জাতীয়
ত্যাগের মহিমার পবিত্র ঈদুল আজহা আজ

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপনে মেতে উঠবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা। আমাদের দেশে এটি কোরবানির ঈদ নামেও পরিচিত। ঈদুল আজহা মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব। যুগ যুগ ধরে এই ঈদ ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের ত্যাগের মহিমায় ভাস্মর হয়ে আসছে।
রোববার (৭ জুন) সকাল থেকেই ঈদুল আজহার নামাজ আদায় করতে পছন্দের ঈদগাহে ছুটে যাবেন মুসল্লিরা। ঈদুল আজহার দুই রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা অল্লাহ’র সন্তুষ্টির আশায় পশু কোরবানি দেবেন।
রাজধানী ঢাকায় ঈদের প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে ঈদের এই জামাতে ইমামতি করবেন তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ খলিলুর রহমান মাদানী। আর ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহে মাঠে এই জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তবে প্রতিকূল আবহাওয়া বা অন্য কোনো কারণে জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করা সম্ভব না হলে সকাল ৮টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ঈদের প্রধান জামাত হবে। প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি, রাজনীতিবিদসহ সব শ্রেণি-পেশার মানুষ ঈদগাহের প্রধান জামাতে অংশ নেবেন।
এরইমধ্যে ঈদ জামাতের জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত করা হয়েছে জাতীয় ঈদগাহ মাঠ। এই ঈদগাহ মাঠে একসঙ্গে প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। এবার জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল আজহার নামাজে ইমামতি করবেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব মুফতি মোহাম্মদ আবদুল মালেক।
প্রধান ঈদ জামাত ঘিরে নিরাপত্তার বন্দোবস্তুও সম্পন্ন হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা নিরাপত্তা আয়োজন পর্যবেক্ষণ করেছেন। যারা ঈদগাহে ঈদের নামাজে যাবেন, তাদের উদ্দেশে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রশাসক শাহজাহান মিয়া বলেছেন, এমন কোনো ডিভাইস বা এমন কোনো যন্ত্রপাতি আনবেন না যেটা নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে হতে পারে। প্রয়োজনে আপনাদের জায়নামাজও আনার দরকার নাই, পানির বোতলও আনার দরকার নাই।
প্রতিবছরের মতো এবারও পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে পাঁচটি জামাতের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইসলামিক ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, সকাল ৭টা, সকাল ৮টা, সকাল ৯টা, সকাল ১০টায় এবং ১০টা ৪৫ মিনিটে ঈদের জামাতগুলো হবে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে দুটি জামাত অনুষ্ঠিত হবে। প্রথম জামাত সকাল সাড়ে ৭টা এবং দ্বিতীয় জামাত সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হল মসজিদে সকাল ৭টায়, ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হল লনে সকাল ৮টায় এবং ফজলুল হক মুসলিম হলের পূর্ব পাশের খেলার মাঠে সকাল ৮টায় ঈদের জামাত হবে।
এর বাহিরে ঢাকা মহানগরীর শতাধিক ঈদগাহে এবং দেড় হাজারের বেশি মসজিদে জামাতের আয়োজন থাকবে। ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী জানিয়েছেন, এ বছর ঢাকা মহানগরীতে মোট ১১৮টি ঈদগাহে এবং এক হাজার ৬২১টি মসজিদে ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, জাতীয় ঈদগাহ মাঠে ঈদের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৭টায়। এখানে একসঙ্গে ৩৫ হাজার মুসল্লি ঈদের নামাজ আদায় করতে পারবেন। প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতিসহ অন্যান্য বিচারপতি, উপদেষ্টা, বিভিন্ন মুসলিম দেশের কূটনীতিক ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা জাতীয় ঈদগাহে ঈদের নামাজ আদায় করবেন। ঈদগাহে পুরুষদের জন্য ৪টি ও নারীদের জন্য একটি গেট থাকবে। এসব গেট দিয়ে মুসল্লিরা ঈদ জামাতে প্রবেশ করতে পারবেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের ঈদ জামাতের ব্যাপারে তিনি বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মোট ৫টি ঈদ জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এরমধ্যে প্রথম জামাত শুরু হবে সকাল ৭টায়। তবে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের প্রধান জামাত বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে সকাল ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এবং ঢাকার অন্যান্য স্থানে অনুষ্ঠিতব্য ঈদ জামাতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ একটি সমন্বিত, সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা হাতে নিয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে ঈদের জামাত উপলক্ষে পর্যাপ্ত নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। জাতীয় ঈদগাহ ময়দান ও আশপাশের এলাকায় এরই মধ্যে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি ঈদগাহ ময়দানে স্থাপিত অস্থায়ী পুলিশ কন্ট্রোল রুম থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা সার্বক্ষণিক পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদগাহ ময়দানে আসার প্রধান তিনটি রাস্তার প্রবেশ মুখে অর্থাৎ মৎস্য ভবন ক্রসিং, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ও হাইকোর্ট ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ও তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশপথ সমূহে আর্চওয়ের মাধ্যমে সব মুসল্লিকে প্রবেশ করতে হবে।

