Connect with us

অর্থনীতি

বাজেটে শর্ত শিথিল কর্পোরেট করসহ যেসব পরিবর্তন আসতে পারে

Published

on

বিনিয়োগকারী

পুঁজিবাজারে চলছে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মন্দাভাব। দিশেহারা স্টেইকহোল্ডার বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন বাস্তবতায় পুঁজিবাজারে সুবিধা রেখে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট ঘিরে কর কাঠামোতে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হচ্ছে। আগামী ২ জুন অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ টেলিভিশনের মাধ্যমে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাব করবেন। তা কার্যকর করা হবে অধ্যাদেশ আকারে। ভ্যাট ও শুল্ক তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর হয়ে যাবে। তবে আসন্ন বাজেটে কর বাড়ানোর চেয়ে করদাতাদের স্বস্তি দেওয়ার দিকে নজর বেশি থাকবে। তবে বাজেটে কিছু কিছু ক্ষেত্রে রাজস্ব বাড়বে, আবার কিছু ক্ষেত্রে শর্ত শিথিল করা হতে পারে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

কর বিভাগ সূত্র মতে, পুঁজিবাজারের ব্রোকারেজ হাউজের লেনদেনের উপর উৎসে কর কমানো হতে পারে। ব্রোকারেজ হাউজের মালিকরা দীর্ঘদিন ধরে এই কর কমানোর দাবি জানিয়ে আসছে। এর ফলে বিনিয়োগকারীরা খুব বেশি না হলেও কিছুটা লাভবান হবে। এ ছাড়া নতুন নতুন কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে শর্ত যেমন সহজ করা হবে, তেমনি কর ছাড়ও দেওয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

করমুক্ত আয়সীমা বেড়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা হচ্ছে
অপরদিকে, মূল্যস্ফীতির কশাঘাতে জর্জরিত স্বল্প আয়ের মানুষকে স্বস্তি দিতে আগামী বাজেটে বাড়ানো হচ্ছে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা। আয়ের সীমা সাড়ে ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। অপরিবর্তিত থাকছে করহার। বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের আয়ের স্তরভেদে ৫, ১০, ১৫, ২০ ও ২৫ শতাংশ হারে আয়কর দিতে হয়। এনবিআর কখনোই টানা করমুক্ত আয়ের সীমা কমায়নি। সাধারণত ২-৩ বছর বিরতিতে আয়ের সীমা বাড়ানো হয়েছে। সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেটে করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করা হয়। ২০২০-২১ সালে করমুক্ত আয়ের সীমা আড়াই লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩ লাখ ও ২০১৫-১৬ অর্থবছরে ২ লাখ ২০ হাজার থেকে বাড়িয়ে আড়াই লাখ টাকা করা হয়। সাধারণ করদাতাদের বাইরে নারী করদাতাদের করমুক্ত আয়ের সীমা ৪ লাখ টাকা, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের করদাতাদের ৪ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ও গেজেটভুক্ত যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের করদাতাদের করমুক্ত সীমা ৫ লাখ টাকা।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ব্যক্তিশ্রেণি-কোম্পানির অনলাইন রিটার্ন বাধ্যতামূলক হচ্ছে
আয়কর বিভাগ সূত্রমতে, চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছর থেকে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের অনলাইন রিটার্ন দাখিলে সাড়া পেয়েছে এনবিআর। সেজন্য সরকারি চাকরিজীবীসহ কয়েকটি বহুজাতিক কোম্পানির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হয়। প্রায় ১৬ লাখ ব্যক্তিশ্রেণির করদাতা অনলাইনে রিটার্ন দাখিল করেছেন। আসন্ন বাজেটে অনলাইন রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থা আরো সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। যার ফলে ব্যক্তিশ্রেণির পাশাপাশি কোম্পানি করদাতাদের অনলাইনে রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

কপোরেট করের শর্ত শিথিল হচ্ছে, ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ কর্পোরেট কর নির্ধারণ করা হচ্ছে
সূত্র মতে, ব্যবসায়ীদের মাথাব্যথা বর্ধিত করপোরেট কর। দাবির প্রেক্ষিতে গত কয়েক অর্থবছর সরকার করপোরেট কর কমিয়েছে। সাড়ে ৭ শতাংশ পর্যন্ত করপোরেট কর কমানো হয়েছে। কিন্তু করপোরেট কর কমানোর সুফল ব্যবসায়ীরা পাচ্ছেন না বলে বিভিন্ন সময় অভিযোগ করে আসছেন। কারণ, ‘শর্ত সাপেক্ষে’ করপোরেট কমিয়েছে সরকার। এই শর্তের কারণে ব্যবসায়ীরা এই সুফল পাচ্ছে না। ব্যবসায়ী সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘শর্ত’ শিথিল এবং করপোরেট কর কমাতে বিভিন্ন সময় এনবিআরকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে। বর্তমানে দেশের পরিস্থিতির কারণে এবং ব্যবসায়ীদের স্বস্তি দিতে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর ‘শর্ত’ শিথিল করা হতে পারে। তবে করপোরেট কর কমানো হবে না। শর্ত শিথিল ছাড়াও ২০২৬-২৭ ও ২০২৭-২৮ অর্থবছরের করপোরেট করহার নির্ধারিত করে দেওয়া হতে পারে।

