জাতীয়
সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে: সেনা সদর

সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে বলে জানিয়েছে সেনা সদর। সোমবার (২৬ মে) দুপুরে সেনানিবাসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. নাজিম-উল-দৌলা।
করিডরের বিষয়ে সরকারের পক্ষ থেকে সেনাবাহিনীর সঙ্গে কোনো আলোচনা হয়েছে কি না এবং এ বিষয়ে সেনাবাহিনী কী ভাবছে– সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, করিডরের বিষয়টি অত্যন্ত স্পর্শকাতর। এটা আমাদের দেশ, আমাদের সবার দেশ। এই দেশের স্বার্থ ও সার্বভৌমত্বের সঙ্গে আমরা সবাই জড়িত। এ দেশকে ভালো রাখতে আমাদের সবাইকে কাজ করতে হবে। সুতরাং আমি মনে করি না যে এই বিষয়টা এমন একটি পর্যায়ে গেছে, যেভাবে বিষয়টা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, সরকার ও সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে ওতপ্রোতভাবে একে অপরের সম্পূরক হিসেবে কাজ করছে। আমরা প্রতিনিয়ত সরকারের সঙ্গে কাজ করছি এবং সরকারের নির্দেশে দায়িত্ব পালন করছি। সরকার ও সেনাবাহিনী খুব সুন্দরভাবে একে অপরের সহযোগিতায় কাজ করছে। করিডরের সঙ্গে বর্ডারে আরসার মুভমেন্টের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। দুইটা বিষয় আলাদা। সরকার ও সেনাবাহিনী ভিন্ন ভিন্ন চিন্তা করছে, এরকম যেন আমরা না ভাবি। সরকার ও সেনাবাহিনী একসঙ্গে কাজ করছে, ভবিষ্যতেও আমরা আরও সুন্দরভাবে কাজ করে যাব বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি।
চট্টগ্রামের একটি কারখানায় সন্ত্রাসী সংগঠন কেএনএফের পোশাক পাওয়ার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে সেনাবাহিনীর মিলিটারি অপারেশন্সের পরিচালক বলেন, কেএনএফ মূলত বম কমিউনিটি ভিত্তিক সংগঠন। পোশাক পাওয়ার সংবাদটি একটি বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ। সংগঠনটির অস্ত্রের ব্যবহার আমরা পার্বত্য চট্টগ্রামে দেখছি। তাদের আক্রমণে আমাদের কয়েকজন সেনাসদস্য মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আহত হয়েছেন। সেই প্রেক্ষাপটে নিশ্চয়ই এটা ভালো কোনো খবর নয়।
তিনি বলেন, ৩০ হাজার ইউনিফর্ম পাওয়ার ছবি দেখার সঙ্গে সঙ্গে আমরা কথা বলেছি, এটার আসলে ব্যাপারটা কি এ বিষয়ে আমাদের জানতে হবে। এ পোশাক কাদের জন্য তৈরি করা হয়েছিল, সেটা আমরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছি। এটা নিয়ে কাজ চলছে। এ সংগঠনের সঙ্গে অন্যদের সংশ্লিষ্টতা থাকতে পারে। কিন্তু বম কমিউনিটির জনসংখ্যা মাত্র ১২ হাজার। সুতরাং এই ৩০ হাজার ইউনিফর্ম কেএনএফের জন্য ছিল কি না সেটা খুঁজে দেখার সুযোগ আছে। এ বিষয়টি আমরা অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে নিয়েছি। বিষয়টি দেশের নিরাপত্তার সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। বিষয়টিকে আমরা হালকাভাবে নিইনি, নিশ্চিত করে বলতে পারি। এ ব্যাপারে যতটুকু ব্যবস্থা নেওয়া দরকার, আমাদের দায়িত্বের মধ্যে যেটা পড়ে, সেটা আমরা করব।
বাংলাদেশ একটা ছায়া যুদ্ধের মধ্যে আছে, সেটা বিভিন্ন মাধ্যমে বলা হচ্ছে। আরসা বাংলাদেশের লোকজনকে তুলে নিয়ে যাচ্ছে এবং বাংলাদেশে ঢুকে তারা কার্যক্রম পরিচালনা করছে। অনেক সময় বিভিন্ন মাধ্যমে খবর আসছে তাদের কাছে ভারি ভারি অস্ত্র আছে, তাদের কাছে এই অস্ত্র কোথায় থেকে আসছে। এসব বিষয়ের পরিপ্রেক্ষিতে আসলে বর্ডার কি আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে নাকি আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করেছি– এমন প্রশ্নের জবাবে মো. নাজিম-উল-দৌলা বলেন, আমি যদি এক লাইনে উত্তর দিতে চাই, অবশ্যই আমরা বর্ডার কম্প্রোমাইজ করিনি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের গায়ে বিন্দুমাত্র শক্তি থাকবে, আমরা কখনোই বর্ডার কম্প্রোমাইজ করব না। এটা আমাদের দেশ আর দেশকে আমরা যেকোনো মূল্যে রক্ষা করব। এটা আপনার দেশ, এটা আমাদের দেশ। কোনো একটা সম্প্রদায়ের মাধ্যমে এ দেশের সার্বভৌমত্ব বিনষ্ট হতে পারে, সেটা কখনোই হবে না।