জাতীয়
ইসির আরও ৫২ কর্মকর্তা বদলি

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে কর্মকর্তাদের গণহারে বদলি শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। চলতি মাসের শেষার্ধে মোট ১৭৪ জন কর্মকর্তাকে বদলি করেছে ইসি। সবশেষ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) নির্বাচন কমিশনের সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শহীদুর রহমান ৫২ কর্মকর্তার বদলি সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেন।
এর আগে ২৭ জুলাই এক প্রজ্ঞাপনে ৭১ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি করে ইসি। তারও আগে প্রথম ধাপে ১৫ জুলাই ৫১ জন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে বদলি করা হয়েছিল।
প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ২৭ জুলাইয়ের প্রজ্ঞাপনের উপজেলা কর্মকর্তার ১৬ নম্বর ক্রমিকের শেখ বদরুদ্দীন উপজেলা নির্বাচন অফিস, টুঙ্গীপাড়া, গোপালগঞ্জ, ৪৪ নম্বর ক্রমিকের মো. আলী হোসেন উপজেলা নির্বাচন অফিস, জলঢাকা, নীলফামারী, ৫১ নম্বর ক্রমিকের মোহাম্মদ ওসমান গণি, উপজেলা নির্বাচন অফিস, বরুড়া, কুমিল্লা, ৫৩ নম্বর ক্রমিকের মো. আবুল বাশার, উপজেলা নির্বাচন অফিস, কুলাউড়া, মৌলভীবাজার, ৬৩ নম্বর ক্রমিকের মেহরাজুল হাসান, উপজেলা নির্বাচন অফিস, তাড়াশ, সিরাজগঞ্জ এবং ৫ নম্বর ক্রমিকের মোশাররফ হোসেন, সহকারী পরিচালক, নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট, ঢাকা এর বদলির সংশ্লিষ্ট অংশটুকু স্থগিত করা হলো।
ইসি জানায়, বৃহস্পতিবার বদলি করা কর্মকর্তারা আগামী ৬ আগস্টের মধ্যে বর্তমান কর্মস্থল থেকে অবমুক্ত হবেন। অন্যথায় আগামী ৭ আগস্ট তাৎক্ষণিক অবমুক্ত মর্মে গণ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হলো।
জাতীয়
১০০ আসনে হবে সংসদের উচ্চকক্ষ, পিআর পদ্ধতিতে সদস্য মনোনয়ন

