কের প্রভাবে ভারতের শেয়ারবাজারে বড় ধস

সপ্তাহের শেষে বড় পতনের মুখে পড়েছে ভারতের শেয়ারবাজার। গতকাল শুক্রবার সেনসেক্স ও নিফটি ৫০—উভয় সূচকেরই বড় পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে আছে আরেকটি সূচক, ব্যাংক নিফটি। গতকাল তিনটি সূচকেই প্রায় ১ শতাংশ পতন হয়েছে।
গতকাল দিন শেষে সেনসেক্স সূচকের মান দাঁড়িয়েছে ৭৯ হাজার ৮৫৭ দশমিক ৭৯ (-৭৬৫.৪৭), নিফটি ৫০ সূচকের মান ২৪ হাজার ৩৬৩ দশমিক ৩০ (-২৩২.৮৫) আর ব্যাংক নিফটির মান হয়েছে ৫৫ হাজার ০০৪ দশমিক ৯০ (-৫১৬.২৫)। খবর ইকোনমিক টাইমস
বিএসই তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোর মোট বাজারমূল্য ₹৪৪৫ লাখ কোটি রুপি থেকে কমে গতকাল ₹৪৪০ লাখ কোটি রুপিতে নেমে এসেছে। সব খাতে ব্যাপক শেয়ার বিক্রির কারণে মাত্র এক অধিবেশনে বাজার মূলধন প্রায় পাঁচ লাখ কোটি রুপি কমে গেছে। সাপ্তাহিক হিসাবে দেখা গেছে, টানা ছয় সপ্তাহ সূচকগুলোর পতন অব্যাহত আছে। ৮ আগস্ট শেষ হওয়া সপ্তাহে সেনসেক্স ও নিফটি ৫০—উভয় সূচকই প্রায় ১ শতাংশ করে পয়েন্ট হারিয়েছে।
গতকাল বড় ধাক্কা খেয়েছে এইচডিএফসি ও ভারতীয় এয়ারটেলের স্টক। ফলে আরও পতন হয়েছে সূচকের। সব খাতের সূচকেরই পতন হয়েছে গতকাল।
নিফটির অধিকাংশ খাতেই গত সপ্তাহে বড় পতন হয়েছে। নিফটি স্মল ক্যাপ ও মিড ক্যাপ যথাক্রমে ১ দশমিক ৪ শতাংশ ও ১ দশমিক ১ শতাংশ পড়েছে। পুরো সপ্তাহের বিবেচনায় ব্যাংক খাত ভালো মুনাফার মুখ দেখেছে। এ ছাড়া ধাতুও কিছুটা লাভের মুখ দেখেছে। কিন্তু আইটি, ফাইন্যান্স, জ্বালানি, অয়েল অ্যান্ড গ্যাস, এফএমসিজি ও ওষুধ খাতের বড় পতন হয়েছে।
গত সপ্তাহে একাধিক বড় কোম্পানির স্টকের দরপতন হয়েছে। আদানি এন্টারপ্রাইজের দরপতন হয়েছে ৭ শতাংশের মতো। বস্ত্র রপ্তানি কোম্পানি কেপিআর মিল, গোকলদাস এক্সপোর্ট, বর্ধমান টেক্সটাইল, ট্রিডেন্টের স্টকের দাম অনেকটাই কমেছে। উল্টো দিকে আশার ছবি দেখিয়েছে হিরো মোটোকর্প। গতকাল বেড়েছে এলআইসির দামও।
দ্য মিন্টের সংবাদে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের শুল্কনীতির জেরে ভারতের দুর্বল বাজার আগেই বড় ধাক্কা খেয়েছে। কোম্পানিগুলোর আয় কমে যাওয়া, অতিমূল্যায়ন ও বিপুল পরিমাণ বিদেশি পুঁজি বেরিয়ে যাওয়া—এসব উদ্বেগ এখনো কাটেনি। ট্রাম্পের সাম্প্রতিক শুল্ক আরোপ ও আক্রমণাত্মক অবস্থান বিনিয়োগকারীদের মধ্যে নতুন করে শঙ্কা তৈরি করেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, ৫০ শতাংশ শুল্কের কারণে ভারতের জিডিপি ১ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।
জিওজিত ইনভেস্টমেন্টসের গবেষণা প্রধান বিনোদ নায়ার বলেন, মার্কিন শুল্ক ভারতের রপ্তানিতে কী প্রভাব ফেলবে—এ আশঙ্কায় ভারতীয় শেয়ারবাজার তিন মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে গেছে। বিদেশি প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা টানা শেয়ার বিক্রি করায় দেশি সূচকের ওপর চাপ আরও বেড়েছে।
নায়ার আরও বলেন, শুল্কসংক্রান্ত চলমান উদ্বেগের প্রভাব বিবেচনায় বৈশ্বিক আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস কমিয়ে দিতে শুরু করেছে। ২০২৫ ও ২০২৬ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাসও কমানো হয়েছে। ফলে ভারতের বাণিজ্য ও সামষ্টিক অর্থনীতি ঘিরে যে অনিশ্চয়তা, তা কেবল বাড়ছেই।
এদিকে ভারতের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগও ধাক্কা খেয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ভারতের বাজার থেকে বিপুল অঙ্কের বিদেশি বিনিয়োগ চলে গেছে। মার্চের পর থেকে পরিস্থিতি বেশ কিছুটা ভালো হয়। এপ্রিল, মে ও জুন মাসে ভারতের শেয়ারবাজারে বিদেশি বিনিয়োগ এসেছে। কিন্তু জুলাই থেকে আবার বিদেশি বিনিয়োগ বেরিয়ে যাওয়ার ছবি সামনে এসেছে। ট্রাম্পের শুল্ক আরোপের জেরে আগস্ট মাসেও সে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরপতনের শীর্ষে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ড

