জাতীয়
হোটেল লবিতেই একাধিক বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা

চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে ঢাকা ছেড়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। সোমবার (৯ জুন) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় সফরসঙ্গীদের নিয়ে এমিরেটস এয়ার লাইনসের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেন তিনি।
মঙ্গলবার (১০ জুন) বেলা সাড়ে ১২ টায় (লন্ডন সময় সকাল সাড়ে ৭টা) হিথ্রো বিমানবন্দরে পৌঁছানোর কথা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারপ্রধান ও তার সফরসঙ্গীদের।
বিমানবন্দরে তদেরকে স্বাগত জানাবেন যুক্তরাজ্যে নিযুক্ত বাংলাদেশের হাইকমিশনার আবিদা ইসলাম ও ব্রিটিশ রাজার প্রতিনিধিরা।
লন্ডনে বাংলাদেশ হাইকমিশনে নিযুক্ত প্রেস মিনিস্টার আকবর হোসেন গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার হোটেল লবিতেই বেশ কয়েকটি বৈঠক করবেন প্রধান উপদেষ্টা। পরবর্তীতে আরও কিছু যোগ হবে তার কর্মসূচিতে।
সূত্র জানায়, বিমানবন্দর থেকে সেন্ট্রাল লন্ডনের হোটেলে পৌঁছে প্রাতরাশ সেরেই বেশ কয়েকটি বৈঠকের সূচি রয়েছে ড. ইউনূসের। এর মধ্যে তার সঙ্গে হোটেলে দেখা করবেন বাংলাদেশ বিষয়ক অল পার্টি পার্লামেন্টারি গ্রুপের (এপিপিজি) সদস্যরা। এ গ্রুপের চেয়ারপারসন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ এমপি আপসানা বেগম। এরপর একাধিক মিডিয়াকে সাক্ষাৎকার দেওয়ার সময় রাখা হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিবও মঙ্গলবার লন্ডনে প্রেস ব্রিফিং করতে পারেন।

জাতীয়
শ্রম অধিকার সুরক্ষায় আইএলওর সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করতে চায় বাংলাদেশ

শ্রম অধিকার সুরক্ষা, নিরাপদ কর্মপরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং শ্রম আইন বাস্তবায়নে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থার (আইএলও) কারিগরি সহায়তায় বাংলাদেশ আরও নিবিড়ভাবে কাজ করতে আগ্রহী। বুধবার (১১ জুন) সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় আইএলওর সদর দপ্তরে ১১৩তম আন্তর্জাতিক শ্রম সম্মেলনে প্ল্যানারি সেশনের বক্তব্যে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানিয়েছেন।
শ্রম উপদেষ্টা তার বক্তব্যে বলেন, শ্রম সংস্কার কমিশনের সুপারিশ বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। এর অংশ হিসেবে ট্রেড ইউনিয়ন কর্মীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা অধিকাংশই প্রত্যাহার, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদ (টিসিসি) পুনর্গঠন এবং আন্তর্জাতিক শ্রম মানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে শ্রম আইন সংশোধনের কাজ চলমান রয়েছে। তিনি আরও জানান, শিগগিরই শ্রম আইন ২০০৬ সংশোধন করা হবে।
এছাড়াও, শ্রম পরিদর্শন ব্যবস্থা জোরদার করার লক্ষ্যে ১২২ জন নতুন শ্রম পরিদর্শক নিয়োগ দেওয়া হবে। পেশাগত স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইএলও কনভেনশন C155, C187 ও C190 অনুস্বাক্ষরের প্রক্রিয়া চলছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
ড. সাখাওয়াত হোসেন বলেন, বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ ও অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশ সরকার ন্যায্য বাণিজ্য, অভিবাসন সুবিধা ও কারিগরি বৈষম্য কমানোর ওপর জোর দিয়েছে। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে উন্নয়ন সহযোগিতার তহবিল কমায় সরকার উদ্বেগ প্রকাশ করেছে এবং আইএলওর কাছ থেকে শ্রম সেক্টরের উন্নয়নে আরও কারিগরি সহায়তা আশা করা হচ্ছে।
আইএলওর গভর্নিং বডি ফিলিস্তিনকে পর্যবেক্ষক রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেওয়ায় শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সাধুবাদ জানিয়েছে। একই সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ফিলিস্তিনি বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন ১৮৭টি দেশের প্রতিনিধি, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব এ এইচ এম সফিকুজ্জামান, বাংলাদেশ ইম্প্লোয়ার্স ফেডারেশনের প্রতিনিধি, ত্রিপক্ষীয় পরামর্শ পরিষদের (টিসিসি) প্রতিনিধিরা এবং মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
জাতীয়
ঢাকায় বাড়ছে জনস্রোত, ফিরছে কর্মচাঞ্চল্য

