অর্থনীতি
ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা বাড়ছে না

উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা বাড়েনি। সাধারণ করদাতাদের জন্য অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ আগের মতোই বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা সাড়ে তিন লাখ টাকা অপরিবর্তিত রেখেছেন। তবে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ হারে একটি কর স্তর করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ ছাড়া স্তরেও পুনর্বিন্যাস করা হয়েছে।
এর পাশাপাশি ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে পরের এক অর্থবছর পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা ২৫ হাজার টাকা বাড়ানোর ঘোষণাও দিয়ে রেখেছেন অর্থ উপদেষ্টা। ২০২৬–২৭ ও ২০২৭–২৮ অর্থবছরে করমুক্ত আয়সীমা হবে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। কর স্তরের পুনর্বিন্যাস করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
আগামী অর্থবছরের প্রস্তাব অনুসারে, ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ করহারের পরে উচ্চস্তরে আরেকটি করহার এসেছে। হিসাব করে দেখা গেছে, বছরে আয় সাড়ে ৩৮ লাখ টাকার বেশি হলে ওই করদাতাকে বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর দিতে হবে।
নতুন প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রথম সাড়ে তিন লাখ টাকার পরে প্রথম এক লাখ টাকার জন্য ৫ শতাংশ, পরবর্তী ৪ লাখ টাকার জন্য ১০ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ১৫ শতাংশ, পরবর্তী ৫ লাখ টাকার জন্য ২০ শতাংশ ও পরবর্তী ২০ লাখ টাকা আয়ের জন্য ২৫ শতাংশ এবং বাকি অর্থের ওপর ৩০ শতাংশ হারে কর বসবে।
এ ছাড়া নারী করদাতা ও ৬৫ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য করমুক্ত আয়সীমা হলো চার লাখ টাকা। তৃতীয় লিঙ্গের করদাতা ও প্রতিবন্ধী স্বাভাবিক ব্যক্তি করদাতার করমুক্ত আয়সীমা হবে পৌনে পাঁচ লাখ টাকা। গেজেটভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা করদাতার করমুক্ত আয়ের সীমা পাঁচ লাখ টাকা হবে। আর প্রতিবন্ধী ব্যক্তির মাতা–পিতা বা আইনানুগ অভিভাবকের প্রত্যেক সন্তান বা পোষ্যের জন্য করমুক্ত আয়ের সীমা আরও ৫০ হাজার টাকা বেশি হবে।
এদিকে গেজেটভুক্ত জুলাই গণ–অভ্যুত্থান ২০২৪–এর আহত জুলাই যোদ্ধা করদাতাদের জন্য ২০২৬–২৭ অর্থবছর থেকে করমুক্ত আয়সীমা ৫ লাখ ২৫ হাজার টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
নতুন করদাতাদের জন্য ন্যূনতম কর এক হাজার টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করেছেন অর্থ উপদেষ্টা। করমুক্ত আয়সীমা পার হলেই এক হাজার টাকা কর দিলে হবে। বর্তমানে ঢাকা উত্তর সিটি, ঢাকা দক্ষিণ সিটি ও চট্টগ্রাম সিটি এলাকায় অবস্থিত করদাতার জন্য ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার টাকা, অন্য সিটির করদাতার জন্য চার হাজার টাকা এবং সিটি করপোরেশন ব্যতীত অন্য এলাকার করদাতার জন্য তিন হাজার টাকা দিতে হবে।
এনবিআর সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ১ কোটি ১১ লাখের মতো কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএনধারী) আছেন। চলতি অর্থবছরে প্রায় ৪০ লাখ করদাতা রিটার্ন দিয়েছেন।
উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের প্রকৃত আয় কমছে। এক বছর ধরে গড় মূল্যস্ফীতি ১০ শতাংশের ওপরে আছে। এর মানে হলো, সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার খরচ গত এক বছরে ১০ শতাংশের বেশি বেড়েছে। কিন্তু মজুরির হার এক বছর ধরে ৮ থেকে ৯ শতাংশের মধ্যে আছে। তাঁদের প্রকৃত ক্রয়ক্ষমতা কমেছে।

