কর্পোরেট সংবাদ
এনআরবিসি ব্যাংকের স্ট্রেটেজিক বিজনেস কনফারেন্স

এনআরবিসি ব্যাংকের স্ট্রেটেজিক বিজনেস কনফারেন্স-২০২৫ অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে দিনব্যাপী এই কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও ড. মো. তৌহিদুল আলম খান। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন এনআরবিসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া।
অনুষ্ঠানে স্বতন্ত্র পরিচালক মো. আবুল বশর, মো. নুরুল হক, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা কমিটির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ার হোসেন ও অডিট কমিটির চেয়ারম্যান মুহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
‘একসঙ্গে উৎকর্ষতার অভিমুখে’ শীর্ষক প্রতিপাদ্যের উপর এবারের কনফারেন্সে ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালকবৃন্দ, বিভাগীয় প্রধানগণ, আঞ্চলিক প্রধানগণ, সকল শাখা ম্যানেজার এবং উপশাখার ম্যানেজারবৃন্দ অংশগ্রহন করেন।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান মো. আলী হোসেন প্রধানিয়া বলেন, নবগঠিত পরিচালনা পর্ষদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে ব্যাংকের সুশাসন নিশ্চিত করা এবং ব্যাংকের সার্বিক কার্যক্রমের সকল পর্যায়ে নিয়ম-নীতি সঠিকভাবে পরিপালন করা।
তিনি আরও বলেন, জনগণের আমানতের সুরক্ষা নিশ্চিত করে ক্ষুদ্র ও মাঝারী শিল্পে বিনিয়োগের মাধ্যমে ব্যবসার প্রসার ঘটাতে হবে এবং ব্যাংকিং সেবা সহজ ও দ্রুততার সঙ্গে প্রদান করতে হবে।
কনফারেন্সে পরিচালকবৃন্দ তাদের বক্তৃতায় ব্যাংকের সার্বিক বিষয়ে পর্যালোচনা এবং অগ্রগতির জন্য প্রয়োজনীয় দিক নির্দেশনা দেন।
ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. মো. তৌহিদুল আলম খান বলেন, পরিচালনা পর্ষদ আমাদের যে নির্দেশনা দিয়েছেন ও যে লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দিয়েছেন তা সবাইকে সঠিকভাবে পরিপালন করতে হবে এবং কোন কাজে নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থার নিয়মের ব্যতয় ঘটানোর কোন সুযোগ নেই। সারা দেশের বিপুল সংখ্যক নেটওয়ার্ক ও শাখা-প্রশাখের মাধ্যমে এনআরবিসি ব্যাংক স্বচ্ছতার সঙ্গে অনেক দূর এগিয়ে যাবে বলে ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশা প্রকাশ করেন।
কনফারেন্সে ব্যাংকের বর্তমান অবস্থা, চ্যালেঞ্জ এবং ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া অনুষ্ঠানে সেরা ৯ জন ম্যানেজারকে ‘পারফরমেন্স অ্যাওয়ার্ড’ প্রদান করা হয় এবং অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে উদ্যম ও নতুন প্রত্যয়ের মাধ্যমে কনফারেন্স সমাপ্ত হয়।
এসএম

কর্পোরেট সংবাদ
ইউসিবির ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা

ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক পিএলসির (ইউসিবি) গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (১৯ জুলাই) সাভারের বিসিডিএমে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এই পর্যালোচনা সভায় ইউসিবির ব্যবসায়িক কার্যক্রম, কৌশলগত অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সভার মূল আকর্ষণ ছিল ব্যাংকের সাম্প্রতিক এক অসাধারণ অর্জন—২০২৫ সালের প্রথম ছয় মাসে ইউসিবি নিট আমানত বৃদ্ধি করেছে ৭ হাজার ৭৮৩ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত বাজেট (৫১০০ কোটি) ও লক্ষ্যমাত্রা (৬০০০ কোটি) উভয়কেই উল্লেখযোগ্য ভাবে ছাড়িয়ে গেছে।