কৃষিভিত্তিক খাতে কর অব্যাহতি প্রত্যাহার হতে পারে
কর অব্যাহতি তুলে নেওয়ার পরিকল্পনার অংশ হিসেবে আসন্ন বাজেটে বহুল আলোচিত মৎস্য ও পোল্ট্রি খাতের বিদ্যমান আয়কর সুবিধা বাতিল করে স্বাভাবিক করহার প্রবর্তন করা হতে পারে। কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে এসব খাত থেকে আয় করলে তার ওপর ৩ থেকে সর্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে আয়কর প্রদান করতে হয়। তবে আগামী বাজেটে এনবিআরের নতুন পদক্ষেপের পরে এসব খাতের আয়ের ওপর নিয়মিত হারে সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কর দিতে হতে পারে। এ তালিকায় আসতে পারে হাঁস-মুরগি ও চিংড়ি হ্যাচারির আয়ও। এছাড়া তালিকায় যুক্ত হতে পারে—পোলট্রির পেলেটেড ফিড উৎপাদন, গবাদিপশু, চিংড়ি ও মাছের পেলেটেড ফিড উৎপাদন, বীজ উৎপাদন ও বিপণন, গবাদিপশুর খামার, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত দ্রব্যের খামার, ব্যাঙ উৎপাদন খামার, হর্টিকালচার, তুঁত চাষ, মৌমাছি চাষ প্রকল্প, রেশম গুটিপোকার খামার, মাশরুম খামার এবং ফ্লোরিকালচারের আয়। বর্তমানে এসব খাত থেকে বার্ষিক আয় হলে প্রথম ১০ লাখ টাকার ওপর ৫ শতাংশ, পরবর্তী ১০ লাখ টাকার ওপর ১০ শতাংশ এবং অবশিষ্ট আয়ের ওপর ১৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। অথচ এর বিপরীতে, ব্যক্তি করদাতাদের সর্বোচ্চ করহার বর্তমানে ৩০ শতাংশ এবং অধিকাংশ কোম্পানিকে ২৭.৫ শতাংশ হারে কর দিতে হয়। মূলত দেশের মৎস্য, পোলট্রি ও গবাদিপশু খাতে বিনিয়োগ উৎসাহিত করতে এই কম করহার সুবিধা চালু হয়েছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে, এ সুবিধার সুযোগ নিয়ে অনেকে মৎস্য খাতের আয় দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ কালো টাকা সাদা করেছেন। বিশেষ করে প্রভাবশালী রাজনীতিক, আমলা ও ব্যবসায়ীরা এই সুবিধার অপব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০২০-২১ অর্থবছরে এ খাতে কম হারে কর আদায়ের ফলে সরকার কোম্পানি পর্যায়ে ১৪৩ কোটি টাকা এবং ব্যক্তি পর্যায়ে ২,৯৮৫ কোটি টাকার কর ছাড় দিয়েছে। বর্তমানে ট্যাক্স ইন্টেলিজেন্স কর্মকর্তারা এসব খাতে বড় অঙ্কের আয় দেখানো শতাধিক ব্যক্তির তথ্য নিয়ে কাজ করছেন।

ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা হচ্ছে
সূত্রমতে, কর বৈষম্য কমাতে আগামী বাজেটে ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশন, পৌর এলাকা, গ্রাম এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার টাকা দিতে হবে। ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়ের সীমা দু-এক অর্থবছর পরপর বাড়লেও ন্যূনতম করহার বাড়ানো হয়নি। সর্বশেষ ২০১৫-১৬ অর্থবছরের বাজেটে অঞ্চলভেদে ব্যক্তিশ্রেণির ন্যূনতম করহার বাড়ানো হয়। সেই থেকে আজ অবধি একই হারে করদাতারা কর দিয়ে আসছেন। এ সময় করমুক্ত আয়ের সীমা একাধিকবার বাড়ানো হয়েছে। এবার করবৈষম্য কমিয়ে আনতে সব এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা করা হতে পারে। বর্তমানে ঢাকা উত্তর-দক্ষিণ ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন এলাকার করদাতাদের ন্যূনতম কর ৫ হাজার টাকা, অন্য সিটি করপোরেশন এলাকার করদাতাদের ৪ হাজার টাকা ও সিটি করপোরেশনের বাইরে পৌর এলাকা ও গ্রামাঞ্চলের করদাতাদের কর ৩ হাজার টাকা বিদ্যমান রয়েছে। আর্থিক বৈষম্য কমিয়ে এনে ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠায় সর্বপ্রথম ২০১৩-১৪ অর্থবছরের বাজেটে অঞ্চলভিত্তিক করহার চালু করা হয়।

