জাতীয়
হজযাত্রীদের জন্য বাংলাদেশ বিমানের জরুরি বার্তা

হজযাত্রীদের জন্য জরুরি বার্তা দিয়েছে বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স। এতে হজযাত্রীদের ফিরতি যাত্রাসহ যাবতীয় কার্যক্রমের জন্য ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেটে বিমানের বিক্রয়কেন্দ্রে এবং অতি জরুরি প্রয়োজনে জেদ্দা বা মদিনার অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার (১১ জুন) বাংলাদেশ বিমান এয়ারলাইন্স এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানায়।
বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রতিবছর হজযাত্রীরা হজ পালন শেষে ফিরতি যাত্রা সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য মক্কা ও মদিনায় অস্থায়ী অফিস স্থাপন করা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় এবারও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স মক্কা ও মদিনায় অস্থায়ী অফিস স্থাপনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘সম্প্রতি সৌদি আরবের ভিসা নীতিমালায় বাংলাদেশসহ ১৪টি দেশের নাগরিকদের জন্য সাময়িক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। ফলে বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সৌদি ভিসা আবেদনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করা সত্ত্বেও এখন পর্যন্ত তারা হাজীদের সেবায় দেশটিতে যেতে পারছেন না।’
হজযাত্রীদের ফিরতি যাত্রায় টিকিট পরিবর্তনসহ যাবতীয় কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে হজ এজেন্সি ও প্রতিনিধিদের নিম্নলিখিত ঠিকানায় অফিস চলাকালীন যোগাযোগের অনুরোধ করা হয়েছে।
এ ছাড়া অতি জরুরি প্রয়োজনে বিমান জেদ্দা সিটি অফিস বা বিমান মদিনা সিটি অফিসে যোগাযোগ করা যেতে পারে।
বিজ্ঞপ্তিতে দেওয়া ঠিকানা— জেলা বিক্রয় অফিস, মতিঝিল, ঢাকা বিমান ভবন মতিঝিল, ঢাকা, বাংলাদেশ। ফোন: +৮৮০২-২২৩৩৫৭০০২, +৮৮০১৭২৭৯৯০৯২২ ই-মেইল: hajjcelldso@biman.gov.bd
জেলা বিক্রয় অফিস, চট্টগ্রাম বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, চট্টগ্রাম বিমান ভবন, ১/২ সিডিএ এভিনিউ, পূর্ব নাসিরাবাদ, চট্টগ্রাম। ই-মেইল: cgpuu@biman.gov.bd ফোন: +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭০০ +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭২৩ +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭২৫
জেলা বিক্রয় অফিস, সিলেট বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স, সিলেট বিমান ভবন, মজুমদারি, এয়ারপোর্ট রোড, সিলেট। ই-মেইল: zyluu@biman.gov.bd ফোন: +৮৮০১৭৭৭৭১৫৭১০ +৮৮০১৭২৫২৩৫৬৬৪
কাফি