ব্যাংকের চেয়ারম্যান শরীফ জহীর, পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মামদুদুর রশীদসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
সভায় ইউসিবির পরিচালনা পর্ষদ কর্মীদের নিষ্ঠা ও পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের মতে, এই অর্জন ব্যাংকের কর্মদক্ষতা এবং গ্রাহকদের অবিচল আস্থার ফলাফল। ইউসিবি বর্তমানে দেশের অন্যতম স্থিতিশীল ও টেকসই আর্থিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছে।
এতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ কৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে, ঝুঁকিহীন এবং টেকসই ঋণ বিতরণে জোর দেওয়া; অভ্যন্তরীণ প্রক্রিয়া ও মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনায় আধুনিক কৌশল গ্রহণ করা; প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং সেবার পরিধি আরও বাড়ানো, যাতে গ্রাহকরা দ্রুত ও নিরাপদ সেবা পান এবং অমানতের ইতিবাচক ধারা বজায় রাখা: আমানত বৃদ্ধির এই ধারা অব্যাহত রাখতে নতুন কৌশল ও পণ্য চালু করা।
বর্তমানে ইউসিবির ঋণ-আমানত অনুপাত (এডিআর) ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, যা আগের বছরের সেপ্টেম্বর (৯২ দশমিক ৫%) ও ডিসেম্বর (৯১ দশমিক ৩%) এর তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত। যেখানে অনেক ব্যাংক অতিরিক্ত ঋণ বিতরণের ফলে তারল্য সংকটে ভুগছে, ইউসিবি সেখানে শক্তিশালী অবস্থান গড়ে তুলেছে।
সভা শেষে ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, এই ব্যবসায়িক পর্যালোচনা সভা ইউসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ও কৌশল নির্ধারণে এক মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। গ্রাহকদের আস্থা ও কর্মীদের দক্ষতায় ইউসিবি আগামী দিনগুলোতেও বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
এমএফএসের অপব্যবহার রোধে সচেতনতা বাড়াতে বিকাশের সমন্বয় কর্মশালা

মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের (এমএফএস) মতো গুরুত্বপূর্ণ ও প্রয়োজনীয় সেবাকে আরও সুরক্ষিত করতে এবং অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যবহার প্রতিরোধে দেশজুড়ে ধারাবাহিক প্রশিক্ষণ কর্মশালার আয়োজন করে যাচ্ছে বিকাশ। বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটে অনুষ্ঠিত কর্মশালাগুলোতে এ পর্যন্ত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় সাড়ে চার হাজার তদন্ত কর্মকর্তা অংশ নিয়েছেন।
সম্প্রতি, স্থানীয় একটি হোটেলে সিলেট রেঞ্জ পুলিশ এর সাথে “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসের অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক দিনব্যাপী এই কর্মশালায় ৫০ জন তদন্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিলেট রেঞ্জ পুলিশ এর রেঞ্জ ডিআইজি মো. মুশফেকুর রহমান এবং বিকাশের পক্ষ থেকে উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পুলিশের সাবেক অতিরিক্ত আইজিপি ও বিকাশের উপদেষ্টা ড. মো. নজিবুর রহমান এনডিসি এবং বিকাশের ইভিপি ও হেড অব এক্সটার্নাল অ্যাফেয়ার্স মেজর এ কে এম মনিরুল করিম (অব.)।
