রাজনীতি
সালাউদ্দিন কাদেরকে স্মরণ করলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

সদ্য কারামুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হওয়ার পরই স্মরণ করেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে।
বুধবার (২৮ মে) মুক্ত হয়েই রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে যোগ দেন তিনি। এসময় বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি শেখ হাসিনার হাতে হত্যার স্বীকার বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে স্মরণ করেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, আমি আমার নেতাদের স্মরণ করছি, যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। আমি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম ও মীর কাসেম আলী ভাইকে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও বিনা চিকিৎসায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও স্মরণ করছি। আমি জামায়াতের অন্যান্য নেতা যারা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন তাদের স্মরণ করছি। মাওলানা আবদুস সোবহানকে স্মরণ করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
এটিএম আজহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই, যেই পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। না হলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমার অপরাধ কী ছিল? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাই তো আমার অপরাধ? এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনাদের দোয়া চাই। আপনাদের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি। আমার এক ফোটা রক্ত থাকতে আমি যেন আজীবন ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি, সেই দোয়া চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের কারণে আজ আমি মুক্ত হয়েছি সেই ৩৬ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের। যাদের আত্মত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে।
আজহার বলেন, সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাবো ছাত্রসমাজকে, এরপর দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে, যারা নারী ও শিশুসহ রাস্তায় নেমেছিলেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।

রাজনীতি
শহীদ আবু সাঈদেরা ২৪-এর গণঅভ্যুত্থানের সূচনা ঘটায়: আহমদ আবদুল কাদের

খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের বলেন, পতিত ফ্যাসিস্ট অপশক্তি ২০২৪ সালের ১৬ জুলাই আবু সাঈদসহ ৬ জন ছাত্রকে গুলি করে হত্যা করলেও শহীদেরা মরেনি। শহীদ আবু সাঈদসহ ৬ শহীদের রক্তের বিনিময়ে সেদিন গণঅভ্যুত্থানের বার্তা অগ্নিস্ফুলিঙ্গের মত সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে। এরপর ছাত্র-জনতা রাজপথে নেমে আসে। মূলত শহীদ আবু সাঈদেরা ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সূচনা ঘটায়। ৫ আগস্ট জাতি ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তিলাভ করে। আমরা মহান আল্লাহর দরবারে সকল শহীদের মাগফিরাত কামনা করছি। আহত ও পঙ্গুত্ববরণকারী যোদ্ধাদের সুস্থতা ও স্বাভাবিক জীবন কামনা করছি।
বুধবার (১৬ জুলাই) জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত সকল শহীদের মাগফিরাত ও আহতদের সুস্থতা কামনায় আয়োজিত দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যে অন্যায় ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে জুলাই শহীদেরা জীবন উৎসর্গ করেছিলেন তা এখনো বিলোপ হয়নি। যেভাবে দেশপ্রেমিক শক্তির সুদৃঢ় ঐক্য সেদিন গড়ে উঠেছিল তা দলীয় আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আজ ধ্বংস হতে চলেছে। অভ্যুত্থানের ১ বছর অতিবাহিত হলেও এখনো পর্যন্ত একজন শহীদের খুনের বিচার কার্য সম্পন্ন হয়নি। জুলাই মাস শেষ হতে চললেও জুলাই সনদ ঘোষণা ও মৌলিক সংস্কারে ঐক্যমতে পৌঁছাতে পারেনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। পরাজিত শক্তি এখনো ওৎপেতে আছে। জাতিসংঘ সহ পশ্চিমা শক্তি নতুন করে বাংলাদেশের প্রতি কৌতুহলী হয়ে উঠছে। দেশের ধর্মীয় মূল্যবোধ ও স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের স্বার্থে এগুলো ভালো লক্ষণ নয়। আমরা এসবের অবসান চাই। গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ধারণ করে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। খেলাফত মজলিস এই লক্ষ্যে কাজ করছে।