ঈদের আমেজ এখনও কাটেনি। তবে রাজধানী ঢাকায় ধীরে ধীরে ফিরতে শুরু করেছে কর্মচাঞ্চল্য। ঈদের ছুটি শেষে গ্রাম থেকে ফিরছে মানুষ, বাড়ছে কর্মব্যস্ততা।
সরকারি ছুটি ১৪ জুন পর্যন্ত চলবে। কিন্তু অধিকাংশ বেসরকারি অফিস ইতোমধ্যে চালু হয়ে গেছে। ফলে জীবিকার তাগিদে রাজধানীতে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ।
বুধবার (১১ জুন) গাবতলী বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা যায়, এখনো কেউ কেউ ঈদ উদযাপন করতে বাড়ি যাচ্ছেন, তবে সংখ্যাটা খুবই কম। এর চেয়ে ঢাকায় ফেরা মানুষের সংখ্যা অনেক বেশি।
গোল্ডেন লাইন পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার হাফিজুর রহমান জানান, এখন যাত্রী খুবই কম। ৮-১০ জন যাত্রী নিয়েই বাস ছাড়তে হচ্ছে। কিন্তু ঢাকামুখী প্রতিটি বাসই যাত্রীতে পরিপূর্ণ।
হানিফ পরিবহনের কাউন্টার ম্যানেজার শফিকুর রহমান বলেন, বাড়ি ফেরা যাত্রীর সংখ্যা এখন কমে গেছে। অধিকাংশ মানুষ ইতোমধ্যে বাড়ি চলে গেছে। বর্তমানে ঢাকায় ফেরা যাত্রীই বেশি।
এদিকে চাকরিজীবীদের ভাষ্য, সরকারি ছুটির মেয়াদ বেশি হলেও বেসরকারি অফিসের ছুটি ছিল কম। তাই ইচ্ছা থাকলেও বেশি দিন বাড়িতে থাকা সম্ভব হয়নি।
চাকরিজীবী অপু রহমান বলেন, আমার অফিসে চারদিনের ছুটি ছিল, পরে একদিন বাড়িয়ে নিই। এখন ছুটি শেষ, তাই ঢাকায় ফিরে এসেছি।
মিরপুরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত তানিম আহমেদ বলেন, সরকারি ছুটি দীর্ঘ হলেও আমাদের অফিসে ছুটি ছিল মাত্র ৪-৫ দিন। তাই ফিরে আসতেই হয়েছে।
সাগর মাহমুদ নামের আরেক চাকরিজীবী বলেন, প্রতি ঈদেই বাড়ি যাই। এবারও গিয়েছিলাম। ইচ্ছা ছিল আরও কিছুদিন থাকার, কিন্তু অফিস শুরু হয়ে যাওয়ায় ফিরতে হয়েছে।
এমএস
জাতীয়
সৌদিতে হজ পালনকালে আরও ৩ বাংলাদেশির মৃত্যু, মোট প্রাণহানি ২২