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও মিয়ানমার বর্ডার অত্যন্ত জটিল একটি পরিস্থিতির মুখে আছে। মিয়ানমারের সরকারের অস্তিত্ব বিলীনের মুখে। আরাকান আর্মি রাখাইন রাজ্যটিকে প্রায় দখল করে নিয়েছে। তাদের দখলে রাখাইন রাজ্যের ৮৫ থেকে ৯০ শতাংশ রয়েছে। আরাকান আর্মি কোনো অথরাইজ সংগঠন নয়। এ জায়গাটাতে না আছে কোনো সরকারের অস্তিত্ব, না আছে আরাকান আর্মিকে স্বীকৃতি দেওয়ার বিষয়টা। এই মুহূর্তে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের বর্ডারের পরিস্থিতি যেকোনো সময়ের তুলনায় সংবেদনশীল। সেক্ষেত্রে এ সময়ে ওই এলাকায় কিছু সশস্ত্র গ্রুপের মুভমেন্ট করাটা অস্বাভাবিক কিছু নয়। তার মানে এই নয় যে এটাকে আমরা স্বীকৃতি দেব বা দেখেও না দেখার ভান করব। এ ধরনের ঘোলাটে পরিস্থিতিতে এ ধরনের মুভমেন্ট হতে পারে কিন্তু আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিজিবি প্রাথমিকভাবে ডেফিনেটলি সাপোর্টেড বাই আর্মি, আমরা এই বর্ডারে প্রচণ্ডভাবে নজরদারি রাখছি। এখানে যেন সার্বভৌমত্ব বিঘ্নিত হতে না পারে, এমন পরিস্থিতি যেন সৃষ্টি না হয়, সে বিষয়ে আমরা ওয়াকিবহাল আছি। তবে অবশ্যই এই মুভমেন্টটি উদ্বেগের বিষয় এবং কাঙ্ক্ষিত নয়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সচিবালয়ে সপ্তাহে দুই দিন বন্ধ থাকবে দর্শনার্থী প্রবেশ

সচিবালয়ে এখন থেকে সপ্তাহে দুই দিন সোমবার ও বৃহস্পতিবার দর্শনার্থীরা প্রবেশ করতে পারবে না। বুধবার (২৮ মে) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, আগে সচিবালয়ে শুধু সোমবার দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ ছিল। এখন থেকে বৃহস্পতিবারও দর্শনার্থী প্রবেশ করতে পারবেন না। জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হবে।
এর আগে গত ২৭ মে বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তার আগেরদিন রাতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, অনিবার্য কারণবশত মঙ্গলবার (২৭ মে) বাংলাদেশ সচিবালয়ে সব ধরনের দর্শনার্থী প্রবেশ বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সচিবালয় ও সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশও নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। ২৬ মে রাতেই এক নির্দেশনা জারি করে এ নিষেধাজ্ঞা দেয় ডিএমপি।
নির্দেশনায় বলা হয়, গত ১০ মে ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার কর্তৃক জারি করা গণবিজ্ঞপ্তি মোতাবেক বাংলাদেশ সচিবালয় এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় যে কোনো ধরনের সভা-সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ রয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুই অধিদপ্তরে নতুন ডিজি নিয়োগ

জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) নিয়োগ দিয়েছে সরকার।
বুধবার (২৮ মে) যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মুহাম্মদ হিরুজ্জামানকে প্রেষণে জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
আর বাংলাদেশে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী সদস্য ড. খন্দকার আজিজুল ইসলামকে প্রেষণে বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টে মহাপরিচালক নিয়োগ দিয়ে তার চাকরি শিল্প মন্ত্রণালয়ের ন্যস্ত করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দেশের আকাশে চাঁদ দেখা গেছে, ঈদুল আজহা ৭ জুন

দেশের আকাশে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। আগামী ৭ জুন সারাদেশে ত্যাগের মহিমায় ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ঈদুল আজহা উদযাপন হবে।
বুধবার (২৮ মে) সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা বিল্লাল বিন কাশেম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানিয়েছেন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে বিস্তারিত জানানো হবে।