ভূমি নিবন্ধনে কর কমছে
ভূমি নিবন্ধনের ক্ষেত্রে আসন্ন বাজেটে কিছুটা ছাড় দেওয়া হচ্ছে। কাঠার পরিবর্তে শতাংশে নিবন্ধন ফি ও কর নির্ধারণ করা হবে। ভূমি নিবন্ধনে অগ্রিম কর কিছুটা কমানো হতে পারে। এর ফলে ভূমি বা সম্পত্তি নিবন্ধনে কর কমবে না বলে মনে করেন কর্মকর্তারা। গত অর্থবছর ভূমি নিবন্ধন থেকে এনবিআর প্রায় সাড়ে ছয় হাজার কোটি টাকার কর পেয়েছে।

টার্নওভার কর বাড়ছে
বর্তমানে বছরে তিন কোটি টাকার বেশি টার্নওভার হয়, এমন প্রতিষ্ঠানকে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে দশমিক ৬ শতাংশ কর দিতে হয়। এটি আসন্ন বাজেটে বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হতে পারে। বর্তমানে কোম্পানি ও ব্যক্তিগত টার্নওভারে ন্যূনতম কর থেকে সরকার প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব পায়। প্রস্তাবিত এই হার বাড়লে— অতিরিক্ত আরও ৩,৫০০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায়ের সম্ভাবনা রয়েছে বলে আশা করছে এনবিআর। ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নিবন্ধিত ২ লাখ ৮৮ হাজার কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাত্র ২৪ হাজার ৩৮১টি রিটার্ন দাখিল করেছে। বর্তমানে পাঁচ ধরনের ব্যক্তি ও কোম্পানি করদাতার ওপর ০.২৫ শতাংশ থেকে ৫ শতাংশ পর্যন্ত ন্যূনতম কর হার রয়েছে। এরমধ্যে কার্বোনেটেড বেভারেজ কোম্পানির ক্ষেত্রে ৫ শতাংশ হারে, তামাক কোম্পানির ওপর ৩ শতাংশ হারে, মোবাইল ফোন অপারেটরদের ২ শতাংশ, এবং ০.২৫ শতাংশ হলো সেইসব ব্যক্তি করদাতার জন্য— যাদের বার্ষিক টার্নওভার ৩ কোটি টাকা অতিক্রম করে। বাদবাকী কোম্পানির ০. ৬০ শতাংশ এবং রপ্তানিকারকদের ১ শতাংশ ন্যূনতম কর দিতে হয়। এনবিআরের তথ্যমতে, রিটার্ন জমা দেওয়া ২০০ এর মতো কোম্পানি বাদে বাকি প্রায় ২৪ হাজার কোম্পানিই ০.৬০ শতাংশ হারে ন্যূনতম করের আওতায় রয়েছে। অবশ্য এরমধ্যে ন্যূনতম কর দিচ্ছে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ বা প্রায় ৮ হাজার কোম্পানি। অর্থাৎ প্রস্তাবিত হারে কর বাড়লে মূলত এই ৮ হাজার কমপ্ল্যায়েন্ট কোম্পানির ওপরই চাপ বাড়বে।

খাদ্য, সার, কাঁচামালের শুল্কমুক্ত ২০০ আমদানি পণ্যে অগ্রিম কর বসছে
করমুক্ত প্রায় ২০০টি পণ্যের ওপর আমদানি পর্যায়ে ২ শতাংশ অগ্রিম আয়কর (এআইটি) আরোপ হতে পারে। ধাপে ধাপে করছাড় তুলে নেওয়া এবং কর পরিপালন বাড়ানোর অংশ হিসেবে নেওয়া এই পদক্ষেপ থেকে অতিরিক্ত ২ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। যেসব পণ্য এই নতুন করের আওতায় আসবে, তার মধ্যে রয়েছে দেশের পোশাক শিল্পের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল যেমন তুলা এবং মানবসৃষ্ট তন্তু। পাশাপাশি আলু, পেঁয়াজ, মসুর ডাল, ছোলা, সয়াবিন ও ভুট্টার মতো নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যপণ্য, সার, অপরিশোধিত তেল, চিনি এবং চিকিৎসা সরঞ্জামও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ ছাড়া কম্পিউটার প্রিন্টার, রাউটার, মডেম, বিমান ইঞ্জিন ও বাসসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স ও শিল্প যন্ত্রপাতিও প্রভাবিত হতে পারে। প্রস্তাবিত কর সম্প্রসারণের আওতায় চিকিৎসা সরঞ্জাম, শিল্প রাসায়নিক, বিমান, বাস, আমদানি করা মাছ ও মাংস, নেটওয়ার্কিং ডিভাইস এবং প্রিন্টার আনুষঙ্গিকও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