অর্থনীতি
আগস্টের জ্বালানি তেলের দাম নির্ধারণ

আগস্ট মাসের জন্য জ্বালানি তেলের দাম অপরিবর্তিত রেখে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। যা কার্যকর হবে আগামী ১ আগস্ট থেকে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) এক বিজ্ঞপ্তিতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, আগস্ট মাসের জন্য জ্বালানি তেলের বিদ্যমান দাম অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। বৈশ্বিক বাজারে জ্বালানি তেলের মূল্যের হ্রাস-বৃদ্ধির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে দেশে স্বয়ংক্রিয় প্রাইসিং ফর্মুলার আলোকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এই পদক্ষেপের লক্ষ্য হলো ভোক্তাপর্যায়ে জ্বালানি তেলের সরবরাহ তুলনামূলক সাশ্রয়ী দামে নিশ্চিত করা।
সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগস্ট মাসে ডিজেল প্রতি লিটার ১০২ টাকা, কেরোসিন ১১৪ টাকা, অকটেন ১২২ টাকা এবং পেট্রোল ১১৮ টাকায় বিক্রি হবে।
বৃহস্পতিবার জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের এক আদেশে এ তথ্য জানানো হয়। যা কার্যকর হবে ১ আগস্ট থেকে।
অর্থনীতি
বেসরকারি খাতের ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা কমালো কেন্দ্রীয় ব্যাংক

২০২৫–২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৭ দশমিক ২ শতাংশ, যা আগের অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় কিছুটা কম। এর আগের ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ। অপরদিকে, সরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২০ দশমিক ৪ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে এ তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর।
সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর, নীতিনির্ধারক পরামর্শক, প্রধান অর্থনীতিবিদ, গবেষণা বিভাগের পরিচালক এবং মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
গত জানুয়ারিতে ঘোষিত মুদ্রানীতিতে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ শতাংশ, তবে জুন শেষে অর্জিত হয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৪০ শতাংশ। এর আগের ডিসেম্বরেও প্রায় একই লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও অর্জিত প্রবৃদ্ধি ছিল ৭ দশমিক ২৮ শতাংশ।
সরকারি খাতে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ঋণ প্রবৃদ্ধির লক্ষ্য নির্ধারিত হয়েছে ২০ শতাংশ। গত অর্থবছরে এ হার ছিল ১৯ দশমিক ৮০ শতাংশ, কিন্তু বাস্তবে অর্জন হয়েছে ১৫ দশমিক ২৫ শতাংশ।
মুদ্রা সরবরাহের দিক থেকেও সামান্য বাড়তি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ডিসেম্বর পর্যন্ত মুদ্রা সরবরাহের প্রবৃদ্ধি ৮ দশমিক ৫০ শতাংশ ধরা হয়েছে, যা আগের ৮ দশমিক ৪০ শতাংশ থেকে সামান্য বেশি। তবে মে মাস পর্যন্ত হিসাব অনুযায়ী, বাজারে বাস্তব মুদ্রা সরবরাহ ছিল ৭ দশমিক ৮৪ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ভাষ্য অনুযায়ী, ডলার কেনার মাধ্যমে বাজারে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে। সেইসঙ্গে কিছু দুর্বল ব্যাংককে বিশেষ সহায়তা হিসেবে ঋণ দেওয়া হয়েছে, যার ফলে সামগ্রিক অর্থ সরবরাহ কিছুটা বেড়েছে।
অর্থনীতি
নীতি সুদহার ১০ শতাংশ বহাল রেখেই নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা

মূল্যস্ফীতির হার কমে এসে গত জুনে ৩৫ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন অবস্থানে পৌঁছেছে। একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবৃদ্ধিও কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৬ দশমিক ৪০ শতাংশে। এমন প্রেক্ষাপটে ব্যবসায়ীরা সুদহার কমিয়ে বিনিয়োগে উৎসাহ দিতে আহ্বান জানান। তবে বাংলাদেশ ব্যাংক আপাতত প্রধান নীতি সুদহার (রেপো) অপরিবর্তিত অর্থাৎ ১০ শতাংশে বহাল রেখেছে। চলতি (২০২৫-২৬) অর্থবছরের প্রথমার্ধের মুদ্রানীতিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মুদ্রানীতি ঘোষণাকালে এ সিদ্ধান্তের ঘোষণা দেন গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। সংবাদ সম্মেলনে ডেপুটি গভর্নর, নীতিনির্ধারক, পরামর্শক, প্রধান অর্থনীতিবিদ, গবেষণা বিভাগের পরিচালক এবং মুখপাত্র ও সহকারী মুখপাত্ররা উপস্থিত ছিলেন।
গভর্নর বলেন, যতক্ষণ না মূল্যস্ফীতির হার ৭ শতাংশের নিচে স্থায়ীভাবে নেমে আসে, ততদিন নীতি রেপো হার ১০ শতাংশ নির্ধারণ থাকবে। এছাড়া স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির হার ১১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটির হার ৮ শতাংশ বজায় রাখা হবে।
চলতি মুদ্রানীতিতেও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণই প্রধান অগ্রাধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে আগামী বছরের জুন নাগাদ গড় মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫০ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। জিডিপি প্রবৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছে ৫ দশমিক ৫০ শতাংশ।
বাংলাদেশ ব্যাংক সর্বশেষ ২০২৪ সালের ২২ অক্টোবর রেপো সুদহার ৫০ বেসিস পয়েন্ট বাড়িয়ে ১০ শতাংশে উন্নীত করে। রেপোর মাধ্যমে ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে সরকারি সিকিউরিটিজ বন্ধক রেখে স্বল্পমেয়াদি ঋণ নেয়।
নতুন মুদ্রানীতিতে স্ট্যান্ডিং লেন্ডিং ফ্যাসিলিটির হারও আগের মতো ১১ দশমিক ৫০ শতাংশ অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। তবে, ব্যাংকগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কাছে অর্থ রাখলে যে সুদ পায়- সেই স্ট্যান্ডিং ডিপোজিট ফ্যাসিলিটির হার গত ১৫ জুলাই ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমিয়ে ৮ শতাংশে নামানো হয়।
অর্থনীতি
সাইবার হামলার আশঙ্কা, সতর্ক করলো বাংলাদেশ ব্যাংক

আসন্ন দিনগুলোতে দেশের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো, বিশেষ করে ব্যাংক ও আর্থিক খাতে সম্ভাব্য সাইবার হামলার আশঙ্কা রয়েছে বলে সতর্ক করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এরই মধ্যে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের কাছে একটি জরুরি নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (৩০ জুলাই) বাংলাদেশ ব্যাংকের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটিডি) বিভাগ থেকে পাঠানো ওই নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সাইবার হামলার মাধ্যমে ব্যাংক, স্বাস্থ্যসেবা, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যাহত হতে পারে। এতে করে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পরিকাঠামো হুমকির মুখে পড়তে পারে।
প্রতিরোধে যা করতে বলা হয়েছে
বাংলাদেশ ব্যাংক নির্দেশনায় সাইবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে-
সার্ভার, ডেটাবেইস ও সিস্টেমসমূহে প্রয়োজনীয় সিকিউরিটি প্যাঁচ আপডেট করা, অপ্রয়োজনীয় পার্ট বন্ধ রাখা এবং ন্যূনতম অ্যাক্সেস সুবিধা নিশ্চিত করা, ডেটা ব্যাকআপ নিশ্চিত করা ও ৩-২-১ ব্যাকআপ কৌশল অনুসরণ, সমস্ত স্তরে (ট্রানজিট, রেস্ট ও প্রসেস) ডেটা এনক্রিপশন, গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেমে মাল্টি-ফ্যাক্টর অথেন্টিকেশন চালু, সন্দেহজনক কার্যক্রম যেমন lateral movement, DDoS, ও ডেটা চুরি শনাক্তে SIEM ও NIDS ব্যবহারের নির্দেশ, EDR (Endpoint Detection and Response) ও অন্যান্য সিকিউরিটি টুল ব্যবহারের পাশাপাশি থ্রেট সিগনেচার নিয়মিত আপডেট, সুনির্দিষ্ট Incident Response Plan প্রস্তুত রাখা।
এছাড়া সন্দেহজনক লগইন, অজানা ফাইল পরিবর্তন, রিমোট অ্যাকসেস ও প্রিভিলেজড অ্যাকাউন্টগুলো বিশেষভাবে নজরে রাখা, কোনো ধরনের Indicators of Compromise (IOCs) পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিকভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ ও বাংলাদেশ ব্যাংকে অবহিত করা, ২৪/৭ ভিত্তিতে সিকিউরিটি অপারেশনস সেন্টার মনিটরিং, উচ্চ পর্যায়ের রেজিলিয়েন্স নিশ্চিত করতে লোড ব্যাল্যান্সার, ফলোব্যাক প্ল্যান, বিজনেস কন্টিনিউইটি প্ল্যান ও ডিজাস্টার রিকভারি প্ল্যান বাস্তবায়নের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, এই নির্দেশনা অনুসরণ করলে দেশের ব্যাংক ও আর্থিক খাত সম্ভাব্য সাইবার হুমকি থেকে নিজেদের রক্ষা করতে সক্ষম হবে। ব্যাংক ও সংশ্লিষ্ট সব প্রতিষ্ঠানকে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন ও দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য পুনরায় অনুরোধ জানায় আর্থিক খাতের নিয়ন্ত্রণ সংস্থাটি।
অর্থনীতি
২৯ দিনে রেমিট্যান্স এলো ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি টাকা

