রাজনীতি
এনসিপি নেতাদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের বৈঠক

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ও জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারার সঙ্গে বুধবার বৈঠক করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
ব্রিটিশ হাইকমিশন জানিয়েছে, বাংলাদেশে যুক্তরাজ্যের অব্যাহত সমর্থন, একটি গণতান্ত্রিক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে যাওয়ার বিষয় নিয়ে এই বৈঠক হয়েছে।
বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনের সম্পৃক্ততার বৃহত্তর উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে এই বৈঠক হয়েছে।
যুক্তরাজ্য ধারাবাহিকভাবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রচার, সুশাসন প্রতিষ্ঠা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাংলাদেশের সঙ্গে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছে।

রাজনীতি
২ জুন বিএনপিকে যমুনায় আমন্ত্রণ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা

আলোচনা জন্য বিএনপিকে আবারও আমন্ত্রণ জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আগামী ২ জুন দ্বিতীয় দফার এ আলোচনা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।
শনিবার (৩১ মে) দুপুরে রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় এ কথা জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
সালাহউদ্দিন বলেন, সরকার একের পর এক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনার আনুষ্ঠানিকতা চালিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু তাতে বাস্তব কোনো অগ্রগতি নেই। আলোচনা হচ্ছে, কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। জনগণের আস্থার সংকট কাটিয়ে উঠতে হলে বাস্তব পদক্ষেপ প্রয়োজন, কেবল আনুষ্ঠানিকতা নয়।
‘সংবিধান সংস্কার কমিশন যদি নিজেদের মতো করে সংবিধান পরিবর্তন করতে চায়, তবে সে বিষয়ে জাতিকে একমত হতে হবে’ উল্লেখ করে বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, জোর করে চাপিয়ে দিলে সেটা গণতন্ত্র নয়, তা হবে আরেকটি বাকশাল।’
সালাহউদ্দিন বলেন, আমরা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে বিশ্বাস করি, মতের ভিন্নতা থাকবেই। আর ডিসেম্বরের পর নির্বাচন দেওয়ার পক্ষে একটি যুক্তিও নেই। দেশের মানুষ চায় অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন।
রাজনীতি
সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ডিএমপিতে জামায়াতের চিঠি

স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর রাজধানীতে প্রথম বড় সমাবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। আগামী ২১ জুন রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করার জন্য ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাছে আবেদন করেছে দলটি।
শনিবার (৩১ মে) জামায়াতের কেন্দ্রীয় মিডিয়া ও প্রচার বিভাগের প্রধান এবং সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল অ্যাডভোকেট এহসানুল মাহবুব জুবায়ের একটি গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আগামী ২১ জুন দুপুর ২টায় রাজধানীতে আমরা জনসভা করবো। প্রাথমিকভাবে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের জন্য ডিএমপির কাছে আবেদন করা হয়েছে। সমাবেশে জামায়াতের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত থাকবেন। পাশাপাশি সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।
৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেন শেখ হাসিনা। এরপর রাজধানীতে একাধিক সমাবেশ করে বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল। তবে জামায়াতের পক্ষ থেকে রাজধানীতে বড় কোনো সমাবেশ করতে দেখা যায়নি।
সম্প্রতি আপিল বিভাগের রায়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের সাজা থেকে খালাস পেয়ে মুক্তি পান দলটির সিনিয়র নেতা এটিএম আজহারুল ইসলাম। তাৎক্ষণিকভাবে শাহবাগ মোড়ে সমাবেশ করে এ নেতাকে সংবর্ধনা দেয় জামায়াত।
রাজনীতি
সাবেক পিএ পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশ, উদ্দেশ্য প্রণোদিত বললেন নাহিদ

জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের পরিচয় জড়িয়ে তার সাবেক পিএ আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে। তবে এ বিষয়ে নাহিদ ইসলাম বলেন, আমার পিএ থাকা অবস্থায় আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে এমন কোনো অভিযোগ ছিল না। আমি উপদেষ্টা থাকাকালীন নগদ বিষয়ক সম্পূর্ণ কার্যক্রম বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীনে পরিচালিত হতো। আমি পদত্যাগের পর আতিক মোর্শেদ বর্তমানে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব সাহেবের সঙ্গে কাজ করছেন।
তিনি আরো বলেন, আতিক মোর্শেদের সঙ্গে বর্তমানে আমার কোনো সম্পর্ক না থাকলেও আমার সাবেক পিএ পরিচয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হচ্ছে। এটা উদ্দেশ্য প্রণোদিত এবং বিভ্রান্তিকর। যে সংবাদের রেফারেন্সে তথ্য ছড়ানো হচ্ছে সেখানেও আমার নাম নেই। আমরা অফিসিয়ালি এ বিষয়ে আমাদের বক্তব্য দেব।
শুক্রবার দুপুরে আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধের নগদের ১৫০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ তুলে একটি ফেসবুক পোস্ট দেন গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খাঁন। যেখানে তিনি আতিক মোর্শেদকে সাবেক তথ্য উপদেষ্টার সাবেক পিএ পরিচয়ে তুলে ধরেন।
নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না- এমন প্রশ্ন তোলেন রাশেদ খাঁন।
ফেসবুক পোস্টে রাশেদ খাঁন বলেন, সাবেক তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের বিশেষ সহকারী (পিএ) আতিক মোর্শেদের বিরুদ্ধে বেশকিছু গুরুতর অভিযোগ আসলেও নাহিদ ইসলাম দায়িত্বে থাকাকালীন সময়ে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ বা মন্ত্রণালয় থেকে তদন্ত কমিটি গঠন করেননি।
এক্ষেত্রে প্রশ্ন থেকে যায় নাহিদ ইসলামের পরামর্শেই আতিক মোর্শেদ এসব কাজে জড়িত কি না? অন্যথায় এসব বিষয়ে নাহিদ ইসলাম কেন চুপ ছিলেন বা এখনো চুপ আছেন?
রাজধানী
রাজধানীর মান্ডায় জামায়াতের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান

রাজধানীর মান্ডায় বায়তুন নুর মসজিদ পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে দুই মাসব্যাপী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
শুক্রবার (৩০ মে) দুই মাসব্যাপী এ পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানের উদ্বোধন করা হয়।
অভিযানে ৭২ নং ওয়ার্ডের আমীর ও কাউন্সিলর প্রার্থী মাওলানা ইসহাক প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। আরও উপস্থিত ছিলেন থানা সেক্রেটারি প্রভাষক ওমর ফারুক, ওয়ার্ড সভাপতি মুহা. সোলাইমান, ইমরান মুন্সি সহ এলাকার ও মসজিদের দায়িত্বশীলগণ।
এসময় মান্ডা ৭২ নং ওয়ার্ড আমীর মাওলানা ইসহাক বলেন, মসজিদ পরিস্কার করার মাধ্যমে সমাজ ও রাষ্ট্রকে পরিস্কার করার ভূমিকা পালন করতে হবে।
রাজনীতি
সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক দল ডিসেম্বরে নির্বাচন চায়: ১২ দলীয় জোট