সৌদি আরবে চলতি বছর পবিত্র হজ পালন করতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২২ জন বাংলাদেশি হজযাত্রী মৃত্যুবরণ করেছেন। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের হজ ব্যবস্থাপনা পোর্টালের তথ্য অনুযায়ী, সর্বশেষ মঙ্গলবার (১০ জুন) হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার বাসিন্দা গোলাম মোস্তফা (৫৮) মারা যান।
মৃতদের মধ্যে ২০ জন পুরুষ এবং ২ জন নারী। অঞ্চলভেদে দেখা যায়, মক্কায় মারা গেছেন ১৪ জন, মদিনায় ৭ জন এবং আরাফায় ১ জন।
ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, চলতি বছর ২৯ এপ্রিল প্রথম হজ ফ্লাইট সৌদি আরবের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়ে। সেদিনই রাজবাড়ীর পাংশার মো. খলিলুর রহমান (৭০) মৃত্যুবরণ করেন। এরপর একে একে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকে।
হজ পালনকালে মৃত্যুবরণকারী বাংলাদেশিদের তালিকা :
২৯ এপ্রিল: মো. খলিলুর রহমান (৭০), রাজবাড়ী, ২ মে: মো. ফরিদুজ্জামান (৫৭), কিশোরগঞ্জ , ৫ মে: আল হামিদা বানু (৫৮), পঞ্চগড়, ৭ মে: মো. শাহজাহান কবির (৬০), ঢাকা, ৯ মে: হাফেজ উদ্দিন (৭৩), জামালপুর, ১০ মে: বয়েজ উদ্দিন (৭২), নীলফামারী, ১৪ মে: মো. অহিদুর রহমান (৭২), চট্টগ্রাম, ১৭ মে: মো. জয়নাল হোসেন (৬১), গাজীপুর, ১৯ মে: আ. হান্নান মোল্লা (৬৩), চাঁদপুর, ২৪ মে: মো. সাহেব উদ্দিন, রংপুর ,২৫ মে: বশির হোসাইন (৭৪), চাঁদপুর , ২৭ মে: শাহাদাত হোসেন, চাঁদপুর, ২৯ মে: মো. মোস্তাফিজুর রহমান (৫৩), জয়পুরহাট, ২৯ মে: মোজলেম হাওলাদার (৬৩), মাদারীপুর, ২৯ মে: আবুল কালাম আজাদ (৬২), গাজীপুর, ১ জুন: মো. মফিজ উদ্দিন দেওয়ান (৬০), গাজীপুর ও মো. জাহিদুল ইসলাম (৫৯), নীলফামারী , ৫ জুন: মনোয়ারা বেগম মুনিয়া, ঢাকা , ৬ জুন: শেখ মো. ইমারুল ইসলাম, খুলনা, ৭ জুন: মো. মুজিব উল্যা, নোয়াখালী, ৯ জুন: এ টি এম খায়রুল বাসার মন্ডল, গাইবান্ধা, ১০ জুন: গোলাম মোস্তফা (৫৮), সিরাজগঞ্জ।
এছাড়া জানা যায়, হজযাত্রীদের ফিরতি ফ্লাইট শুরু হয়েছে ১০ জুন থেকে। ওইদিন সকাল ১০টা ৫৪ মিনিটে সৌদি এয়ারলাইন্সের ‘এসভি-৩৮০৩’ ফ্লাইটে ৩৭৭ হজযাত্রী ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন।
হজযাত্রীদের সৌদি আরব যাত্রার শেষ ফ্লাইট ছিল ৩১ মে এবং চাঁদ দেখা সাপেক্ষে এবারের হজ অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ জুন। ফিরতি ফ্লাইট চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।
এমএস
জাতীয়
লন্ডনে রাজনৈতিক সংলাপ: ইউনূস-তারেক বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা

আসন্ন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৩ জুন সকালে। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
মঙ্গলবার (১০ জুন) লন্ডনে স্থানীয় গণমাধ্যম কর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “বৈঠকটির জন্য নির্ধারিত কোনো নির্দিষ্ট ফরমেট নেই। যেহেতু তারেক রহমান বাংলাদেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির নেতা, তাই প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তার বৈঠকটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”
তিনি আরও জানান, “দুই নেতার মধ্যে বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, রাজনৈতিক সংস্কার ও জুলাই চার্টারসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।”
এই বৈঠককে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে চলছে নানা আলোচনা। অনেকে মনে করছেন, দীর্ঘ রাজনৈতিক অচলাবস্থার প্রেক্ষাপটে এই বৈঠকটি হতে পারে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক সমঝোতার একটি বড় পদক্ষেপ।
এমএস
জাতীয়
রাজশাহীতে অবরোধ: আড়াই ঘণ্টা পর স্বাভাবিক ট্রেন চলাচল

রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার নন্দনগাছী রেলস্টেশনে আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে রেলপথ অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এতে ঈদের ছুটির পর কর্মস্থলমুখী মানুষের ভ্রমণে চরম ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। প্রায় আড়াই ঘণ্টা রেল যোগাযোগ বন্ধ থাকার পর বুধবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিটে পুনরায় ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
বিক্ষোভকারীরা সকাল সাড়ে ৬টার দিকে খুলনাগামী সাগরদাঁড়ি এক্সপ্রেস ট্রেনটি থামিয়ে দেন। তারা লাল কাপড় টাঙিয়ে ট্রেন থামিয়ে স্টেশন চত্বরে অবস্থান নেন এবং ‘স্টেশন সংস্কার ও আন্তঃনগর ট্রেন যাত্রাবিরতি চাই’— এমন দাবিসংবলিত ব্যানার-ফেস্টুন নিয়ে প্রতিবাদ জানান।
এ ঘটনায় রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা সিল্কসিটি এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেসসহ আরও কয়েকটি ট্রেন বিভিন্ন স্থানে আটকা পড়ে। এতে সারাদেশের সঙ্গে রাজশাহীর রেল যোগাযোগ সাময়িকভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।
ভুক্তভোগী যাত্রী নোমানুর রহমান বলেন, রাজশাহীতে বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে পরিবার নিয়ে যশোর ফিরছিলাম। কিন্তু রাস্তায় আন্দোলনের কারণে শিশুসহ সবাইকে চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে দাবিদাওয়া মেনে নেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে আন্দোলন সমর্থনযোগ্য নয়।
আন্দোলনকারীদের দাবি— সিল্কসিটি, সাগরদাঁড়ি, বরেন্দ্র ও ঢালার চর এক্সপ্রেস ট্রেনগুলোর যাত্রাবিরতি এবং শতবর্ষী নন্দনগাছী রেলস্টেশনের পূর্ণাঙ্গ সংস্কার। জানা গেছে, ১৯২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত স্টেশনটিতে আগে ১২ জন জনবল থাকলেও বর্তমানে মাত্র একজন পোর্টার কর্মরত আছেন এবং স্টেশনের কার্যক্রম প্রায় এক যুগ ধরে বন্ধ।
এর আগে গত ১ মে একই দাবিতে চারঘাট, বাঘা ও পুঠিয়া উপজেলার মানুষ রেলপথ অবরোধ করেছিলেন। তখন রেল কর্তৃপক্ষ ১ জুনের মধ্যে দাবি বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছিল। কিন্তু তা বাস্তবায়ন না হওয়ায় বুধবার আবারো অবরোধের ডাক দেওয়া হয়।
আন্দোলনের সমন্বয়কারী তারিকুল ইসলাম জনি বলেন, তিন উপজেলার মানুষের যাতায়াত ও ব্যবসার প্রাণকেন্দ্র এই স্টেশনটি। দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকায় এখন পরিত্যক্ত অবস্থা। অতীতেও প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও বাস্তবায়ন হয়নি। এবারও আমাদের দাবির পর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সাইদ চাঁদ সাহেবের মধ্যস্থতায় ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের ইশ্বরদী থানার ওসি জিয়াউর রহমান জানান, ঈদের পরে ট্রেনে প্রচণ্ড ভিড় থাকায় আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নিই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ করি।
এ বিষয়ে রেলপথের পাকশী বিভাগীয় ব্যবস্থাপক লিয়াকত শরীফ খান বলেন, ঈদের ছুটির পর যাত্রাকালীন সময়ে এমন আন্দোলন আত্মঘাতী। আমরা ছুটি ছাড়াই সেবা দিচ্ছি। আন্দোলনের পরিবর্তে অফিস খুললে আলোচনা করে সমাধান করা যেতে পারে।এস
এমএস