অপরাধী চক্র সম্পর্কে প্রাপ্ত তথ্য কীভাবে কাজে লাগিয়ে তাদের শনাক্ত করা ও আইনের আওতায় আনা যায়, সে বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এই কর্মশালাগুলোতে। এতে প্রযুক্তির ব্যবহার করে তদন্ত কর্মকর্তারা গ্রাহকের হারানো টাকা অনুসন্ধানের কৌশল, ডিজিটাল লেনদেন মনিটরিংয়ের মাধ্যমে অপহরণসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড প্রতিরোধের উপায়, এবং তদন্তের প্রয়োজনে বিকাশের কর্মকর্তাদের সাথে কীভাবে খুব সহজেই যোগাযোগ করা যায়-এসব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। এছাড়া, কোনো অপরাধমূলক ঘটনা সংঘটিত হওয়াকালীন তৎক্ষণাৎ কী ধরনের পদক্ষেপ নেয়া যেতে পারে, তা নিয়েও কর্মশালাগুলোতে আলোকপাত করা হয়।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সাল থেকে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের তদন্ত কর্মকর্তাদেরকে নিয়ে প্রশিক্ষণের অংশ হিসেবে গত ৩ মাসে হবিগঞ্জ, মৌলভীবাজার, রংপুর, লালমনিরহাট, সাতক্ষীরা, সুনামগঞ্জ ও সিলেট জেলায় অনুষ্ঠিত হয় “মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস এর অপব্যবহার তদন্ত ও প্রতিরোধ” শীর্ষক কর্মশালা। ৭টি জেলার ৪০০ জন তদন্ত কর্মকর্তা এতে অংশ নেন।
কাফি
কর্পোরেট সংবাদ
সাস্টেইনেবিলিটি রেটিংয়ে আইপিডিসির শীর্ষস্থান অর্জন

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাস্টেইনেবিলিটি রেটিং ২০২৪-এ সেরা সাস্টেইনেবল আর্থিক কোম্পানি হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসি। এর মাধ্যমে, দায়িত্বশীল ও টেকসই ব্যাংকিংয়ে শীর্ষ স্থান সুদৃঢ় করলো প্রতিষ্ঠানটি।
বাংলাদেশ ব্যাংক বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সূচকের ভিত্তিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহের মূল্যায়ন করে, যার মধ্যে রয়েছে টেকসই ও সবুজ অর্থায়ন, গ্রিন রিফাইন্যান্স উদ্যোগ, কোর ব্যাংকিং সাসটেইনেবিলিটি, সিএসআর কার্যক্রম এবং ব্যাংকিং সেবার বিস্তৃতি। এসব সূচকে আইপিডিসির অসাধারণ পারফরম্যান্সই তাদের এই মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি অর্জনে সহায়ক হয়েছে।
এই অর্জন প্রসঙ্গে আইপিডিসি ফাইন্যান্স পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক রিজওয়ান দাউদ সামস বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে এ ধরনের মর্যাদাপূর্ণ স্বীকৃতি পেয়ে আমরা গভীরভাবে সম্মানিত। আর্থিক খাতে টেকসই সংস্কৃতি গড়ে তোলার জন্য তাদের দিকনির্দেশনা, নেতৃত্ব এবং অটুট প্রতিশ্রুতির জন্য আমরা আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানাই। এই স্বীকৃতি প্রমাণ করে, আমাদের প্রচেষ্টা শুধুমাত্র জাতীয় ও বৈশ্বিক টেকসই উন্নয়নের অগ্রাধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়, বরং বাস্তব ও ইতিবাচক প্রভাবও সৃষ্টি করছে। আইপিডিসির জন্য টেকসইতা কোনো বিচ্ছিন্ন উদ্যোগ নয়; এটি আমাদের ব্যবসার মূলভিত্তির সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত, যা আমাদের চিন্তাভাবনা, কার্যক্রম ও অংশীজনদের প্রতি দায়িত্ব পালনের প্রতিটি পর্যায়ে প্রভাব ফেলছে। আমরা পরিবেশ, অর্থনীতি এবং সমাজের জন্য ইতিবাচক পরিবর্তন আনার ও টেকসই মূল্য সৃষ্টির প্রতি আমাদের অঙ্গীকার অটুট রেখে সামনে এগিয়ে যেতে দৃঢ় প্রত্যয়ী।