সঞ্চয়পত্র, এফডিআরে বিনিয়োগ, ভূমি নিবন্ধন ও পেশাজীবীদের পিএসআর লাগবে না
একাধিক সূত্রমতে, সঞ্চয়পত্রে অনেকেই লাখ লাখ বিনিয়োগ করেন। কিন্তু রিটার্ন দাখিল করেন না। আবার অনেকেই ব্যাংকে লাখ লাখ টাকার এফডিআর করেন। কিন্তু রিটার্ন দাখিল করেন না। রিটার্ন দাখিল না করায় এক অর্থে তারা করজালে আসে না। সঞ্চয়পত্র ক্রয়কারী ও এফডিআরে বিনিয়োগকারীদের করের আওতায় আনতে এই দুই খাতে বিনিয়োগে ‘আয়কর রিটার্ন দাখিলের’ শর্ত বা পিএসআর জমার বাধ্যবাধকতা আরোপ করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। তবে আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর এই শর্ত শিথিল করা হতে পারে। পিএসআর এর পরিবর্তে ই-টিআইএন এর কপি দিতে হবে। এছাড়া কয়েকটি পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যপদ নেয়ার ক্ষেত্রেও পিএসআর এর শর্ত শিথিল করা হতে পারে।

কর্মকর্তারা বলছেন, বর্তমানে পাঁচ লাখ টাকা বা তার বেশি টাকার সঞ্চয়পত্র কিনতে গেলেই আয়কর রিটার্ন দাখিলের প্রমাণপত্র বা পিএসআর দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। আগামী বাজেটে তা থাকছে না। মূলত সঞ্চয়পত্রে বিনিয়োগ বাড়াতে এই শর্ত শিথিল করা হচ্ছে। পাশাপাশি ব্যাংকে ১০ লাখ টাকা বা তার বেশি মেয়াদি আমানত খুলতেও রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দেওয়ার বাধ্যবাধকতাও উঠে যাচ্ছে। এ ছাড়া চিকিৎসক, দন্ত চিকিৎসক, আইনজীবী, হিসাববিদ, কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্ট, ইঞ্জিনিয়ার, স্থপতি, সার্ভেয়ারসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংস্থার সদস্যপদ পেতে এবং তা বহাল রাখতেও এ ধরনের বিধান থাকছে না। পিএসআর এর পরিবর্তে ই-টিআইএন দিলেই হবে। তবে এসব পেশাজীবীরা তাদের সংগঠন বা সংস্থায় রেজিস্ট্রেশনের সময় ই-টিআইএন দিলেও রি-রেজিস্ট্রেশনের সময় পিএসআর দিতে হবে। অর্থাৎ এসব পেশাজীবী পেশায় প্রবেশের সময় তাদের স্বস্তি দিতে এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। আবার ভূমি, ফ্ল্যাট বা সম্পত্তি কেনা-বেচার নিবন্ধনের সময় পিএসআর দিতে হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে এসব সম্পত্তি নিবন্ধনের সময় পিএসআর এর শর্ত শিথিল করা হতে পারে। কারণ বহু গরীব, অসহায় মানুষ আছে-যাদের আয় নেই, রিটার্ন দাখিল তাদের প্রয়োজন নেই।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা শতাধিক পণ্যে শুল্ক ছাড় পাচ্ছে
অপরদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা বাড়তি শুল্ক কমানোর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে অন্তত ১০০ ধরনের আমদানি পণ্যের শুল্ক কমাতে যাচ্ছে সরকার। যুক্তরাষ্ট্র থেকে মূলত বাংলাদেশ তেল, গ্যাস, অস্ত্র, ফাইটার বিমানের পার্টস, মিসাইলসহ ১৫-১৬টি পণ্য কেনে। অস্ত্র ও যুদ্ধ বিমান, মিসাইল জাতীয় পণ্য সরকার কিনলে তখন চুক্তির আওতায় শুল্কমুক্ত সুবিধা থাকে। ফলে রাজস্ব হারানোর শঙ্কা থাকে না বলে মনে করেন এনবিআর কর্মকর্তারা। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য বৈষম্য কমাতে বাংলাদেশ আগে থেকে ১৯০ ধরনের পণ্যের শুল্কহার শূন্য রেখেছে। এবার আরও ১০০ ধরনের পণ্য সেই তালিকায় যুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনকে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে চিঠি দেওয়া হয়।