এদিন বাদ জুমআ বায়তুল মোকাররম উত্তর চত্বরে খেলাফত মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা আজিজুল হকের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আবুল হোসেনের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে বক্তব্য রাখেন, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন, যুগ্ম-মহাসচিব ড. মোস্তাফিজুর রহমান ফয়সল, অধ্যাপক আবদুল জলিল, কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক কাজী মিনহাজুল আলম, কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শায়খুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য হাজী নুর হোসেন, আমীর আলী হাওলাদার, শ্রমিক মজলিস সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম এরশাদ, মহানগরী দক্ষিণ সহ-সাধারণ সম্পাদক এইচ. এম হুমায়ুন কবির আযাদ, কাজী আরিফুর রহমান, মাওলানা সরদার নেয়ামত উল্লাহ, সেলিম হোসাইন, মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, শাহাবুদ্দিন, ইসলামী যুব মজলিস ঢাকা মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মাওলানা মনসুরুল আলম, ছাত্র মজলিস মহানগরী দক্ষিণ সভাপতি মুহাম্মদ সাইফুদ্দিন প্রমুখ।
রাজনীতি
এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি গণঅধিকার পরিষদের

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের বর্বরোচিত হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদ। সেই সঙ্গে হামলাকারীদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে গণঅধিকার পরিষদ।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর এবং সাধারণ সম্পাদক মো. রাশেদ খাঁন এক যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
বিবৃতিতে বলা হয়, গণঅভ্যুত্থানের পর এনসিপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের ককটেল বিস্ফোরণ, গুলি বর্ষণ অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক।
নেতৃদ্বয় বলেন, ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদী, স্বৈরাচারী আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পরও নিষিদ্ধ ঘোষিত এই দলটি দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বিনষ্টের চক্রান্তে লিপ্ত রয়েছে। গোপালগঞ্জে শান্তিপূর্ণ সমাবেশে হামলা এবং বিস্ফোরণের ঘটনা এর জ্বলন্ত প্রমাণ।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, দেশে যখন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির মারাত্মক অবনতি ঘটেছে, তখন নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলা ও আতঙ্ক সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এসব সন্ত্রাসী কার্যকলাপ রাজনৈতিক পরিবেশকে বিষাক্ত করে তুলছে, যা অনতিবিলম্বে বন্ধ না করলে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।
নেতৃদ্বয় অবিলম্বে গোপালগঞ্জে এনসিপির কর্মসূচিতে হামলাকারী নিষিদ্ধ ঘোষিত আওয়ামীলীগের সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার এবং তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
রাজনীতি
এনসিপি নেতৃবৃন্দের ওপর হামলায় ছাত্র জমিয়তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) আয়োজিত শান্তিপূর্ণ সমাবেশ শেষে ফেরার পথে দলটির নেতাকর্মীদের ওপর নিষিদ্ধ সংগঠন আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী ছাত্র সংগঠনের (ছাত্রলীগ) নেতাকর্মীদের যৌথ হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা প্রকাশ করছে ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ।
