রাজধানী
একযোগে ৭৫ ওয়ার্ডে বর্জ্য অপসারণ শুরু করলো ডিএসসিসি

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের (ডিএসসিসি) ৭৫টি ওয়ার্ডে একযোগে কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। কোরবানির বর্জ্য দ্রুত অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনের জন্য কলাবাগান শিশু পার্ক সংলগ্ন সেকেন্ডারি ট্রান্সফার স্টেশন (এসটিএস) পরিদর্শন করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
এবারের কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রায় ১০০০০ (দশ হাজারেরও) অধিক জনবল মাঠ পর্যায়ে কাজ করছে। ২০৭টি ডাম্প ট্রাক, ৪৪টি কম্পেক্টর, ৩৯টি কন্টেইনার ক্যারিয়ার, ১৬টি পে-লোডারসহ বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রমে ৭৫টি ওয়ার্ডে মোট ২ হাজার ৭৯টি যানবাহন নিয়োজিত রয়েছে।
কোরবানির বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম ব্যবস্থাপনার জন্য ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জরুরি পরিচালন কেন্দ্রে একটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ স্থাপিত হয়েছে এবং সার্বক্ষণিক তদারকি করা হচ্ছে।
বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে উপদেষ্টা বলেন, শহরে কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করা একটি বড় চ্যালেঞ্জ। সময়মতো বর্জ্য অপসারণ না হলে দুর্গন্ধ ছড়ায়, এমনকি রোগ-জীবাণু সৃষ্টি হতে পারে।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন ১২ ঘণ্টার মধ্যেই সকল বর্জ্য অপসারণ করতে পারবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে উপদেষ্টা বলেন, এ বছর কোরবানির বর্জ্যের কারণে নগরবাসীর ঈদ আনন্দ বাধাগ্রস্ত হবে না।

রাজধানী
বৃষ্টির পরও ঢাকার বাতাসের মানে অবনতি

এক দিন আগেও ঢাকার বাতাস বিশুদ্ধ ছিল। বৃহস্পতিবার দিনভর বৃষ্টির পরও শুক্রবার (১ আগস্ট) ঢাকার বাতাসের আবার অবনতি হয়েছে। সকালে ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় আন্তর্জাতিক বায়ুমান প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার থেকে এ তথ্য জানা যায়।
সুইস প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের আজ (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১১টার রেকর্ড অনুযায়ী ঢাকার বায়ুমান ৭৯। আইকিউএয়ারের এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্সের করা দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২২তম।
তালিকায় শীর্ষে আছে ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোর কিনশাসা। গত এক মাস ধরে বেশিরভাগ দিনই বায়ুদূষণে শীর্ষে থাকছে শহরটি। শহরটির বায়ুমান আজ ১৮৮, যা অস্বাস্থ্যকর বাতাসের নির্দেশক। ১৬৫ বায়ুমান নিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই রয়েছে দ্বিতীয় অবস্থান।
এদিন দূষিত বাতাসের শহরের তালিকায় শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি শহর। সেগুলো হলো শিকাগো, মেনিয়াপোলিস, ডেট্রয়েট। শহরগুলোর বায়ুমান যথাক্রমে—১৫৮, ১৫৪, ১৩৯।
আইকিউএয়ার স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত হয়। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়, আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়। এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ ও অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।
এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা আইকিউএয়ার ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে। সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে। যেমন—বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সী মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।
ওয়ার্ল্ড হেলথ অরগানাইজেশনের (ডব্লিউএইচও) মতে, বায়ুদূষণের কারণে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৭০ লাখ মানুষের মৃত্যু হয়।
বায়ুদূষণে প্রধানত স্ট্রোক, হৃদরোগ, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ, ফুসফুসের ক্যান্সার ও শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ থেকে মৃত্যুর হার বাড়ে।
রাজধানী
রাজধানীর যেসব মার্কেট বন্ধ থাকবে শনিবার

