রাজনীতি
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও মাহফুজ আলমের পদত্যাগ দাবি ইশরাকের

রাজনীতির স্বার্থে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব দায়িত্ব থেকে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেন। বুধবার (২১ মে) সকাল ৮টা ৫২ মিনিটে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এ দাবি জানান তিনি।
পোস্টে ইশরাক হোসেন লিখেছেন, গণতান্ত্রিক ভাষায়, রাজনৈতিক শিষ্টাচার মেনে যৌক্তিক কারণে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ ও উপদেষ্টা মাহফুজ আলমকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সব দায়িত্ব থেকে পদত্যাগের আহ্বান জানাচ্ছি। যেহেতু এটা প্রতীয়মান যে আপনারা রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত আছেন, হয়তো আগামীতে সরাসরি যুক্ত হবেন। এটাও অনেকটা স্পষ্ট, আপনারা নির্বাচন করবেন। তাহলে আপনাদের পদত্যাগের দাবি কি অযৌক্তিক? নাকি এটাই সঠিক পদক্ষেপ হবে এবং আপনাদের নিয়ে রাজনৈতিক বিতর্কের অবসান ঘটবে।
তিনি বলেন, আপনাদেরই নাহিদ ইসলাম যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন সেটাই অনুসরণ করুন। উনি চাইলে হয়তো আরও কিছুদিন মন্ত্রীত্ব করে তারপর এনসিপি তে যেতে পারতেন। একটা সময় ছিলো সার্জিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহরা জোরালোভাবে দাবি করলে ওনারাও হয়তো মন্ত্রিত্ব নিতে পারতেন। কিন্তু তারা রাজনীতি করবেন বলে সেই কর্মপন্থা বেছে নিয়েছেন। হয়তো একদিন জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করলে পূর্ণাঙ্গভাবে মন্ত্রীর দায়িত্ব, ক্ষমতা ও সম্মান আবার পাবেন।
ইশরাক লেখেন, আপনারা পদত্যাগ করলে বর্তমান সরকারের নিরপেক্ষতার ইমেজই বৃদ্ধি পাবে। এখনও মনে করি, সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে দলীয় ও সাংগঠনিক কাজ করে অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারলে দেশ ও জনগণকে আপনারা আরও ভালো কিছু দিতে পারবেন। আর ক্ষমতা ধরে রাখলে আপনাদের দলের লোকজনকে বিশেষ সুবিধা দিতেই হবে, এটা থেকে বিরত থাকার বা শতভাগ নিরপেক্ষ থাকার বিন্দুমাত্র সম্ভাবনা অথবা ক্ষমতা আপনাদের নেই। কারোরই থাকে না। কাঁঠাল ভাঙবে আপনাদের মাথায়, খাবে কিন্তু অন্য সবাই।
পোস্টে তিনি বলেন, এখন নিশ্চয়ই বলবেন বা ভাববেন, ক্ষমতার লোভে অবৈধ মেয়র হওয়ার জন্যে দিনের পর দিন আন্দোলনে নৈতিক সমর্থন দিয়ে জনভোগান্তি তৈরি করে নিজেকে সাধু বানিয়ে আমাদের নীতিবাক্য শোনাচ্ছেন তাই না? আমি নিজেও কি কম সমালোচনার শিকার হয়েছি এটি করতে গিয়ে? কিন্তু আমার আর কোনও উপায় ছিলো না। আপনাদেরকে যে ভুল পথে পরিচালিত করা হচ্ছে, সেটা জনগণকে বোঝানো দেশের জন্যে প্রয়োজন ছিলো এবং আজ অবধি আমাকে বাঁধা দেওয়ার কাজটি যৌথ সিদ্ধান্তে হচ্ছে এটা মিনিমাম রাজনৈতিক বোধসম্পন্ন মানুষ বোঝে। কিন্তু আমি বলব, এটা ছিলো ওনাদের ভুল পলিসি, ব্যবহার হলেন আপনি আসিফ ভূঁইয়া। আইন আদালত মেনে নিতে না পারলে কোথা থেকে দেশ সংস্কার শুরু হবে? তারপর যত ইচ্ছা সমালোচনা করতেন, দেখতেন আসলে কি করি। এখন পূর্ণাঙ্গ প্রক্রিয়া আমাকে সম্পন্ন করতেই হবে।
ইশরাক আরও লেখেন, বন্দোবস্ত তো আগেরটাই অনুসরণ হচ্ছে। আরও পাকাপোক্ত করা হচ্ছে বললেও ভুল হবে না। আপনাদের পদত্যাগের দাবি থেকে সরার কোনো সুযোগ নেই। আপনারাই বা কেন থাকতে চাচ্ছেন?
এদিকে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র পদে শপথের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য আজ বুধবার সকাল ১০টা পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। এ সময়ের মধ্যে শপথের ঘোষণা না এলে ঢাকা অচলের হুমকি দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ডিএসসিসির পাঁচটি কর্মচারী ইউনিয়নের তরফ থেকে বর্জ্য অপসারণ কাজসহ নাগরিক সেবা পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়ারও হুঁশিয়ারি এসেছে।

