জাতীয়
রাজধানীতে বাজার তদারকি করবে ভোক্তা অধিদপ্তরের ৭ টিম

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা ও উপজেলায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের বিভিন্ন টিম আজ রবিবার (০১ জুন) বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এই কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা বিভিন্ন অনিয়ম চিহ্নিত ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এছাড়া, আজ ঢাকা মেট্রোপলিটন এলাকাতে অধিদপ্তরের ৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে সাতটি টিম বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করবে।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক (প্রশিক্ষণ ও প্রচার) আফরোজা রহমান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সাতটি টিমে যথাক্রমে অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল, ফাহমিনা আক্তার, রোজিনা সুলতানা, শিকদার শাহীনুর আলম, মো. মাগফুর রহমান, মো. আব্দুস সালাম এবং ইন্দ্রানী রায়।
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নিয়মিত বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করে থাকে। এর মূল লক্ষ্য হলো নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখা এবং সরবরাহ স্বাভাবিক রাখা। এই তদারকি কার্যক্রমের মাধ্যমে তারা পণ্যের গুণগত মান, সঠিক ওজন এবং মূল্য তালিকা যাচাই করে থাকে। এছাড়াও, তারা সিন্ডিকেট ও চাঁদাবাজি বন্ধ করতেও কাজ করে।
এসএম

জাতীয়
প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরে পাবে জামায়াত: ইসি

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে দাঁড়িপাল্লা প্রতীকসহ নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। আজ বুধবার (৪ জুন) বিকেলে নির্বাচন কমিশনার আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ নির্বাচন ভবনে ষষ্ঠ কমিশন বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য আদালতের আদেশের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতীকের বিষয়টি আমরা বিবেচনায় নিয়ে নিয়েছি। একই প্রজ্ঞাপনে ২০০৮ সালে দলটিকে প্রতীকসহ নিবন্ধন দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রতীক কোনো দলকে দিলে সেটি সেই দলের জন্য সংরক্ষিত থাকে আরপিও অনুযায়ী। দলটি প্রতীকসহ নিবন্ধন পাবে।
তিনি আরও বলেন, ডিএসসিসি নির্বাচন নিয়ে আপিল বিভাগের পর্যবেক্ষণ বিশদভাবে দেখেছি। আমরা রেফারেন্সগুলোও দেখেছি। আমরা মনে করি গেজেট প্রকাশ করার মধ্যে ইসি তার কাজ সম্পন্ন করেছে।
কাফি
জাতীয়
গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার দেশের মাটিতে হবে: প্রেস সচিব

গুমের সঙ্গে যারা জড়িত, তাদের বিচার বাংলাদেশের মাটিতে হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এ কথা জানান।
শফিকুল আলম বলেন, গুমের সঙ্গে জড়িত সবাইকে বিচারের সম্মুখীন হতে হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা গুম হয়েছেন, তাদের ব্যাপারে আশু করণীয় বিষয় কী কী, তা জানতে চেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। এ ছাড়া নিখোঁজ ৩ শতাধিক ব্যক্তিকে খুঁজে বের করারও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
র্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা সবচেয়ে বেশি গুমের সঙ্গে জড়িত উল্লেখ করে প্রেস সচিব বলেন, র্যাবের ইন্টেলিজেন্স ভয়াবহ কিলার ও হত্যাকারী দল ছিল বলে জানিয়েছে গুম কমিশন। র্যাবের সদস্যরা পদোন্নতি ও ভালো পোস্টিংয়ের জন্য গুম ও খুনের সঙ্গে জড়াতো।
তিনি বলেন, গুমের নির্যাতনের ভয়াবহতা নিয়ে জাদুঘর নির্মাণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। গণভবনে র্যাবের নির্যাতন ও গুমের ঘটনা নিয়ে হরর মিউজিয়াম হবে।
প্রধান উপদেষ্টার এই প্রেস সচিব বলেন, আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে গুম কমিশনের প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু হবে, যা ধারাবাহিকভাবেই চলবে।
কাফি
জাতীয়
গুমসংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে ও বই আকারে প্রকাশ করতে হবে: প্রধান উপদেষ্টা