মৎস্য, ডেইরি ও পোল্ট্রি খাতে করছাড় থাকছে না-থাকছে কালো টাকা বিনিয়োগের সুযোগ
এনবিআর সূত্র মতে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা মৎস্য, ডেইরি ও পোলট্রি খাতে বিনিয়োগ দেখিয়ে কর ছাড়ের সুবিধা নিয়েছেন। ওই সুযোগ তুলে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন পেয়েছে। তবে বাড়ি, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্ট কেনার সময় কালো টাকা দিয়ে বিনিয়োগ করে সুযোগ বহাল রাখারই সিদ্ধান্ত এসেছে। করপোরেট কর হার না বাড়লেও টার্নওভার কর দ্বিগুণ, ব্যক্তি করদাতার ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন কর ৫ হাজার টাকা, সর্বোচ্চ কর ৩০ শতাংশে উন্নীত করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে।

এসি-ফ্রিজ-মোবাইল ফোনে ভ্যাট বাড়ছে
মাত্র ছয় মাস আগে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনার প্রস্তুতকারকদের ওপর করপোরেট কর দ্বিগুণ করার পর, এবার তাদের পণ্যে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) বাড়ানোর পরিকল্পনা করেছে সরকার। এর ফলে প্রচণ্ড গরমের এই সময়ে ভোক্তাদের ওপর চাপ আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন এই খাত সংশ্লিষ্টরা। বর্তমানে ফ্রিজ ও এয়ার কন্ডিশনারের উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে, তবে এনবিআর আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছর তা ১৫ শতাংশ করার পরিকল্পনা করছে। একইভাবে, মোবাইল ফোন তৈরিতে স্থানীয় মূল্য সংযোজনের ওপর নির্ভর করে ৫ ও সাড়ে ৭ শতাংশ হারে যে ভ্যাট আরোপিত রয়েছে, তা বাড়িয়ে সাড়ে ৭ শতাংশ ও ১০ শতাংশ করারও প্রস্তাব করা হচ্ছে। এছাড়া ব্যাটারি তৈরির ওপরও বিদ্যমান সাড়ে ৭ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে দ্বিগুণ করা পারে।

বিদেশ থেকে বছরে স্বর্ণ আনা যাবে একবার
কাস্টমস বিভাগের একাধিক সূত্রমতে, বিদেশফেরত যাত্রীদের জন্য ব্যাগেজ রুলে বড় পরিবর্তন আনতে যাচ্ছে সরকার। শুল্ক ছাড়াই বছরে একাধিকবার স্বর্ণ আনার সুযোগ থাকলেও এখন থেকে সেটি সীমিত করা হচ্ছে বছরে মাত্র একবার। একই সঙ্গে ১০ হাজার ডলারের বেশি বহন করলে তা নির্ধারিত ফরমে ঘোষণা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। এ ছাড়া সেকেলে ও অপ্রয়োজনীয় বিবেচনায় কয়েকটি পণ্যের আমদানির সুযোগ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে। বর্তমান নিয়মে একজন যাত্রী বছরে যতবার খুশি ততবার শুল্ক ছাড়াই ১০০ গ্রাম স্বর্ণালংকার বা ২০০ গ্রাম রুপার অলংকার আনতে পারেন। এ ছাড়া শুল্ক দিয়ে ১১৭ গ্রাম বা প্রায় ১০ ভরি স্বর্ণের বার আনার সুযোগ রয়েছে, যার জন্য প্রতি ভরিতে দিতে হয় চার হাজার টাকা শুল্ক। নতুন প্রস্তাবনায় এ সুযোগ সীমিত করে বছরে একবার করা হচ্ছে। বর্তমানে স্থলবন্দর দিয়ে বছরে তিনবার সর্বোচ্চ ৪০০ ডলার পর্যন্ত শুল্কমুক্ত পণ্য আনার সুযোগ থাকলেও তা কমিয়ে একবার করা হচ্ছে। একই সঙ্গে ইউ-ব্যাগেজ (যাত্রীর সঙ্গে না থাকা লাগেজ) ব্যবস্থায় ১২ বছরের কম বয়সী শিশুর জন্য ১০০ কেজি এবং ১২ বছরের বেশি বয়সীদের জন্য ৪০ কেজি পর্যন্ত পণ্য আনার সুযোগ থাকছে। এ ছাড়া অতীতের মতো অপ্রয়োজনীয় ও পুরনো প্রযুক্তির কিছু পণ্য যেমন ক্যাসেট প্লেয়ার, ডিস্কম্যান, টাইপরাইটার, ওয়াকম্যান, ফ্যাক্স মেশিন, ১৯ ইঞ্চি এলসিডি মনিটর, পুশবাটন ফোন—এসব পণ্য আমদানির সুযোগ বাতিলের সুপারিশ করা হয়েছে।