রাজনীতি
‘মবের শিকার’ হয়েছেন দাবি করে দোয়া চাইলেন ফজলুর রহমান

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান দাবি করেছেন, তিনি নিজ বাসভবনে বিক্ষোভকারীদের দ্বারা ‘মবের শিকার’ হয়েছেন। সোমবার (২৫ আগস্ট) সকালে নিজের ফেসবুক পোস্টে তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।
ফেসবুকে তিনি লেখেন, “মৃত্যু ছুঁয়েছি একাত্তর সনে, মব আর মৃত্যুভয় আমার নেই। দেশবাসী সবার কাছে দোয়া প্রার্থী, এই মুহূর্তে বাসায় মবের শিকার।”
এদিকে, আজ সকাল থেকে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কার্যালয়ের কাছে তার বাসার সামনে ছাত্র-জনতা বিক্ষোভ করছেন। তারা ফজলুর রহমানকে গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে সেখানে অবস্থান নিয়েছেন। এই আন্দোলনকে ঘিরে ঘটনাস্থলে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছে।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত ‘কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর’ মন্তব্য করার অভিযোগে গতকাল রবিবার বিএনপির পক্ষ থেকে তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত ওই চিঠিতে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এর জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রাজনীতি
উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না: সারজিস

উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম।
রোববার (২৪ আগস্ট) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
সারজিস আলম বলেন, জুলাই সনদের মাধ্যমে মৌলিক সংস্কার বাস্তবায়নে যারাই বাধা হয়ে দাঁড়াবে, তাদের মুখোশ জনগণের সামনে উন্মোচন করা হবে। জুলাই সনদ বাস্তবায়নের নিশ্চয়তার পর অন্য আলাপের শুরু হতে পারে। তার আগে নয়।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা হোক আর রাজনীতিবিদ, কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না।
এনসিপির এ নেতা বলেন, সাধু সাবধান। কে কী করছেন কিংবা করতে চাচ্ছেন, কোনো কিছুই গোপন থাকবে না। শেখ হাসিনা তো জান নিয়ে পালাইতে পারসে। আপনারা সেটাও পারবেন না। জনগণ এত ভালো না। কঙ্কালতন্ত্রের পশ্চাৎ অংশের মধ্যবর্তী মাংসল ক্ষেত্র দিয়ে সকল ক্ষমতা ভরে দেওয়া হবে।
উল্লেখ্য, গত শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ-২০২৫’-এর চূড়ান্ত খসড়া পাঠায়। সেই সঙ্গে দলগুলোকে ২০ আগস্টের মধ্যে মতামত জমা দেওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছিল।
এদিকে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপি নেতা লুৎফুজ্জামান বাবর বলেছেন, জনগণের যে কোনো অধিকার, দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের বিষয়ে কোনো অপশক্তির সঙ্গে আপস করব না। অতীতেও করিনি, এখনো করব না ইনশাআল্লাহ। বৃহস্পতিবার (২১ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টার দিকে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলা অডিটরিয়াম হলরুমে বিএনপি আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বাবর বলেন, দলকে যারা ভালোবাসেন, দলকে যারা পছন্দ করেন, দলের আদর্শ যারা ধারণ করেন, তাদের দলের নির্দেশনা মেনে চলতে হবে। কেন্দ্র থেকে যে নির্দেশনা দেওয়া হবে আপনাদের তা মানতে হবে। সামনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন, অনেক কঠিন পথ আমাদের অতিক্রম করতে হবে। সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। নিজেদের মধ্যে সব বিভেদ ভুলে সংগঠিত থাকবে হবে, ঐক্য ধরে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী দিনের কঠিন পথ পাড়ি দিতে হলে দলকে আপনাদের সহযোগিতা করতে হবে। এই সহযোগিতা হলো—প্রথমে নিজেরা ঠিক থাকব। নিজেরা অন্যায় কাজ করব না, অন্যকেও করতে দেব না। অন্য কেউ করলে তা জানিয়ে দেওয়া। এর পরও কেউ অন্যায় কাজ করলে তাকে ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আপনারা ভুল বুঝবেন না।
রাজনীতি
সংস্কারের পরই আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাববো: নাহিদ

