পুঁজিবাজার
ব্যাংক আলফালাহ অধিগ্রহণে ব্যাংক এশিয়ার চুক্তি

বহুজাতিক ব্যাংক আলফালাহ’র বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করবে ব্যাংক এশিয়া পিএলসি। ব্যাংক এশিয়া এ লক্ষ্যে ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশ এর সঙ্গে একটি সমঝোতা স্মারক সই করেছে। ব্যাংক এশিয়া সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (২৮ মে) ব্যাংক দুটির মধ্যে আলোচিত সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। ব্যাংকিং খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক ও স্টেট ব্যাংক অব পাকিস্তানের অনুমোদন এবং প্রয়োজনীয় অন্যান্য বিধিবিধান পরিপালন সাপেক্ষে এ সমঝোতা স্মারক বাস্তবায়িত হবে।
উল্লেখ, ব্যাংক আলফালাহ পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় ব্যাংক। দেশটির প্রধান বাণিজ্যিক শহর করাচিতে এর প্রধান কার্যালয় অবস্থিত। পাকিস্তানের প্রধান ২০০ শহরে ব্যাংকটির উপস্থিতি রয়েছে। ব্যাংকটির শাখার সংখ্যা ২০০ এর বেশি। দেশের বাইরে বাংলাদেশ, আফগানিস্তান, বাহরাইন ও আরব আমিরাতে এর কার্যক্রম রয়েছে। ব্যাংকটির মূল মালিক আবুধাবি গ্রুপ।
২০০৫ সালে ব্যাংক আলফালাহ বাংলাদেশে কার্যক্রম শুরু করে। বর্তমানে ব্যাংকটির সাতটি শাখা রয়েছে। এগুলো হচ্ছে-গুলশান শাখা, মতিঝিল ইসলামিক ব্যাংকিং শাখা, ধানমন্ডি শাখা, উত্তরা শাখা, মিরপুর শাখা, চট্টগ্রাম আগ্রবাদ শাখা ও সিলেট শাখা।
জানা গেছে, শুরুতে ব্যাংকটি বেশ ভাল করলেও পরবর্তীতে স্থানীয় ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষর অদক্ষতা এবং অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে তা বজায় থাকে নি। বরং খেলাপি ঋণের হার তরতর করে বাড়তে থাকে। এমন অবস্থায় ২০২৩ সাল থেকে ব্যাংক আলফালাহ তাদের বাংলাদেশের কার্যক্রম বিক্রির জন্য উপযুক্ত ক্রেতা খুঁজছিল। ব্যাংক এশিয়ার সঙ্গে এ নিয়ে নানা পর্যায়ে আলোচন হয়েছে। বনিবনা হওয়ায় গত বছরের এপ্রিলে ব্যাংক আল ফালাহ পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে প্রকাশিত বার্তায় তাদের বাংলাদেশ কার্যক্রম ব্যাংক এশিয়ার কাছে বিক্রির ঘোষণা দেয়। দুই দেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থাও ইতিবাচক সাড়া দেয়।
বাংলাদেশের বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে শুধু ব্যাংক এশিয়ারই এভাবে ব্যাংক অধিগ্রহণের অভিজ্ঞতা আছে। ব্যাংকটি তৃতীয়বারের মতো কোনো বিদেশি ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করতে চলেছে। এর আগে ২০০১ সালে ব্যাংক এশিয়া কানাডাভিত্তিক নোভা স্কোশিয়া ও একই বছর পাকিস্তানের আরেক ব্যাংক মুসলিম কমার্শিয়াল ব্যাংকের বাংলাদেশ কার্যক্রম অধিগ্রহণ করে।