বুধবার ((১৬ জুলাই) ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি রিদওয়ান মাযহারী ও সাধারণ সম্পাদক সাদ বিন জাকিরের যৌথ বিবৃতিতে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
এতে বলা হয়, সমাবেশ শেষে শহরের পৌর পার্কসংলগ্ন এলাকায় এনসিপি নেতৃবৃন্দের গাড়িবহর ঘিরে হামলার চেষ্টা চালানো হয়। বিভিন্ন দিক থেকে গাড়ি আটকে হামলা ও ভয়ভীতির মাধ্যমে পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করা হয়। এ ঘটনা আবারও প্রমাণ করে, নিষিদ্ধ সংগঠনের অব্যাহত আস্ফালন এবং প্রশাসনের নীরবতা দেশে রাজনৈতিক সহনশীলতার পরিবেশকে বিপর্যস্ত করে তুলছে।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ মনে করে, এই হামলা কেবল এনসিপির ওপর নয়—বরং দেশের রাজনৈতিক মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনের অধিকার এবং জনগণের নিরাপদ রাজনৈতিক অংশগ্রহণের ওপর সরাসরি আঘাত।
আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে, প্রশাসনের নির্লিপ্ততা এবং বিচার প্রক্রিয়ার বিলম্বই মূলত এই সহিংসতার প্রশ্রয় হয়ে উঠছে। নিষিদ্ধ সংগঠনগুলোর লাগামহীন আস্ফালন, প্রশাসনের পক্ষপাতমূলক আচরণ এবং নিরপরাধ মানুষদের নিরাপত্তাহীনতা—এ সবকিছুই গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের পরিপন্থী। পুলিশের দায়িত্ব জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা, কোনো গোষ্ঠীর সন্ত্রাসীদের রক্ষাকবচ হয়ে ওঠা নয়।
ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশ জোরালোভাবে বলছে—জুলাই-পরবর্তী গণতান্ত্রিক ও বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশে এমন ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসের কোনো স্থান নেই। আমরা অবিলম্বে এ ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাই।
রাজনীতি
এনসিপি নেতাদের ওপর হামলাকারীদের কঠোর শাস্তির দাবি চরমোনাই পীরের

গোপালগঞ্জে নাহিদ-সার্জিস-হাসনাতসহ অবরুদ্ধ এনসিপি নেতাদের উদ্ধারে দ্রুত জরুরী পদক্ষেপ নেওয়ার কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে হামলাকারীদের কঠোর শাস্তি দাবি জানিয়েছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর মুফতী সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম চরমোনাই পীর।
আজ বুধবার (১৬ জুলাই) এক বিবৃতিতে তিনি এ দাবি করেন। তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশের সার্বভৌম কর্তৃত্বের অধিনে থাকা একটি জেলা। সারা বাংলাদেশ যখন একযোগে স্বৈরাচারী হাসিনাকে উৎখাত করেছে তখন গোপালগঞ্জে হাজার হাজার খুন, গুম ও হাজার কোটি টাকা পাচারকারী শক্তির পক্ষে কেউ প্রকাশ্য অবস্থান নিয়ে দেশপ্রেমিক ছাত্র নেতৃত্বের ওপরে হামলা করবে এবং তাদেরকে অবরুদ্ধ করে রাখবে তা মেনে নেয়া যায় না। দ্রুততার সাথে অবরুদ্ধ নেতৃবৃন্দের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং তাদের উদ্ধার করতে জরুরী পদক্ষেপ নিতে হবে।
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমীর বলেন, জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দেয়া ছাত্র নেতৃবৃন্দের রাজনৈতিক সংগঠন এনসিপি জুলাই জুড়ে দেশব্যাপী পদযাত্রা করছে। সর্বত্র তারা জনগনের উষ্ণ অভিনন্দন ও ভালোবাসা পাচ্ছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজকে তারা গোপালগঞ্জে গিয়েছে। তাদের সাথে আজকে গোপালগঞ্জে যা হয়েছে তা লজ্জাজনক। একই সাথে প্রশাসনের ব্যর্থতাও বটে। অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দ গোপালগঞ্জে আসলে সেখানে পতিত ফ্যাসিবাদের দোসররা বিশৃঙ্খলা তৈরি করতে পারে এটা তাদের অনুধাবন করে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া উচিৎ ছিলো। কিন্তু আজকের ঘটনায় পরিস্কার যে, প্রশাসন ব্যর্থ হয়েছে। গোপালগঞ্জের পুলিস সুপারসহ দায়িত্বে নিয়োজিতদের ব্যাপারে তদন্ত করতে হবে। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে এমন সহিংসতার সুযোগ করে দিলো কিনা তা খতিয়ে দেখতে হবে।