এই স্বীকৃতি আইপিডিসির সুদূরদর্শী ও সুপরিকল্পিত কৌশলের উজ্জ্বল প্রতিফলন, যেখানে পরিবেশবান্ধব অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি আরও দৃঢ়ভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে এবং সবুজ পুনঃঅর্থায়ন ও টেকসই অর্থায়নের বিস্তৃত কার্যক্রমের মাধ্যমে ভবিষ্যৎকে আরও সবুজ, স্থিতিশীল ও দায়িত্বশীল করে গড়ে তোলার শক্ত ভিত নির্মাণ করা হয়েছে। পরিবেশ, সমাজ ও অর্থনীতির ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই নীতিমালাকে ব্যবসার প্রতিটি স্তরে অন্তর্ভুক্ত করে আইপিডিসি এগিয়ে চলেছে। পাশাপাশি আইপিডিসি ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছে সিএমএসএমই খাতের বিকাশ, আর্থিক অন্তর্ভুক্তি সম্প্রসারণ, নারী উদ্যোক্তা ও নারী নেতৃত্বাধীন ব্যবসায়ের ক্ষমতায়ন, মূলধনের সুসংহত কাঠামো নিশ্চিতকরণ এবং দায়িত্বশীল ও টেকসই ঋণ প্রদানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতসমূহে, যেন দেশের অর্থনীতির টেকসই প্রবৃদ্ধির ধারায় নিজেদের অবস্থান আরও সুদৃঢ় করতে পারে এবং দেশের সার্বিক উন্নয়নে ইতিবাচক প্রভাব রাখে।
চলতি বছরের সাসটেইনেবিলিটি মূল্যায়নে ১০টি ব্যাংক এবং ২টি আর্থিক প্রতিষ্ঠান স্বীকৃতি পেয়েছে, যার মধ্যে আইপিডিসি তাদের দৃশ্যমান ও কার্যকর উদ্যোগের জন্য বিশেষভাবে স্বীকৃত হয়েছে।
এই অর্জন বাংলাদেশের আর্থিক খাতের জন্য আরও অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে আইপিডিসি ফাইন্যান্সের অবিচল প্রতিশ্রুতিকে দৃঢ়ভাবে প্রতিফলিত করে
কর্পোরেট সংবাদ
ঢাকার নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে চালু হলো ব্র্যাক ব্যাংকের নতুন ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ ব্রাঞ্চ

নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে ব্র্যাক ব্যাংক নতুন একটি শাখা উদ্বোধনের মাধ্যমে ঢাকায় এর ব্যাংকিং কার্যক্রমের পরিধি ও বিস্তৃতি আরও বাড়িয়েছে। এটি ব্যাংকের প্রথম ‘ডিজিটাল ফার্স্ট’ শাখা, যেখানে গ্রাহকরা প্রযুক্তি নির্ভর অত্যাধুনিক ডিজিটাল ব্যাংকিং সেবা উপভোগ করবেন।
ব্যাংকিং সার্ভিসকে দ্রুত ও কার্যকর করার লক্ষ্যে শাখাটিকে অনেকগুলো উদ্ভাবনী ডিজিটাল সার্ভিস দিয়ে সমৃদ্ধ করা হয়েছে। এই সার্ভিসের মধ্যে আছে চেক ও কার্ডের নিরাপদ সংগ্রহের জন্য একটি ২৪/৭ ডিজিটাল ডেলিভারি সিস্টেম ডিজি বক্স, নির্বিঘ্নে স্থানান্তরের জন্য একটি সহজ ডিজিটাল ফাইল-শেয়ারিং সেবা।
গ্রাহক অভিজ্ঞতা উন্নত করতে শাখাটি কিউআর কোডের একটি ম্যাট্রিক্স ব্যবহার করে, যা গ্রাহকদের অভিযোগ করার ও পরামর্শ দেওয়ার সুবিধা দেয়। গ্রাহকদের জন্য আছে কিউ ম্যানেজমেন্ট সলিউশন। ডিজিটাল অ্যাম্বাসেডরের তত্ত্বাবধানে একটি ডিজিটাল কর্নার, যা গ্রাহকদেরকে ব্যাংকের ডিজিটাল সার্ভিস সম্পর্কে জানতে ও হাতেনাতে ব্যবহার করতে সহায়তা করে। এর ফলে গ্রাহকরা সহজে আস্থা অ্যাপ ব্যবহার করতে পারবেন।
এই বাণিজ্যিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে নতুন শাখাটি উদ্বোধন ব্র্যাক ব্যাংকের অত্যাধুনিক ব্যাংকিং সেবা বৈচিত্র্যময় গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানোর প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে। শাখাটিতে এক্সক্লুসিভ প্রিমিয়াম লাউঞ্জ এবং লকার সুবিধাও আছে, যা ক্লায়েন্টদের প্রয়োজনীয় চাহিদা পূরণ করবে।
বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) ব্র্যাক ব্যাংকের চেয়ারপারসন মেহেরিয়ার এম. হাসান নর্থ গুলশান অ্যাভিনিউতে আনুষ্ঠানিকভাবে শাখাটি উদ্বোধন করেন। ব্র্যাকের নির্বাহী পরিচালক আসিফ সালেহ; ব্র্যাক ব্যাংকের ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড সিইও (কারেন্ট চার্জ) তারেক রেফাত উল্লাহ খান, ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর অ্যান্ড হেড ব্রাঞ্চ ডিস্ট্রিবিউশন নেটওয়ার্ক শেখ মোহাম্মদ আশফাক ও ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উদ্বোধন উপলক্ষে মেহেরিয়ার এম. হাসান বলেন, “দেশের প্রতিটি এলাকার গ্রাহকের কাছে ব্যাংকিং সেবা পৌঁছে দেওয়ার কৌশলগত পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আমরা সারাদেশে আমাদের ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ অব্যাহত রেখেছি। বড় পরিসর এবং ডিজিটাল ব্যাংকিং-সক্ষম ব্রাঞ্চ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে আমরা দেশের প্রতিটি কোণায় গ্রাহকদের জন্য সর্বাধুনিক এবং স্বাচ্ছন্দ্যময় ব্যাংকিং অভিজ্ঞতা নিশ্চিত করতে চাই।
উল্লেখ্য, ২৮৫টি শাখা ও উপ-শাখা, ৩৩০টি এটিএম, ৪৪৬টি এসএমই ইউনিট অফিস এবং ১,১২১টি এজেন্ট ব্যাংকিং আউটলেট নিয়ে বর্তমানে ব্র্যাক ব্যাংক বাংলাদেশের অন্যতম বিস্তৃত ব্যাংকিং নেটওয়ার্ক-সমৃদ্ধ ব্যাংক।
কর্পোরেট সংবাদ
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক ও বিকাশের মধ্যে রেমিট্যান্স সেবা চুক্তি

বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংক লিমিটেড ও বিকাশের মধ্যে রেমিট্যান্স সেবা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। সম্প্রতি চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মো. আতাউর রহমান।
অন্যান্য পরিচালকগনের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পর্ষদ নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান মো. মহসিন মিয়া। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন এবং উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. জহিরুল আলম অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
উপস্থিত অতিথিগণ গ্রাহক সেবার মান উন্নয়ন ও সর্বোপরি গ্রাহকের সন্তুষ্টির ব্যাপারে মূল্যবান মতামত প্রদান করেন।
বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের পক্ষে মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এবং বিকাশের পক্ষে আলি আহাম্মেদ নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। এসময় ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট বিভাগীয় প্রধান এবং বিকাশের রেমিট্যান্স ও ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের বিভাগীয় প্রধান মোহাম্মদ জাহিদুল আহসানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
এই চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ কর্মাস ব্যাংক সরাসরি নিজ ব্যাংকের গ্রাহক, বিকাশের গ্রাহক ও অন্য ব্যাংকের গ্রাহকদের রেমিটেন্স সেবা প্রদান করতে পারবে।