পুঁজিবাজার
ওয়ালটনের লভ্যাংশ ঘোষণা

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ওয়ালটন হাইটেক ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে সমাপ্ত হিসাববছরের জন্য লভ্যাংশ ঘোষণা করেছে। কোম্পানিটি আলোচিত বছরের জন্য সাধারণ শেয়ারহোল্ডারদের ১৮৫ শতাংশ লভ্যাংশ দেবে। এর মধ্যে ১৭৫ শতাংশ নগদ ও বাকী ১০ শতাংশ বোনাস লভ্যাংশ।
আজ বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত কোম্পানি পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে সর্বশেষ হিসাববছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা ও অনুমোদনের পর লভ্যাংশ সংক্রান্ত এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কোম্পানি সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, সর্বশেষ বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩৪ টাকা ২২ পয়সা। আগের বছর শেয়ার প্রতি আয় হয়েছিল ৪৪ টাকা ৭৮ পয়সা।
আলোচিত বছরে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫৮ টাকা ২০ পয়সা। আগের বছর ক্যাশ ফ্লো ছিল ৫৬ টাকা ৯৬ পয়সা।
গত ৩০ জুন,২০২৫ তারিখে কোম্পানিটির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ৩৯৯ টাকা ৭৪ পয়সা।
আগামী ২৮ অক্টোবর, বেলা ১১ টায় কোম্পানিটির বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) অনুষ্ঠিত হবে। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ সেপ্টেম্বর।
এসএম
পুঁজিবাজার
দেশি-বিদেশি কোম্পানি বাজারে তালিকাভুক্তির সিদ্ধান্তকে ডিবিএ’র সাধুবাদ

দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে গত ২ সেপ্টেম্বর গৃহীত কমিশনের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানিয়েছে শেয়ারবাজারের স্টক ব্রোকারদের একমাত্র সংগঠন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ ব্রোকার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ডিবিএ)।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) তারিখে ডিবিএ থেকে প্রেরিত এক বার্তায় ডিবিএর প্রেসিডেন্ট সাইফুল ইসলাম দেশি-বিদেশি কোম্পানিগুলোকে পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে গৃহীত বিএসইসির সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানান। সেই সঙ্গে গত ১১ মে প্রধান উপদেষ্টার সুনির্দিষ্ট দিক-নির্দেশনা বাস্তবায়নের নিমিত্তে গৃহীত এইরুপ সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য তিনি বিএসইসির চেয়ারম্যান (সিনিয়র সেক্রেটারী) খন্দকার রাশেদ মাকসুদসহ তাঁর কমিশনকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
বার্তায় ডিবিএ প্রেসিডেন্ট বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পুঁজিবাজারে ভালো কোন কোম্পানি আসেনি। ভালো কোম্পানির অভাবে আমাদের বাজারে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর তেমন উল্লেখযোগ্য অংশগ্রহণ ঘটেনি এবং এর ফলে বাজার স্থিতিশীল ও টেকসই হয়নি।
তিনি আরও বলেন, পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে আমরা পুঁজিবাজারে দেশি-বিদেশি ভাল কোম্পানি তালিকাভূক্তির প্রয়োজন উপলব্ধি করে এই বিষয়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, সংস্থা, বিএসইসি, ডিএসইসহ বাজার সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের সাথে পত্র যোগাযোগসহ বৈঠক করি এবং আমাদের সংগঠনের উদ্যোগে অসংখ্য সেমিনার ও ডায়ালগ অনুষ্ঠান আয়োজনের মাধ্যমে বাজার উন্নয়ন বিষয়ক আমাদের দাবির স্বপক্ষে বক্তব্য ও যুক্তি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়, বিএসইসি, ডিএসইসহ অন্যান্য অংশীজনদের নিকট তুলে ধরি এবং বাস্তবায়নের দাবি জানাই।
ডিবিএ প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, গত ১১ মে পুঁজিবাজার সংক্রান্ত বিষয়ে অনুষ্ঠিত প্রধান উপদেষ্টার বৈঠকে আমাদের দাবির প্রতিফলন দেখতে পেয়ে আমরা আশান্বিত হই। বৈঠকে গৃহীত সিদ্ধান্ত ও নির্দেশনা অনুযায়ী পরবর্তীতে এর বাস্তবায়নে বিএসইসির কার্যকর পদক্ষেপ বাজারে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যার প্রতিফলন ইতিমধ্যে বাজারে ফুটে উঠেছে।
সর্বশেষ গত ২ সেপ্টেম্বর দেশি-বিদেশি বৃহৎ কোম্পানিসমূহকে দেশের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্তির বিষয়ে গৃহীত বিএসইসির সিদ্ধান্তে বিনিয়োগকারীসহ বাজার মধ্যস্থতাকারীদের মাঝে দৃঢ় আস্থার সৃষ্টি করে। আমরা আশা করি দেশি-বিদেশি কোম্পানিসমূহকে দেশের পুঁজিবাজারে অন্তর্ভূক্ত করতে কমিশনের কার্যকর পদক্ষেপ ও আশু বাস্তবায়ন বাজারে পণ্যের আধিক্য সৃষ্টি করবে এবং বিনিয়োগের ক্ষেত্রে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগকারীর চাহিদা পূরণের মাধ্যমে আমাদের পুঁজিবাজারকে শক্তিশালী ও সমৃদ্ধশালী বাজারে পরিনত করবে।
পুঁজিবাজারের বৃহত্তর স্বার্থে বিএসইসি কর্তৃক গৃহীত সকল ইতিবাচক উদ্যোগ, কার্যক্রম বাস্তবায়নে সার্বিক সহযোগিতা প্রদান করতে আমরা ডিবিএর পক্ষ থেকে সর্বদা সচেষ্ট থাকার আশ্বাস প্রদান করছি।
পুঁজিবাজার
ব্লকে ৪০ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লকে মোট ২৮ টি কোম্পানির শেয়ার লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মোট ৯২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৫৬টি শেয়ার ৬৯ বারে লেনদেন হয়েছে। যার আর্থিক মূল্য ৪০ কোটি ৪৫ লক্ষ ১২ হাজার টাকা।
ডিএসই সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) ব্লকে সবচেয়ে বেশি খান ব্রাদার্সের ১২ কোটি ৩ লক্ষ ৭ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে থাকা পূবালী ব্যাংকের ৯ কোটি ৯৯ লক্ষ ৬০ হাজার টাকার ও তৃতীয় স্থানে গ্রামীনফোনের ৫ কোটি ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।
এসএম
পুঁজিবাজার
শেয়ার বিক্রয় করবেন ইসলামী ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত ব্যাংক খাতের ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ পিএলসির এক স্বতন্ত্র পরিচালক শেয়ার বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালক এম. জুবাইদুর রহমানের নিকট কোম্পানির মোট ১ লাখ ৪৯ হাজার ৬২২টি শেয়ার রয়েছে। তিনি তার নিকট থাকা সম্পূর্ণ বিক্রয়ের ঘোষণা দিয়েছেন।
আগামী ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ঘোষণাকৃত শেয়ার বর্তমান বাজার মূল্যে পাবলিক মার্কেটে বিক্রয় করবেন এই উদ্যোক্তা।
এসএম
পুঁজিবাজার
অস্বাভাবিক শেয়ারদর বাড়ার কারণ জানে না ইনটেক

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইনটেক লিমিটেড শেয়ারদর অস্বাভাবিক বাড়ার পেছনে কোনো মূল্য সংবেদনশীল তথ্য নেই। সম্প্রতি কোম্পানিটির শেয়ারদর অস্বাভাবিক বৃদ্ধির কারণে ডিএসই’র পাঠানো নোটিশের জবাবে এ তথ্য জানিয়েছে কোম্পানি কর্তৃপক্ষ।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র মতে, গত ৬ আগস্ট কোম্পানিটির শেয়ার দর ছিল ২০ টাকা ৪০ পয়সা। আর আজ ৩ সেপ্টেম্বর বাজার শেষে কোম্পানিটির শেয়ার দর ৪১ টাকা ২০ পয়সায় উন্নীত হয়েছে। অর্থাৎ এসময়ের মধ্যে শেয়ারটির দর বেড়েছে ২০ টাকা ৮০ পয়সা।
এই দর বাড়াকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছে ডিএসই কর্তৃপক্ষ।
কাফি