জাতীয়
ঢাকায় আজ তিন সমাবেশ, চলাচলে ডিএমপির বিধিনিষেধ

রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল (ছাত্রদল) এবং জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আজ (রোববার)। এ ছাড়া সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠীর অনুষ্ঠান চলমান। এসব সমাবেশকে কেন্দ্র করে নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ছাত্রদল ও এনসিপির এই সমাবেশ নির্দিষ্ট স্থানে অনুষ্ঠিত হলেও, নিরাপত্তা ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) রাজধানীর বেশকিছু এলাকায় যান চলাচল সীমিত করেছে। কিছু সড়কে ডাইভারশন দেওয়া হয়েছে এবং গণপরিবহন চলাচলেও নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়েছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, রোববার রাজধানীর শাহবাগ মোড়ে ‘ছাত্র সমাবেশ’ করবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে সমাবেশ করবে জাতীয় নাগরিক পার্টি এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘জুলাই জাগরণ’ অনুষ্ঠান করবে সাইমুম শিল্পীগোষ্ঠী।
এসব সমাবেশকে ঘিরে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে সমাবেশস্থল ও এর আশপাশের এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গোয়েন্দা নজরদারিও বাড়ানো হয়েছে বলে জানা গেছে।
কর্তৃপক্ষ জনসাধারণকে ধৈর্য ধারণ এবং পুলিশের নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ জানিয়েছে। একই সঙ্গে, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া সমাবেশ চলাকালীন সময়ে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো পরিহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রোববার বিকেল ৩টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ‘জুলাই ঘোষণাপত্র ও সনদের’ দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত হবে এনসিপির জনসমাবেশ। দলটি জানিয়েছে, সেখানে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা করা হবে।
দলটির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে এক পোস্টে বলা হয়, ৩ আগস্ট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা দেওয়া হবে। ইতিহাসের এই সন্ধিক্ষণে দেখা হচ্ছে আপনাদের সাথে।
এর আগে গত বুধবার বিকেলে নরসিংদী শহরের পৌরসভার সামনে আয়োজিত পথসভায় এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানান, ৩ আগস্ট ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নতুন বাংলাদেশের ইশতেহার ঘোষণা দেওয়া হবে।
রোববার দুপুর ১২টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত শাহবাগ মোড়ে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের উদ্যোগে ‘ছাত্র সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে। সমাবেশকে ঘিরে সৃষ্টি হতে যাওয়া জনদুর্ভোগের জন্য রাজধানীবাসীর প্রতি অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করেছে ছাত্রদল।
এক বিবৃতিতে ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির জানান, গত জুন মাসে আমরা আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থান স্মরণে ৩৬ দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণায় শুরুতে ৩ আগস্টে জাতীয় শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করি। কিন্তু পরে জাতীয় নাগরিক পার্টির নেতারা ৩ আগস্ট শহীদ মিনারে তাদের সমাবেশ করার বিষয়ে আমাদের নেতাদের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে একাধিকবার যোগাযোগ ও অনুরোধ করেন।
শহীদ মিনারের সমাবেশের বিষয়ে আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিস থেকে অনুমতিও গ্রহণ করেছিলাম। এই দিনে শহীদ মিনারে সমাবেশ করার বিষয়ে আমরাই ছিলাম একমাত্র বৈধ দাবিদার। কিন্তু পরে একটি উদার, গণতান্ত্রিক, পরমতসহিঞ্চু, সব মত ও পথের সহাবস্থানে বিশ্বাসী ছাত্রসংগঠন হিসেবে আমরা শহীদ মিনারে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে শাহবাগে সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
তিনি আরও বলেন, ব্যস্ত রাজধানীতে কর্মদিবসে সমাবেশের জনভোগান্তি সম্পর্কে আমরা অবগত। এতদসত্ত্বেও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের এই গুরুত্বপূর্ণ স্মরণীয় দিনটিতে আমাদেরকে ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তির বৃহৎ ঐক্যের স্বার্থে বৃহত্তম ছাত্রসংগঠন হিসেবে দায়িত্বশীলতা ও উদারতার জায়গা থেকে সমাবেশের স্থান পরিবর্তন করতে হয়েছে।
আমরা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা যেকোনো ধরনের জনদুর্ভোগের জন্য অগ্রিম দুঃখ প্রকাশ করছি। প্রত্যাশা করছি, সম্মানিত নগরবাসী বিষয়টি সহানুভূতির সঙ্গে বিবেচনা করবেন। একটি দায়িত্বশীল ছাত্রসংগঠন হিসেবে ভবিষ্যতে এই বিষয়ে আমরা আরও অধিকতর সচেতন থাকব।
তিন কর্মসূচি ঘিরে শাহবাগ ও বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় বিপুল জনসমাগম হতে পারে, এমন ধারণা থেকে এদিন শাহবাগ এলাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। এ কারণে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সময় নিয়ে কেন্দ্রের উদ্দেশে রওনা হওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।
এক গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রোববার সভা-সমাবেশ ও অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে শাহবাগ, শহীদ মিনার ও সোহরাওয়ার্দী উদ্যান এলাকায় প্রচুর জনসমাগম ঘটবে। ফলে ওই এলাকা বিশেষ করে শাহবাগ ক্রসিং দিয়ে যানচলাচল করানো সম্ভব হবে না। এমতাবস্থায় ঢাকাবাসীকে ডাইভারশন মেনে বিকল্প পথে চলাচলের জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড় : সোনারগাঁও সিগন্যাল বা বাংলামোটর ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত যানবাহনগুলো হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং এ সোজা শাহবাগের দিকে না গিয়ে বামে মোড় নিয়ে হেয়ার রোড/মিন্টু রোড হয়ে যাতায়াত করবে।
কাটাবন মোড় : সায়েন্সল্যাব ক্রসিং হয়ে পশ্চিম দিক থেকে আগত যানবাহনগুলো কাটাবন মোড় থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে নীলক্ষেত/পলাশী হয়ে অথবা কাটাবন মোড় থেকে বামে মোড় নিয়ে সোনারগাঁও (হাতিরপুল) রোড হয়ে বাংলামোটর লিংক রোড দিয়ে চলাচল করবে।
মৎস্য ভবন মোড় : হাইকোর্ট/কদম ফোয়ারা ক্রসিং হয়ে আগত যানবাহনগুলো মৎস্য ভবন থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হেয়ার রোড/শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলী সরণি (মগবাজার রোড) হয়ে চলাচল করবে।
অপরদিকে কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত যানবাহন মৎস্যভবন ক্রসিং থেকে শাহবাগের দিকে না গিয়ে সোজা হাইকোর্ট হয়ে গুলিস্তান/ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে চলাচল করবে।
টিএসসি/রাজু ভাস্কর্য : নীলক্ষেত ক্রসিং/দোয়েল চত্বর ক্রসিং থেকে আসা যানবাহন টিএসটি/রাজু ভাস্কর্য ক্রসিংয়ে এসে শাহবাগের দিকে না গিয়ে দোয়েল চত্বর/নীলক্ষেত ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
জাতীয়
৫ আগস্ট সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র: প্রেস উইং

