রাজনীতি
‘জুলাই বিপ্লব মানেই এনসিপি নয়, তারা এটিকে কুক্ষিগত করার চেষ্টা করছে’
রাজনীতি
ক্ষমতায় গেলে পরিবারের নারীপ্রধানকে ফ্যামিলি কার্ড দেবে বিএনপি

পরিবারে নারীর আর্থিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিতে প্রতিটি পরিবারের নারীপ্রধানকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। এ কার্ডের মাধ্যমে পরিবারগুলোকে মাসিকভাবে রাষ্ট্রীয় সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বুধবার (২৮ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ লন্ডন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ কথা বলেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবারের নারীপ্রধানকে ‘ফ্যামিলি কার্ড’ দেওয়া হবে। প্রতিমাসে তাদের আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। এতে পরিবারগুলো কিছুটা হলেও স্বাবলম্বী হবে।
তরুণদের কর্মসংস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীকে প্রাধান্য দিয়ে বিএনপি সব কাজ করছে। তরুণদের কর্মপরিকল্পনা বোঝাতে গত এক মাসে বিভাগীয় শহরে ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ হয়েছে। এর আগে বিভিন্ন মতাদর্শের তরুণদের নিয়ে সেমিনারও করেছি।
তারেক রহমান বলেন, কৃষকদের জন্য ‘ফার্মার্স কার্ড’ চালু করা হবে। এক ফসলি চাষিদের জন্য থাকবে বিশেষ আর্থিক সহায়তা।
শিক্ষাকে প্রযুক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থানমুখী করার ঘোষণা দিয়ে তিনি বলেন, বাংলা ও ইংরেজির পাশাপাশি তৃতীয় এবং সম্ভব হলে চতুর্থ ভাষা শিখতে হবে। খেলাধুলাকে শিক্ষার অংশে পরিণত করার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বিএনপির লক্ষ্য ই-কমার্স ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ব্যাপক উন্নয়ন, তরুণদের কারিগরি দক্ষতা অর্জনে সুযোগ সৃষ্টি এবং দেশের স্বাস্থ্যসেবাকে প্রযুক্তিনির্ভর করা। তিনি বলেন, এই লক্ষ্যেই এক থেকে তিন বছরের কর্মপরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
খাল খনন ও বৃক্ষরোপণকেও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে বলে জানান তারেক রহমান। প্রতি পাঁচ বছরে ২৫-৩০ কোটি গাছ লাগানোর উদ্যোগের কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন,উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি শুরু করেছেন জিয়াউর রহমান। আমরা সেই ধারাবাহিকতা বজায় রেখে দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। জনগণই বিএনপির মূলভিত্তি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সালাউদ্দিন কাদেরকে স্মরণ করলেন জামায়াত নেতা এটিএম আজহার