জাতীয় ঐকমত্য কমিশন সংসদের উচ্চকক্ষের কাঠামো চূড়ান্ত করেছে। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, উচ্চকক্ষ হবে ১০০ আসনের এবং সদস্যরা জাতীয় নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের আনুপাতিক হারে (পিআর পদ্ধতিতে) মনোনীত হবেন।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে দ্বিতীয় ধাপের ২৩তম দিনের আলোচনায় এই সিদ্ধান্ত হয়। কমিশনের সহ-সভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ জানান, আলোচনার চূড়ান্ত সনদ দ্রুত প্রস্তুত করে দলগুলোর হাতে তুলে দেওয়া হবে।
উচ্চকক্ষের বিল সংক্রান্ত ক্ষমতা সীমিত থাকবে। অর্থবিল ছাড়া সব বিল নিম্নকক্ষ ও উচ্চকক্ষে উপস্থাপন করতে হবে। উচ্চকক্ষ কোনো বিল স্থায়ীভাবে আটকে রাখতে পারবে না; এক মাসের বেশি আটকে রাখলে সেটিকে অনুমোদিত গণ্য করা হবে।
কমিশনের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, উচ্চকক্ষ বিল পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে এবং অনুমোদন বা প্রত্যাখ্যানের সুপারিশসহ নিম্নকক্ষে পাঠাবে। নিম্নকক্ষ চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।
এই সিদ্ধান্তে আপত্তি জানিয়েছে বিএনপি ও তাদের মিত্র জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, ১২ দলীয় জোট, এনডিএম ও এলডিপি। তারা উচ্চকক্ষের সদস্য নির্বাচনে ভোট নয়, নিম্নকক্ষে প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে মনোনয়ন চায়। অন্যদিকে, সিপিবি, বাসদ ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম উচ্চকক্ষের বিরোধিতা করেছে।
আজকের বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, এনসিপি, ইসলামী আন্দোলন, সিপিবি, গণসংহতি আন্দোলনসহ ৩০টি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (জাতীয় ঐকমত্য কমিশন) মনির হায়দারের সঞ্চালনায় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন কমিশনের সদস্য সফর রাজ হোসেন, বিচারপতি এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, ড. ইফতেখারুজ্জামান ও আইয়ুব মিয়া।
জাতীয়
কিছুদিনের মধ্যেই নির্বাচনের ঘোষণা আসবে: আইন উপদেষ্টা

আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, নির্বাচনের সময় নিয়ে কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিকেলে আইন মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন উপদেষ্টা।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, ভোট দিতে সবাই পারবেন। আমাদের হেন উদ্যোগ নেই, যা নেওয়া হচ্ছে না। ভোটাধিকারের কথা বলছেন? ক্লাসে যখন যেতাম। জিজ্ঞেস করতাম ছাত্রদের- তোমাদের মধ্যে কে কে ভোট দিয়েছো? তারা হাসাহাসি শুরু করত। কেউ কেউ বলতো স্যার ভোট দিয়েছি, তবে দশ বারোটা। ৯০ শতাংশ বলতো তারা ভোট দেয়নি। যা হোক আমাদের সেই দুঃখ ঘুচবে। আমরা ১৮ বছর ধরে ভোট দিতে পারিনি।
কবে আগামী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে— জানতে চাইলে আইন উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনের সময় তো… জাস্ট ওয়েট করেন, কিছুদিনের মধ্যে ঘোষণা শুনবেন।
আরেক প্রশ্নের জবাবে আসিফ নজরুল বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচন নিয়ে কোনো প্রশ্ন নেই- এর সঙ্গে আমি দ্বিমত পোষণ করি। ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ আছে। আপনারা যারা সাংবাদিকরা আছেন, কাজ করেন, অনেক ভয়াবহ তথ্য পাবেন ২০০৮-এর নির্বাচন নিয়ে।
উপদেষ্টা বলেন, নির্বাচনী কার্যক্রম নির্বাচন কমিশন দেখবে। আমি শুধু আমাদের সরকারের নিয়তের কথা আপনাদেরকে বলতে পারি। আমাদের নিয়ত আছে বাংলাদেশের ইতিহাসে বেস্ট ইলেকশন দেওয়ার, এটা স্যার (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের সবসময় বলেন।
জাতীয়
দেশের চামড়াশিল্প নিয়ে আমরা অপরাধ করেছি: প্রধান উপদেষ্টা