আগামী ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
শনিবার (২ আগস্ট) দুপুরে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। আগামী ৫ আগস্ট বিকেল ৫টায় গণঅভ্যুত্থানের সব পক্ষের উপস্থিতিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে। এ বিষয়ে বিস্তারিত অবিলম্বে জানানো হবে।
জাতীয়
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলেন ৩৯ বাংলাদেশি

যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধভাবে অবস্থানের অভিযোগে দেশটি থেকে ৩৯ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) সকালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি সামরিক বিমানে তারা ঢাকার শাহ্জালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান।
এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কনস্যুলার ও কল্যাণ অনুবিভাগের এক বার্তায় জানানো হয়, মার্কিন সামরিক বাহিনীর বিমানে করে ৬১ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে।
তবে পুলিশের বিশেষ শাখার (এসবি) একটি সূত্র জানায়, যুক্তরাষ্ট্র থেকে চার্টার্ড ফ্লাইটে অন্তত ৩০ জন বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। এই দফায় ফেরত আসার সংখ্যা প্রথমে ৬০ জনের কথা বলা হলেও পরে ৩০ জন ফেরত আসছেন।
গত জানুয়ারিতে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে অবৈধ অভিবাসীদের নিজ নিজ দেশে ফেরত পাঠানো শুরু করে ট্রাম্প প্রশাসন। ভারত, ব্রাজিলসহ অনেক দেশের নাগরিকদের হাতকড়া পরিয়ে ফেরত পাঠানো হয়। তবে এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র থেকে যেসব বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠানো হয়েছে, তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করেছে সে দেশের কর্তৃপক্ষ।
বাংলাদেশি নাগরিকের কাউকে হাতকড়া পরানো হয়নি। ফেরত পাঠানোর আগের বিভিন্ন স্তরের আলোচনায় বাংলাদেশের পক্ষ থেকে মানবিক আচরণের বিষয়ে জোর দেওয়া হয়। সে অনুরোধে সাড়াও দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই দফায়ও যারা আসছেন তাদের সঙ্গে মানবিক আচরণ করা হবে। বিভিন্ন সময় আরও ১১৮ বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত পাঠায় যুক্তরাষ্ট্র।
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বারের মতো দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অবৈধ হয়ে ধরা পড়া বাংলাদেশিসহ বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এতে প্রতি মাসে কিছু মানুষকে ফিরতে হচ্ছে ঢাকায়। সেই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে শুক্রবার (১ আগস্ট) কিছু বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
জাতীয়
৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষিত হবে জুলাই ঘোষণাপত্র: উপদেষ্টা মাহফুজ

জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা বলে উল্লেখ করেছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা মাহফুজ আলম। তিনি বলেছেন, ৫ আগস্টের মধ্যে ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র।
শুক্রবার দিবাগত রাত ১২টায় ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা জানান মাহফুজ আলম।
তিনি লিখেছেন, জুলাই ঘোষণাপত্র এখন বাস্তবতা। ৫ আগস্টের মধ্যেই ঘোষিত হবে ঘোষণাপত্র। ঘোষণাপত্র ইস্যুকে গণআকাঙ্ক্ষায় বাঁচিয়ে রেখে এটা বাস্তবায়নের পথ সুগম করার জন্য সবাইকে ধন্যবাদ।
প্রসঙ্গত, ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়, যার মূল ম্যান্ডেট হলো রাষ্ট্রের বিভিন্ন কাঠামোগত সংস্কার এবং জনগণের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা পূরণ করা। এই প্রেক্ষাপটে জুলাই ঘোষণাপত্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি দলিল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ইতোমধ্যে অন্তর্বর্তী সরকার জুলাই ঘোষণাপত্রের খসড়া চূড়ান্ত করেছে। খসড়ার একটি কপি প্রধান তিনটি রাজনৈতিক দল বিএনপি, জামায়াত ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) পাঠানো হয়েছে তাদের মতামত দেওয়ার জন্য।
সরকারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগস্টের ৫ তারিখের মধ্যে যে কোনো দিন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এটি প্রকাশ করবেন।
যেকোনও ধরনের বিতর্ক এড়াতে অত্যন্ত গোপনীয়তার সঙ্গে প্রণীত, খসড়া ঘোষণাপত্রে ২৬ দফা রয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকে জুলাই অভ্যুত্থান হয়েছে। প্রথম খসড়ায় বলা হয়েছিল, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে অভ্যুত্থান হয়েছে।
ঘোষণাপত্রে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দ্বিতীয় দফায় ক্ষমতা আসার পর টানা তিন মেয়াদের ১৫ বছরের শাসনামলে বিএনপি, জামায়াতসহ বিরোধী দলগুলোর সংগ্রামকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া, বিএনপির মতামতের ভিত্তিতে ৭৫-এর ৭ নভেম্বরের সিপাহী বিপ্লব, ১৯৭৯ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান সরকারের করা সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীকে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
জাতীয়
বাণিজ্য উপদেষ্টা নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন: জ্বালানি উপদেষ্টা