এসএম

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অর্থনীতি

১৫ বছরে বাজারের প্রতিযোগিতা নষ্ট করা হয়েছে: বাণিজ্য উপদেষ্টা

Published

on

বিনিয়োগকারী

বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেছেন, বিগত ১৫ বছরে বাজারের স্বাভাবিক প্রতিযোগিতার সক্ষমতা নষ্ট করা হয়েছে। সরকারি-বেসরকারি সব ক্ষেত্রেই সেটা করা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

তিনি বলেন, স্থানীয় শিল্পের উন্নয়ন মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। বিগত ১৫ বছরে দেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতার ভিত্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মঙ্গলবার (২০ মে) হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে ‘বাংলাদেশে প্রতিযোগিতা নীতি: সম্ভাবনা, প্রতিবন্ধকতা এবং এগিয়ে যাওয়ার পথ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান এ এইচ এম আহসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবুর রহমান, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মইনুল খান ও ইউএনডিপি বাংলাদেশের উপ-আবাসিক প্রতিনিধি মিজ সোনালী দয়ারাত্নে।

বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা যখন দায়িত্ব নিই, তখন অনেক চ্যালেঞ্জ ছিল। তবে সময়ের সঙ্গে কিছু ভালো উদ্যোগের ফলে রেমিট্যান্স ও রপ্তানিতে ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। ধীরে ধীরে অন্যান্য খাতেও অগ্রগতি হচ্ছে।

এ সময় তিনি প্রতিযোগিতা কমিশনের প্রসঙ্গে বলেন, অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো প্রতিযোগিতা কমিশনের সক্ষমতাও ধ্বংস করা হয়েছিল। যে কারণে সাধারণ মানুষ এর খুব বেশি সুফল পায়নি। মানুষ চায় তাদের দৈনন্দিন জীবনে প্রতিযোগিতার সুফল। এ কমিশনকে সে জায়গায় যেতে হবে।

বাজারে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের তাগিদ দিয়ে উপদেষ্টা বলেন, বাজারে অনেক অসাধু প্রতিষ্ঠান আছে, যারা নিজেদের মধ্যে যোগসাজশ করে ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করছে। কম দামে পণ্য বিক্রি করে প্রতিযোগীকে দমিয়ে দিচ্ছে। এদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। আবার যারা ভোক্তাকে জিম্মি করে এবং সরকারকে ভ্যাট-ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে অবৈধ আয় করছে, তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর পদক্ষেপ দরকার। ব্যবসায়ীদেরও দেশের প্রতি দায়িত্বশীল হতে হবে।

প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, প্রতিযোগিতা কমিশন শুধু কোম্পানিগুলোকে জরিমানা করে না, সুরক্ষাও দেয়। ছোট ছোট প্রতিষ্ঠান যারা বাজারে অসম প্রতিযোগিতায় পড়ছে, তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য আমরা কাজ করছি। গুটিকয়েক কোম্পানির সিন্ডিকেট ভেঙে সব কোম্পানিগুলোকে সুষ্ঠু প্রতিযোগিতার সুযোগ করে দেওয়া আমাদের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য।

বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন ও জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি) যৌথভাবে এ সেমিনার আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন রিসার্চ অ্যান্ড পলিসি ইন্টিগ্রেশন ফর ডেভেলপমেন্টের চেয়ারম্যান ড. এম এ রাজ্জাক।

কাফি

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

মহার্ঘ ভাতা নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন অর্থ উপদেষ্টা

Published

on

বিনিয়োগকারী

নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা হবে, তবে কিছুটা সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মঙ্গলবার (২০ মে) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা জানান।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, আগামী ২০২৫-২৬ নতুন অর্থবছরে মহার্ঘ ভাতা ঘোষণা করা হবে। তবে কিছুটা সময় লাগবে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

মহার্ঘ ভাতা দেওয়ার জন্য বাজেটে বরাদ্দ রাখা হবে বলেও জানান অর্থ উপদেষ্টা। তিনি বলেন, কত শতাংশ মহার্ঘভাতা দেওয়া হবে পরে জানানো হবে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