দেশের সম্ভাবনাময় চামড়াশিল্পের যথাযথ মূল্যায়ন না করায় এটিকে “অপরাধ” হিসেবে অভিহিত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেন, “এই শিল্প দিয়ে আমাদের অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু সেটা হয়নি।”
বুধবার (৩০ জুলাই) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আয়োজিত স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উত্তরণের প্রস্তুতি বিষয়ক উচ্চ পর্যায়ের পর্যালোচনাসভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
সভায় তিনি চামড়াশিল্পের সংকট নিরসনে একটি পৃথক বৈঠকের আয়োজনের নির্দেশ দেন। বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে অব্যবহৃত শিল্প সম্ভাবনাগুলোর পুনর্মূল্যায়ন জরুরি।
প্রেস উইং জানিয়েছে, বৈঠকে ১৬টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা হয়। এর মধ্যে ৪টি বাস্তবায়নে কাজ করছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), ৩টি শিল্প মন্ত্রণালয়, ২টি অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, ৩টি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ৪টি প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়।
এনবিআর চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রহমান খান জানান, ন্যাশনাল সিঙ্গেল উইন্ডো বাস্তবায়নের কাজ এগোচ্ছে, যেখানে ইতোমধ্যে ১৯টি সংস্থা যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ট্যারিফ পলিসি ২০২৩ বাস্তবায়ন নিয়েও অগ্রগতি হয়েছে।
সভায় ট্যানারি ভিলেজের ইটিপি পূর্ণমাত্রায় চালু, গজারিয়ায় এপিআই পার্ক বাস্তবায়ন, এবং ২০২২ সালের শিল্প নীতি হালনাগাদ সম্পর্কেও আলোচনা হয়।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “আমাদের নিজেদের স্বার্থেই এসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। যেসব আইন-নীতিমালা বাস্তবে কোনো কাজে আসছে না, সেগুলো পরিবর্তন করে সামনে এগোতে হবে।”
তিনি আগামী দুই মাসের মধ্যে এলডিসি উত্তরণ বিষয়ে পরবর্তী বৈঠক আয়োজনের নির্দেশও দেন।
সভায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানসহ বিভিন্ন উপদেষ্টা, সচিব ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
জাতীয়
৩৯ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ: ইসি

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৩৯টি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার।
বুধবার (৩০ জুলাই) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
ইসি বলেন, নির্বাচন কমিশনের বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষায়িত কারিগরি কমিটি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনরায় নির্ধারণে সুপারিশ জমা দিয়েছে। সংসদীয় ৩০০ আসনের মধ্যে ৩৯টির সীমানা পরিবর্তন হচ্ছে। গাজীপুরে একটি আসন বাড়ছে এবং বাগেরহাটে একটি আসন কমছে।
আনোয়ারুল ইসলাম সরকার বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণ আইন ২০২১ এর ধারা ৬ এর উপ-ধারায় বলা হয়েছে, সীমানা নির্ধারণের ক্ষেত্রে প্রশাসনিক ব্যবস্থা ভৌগোলিক অখণ্ডতা এবং আদমশুমারি এ তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে নির্ধারণ করতে হবে। তবে আদমশুমারি ২০২২ অনুযায়ী কিছু বিষয় আছে একটু অসামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের কাছে আছে হালনাগাদ ভোটার সংখ্যা।
এছাড়া আমাদের ভোটার তালিকা ভিত্তিতে, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে কমিটি গড়ে আসনভিত্তিক ভোটার সংখ্যা নির্ধারণ করেছেন। সেটি হলো ৪ লাখ ২০ হাজার সামথিং, অর্থাৎ ৩০০ আসনের এবার ভোটার সংখ্যা হলো ৪ লাখ ২০ হাজার। উনারা ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে একটা গ্রেডিং করেছেন, সেটি হচ্ছে সবচেয়ে বেশি ভোটার কোন জেলায় এবং সবচেয়ে কম ভোটার কোন জেলায়।
কারিগরি কমিটি ফাইন্ড আউট করেছেন যে, সবচেয়ে বেশি ভোটার যে জেলায় সেই জেলায় একটি আসন উনারা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছেন এবং সর্বনিম্ন ভোটার যে জেলায় সেই জেলায় একটি আসন কমানোর প্রস্তাব করেছে। সেই আলোকে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। টেকনিক্যাল কমিটির তথ্যানুযায়ী, সর্বোচ্চ ভোটার হচ্ছে গাজীপুরে। আর বাগেরহাট জেলায় সবচেয়ে কম। মানে বিশেষায়িত কমিটির প্রতিবেদন অনুযায়ী তারা ভোটার সংখ্যা এবং জনসংখ্যা অ্যানালাইসিস করে প্রস্তাব দিয়েছে। তাদের প্রস্তাব হচ্ছে বাগেরহাট একটি আসন কমবে, গাজীপুরে জনসংখ্যা ও ভোটারের সংখ্যার ভিত্তিতে একটি আসন বাড়বে।
যে ৩৯ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ হবে
পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, সাতক্ষীরা-৩ ও ৪, শরিয়তপুর-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৩, ৭, ১০, ১৪ ও ১৯, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, সিলেট- ১ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ২ ও ৩, কুমিল্লা ১, ২, ১০ ও ১১, নোয়াখালী ১, ২, ৪ ও ৫, চট্টগ্রাম-৭ ও ৮ এবং বাগেরহাট-২ ও ৩ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করা হচ্ছে।