বিদায়ী সপ্তাহে (০৩ আগস্ট-০৭ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) দর পতনের শীর্ষ তালিকায় সবচেয়ে বেশি দর কমেছে এসইএমএল লেকচার ইক্যুইটি ম্যানেজমেন্ট ফান্ডের।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সপ্তাহজুড়ে ফান্ডটির দর কমেছে ১০.২৩ শতাংশ। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৮ টাকা ৮০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৭ টাকা ৯০ পয়সায়।
সপ্তাহের পতনের শীর্ষ তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে সেন্ট্রাল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড। সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতিষ্ঠানটির দর কমেছে ৯.০৫ শতাংশ।
আর তালিকার তৃতীয় স্থানে ৮.৯৯ শতাংশ পতন নিয়ে অবস্থান করছে এসবিএসি ব্যাংক। আগের সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে কোম্পানিটির দর ছিল ৮ টাকা ৯০ পয়সা। বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কর্মদিবসে যার ক্লোজিং দর দাঁড়িয়েছে ৮ টাকা ১০ পয়সায়।
এছাড়া, সাপ্তাহিক পতনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ফার কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ট্রাস্ট ব্যাংক, জনতা ইন্স্যুরেন্স, ফারইস্ট ফাইন্যান্স, সিটি ব্যাংক, মার্কেন্টাইল ইসলামী ইন্স্যুরেন্স, ঢাকা ব্যাংক পিএলসি।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্স

বিদায়ী সপ্তাহে (৩ আগস্ট-০৭ আগস্ট) দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেন করা ৩৯৫ কোম্পানির মধ্যে ১৩৮টির শেয়ারদর বেড়েছে। আলোচ্য সময়ে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের শেয়ারদর বেড়েছে সবচেয়ে বেশি।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, সমাপ্ত সপ্তাহে প্রগতি লাইফ ইন্স্যুরেন্সের আগের সপ্তাহের তুলনায় শেয়ারদর বেড়েছে ১৯ দশমিক ১১ শতাংশ।
সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সমতা লেদারের শেয়ারদর বেড়েছে ১৪ দশমিক ৫৪ শতাংশ। আর শেয়ারদর ১৪ দশমিক ২৯ শতাংশ বাড়ায় তালিকার তৃতীয় স্থানে অবস্থান নিয়েছে মালেক স্পিনিং মিলস্ পিএলসি।
এছাড়া, সাপ্তাহিক দরবৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলো হলো- বাংলাদেশ ল্যাম্পস পিএলসি, ওয়াটা কেমিক্যালস, ইনডেক্স এগ্রো, এ্যাকটিভ ফাইন কেমিক্যালস, রহিম টেক্সটাইল, সোনালী পেপার এন্ড বোর্ড মিলস, দুলামিয়া কটন স্পিনিং মিলস্ লিমিটেড।
কাফি
পুঁজিবাজার
সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে বিএসসি