বাজেটে পুঁজিবাজারে করছাড় আসতে পারে

Published

on

বিনিয়োগকারী

পুঁজিবাজারে চলছে স্মরণকালের সবচেয়ে বেশি মন্দাভাব। দিশেহারা স্টেইকহোল্ডার বিনিয়োগকারীসহ সংশ্লিষ্ট সবাই। এমন বাস্তবতায় আগামী অর্থবছরে আসতে পার করছাড়। একই সাথে বাড়তে পারে ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের বার্ষিক করমুক্ত আয়সীমা। বর্তমানে বার্ষিক আয় সাড়ে তিন লাখ টাকা পর্যন্ত করমুক্ত আয়সীমা রয়েছে। এই সীমা আরও ২৫ হাজার টাকা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হতে পারে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (২০ মে) বিকেলে অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) কর্মকর্তাদের সঙ্গে আগামী অর্থবছরের বাজেট নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় এই বৈঠক হয়। এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বাজেটের শুল্ক-করের প্রস্তাবিত পরিবর্তনগুলো নিয়ে আলোচনা হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এ ছাড়া নতুন নতুন কোম্পানিকে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত করার ক্ষেত্রে শর্ত যেমন সহজ করা হবে, তেমনি কর ছাড়ও দেওয়া হতে পারে বলে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এবিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান বলেন, আগামী বাজেটে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে কর দেওয়ার প্রক্রিয়াকে সহজ করা। অনলাইনে রিটার্ন জমাকে আরও উৎসাহিত করা হবে। তিনি বলেন, আগামী বাজেট হবে করবান্ধব ও বিনিয়োগবান্ধব।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, সরকার নীতিগতভাবে করমুক্ত আয়সীমা বাড়াতে একমত হয়েছে। এ জন্য এনবিআরকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ন্যূনতম করের পরিমাণ নিয়ে আলোচনা হয়।

এ ছাড়া ব্যক্তিশ্রেণির করদাতাদের ক্ষেত্রে সিটি করপোরেশন, পৌর এলাকা, গ্রাম এলাকা নির্বিশেষে ন্যূনতম কর পাঁচ হাজার করার বিষয়ে আজকের বৈঠকে আলোচনা হয়। বর্তমানে ন্যূনতম করের পরিমাণ এলাকাভেদে তিন থেকে পাঁচ হাজার টাকা।

বর্তমানে সারা দেশে ১ কোটি ১১ লাখ কর শনাক্তকরণ নম্বরধারী (টিআইএন) আছেন। এর মধ্যে বছরে গড়ে ৪০ লাখের মতো টিআইএনধারী রিটার্ন দেন। এনবিআরের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আজকের বৈঠকে কর ভিত্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি কর দেওয়ার প্রক্রিয়া সহজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অনলাইনে রিটার্ন দেওয়ার ব্যবস্থা আরও সম্প্রসারণ করার জন্য বাজেটে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আগামী বাজেটে কোম্পানির ক্ষেত্রে অনলাইনে রিটার্ন দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হতে পারে।

আরও জানা গেছে, বর্তমানে বছরে তিন কোটি টাকার বেশি টার্নওভার হয়, এমন প্রতিষ্ঠানকে লাভ-লোকসান নির্বিশেষে দশমিক ৬ শতাংশ কর দিতে হয়। এটি বাড়িয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হতে পারে।

এ ছাড়া ভ্যাটের ক্ষেত্রে ফ্রিজ, এয়ারকন্ডিশনের স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে ভ্যাট বাড়তে পারে। বর্তমানে এসব পণ্য উৎপাদন পর্যায়ে সাড়ে ৭ শতাংশ ভ্যাট আরোপ আছে। এই হার বাড়িয়ে ১৫ শতাংশ করা হতে পারে। এ ছাড়া মোবাইল ফোনের মূল্য সংযোজন অনুসারে ভ্যাটের হার বাড়তে পারে।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন ৪১ শতাংশ

Published

on

বিনিয়োগকারী

অর্থবছরের ১০ মাসেও খরচের অগ্রগতি মাত্র ৪১ শতাংশ। গত অর্থবছরের চেয়ে এবার উন্নয়নে প্রায় ৩২ হাজার কোটি টাকা খরচ কম হয়েছে। এপ্রিলে খরচ হয়েছে মাত্র সাড়ে ১০ হাজার কোটি টাকা। অর্থবছরের শেষ দুই মাসে এক লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্য রয়েছে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