এ বছরের ডিসেম্বরে কেবল একটি দল নয়, দেশের সব দেশপ্রেমিক গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল নির্বাচন চায়। একটি অবাধ সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনই দেশের মুক্তি ও উন্নতির অভিমুখ নিশ্চিত করে। বারবার তা প্রমাণিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা।
আজ শুক্রবার (৩০ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে ১২ দলীয় জোট নেতারা এ কথা বলেন।
জাপানের নিক্কেই ফোরামে যোগ দিতে গিয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘ডিসেম্বরে মাত্র একটি দল নির্বাচন চায়।’ এ বক্তব্যের প্রতিবাদ জানিয়ে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেন, এক কথায় নিরেট মিথ্যাচার করেছেন নোবেলজয়ী অধ্যাপক ইউনূস। কেবল একটি দলই নয়, দেশের সব গণতন্ত্রপন্থি দলগুলো স্পষ্টভাবে গত ৯ মাস ধরে ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজনের কথা বলে এসেছে। বরং তিনি নিজেই কিছু মৌলবাদী, জনসমর্থনহীন, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী রাজনৈতিক দলকে পাশে নিয়ে নির্বাচনের প্রশ্নটিকে বিলম্বিত করার চেষ্টা করেছেন, করছেন।
জোট নেতারা বলেন, আমরা ১২ দলীয় জোটের পক্ষ থেকে দফায় দফায় এ বছরের জুনের মধ্যেই নির্বাচনের কথা বলেছি। দেশের প্রগতিশীল রাজনৈতিক দলগুলো সভা, সমাবেশ, সেমিনার, বক্তব্য, বিবৃতি এবং প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকে বারবার এই কথা উচ্চারণ করেছেন। ড. মুহাম্মদ ইউনূস হয়তো ভুলে যাচ্ছেন তিনি কথার মারপ্যাঁচ দিয়ে তার গদি রক্ষা করতে পারবেন না। পদত্যাগের নাটক করেও পারবেন না। বাংলাদেশের জনগণ তার নাটকবাজি বুঝে গেছেন।
সম্প্রতি অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ডক্টর ইউনূস যেসব রাজনৈতিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তাদের মধ্যে অনেকেই স্বৈরাচারী সরকারের পদলেহনকারী এবং স্বৈরাচারী হাসিনার আচলের নিচে আশ্রয় গ্রহণ করেছেন। আমি, তুমি ও ডামি নির্বাচন প্রতিরোধে তাদের ন্যূনতম কোনো ভূমিকা ছিল না ভোট বর্জনের ব্যাপারেও তারা ছিলেন নীরব। এমনকি জুলাই-আগস্টের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে তাদের কোনো ভূমিকা ছিল না। নিজের পায়ে চলতে পারে না এমন অনেক জনসম্পর্কবিহীন নেতৃত্বকে ডেকে তিনি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এবং গণঅভ্যুত্থনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণকারী দল ও নেতাদের অপমান করেছেন, অবজ্ঞা করেছেন। তার এই অশোভন আচরণে গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গে সম্পর্কিত দল এবং নেতারা ব্যথিত এবং দুঃখিত।
বাংলাদেশের মানুষ ১৯৭১ সালে, ১৯৯০ সালে, এমনকি ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে জীবনক্ষয়ী সংগ্রাম করেছে, তার মূলে ছিল ভোট ও নির্বাচন উল্লেখ করে ১২ দলীয় জোট নেতারা বলেন, তিনি কূটকৌশলে ক্ষমতা প্রলম্বিত করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক হবে, তিনি ভিন্ন কোনো কিছু অর্জনের উদ্দেশে ভোট ও নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চাইছেন। আর তার সঙ্গে রয়েছেন কয়েকজন উপদেষ্টা।
জোট নেতারা বলেন, আগামী ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন করা সম্ভব। দেশের দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকেও নানাভাবে বিষয়টি সামনে এসেছে। আমরা চাই দেশের জনগণের দীর্ঘদিনের চাওয়া তিনি পূরণ করবেন। তাকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে অন্তর্বর্তী কাজ করার জন্য, স্থায়ী কোনো কাজ নয়। সংস্কার চলমান প্রক্রিয়া, ন্যূনতম সংস্কার করে নির্বাচন করতে হবে। আগে প্রয়োজন নির্বাচনের শিডিউল ঘোষণা। পাশাপাশি চলবে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের বিচার। ইতোমধ্যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করার মধ্য দিয়ে এ প্রক্রিয়া চলমান হয়েছে।
অবিলম্বে নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করে দেশ মহাসংকটের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহ্বান জানান ১২ দলীয় জোট নেতারা। তারা বলেন, অন্যথা দেশের মানুষই প্রতিরোধ গড়ে তুলবে। তখন তিনি মৌলবাদী ও জনবিচ্ছিন্ন রাজনৈতিক দলকে পাশে পাবেন না। তার পরিণতি যেন আফগানিস্তানের পালিয়ে যাওয়া মোহাম্মদ আশরাফ গনি আহমদজাইয়ের মতো না হয়।
বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন ১২ দলীয় জোট প্রধান ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, জোটের মুখপাত্র বাংলাদেশ এলডিপির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিম, জোটের সমন্বয়ক বাংলাদেশ জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব ডক্টর গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপার) সহসভাপতি রাশেদ প্রধান, লেবার পার্টি বাংলাদেশের চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমান, কল্যাণ পার্টি চেয়ারম্যান শামসুদ্দীন পারভেজ, ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মাওলানা আব্দুর রকিব, ইসলামিক পার্টির মহাসচিব আবুল কাশেম, নয়া গণতান্ত্রিক পার্টির সভাপতি এমএ মান্নান, প্রগতিশীল জাতীয়তাবাদী দল (পিএনপির) চেয়ারম্যান ফিরোজ মো. লিটন।
কাফি