বিদায়ী সপ্তাহে (৩ আগস্ট-৭ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনের শীর্ষে উঠে এসেছে বাংলাদেশ শিপিং করপোরেশন (বিএসসি) লিমিটেড।
ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্রমতে, সপ্তাহজুড়ে কোম্পানিটির গড়ে ৩৪ কোটি ৯১ লাখ টাকার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর মোট লেনদেনের ৩.৮৩ শতাংশ। এর ফলে কোম্পানিটি লেনদেনের শীর্ষে অবস্থান করছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা সিটি ব্যাংকের ৩৩ কোটি ১৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ৩.৬৪ শতাংশ।
আর তৃতীয় স্থানে থাকা যমুনা ব্যাংকের ২৩ কোটি ৮৭ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা ছিল ডিএসইর লেনদেনের ২.৬২ শতাংশ।
লেনদেনের শীর্ষ তালিকায় থাকা অন্যান্য কোম্পানিগুলোর মধ্যে- উত্তরা ব্যাংকের ২২ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, ব্র্যাক ব্যাংকের ২১ কোটি ৪৮ লাখ টাকা, মালেক স্পিনিংয়ের ১৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকা, ওরিয়ন ইনফিউশনের ১৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা, বেক্সিমকো ফার্মার ১৭ কোটি ২৭ লাখ টাকা, স্কয়ার ফার্মার ১৬ কোটি ৯৯ লাখ টাকা এবং বিএসসিপিএলসি ১২ কোটি ১৭ লাখ টাকা।
কাফি
পুঁজিবাজার
বিনিয়োগকারীদের মূলধন বাড়লো দুই হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা

বিদায়ী সপ্তাহে (০৩ আগস্ট থেকে ০৭ আগস্ট) দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের পতনের মধ্য দিয়ে লেনদেন হয়েছে। এতে সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা।
পুঁজিবাজারের সাপ্তাহিক হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
সমাপ্ত সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ১৫ হাজার ৭৯ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে এ মূলধন ছিল ৭ লাখ ১২ হাজার ২২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহ ব্যবধানে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ২ হাজার ৮৫৬ কোটি টাকা বা ০ দশমিক ৪০ শতাংশ।
এদিকে, চলতি সপ্তাহে কমেছে ডিএসইর সব কয়টি সূচক। প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স কমেছে ৩৫ দশমিক ৩৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এছাড়া ডিএসই-৩০ সূচক কমেছে ১৬ দশমিক ৬৫ পয়েন্ট বা ০ দশমিক ৭৯ শতাংশ। আর ডিএসইএস সূচক কমেছে ০ দশমিক ১৮ পয়েন্ট বা ০ দশমকি ০২ শতাংশ।
সূচকের পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩ হাজার ৬৪৫ কোটি ৫০ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ১৯৪ কোটি ৩১ লাখ টাকা। এক সপ্তাহে লেনদেন কমেছে ৫৪৮ কোটি ৮১ লাখ টাকা।
তবে প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন বেড়েছে ৭২ কোটি ৫১ লাখ টাকা বা ৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। চলতি সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৯১১ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। এর আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছিল ৮৩৮ কোটি ৮৬ লাখ টাকা।
সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে ৩৯৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচুয়াল ফান্ড ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দাম বেড়েছে ১৩৮টি কোম্পানির, কমেছে ২২৭টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টি কোম্পানির শেয়ারের দাম।
এসএম