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পাল্টা শুল্ক কমানোর আলোচনায় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে আজ শুক্রবার এক পোস্টে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান বলেছেন, দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।
যুক্তরাষ্ট্র যেসব দেশ থেকে পণ্য আমদানি করে, সেসব দেশের ওপর গত ২ এপ্রিল পাল্টা শুল্ক বা রেসিপ্রোকাল ট্যারিফ আরোপ করেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বের ৫৭টি দেশের ওপর বিভিন্ন হারে বাড়তি পাল্টা শুল্ক বসানো হয়। তখন বাংলাদেশের পণ্যের ওপর বাড়তি শুল্ক ছিল ৩৭ শতাংশ। তিন মাসের জন্য এ সিদ্ধান্ত স্থগিত রাখার পর ডোনাল্ড ট্রাম্প গত ৮ জুলাই অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন, বাংলাদেশের জন্য পাল্টা শুল্ক হবে ৩৫ শতাংশ, যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।
যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের আরোপ করা পাল্টা শুল্ক কমাতে ওয়াশিংটনে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য প্রতিনিধির (ইউএসটিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে চূড়ান্ত আলোচনায় নেতৃত্ব দিয়েছেন বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের স্থানীয় সময় গতকাল বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের এক নির্বাহী আদেশে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করা পণ্যের ওপর ২০ শতাংশ পাল্টা শুল্ক আরোপ করেন। একই আদেশে দেশে আরও কয়েক ডজন দেশের ওপর পাল্টা শুল্ক বসান তিনি।
শুল্ক হার কমানোর ঘোষণার পর ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়ে তা জানান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান। এর দুই ঘণ্টা পর বাণিজ্য উপদেষ্টাকে নিয়ে ইংরেজিতে আরেকটি পোস্ট দেন এই উপদেষ্টা। বাণিজ্য উপদেষ্টাকে নিয়ে তাঁর পোস্টটি তুলে ধরা হলো:
শেখ বশিরউদ্দীন—আমাদের অসাধারণ বাণিজ্য উপদেষ্টা
আমি প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশে শেখ বশিরউদ্দীনসহ কয়েকজনের সঙ্গে দেখা করার দায়িত্ব পাই, সম্ভাব্য বাণিজ্য উপদেষ্টা পদে। ফোনে তাঁকে ধরি ভোলায়, তখন তিনি একটি ব্যবসায়িক সফরে ছিলেন। পরে আমরা দেখা করি বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ে, আমার অফিসে।
পূর্বপরিচয় না থাকলেও আমরা এক ঘণ্টা খোলামেলা কথা বলি। আমার অফিস থেকে যে নাশতা দেওয়া হয়েছিল, তিনি বিনয়ের সঙ্গে সেটি নেননি! তবে আমি তাঁর মধ্যে যে বিষয়গুলো সবচেয়ে বেশি পছন্দ করি, তা হলো দেশপ্রেম, যুক্তিহীন কোনো কিছু সহ্য না করার দৃঢ় মনোভাব, আর অনেক তথ্য একসঙ্গে গুছিয়ে বিশ্লেষণ করার অসাধারণ দক্ষতা। আমি আমার এই অনুভূতিগুলো প্রধান উপদেষ্টাকে জানাই।
আল্লাহর রহমতে, দেশ ও জাতির জন্যই বলা যায়, প্রধান উপদেষ্টা তাঁকে (শেখ বশিরউদ্দীন) দায়িত্ব দেন। আর তিনিও তা গ্রহণ করেন।
দেশের অভ্যন্তরীণ পণ্যমূল্য স্থিতিশীলতা বজায় রাখা থেকে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সফল শুল্ক আলোচনায় তিনি (বাণিজ্য উপদেষ্টা) নিজের যোগ্যতা প্রমাণ করেছেন, সমালোচকদের হতাশ করে।
আল্লাহ তাঁকে (বাণিজ্য উপদেষ্টা) হায়াতে তাইয়্যেবা দান করুন, যাতে তিনি দেশকে সেবা দিতে পারেন—হোক তা সরকারে বা বেসরকারি খাতে।