সদ্য কারামুক্ত বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলাম কারামুক্ত হওয়ার পরই স্মরণ করেন বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে।
বুধবার (২৮ মে) মুক্ত হয়েই রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত শুকরানা সমাবেশে যোগ দেন তিনি। এসময় বক্তব্যের একপর্যায়ে তিনি শেখ হাসিনার হাতে হত্যার স্বীকার বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকে স্মরণ করেন।
এই জামায়াত নেতা বলেন, আমি আমার নেতাদের স্মরণ করছি, যাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়েছে, জুডিশিয়াল কিলিং করা হয়েছে। আমি শহীদ মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, কামারুজ্জামান, কাদের মোল্লা, গোলাম আজম ও মীর কাসেম আলী ভাইকে স্মরণ করছি।
তিনি বলেন, আল্লামা দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীকেও বিনা চিকিৎসায় ষড়যন্ত্র করে হত্যা করা হয়েছে। আমি বিএনপি নেতা সালাউদ্দিন কাদের চৌধুরীকেও স্মরণ করছি। আমি জামায়াতের অন্যান্য নেতা যারা বন্দি অবস্থায় মারা গেছেন তাদের স্মরণ করছি। মাওলানা আবদুস সোবহানকে স্মরণ করছি। আমি শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই।
এটিএম আজহার বলেন, এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যারাই, যেই পর্যায়ে জড়িত তাদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক। না হলে এই খারাপ সংস্কৃতি চালু থাকবে। তাই এখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে।
তিনি বলেন, ভাইয়েরা আমার অপরাধ কী ছিল? আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস, এটাই তো আমার অপরাধ? এছাড়া আমার কোনো অপরাধ নেই। আপনাদের দোয়া চাই। আপনাদের কারণে ফাঁসির কাষ্ঠ থেকে রশির বদলে জামায়াত আমিরের কাছ থেকে ফুলের মালা পাচ্ছি। আমার এক ফোটা রক্ত থাকতে আমি যেন আজীবন ইসলামী আন্দোলনের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করতে পারি, সেই দোয়া চাচ্ছি।
তিনি বলেন, আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই, যাদের কারণে আজ আমি মুক্ত হয়েছি সেই ৩৬ জুলাই-আগস্টের বিপ্লবীদের। যাদের আত্মত্যাগ, অক্লান্ত পরিশ্রমের মাধ্যমে সরকার পালাতে বাধ্য হয়েছে।
আজহার বলেন, সবচেয়ে ধন্যবাদ জানাবো ছাত্রসমাজকে, এরপর দেশের সব শ্রেণি-পেশার মানুষকে, যারা নারী ও শিশুসহ রাস্তায় নেমেছিলেন। দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীর ভাইদেরও ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জন্য যারা রোজা রেখেছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, পদত্যাগের নাটক নয়: সালাহউদ্দিন আহমেদ

আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম। আমরা কারও পদত্যাগ চাইনি। বাংলাদেশের মানুষ পদত্যাগের নাটক দেখেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
আজ বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আয়োজনে ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে’ বক্তব্যে এসব কথা বলেন সালাহউদ্দিন আহমদ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না: সরকারকে তারেক রহমান

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে তারুণ্যের সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এ আহ্বান জানান তিনি।
এ সময় তারেক রহমান বলেন, জনগণের বিশ্বাস ও ভালোবাসা নষ্ট হয় এমন কোনো পদক্ষেপ অন্তর্বর্তী সরকারের নেওয়া ঠিক হবে না। এ ছাড়া গণতন্ত্রের পক্ষের রাজনৈতিক দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। আপনাদের কেউ যদি রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকতে চায় তাহলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে নির্বাচন করুন। যদি জনগণের রায় পান তাহলে আবার সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।
তিনি বলেন, দেশকে এগিয়ে নিয়ে বিএনপির একাধিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে। যেকোনো দলের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে হলে দরকার নির্বাচিত সরকার। তবে জাতীয় নির্বাচন নিয়ে টালবাহানা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎ।
জাতীয়তাবাদী যুবদলের সভাপতি মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজীব আহসান এবং ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দিন নাছিরের সঞ্চালনায় তারুণ্যের সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমেদ প্রমুখ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
প্রয়োজনে ইউনূস সাহেবের বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করব: ছাত্রদলের সভাপতি

জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ছাত্রদলের ধৈর্যের পরীক্ষা নেবেন না, ধৈর্যের বাধ ভেঙে গেলে কাউকে শান্তিতে থাকতে দেব না।
বুধবার (২৮ মে) বিকেল পৌনে চারটার দিকে ঢাকার নয়াপল্টনে বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠন ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’–এর সূচনা বক্তব্যে ছাত্রদলের সভাপতি এ কথাগুলো বলেন।
আজকের সমাবেশে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার হত্যার ‘আরও সুষ্ঠু তদন্ত’ দাবি করেন রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, শাহরিয়ার হত্যার বিচারসহ ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে বিগত সাড়ে ১৫ বছরে ছাত্রদলের নেতা-কর্মীদের গুম ও খুনের বিচার না হলে এবং ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের বিচার না হলে প্রয়োজনে ইউনূস সাহেবের (অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস) বিরুদ্ধে আন্দোলন ঘোষণা করব।