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম জানিয়েছেন, সংস্কারের পরই জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ভাববেন তারা।
গত রোববার এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স, মালয়েশিয়ার আয়োজনে ‘২০২৪-এর গণঅভ্যুত্থান বীরত্বগাথা ও বিপ্লব-পরবর্তী বাংলাদেশ গঠনে প্রবাসীদের ভূমিকা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন না হওয়ার শঙ্কা প্রকাশ করে নাহিদ বলেন, ‘জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির মাধ্যমে আমরা নির্বাচন; যেটা গণপরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে চাই। আমরা মনে করি, এর বাইরে কোনো নির্বাচন হবে বলে আমার কাছে মনে হচ্ছে না। আমরা প্রথম থেকেই নির্বাচনের তারিখ নিয়ে কখনোই পক্ষ বিপক্ষ করি নাই। আমরা শুধু বলেছি- সংস্কারের নিশ্চয়তা এবং বিচারের নিশ্চয়তা নিয়ে যদি ডিসেম্বরেও নির্বাচন হয়, সেটাতেও আমাদের আপত্তি নাই।’
বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগি প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, ‘নির্বাচন পেছানো বা এ ধরনের কথাগুলো কেবলই গালগল্প। আসন সমঝোতা নিয়েও মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ ও সফলতার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করি সংস্কারকে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিপ্লবের পর জনগণের কাছে আমরা যাতে বলতে পারি— দেশের এই পরিবর্তনটা আমরা নিয়ে এসেছি বা জুলাইয়ের ফলে পরিবর্তনটা নিয়ে এসেছি। ফলে সংস্কারটাই আমাদের প্রধান এজেন্ডা। সংস্কারের পরই আমরা নির্বাচন নিয়ে ভাববো।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক পার্টির যুগ্ম সদস্য সচিব আলাউদ্দীন মোহাম্মাদ। সভাপতিত্ব করেন এনসিপি ডায়াসপোরা অ্যালায়েন্স, মালয়েশিয়ার সভাপতি মোহাম্মদ এনামুল হক এবং অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন আলমগীর চৌধুরী আকাশ।
রাজনীতি
খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে ফিরোজায় পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ঢাকায় সফররত পাকিস্তান উপ-প্রধানমন্ত্রী ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের খোঁজ নিতে তার বাসভবন ফিরোজায় গেছেন।
রোববার (২৪ আগস্ট) সন্ধ্যা ৭টার দিকে ইসহাক দার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের বাসভবনে পৌঁছান। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান।
দুই দিনের সফরে গতকাল শনিবার (২৩ আগস্ট) ঢাকায় আসেন ইসহাক দার। এদিন বেলা দুইটার দিকে পাকিস্তান বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে তিনি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তাকে স্বাগত জানান পররাষ্ট্রসচিব আসাদ আলম।
ইসহাক দার তার ঢাকা সফরের প্রথম দিনে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতাদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেন। এসব বৈঠকে রাজনৈতিক পরিসরসহ নানা ক্ষেত্রে দুই দেশের সম্পর্ক বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা করেন তিনি। পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থের ভিত্তিতে এই সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়ে পাকিস্তানের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন তিনি।
রোববার সকালে বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে প্রাতরাশ বৈঠক করেন ইসহাক দার। পরে বৈঠক করেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে। এরপর দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের দ্বিপক্ষীয় বৈঠক হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। পাকিস্তানের নেতৃত্ব দেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন ও ইসহাক দারের উপস্থিতিতে বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মধ্যে একটি চুক্তি, চারটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ), একটি কর্মসূচি (প্রোগ্রাম) সই হয়েছে।
কাফি
রাজনীতি
বিএনপি নেতা ফজলুর রহমানকে শোকজ

জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত বিতর্কিত ও বিভ্রান্তিকর মন্তব্য করায় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর (শোকজ) নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
রোববার (২৪ আগস্ট) বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তর থেকে তাকে এই নোটিশ পাঠানো হয়। নোটিশে যথাযথ কারণ জানিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত জবাব দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। বিএনপির মিডিয়া সেল বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
এর আগে এক টিভি চ্যানেলের টক শোতে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ফজলুর রহমান গত বছর ৫ আগস্টে শেখ হাসিনার পতনের জন্য বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সহযোগী সংগঠনগুলোকেই দায়ী করেছেন। তার ভাষায় এটি কোনো সাধারণ রাজনৈতিক ঘটনা নয়, বরং একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র, যার মূল পরিকল্পনাকারী ‘কালো শক্তি’ জামায়াত।
তিনি দাবি করেন, বাংলাদেশ ছাত্রশিবির দীর্ঘদিন ধরে দেশের রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা নষ্ট করার জন্য ষড়যন্ত্র করে আসছে। এছাড়া ফজলুর রহমান আরও বলেন, ‘যারা ৫ আগস্ট ঘটাইছে, কালো শক্তি, সেই কালো শক্তির নাম হলো জামায়াতে ইসলাম, তাদের যে অগ্রগামী শক্তি তার নাম হলো ইসলামি ছাত্রশিবির। সারজিস আলমরা, যারা ওই এইটার (অভ্যুত্থানের) অভিনয় করছে, ৫ আগস্টের অভিনেতা যারা, আমি তাদেরকে নেতা বলতে আর চাই না, তাদের আমি অভিনেতা বলব। সেই আলবদর, আল শামস, জামায়াতে ইসলাম আমরা মনে করেছিলাম ৫৪ বছর পর পূর্বপুরুষের পরাজয়ের গ্লানি তারা ভুলে গেছে। কিন্তু না, সেই পরাজয়ের গ্লানি দ্বিগুণ আকারে তাদের মধ্যে এসেছে। ’
তিনি আরও জানান, জামায়াত ‘চক্রান্ত করে’ দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, এবং তাদের পেছনে ‘আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রও’ আছে।