চলতি ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ের ২৯ দিনে দেশে ২২৭ কোটি ৬০ লাখ (প্রায় ২ দশমিক ২৮ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন বিভিন্ন দেশে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ (প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে) প্রায় ২৭ হাজার ৭৬৭ কোটি ২০ লাখ টাকা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, জুলাইয়ের প্রথম ২৯ দিনে ২২৭ কোটি ৬০ লাখ ডলারের রেমিটেন্স এসেছে দেশে। গত বছরের একই সময়ে (২০২৪ সালের জুলাইয়ের ২৯ দিন) এসেছিল ১৭৩ কোটি ২০ লাখ ডলার। সে হিসাবে গত বছরের একই সময়ে তুলনায় ৫৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা প্রায় ৬ হাজার ৬৩৭ কোটি টাকা বেশি রেমিট্যান্স এসেছে।
এর আগে সদ্যবিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরের শেষ মাস জুনে প্রবাসী বাংলাদেশিরা ব্যাংকিং চ্যানেলে দেশে পাঠিয়েছেন প্রায় ২৮১ কোটি ৮০ লাখ (২ দশমিক ৮২ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় ৩৪ হাজার ৪০৪ কোটি টাকার বেশি। আর প্রতিদিন গড়ে এসেছে ৯ কোটি ৪০ লাখ ডলার বা ১১৪৭ কোটি টাকা।
একক কোনো মাস হিসেবে এটি তৃতীয় সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স। গত মে মাসে দেশে এসেছে ২ দশমিক ৯৭ বিলিয়ন ডলার, যা ইতিহাসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। তারও আগে গত মার্চ মাসে সর্বোচ্চ ৩ দশমিক ২৯ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল।
বিদায়ী ২০২৪-২৫ অর্থবছরে (জুলাই থেকে জুন) মোট ৩০ দশমিক ৩৩ বিলিয়ন ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। যা আগের ২০২৩-২৪ অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৮ শতাংশ বেশি। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রেমিট্যান্স এসেছিল ২৩ দশমিক ৯১ বিলিয়ন ডলার।
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে ১৯১ কোটি ৩৭ লাখ ৭০ হাজার ডলারের রেমিট্যান্স এসেছে। এরপর আগস্টে ২২২ কোটি ১৩ লাখ ২০ হাজার ডলার, সেপ্টেম্বরে ২৪০ কোটি ৪১ লাখ ডলার, অক্টোবরে ২৩৯ কোটি ৫০ লাখ ডলার, নভেম্বরে ২২০ কোটি ডলার, ডিসেম্বরে ২৬৪ কোটি ডলার, জানুয়ারিতে ২১৯ কোটি ডলার, ফেব্রুয়ারিতে ২৫৩ কোটি ডলার, মার্চে ৩২৯ কোটি ডলার, এপ্রিলে ২৭৫ কোটি ডলার, মে মাসে ২৯৭ কোটি ডলার ও জুনে রেমিট্যান্স এসেছে ২৮২ কোটি ডলার।