প্রয়োজনে তাগিদে প্রতিটি মানুষকেই প্রতিদিন কিছু না কিছু কেনাকাটা করতে হয়। কিন্তু কেনাকাটা করতে গিয়ে যদি দেখেন ওই এলাকার মার্কেট বন্ধ, তাহলে মনটাই খারাপ হয়ে যায়। তাই বাসা থেকে বের হওয়ার আগে জেনে নিন শনিবার (২৬ জুলাই) রাজধানীর কোন কোন এলাকার দোকানপাট ও মার্কেট বন্ধ থাকবে।
বন্ধ থাকবে যেসব মার্কেট
ইসলামপুর কাপড়ের দোকান, ছোট কাটরা, বড় কাটরা হোলসেল মার্কেট, নয়াবাজার, গুলিস্তান হকার্স মার্কেট, সামাদ সুপার মার্কেট, রহমানিয়া সুপার মার্কেট, ইদ্রিস সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ বাজার, ফরাশগঞ্জ টিম্বার মার্কেট, শ্যামবাজার পাইকারি দোকান, কাপ্তান বাজার, রাজধানী সুপার মার্কেট, দয়াগঞ্জ সিটি করপোরেশন মার্কেট, ধূপখোলা মাঠবাজার, চকবাজার, ফুলবাড়িয়া মার্কেট, সান্দ্রা সুপার মার্কেট, বাবুবাজার, শারিফ ম্যানসন ও আজিমপুর সুপার মার্কেট।
বন্ধ থাকবে যেসব এলাকার দোকান
শ্যামবাজার, বাংলাবাজার, চাঁনখারপুল, গুলিস্তানের দক্ষিণ অংশ, জুরাইন, করিমউল্লাহবাগ, ধোলাইখাল, জয়কালী মন্দির, যাত্রাবাড়ীর দক্ষিণ-পশ্চিম অংশ, টিপু সুলতান রোড, ধূপখোলা, গেন্ডারিয়া, নবাবপুর, সদরঘাট, তাঁতীবাজার, লক্ষ্মীবাজার, দয়াগঞ্জ, ওয়ারী, স্বামীবাগ, আহসান মঞ্জিল, লালবাগ, কোতোয়ালি থানা, পোস্তগোলা, শ্যামপুর, মীরহাজারীবাগ, দোলাইপাড়, বংশাল, পাটুয়াটুলী, ফরাশগঞ্জ ও শাঁখারী বাজার।
কাফি
রাজধানী
জুলাই শহীদদের স্মরণে শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদে দোয়া

জুলাই শহীদদের স্মরণে রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদে এক বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২১ জুলাই) আসর নামাজের পরে “আল্লাহর পথে যারা নিহত হয়, তাদেরকে মৃত বলো না; বরং তারা জীবিত” এই কুরআনিক ঘোষণাকে সামনে রেখে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
দোয়া মাহফিলে বক্তারা বলেন, “শহীদরা শুধু ইতিহাসের পাতা নয়, আমাদের চেতনায় চিরজাগরুক। তাঁদের ত্যাগ ও রক্ত আমাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর সাহস যোগায়।”
আলোচনা পর্বে ইসলামী চিন্তাবিদ সাদিকুর রহমান আজহারী বলেন, শহীদদেরকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন ছয়টি পুরস্কার দিয়ে থাকেন। তা হলো- প্রথম ফোটা রক্তের সাথেই শহীদদের সকল গুনাহগুলো আল্লাহ তায়ালা মাফ করে দেন। শহীদদেরকে জান্নাতের ঠিকানা চোখের সামনে দেখানো হয়। পরিবার হারা শহীদদেরকে আল্লাহতালা সেদিন পরিবার দান করবেন। কবরের আজাব থেকে শহীদদেরকে আল্লাহ মাফ করবেন । কেয়ামতের ভয়াবহতা থেকে আল্লাহ তায়ালা শহীদদের কে হেফাজত করবেন। শহীদরা রক্তমাখা জামা পরে আল্লাহর সামনে দাঁড়াবে অপরাধীদের বিচার কামনা করবে আল্লাহ তাআলা নিজে সেদিন জালিমদের বিচার করবেন।
তিনি আরও বলেন, অনাকাক্সিক্ষত মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের সামনে বিমান বিধ্বস্ত হয়ে দুর্ঘটনায় যারা মারা গেলেন তারাও শহীদ। যারা চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে তাদেরকে রক্ত দেওয়া, পরিবারের পাশে দাঁড়ানো, সান্ত্বনা দিয়ে পাশে থাকা এই সময়ের সবচাইতে সওয়াবের কাজ হবে। আগুনে পুড়ে যারা মারা যায় অথবা দুর্ঘটনায় কবলিত হয়ে যারা মারা যায় নিশ্চয়ই তারাও শহীদ।
সবশেষে বক্তারা বলেন, জুলাই ২৪ এর শহীদদের সেদিনের আত্মত্যাগ জাতিকে ন্যায় ও মানবিকতার পথে অবিচল রাখার অনুপ্রেরণা জোগায়।
সভায় বক্তারা শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে মুনাজাত করেন এবং তাঁদের পরিবারের প্রতি সহানুভূতি ও সংহতি প্রকাশ করেন।
অনুষ্ঠানে মসজিদ কমিটির সদস্য বৃন্দ ছাড়াও স্থানীয় মুসল্লি ও সাধারণ মানুষ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও ঢাকা মহানগর বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সিনিয়র যুগ্ম সদস্য সচিব ফারহান দিনার, জুলাই আন্দোলনে আহত যোদ্ধা মো. সৌরভ। যুগ্ন সমন্বয়কারী কেন্দ্রীয় কার্যালয় সৈয়দ মোহাম্মদ সোহরাব। আয়োজনটি পরিচালনায় ছিলেন শেখ দিলু বেপারী ওয়াকফ এস্টেট জামে মসজিদের মসজিদ কমিটিবৃন্দ।
কাফি
রাজধানী
রাত ১১টা পর্যন্ত হাতিরঝিলে যান চলাচল বন্ধ

জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাজধানীর হাতিরঝিলে ড্রোন শো’র আয়োজন করেছে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। এজন্য জনগণের নিরাপত্তা ও যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে হাতিরঝিলে আজ বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে বলে জানিয়েছে ঢাকা মহানগর (ডিএমপি) পুলিশের ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) ট্রাফিক-গুলশান বিভাগ জানায়, ‘জুলাই পুনর্জাগরণ ২০২৫’ উপলক্ষে হাতিরঝিল অ্যাম্ফিথিয়েটারে শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে ড্রোন শো রয়েছে। এ অবস্থায় জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থে হাতিরঝিলে বিকেল ৪টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
এ সময় নাগরিকদের হাতিরঝিল ব্যবহার না করে বিকল্প সড়ক ব্যবহারের অনুরোধ করা হয়েছে।
বিকল্প সড়ক
১. হাতিরঝিল হয়ে গুলশান, বারিধারা, নিকেতন, মহাখালী, আড়ং, রামপুরা, বনশ্রীগামী গাড়িগুলো রেইনবো ক্রসিং থেকে উত্তরগামী সাতরাস্তা, লাভ রোড, তিব্বত ক্রসিং হয়ে গুলশান, রামপুরা, বনশ্রীতে প্রবেশ করবে।
২. গুলশান থেকে আগত গাড়িগুলো পুলিশ প্লাজা হয়ে হাতিরঝিল দিয়ে রেইনবো ক্রসিং হয়ে চলে যাবে।
ড্রোন শো শেষ হওয়া মাত্রই হাতিরঝিলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।
কাফি
রাজধানী
অধ্যক্ষের পদত্যাগ দাবিতে উত্তাল ঢাকা সিটি কলেজ

অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) কাজী নিয়ামুল হকের পদত্যাগের দাবিতে লাগাতার আন্দোলনের অংশ হিসেবে আজও উত্তাল ঢাকা সিটি কলেজ চত্বর। শুক্রবার (১৮ জুলাই) সকাল থেকে ২৫ ও ২৬তম ব্যাচের শতাধিক শিক্ষার্থী মূল ফটকের সামনে বিক্ষোভে অংশ নেয়। এ সময় তাদের স্ব ঘোষিত অধ্যক্ষের স্বৈরতান্ত্রিক শাসনের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ এবং প্রশাসনিক সিন্ডিকেট ভাঙার দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দিতে দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে, অধ্যক্ষ নিয়ামুল হক কর্তৃত্ববাদী মনোভাবে কলেজ চালাচ্ছেন এবং তার ঘনিষ্ঠ একটি গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রশাসনিক অনিয়মে যুক্ত। আন্দোলনকারীদের দাবি, আহত শিক্ষার্থীদের ঘটনায় তদন্ত ও দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত তারা শ্রেণি কার্যক্রম, অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও ফি প্রদানসহ সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বর্জন করে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।
এতে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা ন্যায্য দাবি নিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করছি। অথচ কলেজ প্রশাসন গেট বন্ধ করে দিয়ে আমাদের প্রবেশাধিকার বন্ধ করেছে। এটা গণতান্ত্রিক অধিকারের পরিপন্থি।
এইচএসসি ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী রাইহান হোসেন বলেন, আমরা ক্লাস করতে চাই, পরীক্ষা দিতে চাই। কিন্তু একজন স্ব ঘোষিত অধ্যক্ষের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে কলেজের পরিবেশ প্রতিনিয়ত খারাপ হচ্ছে। আমাদের সহপাঠীরা আহত হওয়ার পরও কোনো তদন্ত হয়নি। আমরা তার পদত্যাগ ছাড়া কিছুই মানব না।
২৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী তাসনিম আক্তার বলেন, কলেজ প্রশাসনের বিরুদ্ধে শুধু আমাদের না, আগের ব্যাচের শিক্ষার্থীরাও অভিযোগ করেছেন। কিন্তু প্রতিবার প্রশাসন চাপা দিয়ে দিয়েছে। এবার আর তা হতে দেওয়া হবে না। আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব। আমরা প্রশাসনের দেওয়া কোনো নোটিশ মানছি না। কারণ, তারা শিক্ষার্থীদের স্বার্থে কাজ করছে না। বরং গেট বন্ধ করে আমাদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা করছে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলনে থাকব।
অন্যদিকে, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কলেজের চারপাশে সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন। এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটলেও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
প্রসঙ্গত, গত ৮ জুলাই শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কির ঘটনায় আহত হন মেহেদী হাসান তানিম ও অপু নামের দুই শিক্ষার্থী। এরপর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে একাধিকবার অভ্যন্তরীণ পরীক্ষা ও ভর্তি কার্যক্রম স্থগিত করা হয়।
তবে এত কিছুর পরও কলেজ কর্তৃপক্ষ এখনও পর্যন্ত কোনো লিখিত বা আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেয়নি।
কাফি