পীর সাহেব চরমোনাই বলেন, কোন কোন মিডিয়া হামলাকারী ফ্যাসিবাদের দোসরদের ‘গ্রামবাসী, এলাকাবাসী’ অভিহিত করেছে। এর পেছনের কারণ সুস্পষ্ট। তারা বিশ্বকে বোঝাতে চায় যে, হাসিনার উৎখাতের আন্দোলন কোন গণঅভ্যুত্থান ছিলো না। গ্রামবাসী এখনো হাসিনার জন্য রাস্তায় নামে। আদতে পুরোটা মিথ্যা বয়ান। যারা এনসিপির ওপরে হামলা করেছে তারা আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসী বাহিনী। এদেরকে আওয়ামী লীগের পান্ডা হিসেবেই প্রচার করতে হবে। এবং যারা যারা এই হামলার সাথে জড়িত ছিলো তাদেরকে অবিলম্বে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ফ্যাসিবাদের পক্ষ হয়ে এখনো কেউ জুলাই অভ্যুত্থানের নেতৃবৃন্দের ওপরে হামলা করবে তা মেনে নেয়া যায় না।
সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের বর্ষপুর্তির এই সময়েও স্বৈরাচারের দোসররা যে দুঃসাহস দেখিয়েছে তা সরকারের সামগ্রিক ব্যর্থতার বড় একটি দৃষ্টান্ত। পতিত ফ্যাসিবাদের বিচার এবং এর সাথে জড়িতদের বিচারের ধীরগতির কারণেই এরা আজকে এই সাহস করেছে। তাই বলবো, কেবল ঢাকায় গুটিকয়েকজনকে বিচারের আওতায় আনলে হবে না্ বরং সারা দেশে স্বৈরতন্ত্রের সাথে জড়িত সকলকে দ্রুত বিচারের আওতায় আনুন। এই ধরণের দুঃসাহস জাতী আর দেখতে চায় না।
রাজনীতি
এনসিপির পদযাত্রায় হামলার নিন্দা জামায়াতের

গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
বুধবার (১৬ জুলাই) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
বিবৃতিতে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ১৬ জুলাই (বুধবার) গোপালগঞ্জ জেলায় এনসিপির পূর্বঘোষিত ‘মার্চ টু গোপালগঞ্জ’ কর্মসূচিতে পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের সন্ত্রাসী দোসররা হামলা চালিয়েছে।
তিনি বলেন, এনসিপির নেতারা স্বাভাবিক নিয়মে প্রশাসনের সঙ্গে পূর্ব থেকেই আলাপ আলোচনা করে তাদের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহায়তা চেয়েছে। যেকোনো রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করা প্রশাসনের দায়িত্ব। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর তৎপরতা লক্ষ্য করা যায়নি। এটি উদ্বেগজনক।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, গোপালগঞ্জ বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন কোনো জেলা নয়। এটি বাংলাদেশেরই অংশ। সরকারকে গোপালগঞ্জসহ বাংলাদেশের সর্বত্র আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করার ক্ষেত্রে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে হবে।
তিনি বলেন, গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে খুনি শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনের পতন হয়েছে। কিন্তু দেশ এখনো ফ্যাসিবাদ মুক্ত হয়নি। পতিত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা দীর্ঘ সাড়ে ১৫ বছর দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন চালিয়েছে। তারা দেশকে আবারও অস্থিতিশীল করার লক্ষ্যে অপতৎপরতা চালাচ্ছে।
আওয়ামী লীগ নানা অপতৎপরতা চালিয়ে ফায়দা হাসিল করতে চায় উল্লেখ করে জামায়াত সেক্রেটারি বলেন, তারই অংশ হিসেবে আজ এনসিপির পূর্বঘোষিত কর্মসূচিতে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে, ভাঙচুর চালিয়েছে। আওয়ামী দুর্বৃত্তরা ইউএনওসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর গাড়ি ভাঙচুর করে তাতে অগ্নিসংযোগ করেছে। এই সন্ত্রাসী ঘটনায় কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। আমি তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি এবং আওয়ামী দুর্বৃত্তদের এই সন্ত্রাসী হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
তিনি আরও বলেন, পতিত আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য আমি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।