গুম সংক্রান্ত প্রতিবেদন ওয়েবসাইটে দেওয়ার পাশাপাশি বই আকারে প্রকাশের ব্যবস্থা করতে হবে। এটি ঘিরে শুধু বাংলাদেশ নয়, বৈশ্বিকভাবেও আগ্রহ রয়েছে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (৪ জুন) বেলা ১১টায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার কাছে প্রতিবেদন জমা দেয় প্রধান বিচারপতি মঈনুল ইসলাম চৌধুরী নেতৃত্বাধীন গুম কমিশন। প্রতিবেদন হাতে পেয়ে ড. ইউনূস এ কথা বলেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কী ভয়াবহ একেকটি ঘটনা! আমাদের সমাজের ভদ্রলোকেরা, আমাদেরই আত্মীয়-পরিজনরা এই ঘটনাগুলো ঘটিয়েছে। আপনারা যা যা কিছু পেয়েছেন, তার ভিত্তিতে একটি হরর মিউজিয়াম হওয়া উচিত। গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা।
তিনি আরও বলেন, এই ধরনের বন্দিশালা কেমন হয়, তিন ফিট বাই তিন ফিট খুপড়ির মধ্যে দিনের পর দিন, মাসের পর মাস আটকে থাকার যে নির্মমতা, নিষ্ঠুরতার চিত্র মানুষের কাছে তুলে ধরা উচিত।
কমিশন সদস্যদের ধন্যবাদ জানিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, আপনারা ভয়-ভীতি, নানান রকম হুমকি-ধমকি উপেক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছেন। এ দেশের মানুষের জন্য আপনারা অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবেন। ভবিষ্যতে যারা মানুষের অধিকার নিয়ে কাজ করবেন, আপনারা তাদের অনুপ্রেরণা।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা সদস্যদের কাছে প্রতিবেদনের আশু করণীয়গুলো চিহ্নিত করে কোনটি কোন মন্ত্রণালয়ের আওতায় পড়ছে, তা সুনির্দিষ্ট করে দেওয়ার নির্দেশনা দেন, যাতে করে সরকার স্বল্পসময়ের মধ্যে কাজগুলো শুরু করতে পারে।
একজন কমিশন সদস্য প্রধান উপদেষ্টাকে বলেন, ঘটনাগুলো এতটাই ভয়াবহ যে জড়িত অনেক কর্মকর্তা ও অন্যরাও অনুশোচনায় ভোগেন। তারা আমাদের সঙ্গে আত্মশুদ্ধির একটা প্রচেষ্টা হিসেবে যোগাযোগ করেন। দুজন অফিসার লিখিতভাবে এর থেকে পরিত্রাণ চেয়ে চিঠিও লিখেছিলেন। চিঠিগুলো গণভবনে পাওয়া গেছে। তৎকালীন সেনাপ্রধান জনসম্মুখে এই চিঠির কথা স্বীকারও করেছেন।
কমিশন সদস্যরা জানান, কমিশনের কাছে এখন পর্যন্ত ১ হাজার ৮৫০টি অভিযোগ এসেছে এবং এর মধ্যে ১ হাজার ৩৫০টি অভিযোগ যাচাই-বাছাই শেষ হয়েছে। অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে তিন হাজার ছাড়িয়ে যেতে পারে।
গুমের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও তিনশতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছেন। নিখোঁজ ব্যক্তিদের পরিবার যাতে অন্তত ব্যাংক হিসেবে লেনদেন করতে পারে সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে প্রধান উপদেষ্টাকে অনুরোধ জানান কমিশন প্রধান।
তিনি বলেন, বিদ্যমান আইনে কেউ সাত বছর নিখোঁজ থাকলে তাকে মৃত বলে ধরে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। আইন সংশোধন করে এটিকে পাঁচ বছর করার সুপারিশ করেছি।
অতিদ্রুত যাতে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সে বিষয়ে করণীয় জানাতে এ সময় কমিশনকে পরামর্শ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
প্রতিবেদন জমাকালে উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়া, গুম কমিশন সদস্যনূর খান, সাজ্জাদ হোসেন এবং নাবিলা ইদ্রিস উপস্থিত ছিলেন।
কাফি
জাতীয়
ভুল সংবাদ প্রকাশ করলে আইনানুগ ব্যবস্থা: আজাদ মজুমদার

এখন থেকে ভুল সংবাদ পরিবেশন করলে সরকার ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
তিনি বলেন, যারা এখন থেকে ভুল সংবাদ প্রকাশ করবেন বা বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশ করবেন, যেগুলো মানুষকে বিভ্রান্ত করবে, সরকার তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে।
আজাদ মজুমদার বলেন, মুক্তিযুদ্ধের খেতাব সংক্রান্ত খবরটি ভুয়া, মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও বানোয়াট।
তিনি আরও বলেন, যেসব গণমাধ্যম ভুল সংবাদ প্রচার করেছেন, আমরা আশা করব তারা তাদের ভুলটা সংশোধন করবেন। যেখানে তারা ভুল সংবাদটি ছাপিয়েছেন, ঠিক একই জায়গায় তারা সংশোধনী ছেপে পাঠকদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গণমাধ্যমের স্বাধীনতার ব্যাপারে খুব উদার উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমরা সমালোচনাকে সবসময় স্বাগত জানাই। কিন্তু কাউকে এরকম কোনো লাইসেন্স দেওয়া হয়নি যে, তিনি চাইলেই একটি ভুল সংবাদ প্রচার করবেন।
জাতীয়
ঈদের দিন বন্ধ থাকবে মেট্রোরেল

রাজধানী ঢাকার দ্রুততম ও আধুনিক গণপরিবহন মেট্রোরেল চলাচল পবিত্র ঈদুল আজহার দিন অর্থাৎ ৭ জুন বন্ধ থাকবে।
বুধবার (৪ জুন) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের পরিচালক (প্রশাসক) এ কে এম খায়রুল আমিন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ৭ জুন (শনিবার) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে। ঈদের পরদিন অর্থাৎ ৮ জুন সকাল ৮টা থেকে ৩০ মিনিট হিডওয়ে অনুযায়ী মেট্রো ট্রেন চলাচল করবে। ৯ জুন থেকে সরকারি ছুটির দিনের সময়সূচি অনুযায়ী মেট্রোরেল যথারীতি চলাচল করবে।