গতকাল মঙ্গলবার সৌদি আরবে জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা গেছে। সে হিসাবে ১০ জিলহজ আগামী ৬ জুন দেশটিতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে।
ঈদের আগের দিন ৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হবে।
ঈদুল আজহা বেশি পরিচিত কোরবানির ঈদ নামে। পশু কোরবানির মাধ্যমে মুসলমানরা এই ঈদ উদযাপন করে থাকেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
যেকোনও পরিস্থিতিতে জুনের মধ্যে নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, দেশের জাতীয় নির্বাচন ২০২৫ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে যেকোনো সময় অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৮ মে) অধ্যাপক ড. ইউনূসের সঙ্গে টোকিওর ইম্পেরিয়াল হোটেলে জাপানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং জাপান-বাংলাদেশ পার্লামেন্টারি ফ্রেন্ডশিপ লিগের (জেবিপিএফএল) সভাপতি তারো আসো সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ব্রিফিংয়ে বলেন, অধ্যাপক ইউনূস ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছেন এবং সেই সময়ের মধ্যেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
প্রেস সচিব বলেন, সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার সাথে সাথেই অধ্যাপক ড. ইউনূস জাতীয় নির্বাচনের জন্য একটি নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণা করবেন।
জাপানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও বাংলাদেশের দীর্ঘদিনের বন্ধু তারো আসো বাংলাদেশকে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যাওয়ার জন্য অধ্যাপক ড. ইউনূসকে ধন্যবাদ জানান এবং একটি সুষ্ঠু গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য একটি সাধারণ নির্বাচনের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার তিনটি মূল ক্ষেত্রকে অগ্রাধিকার দেওয়ার জন্য কাজ করছে। সেগুলো হলো– সংস্কার, হত্যাকারীদের বিচার এবং একটি সাধারণ নির্বাচন।
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার ব্যাংকিং খাতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ পুনর্গঠন এবং ঋণ পরিশোধে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি করেছে।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, আগের সরকার আমাদের দেশের প্রতিটি প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংস করে দিয়েছে। তরুণদের এর বিরুদ্ধে জেগে উঠতে বাধ্য করেছে। যে জগাখিচুড়ি তৈরি হয়েছে, তা ঠিক করার জন্য তরুণরা আমাকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, গত ১০ মাসে জাপান আমাদের সব ধরনের সহায়তা দিয়েছে। আমি জাপানকে তার সমর্থনের জন্য অনেক ধন্যবাদ জানাতে চাই। এটি এক অর্থে ধন্যবাদ সফর। প্রফেসর ইউনূস পরিবর্তনগুলো স্বচক্ষে দেখার জন্য আসাকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
বৈঠকে আসো’র সঙ্গে থাকা বেশ কয়েকজন জাপানি আইনপ্রণেতা বলেন, অর্থনৈতিক অংশীদারিত্ব চুক্তি (ইপিএ) স্বাক্ষর বাংলাদেশে আরও জাপানি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে আরো এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে।
আগস্টের মধ্যে আলোচনা শেষ করে সেপ্টেম্বরে চুক্তি সই করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ। চুক্তি সই হলে জাপানই হবে বাংলাদেশের সঙ্গে ইপিএ করা প্রথম দেশ।
প্রধান উপদেষ্টা জাপানের আইনপ্রণেতাদের কাছে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করেন এবং রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের এজেন্ডা এগিয়ে নিতে তাদের সমর্থন কামনা করেন।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সংকট বিশ্বের অন্যান্য শরণার্থী সংকট থেকে আলাদা, কারণ তারা তাদের বাড়ি ছাড়া অন্য কোনও দেশে যাওয়ার জন্য ভিক্ষা করছে না।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এবং এসডিজি বিষয়ক সিনিয়র সেক্রেটারি লামিয়া মোরশেদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ঢাকার দুই সিটিতে বসছে ১৯ অস্থায়ী পশুর হাট

আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসবে। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) এলাকায় ১০টি ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) এলাকায় বসবে ৯টি অস্থায়ী হাট। এছাড়া ডিএনসিসির গাবতলী ও ডিএসসিসির সারুলিয়া হাটেও কোরবানির পশু বিক্রি হবে।
ডিএনসিসি ও ডিএসসিসির সংশ্লিষ্টরা জানান, এরই মধ্যে বেশির ভাগ হাটের ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। ঈদুল আজহার দিনসহ মোট পাঁচদিন নির্ধারিত স্থানে কোরবানির পশু ক্রয়-বিক্রয় করা যাবে।
ঢাকা দক্ষিণে অস্থায়ী হাট বসবে ৯টি
ডিএসসিসির সম্পত্তি বিভাগের সংশ্লিষ্টরা জানান, এবার আফতাবনগর ও মেরাদিয়াসহ মোট ১১টি স্থানে অস্থায়ী হাটের দরপত্র আহ্বান করেছিল ডিএসসিসি। পরে আইনগত জটিলতা থাকায় আফতাবনগর ও মেরাদিয়া হাটের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
গত ৩০ এপ্রিল দরপত্র উন্মুক্তের প্রথম পর্যায়ে উত্তর শাহজাহানপুর মৈত্রী সংঘ ক্লাবের খালি জায়গায়, পোস্তগোলা শশ্মানঘাটের পশ্চিম পাশের নদীর পাড়ে খালি জায়গায়, রহমতগঞ্জ ক্লাবের খালি জায়গায়, হাজারীবাগে ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি কলেজের পূর্ব পাশের খালি জায়গা, আমুলিয়া আলীগড় মডেল কলেজের উত্তর পাশের খালি জায়গায় হাটে সর্বোচ্চ দরদাতা পেয়েছে ডিএসসিসি।
এছাড়া সাদেক হোসেন খোকা মাঠের দক্ষিণ পাশের খালি জায়গা, কমলাপুর সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টার সংলগ্ন খালি জায়গা, শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাকস্টান্ড সংলগ্ন খালি জায়গায়, মেরাদিয়া বাজারের পূর্ব পাশের খালপাড়ের খালি জায়গায় সরকারি মূল্যের চেয়ে কম দর পায় ডিএসসিসি। কিন্তু বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনের শপথকে কেন্দ্র করে ১৪ দিন ধরে নগর ভবন তালাবদ্ধ। আন্দোলনের কারণে সর্বোচ্চ দর পাওয়া হাটগুলোর ইজারাদারকে কার্যাদেশ ও বাকি হাটগুলোকে পুনঃদরপত্র আহ্বান করতে পারছে না ডিএসসিসি।
ডিএসসিসির সম্পত্তি কর্মকর্তা হাসিবা খান বলেন, আন্দোলনের কারণে যেসব হাটের ইজারায় সর্বোচ্চ দরদাতা পাওয়া গেছে, তাদেরও কার্যাদেশ দেওয়া সম্ভব হয়নি। আবার বাকি চারটি হাটের বিষয়ে এখনো করপোরেশন কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি।
পশুর হাট ইজারা সম্পন্ন করতে না পারলে কীভাবে হাট বসানো হবে- এমন প্রশ্নের জবাবে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জিল্লুর রহমান বলেন, এরই মধ্যে আমরা পাঁচটি হাটের ইজারা সম্পন্ন করেছি। বাকি চারটি হাটের ইজারা বাকি। ঈদের আগেই এগুলো ইজারা শেষ করতে পারবো বলে আশা করি।
ঢাকা উত্তরে মোট অস্থায়ী হাট বসবে ১০টি
ডিএনসিসির ৩০০ ফিটের মস্তুল এলাকা ও তেজগাঁও পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এলাকার হাট ইজারা চূড়ান্ত হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত দর না পাওয়ায় ভাটারা সুতিভোলা খাল সংলগ্ন খালি জায়গা, উত্তরা দিয়াবাড়ি, মিরপুর ইস্টার্ন হাউজিং, মোহাম্মদপুর বসিলা, ভাটুলিয়া সাহেব আলী মাদরাসা, কালসী বালুর মাঠ পুনঃদরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।
এছাড়া কাচুকুরা বাজার সংলগ্ন খালি জায়গা, খিলক্ষেত বাজার সংলগ্ন খালি জায়গায় নতুন করে হাট ইজারা আহ্বান করা হয়েছে।
অস্থায়ী হাটের বিষয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, অধিকাংশ হাটে কাঙ্ক্ষিত দর পেয়েছে ডিএনসিসি। একই সঙ্গে গাবতলী হাটের ইজারা কার্যক্রমও চলছে। আশা করি যথাসময়ে হাটে পশু বেচাবিক্রি শুরু হবে।