যদিও সরকারের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, জুলাই অভ্যূত্থানে হাসিনা সরকারের পতনের পর অনেক ঠিকাদার পালিয়ে গেছেন। যার ফলে অনেক সাইটে কাজ হচ্ছে না, যার কারণে ধস নেমেছে উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (১৯ মে) জুলাই-এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসের এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে পরিকল্পনা কমিশনের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)। এতে দেখা যায়, ১০ মাসে এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪১ দশমিক ৩১ শতাংশ। এর চেয়ে কম এডিপি বাস্তবায়নের তথ্য সংস্থাটির ওয়েবসাইটে নেই।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এদিকে, ১০ মাসে ৯৩ হাজার ৪২৪ কোটি টাকা অর্থছাড় হয়েছে। যা ২০১৮-১৯ অর্থবছরের পর সর্বনিম্ন। গত অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩১৫ কোটি টাকা ছাড় হয়েছিল এই সময়ে। গত এপ্রিল মাসে অর্থছাড় হয়েছে মাত্র ১০ হাজার ৫৩০ কোটি টাকা। যেখানে আগের অর্থবছরের এপ্রিল মাসে ছাড় হয়েছিল ১৭ হাজার ৭০৩ কোটি টাকা।

আইএমইডির তথ্যমতে, চলতি অর্থবছরের আর মাত্র দুই মাস বাকি আছে। এ অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটে উন্নয়ন খাতে ২ লাখ ২৬ হাজার ১৬৪ কোটি টাকা খরচের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। যা মূল এপিপিতে ছিল ২ লাখ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। সংশোধিত এডিপি অনুযায়ী চলতি অর্থবছরে আরও ১ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকা খরচ করতে হবে।

পরিকল্পনা কমিশনের কর্মকর্তারা বলছেন, যেখানে ১০ মাসে মাত্র ৯৩ হাজার কোটি টাকা খরচ হয়েছে। সেখানে বাকি দুই মাসে আর সর্বোচ্চ ৫০-৬০ হাজার টাকা খরচ হবে। বাকি টাকা পড়েই থাকবে।

এ বিষয়ে পরিকল্পনা বিভাগের সাবেক সচিব মামুন আল রশিদ বলেন, উন্নয়ন কাজ অনেক স্থানে শেষ হলেও বিলগুলো দেওয়া হয়নি এখনও, আর্থিক খাতে শৃঙ্খলা ফেরাতে এসব বিল যাচাই-বাছাই করে দিচ্ছে। যে কারণে ব্যয় কম হচ্ছে। তবে কোনো বছরই বাজেটের পুরো অর্থ ব্যয় হয় না। তিনি শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, শেষ সময়ে একসঙ্গে তাড়াহুড়ো করে টাকা ব্যয় করতে গিয়ে অপচয়, দুর্নীতি ও অর্থব্যয়ের গুণগতমান নষ্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করে উন্নয়ন কাজের বিল যাচাই-বাছাই করে দেওয়া ভালো হবে।

ধীরগতির বিষয়ে বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সাবেক সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, এডিপি বাস্তবায়ন হার কম হওয়ার পেছনে অনেকগুলো কারণ রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হলো ঠিকমতো অর্থছাড় না হওয়া। কারণ, বর্তমান অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নে অর্থছাড় কমিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে।

সম্প্রতি পরিকল্পনা কমিশনের এনইসি সভায় মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোর চাহিদা না থাকায় চলতি অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) থেকে ৪৯ হাজার কোটি টাকা কাটছাঁট করা হয়েছে। এডিপির আকার বেশি দেখাতে থোক বরাদ্দ রাখা হয়েছে ২৬ হাজার ৬৩২ কোটি টাকা। যদিও কোন অর্থবছরেই উন্নয়নে থোক বরাদ্দের টাকা খরচ হয় না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এবার এডিপি বাস্তবায়ন মূল এডিপির তুলনায় প্রায় এক লাখ কোটি টাকা কম হবে।

চলতি অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসে সবচেয়ে বেশি ১৯ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা অর্থ খরচ করেছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। ১৫ হাজার ২৭০ কোটি টাকা ব্যয় করেছে বিদ্যুৎ বিভাগ। এরপর সর্বোচ্চ সড়ক-মহাসড়ক বিভাগ খরচ করেছে ৮ হাজার ৬২৫ কোটি টাকা। সর্বনিম্ন এডিপি বাস্তবায়ন করেছে স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ, মাত্র ৫৩ কোটি টাকা আর ৮৪৫ কোটি টাকা খরচ করেছে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

অর্থনীতি

শেখ পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর পৌনে ২ লাখ কোটি টাকার সম্পদ জব্দ

Published

on

বিনিয়োগকারী

লুটপাট ও পাচারের অভিযোগে আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় শেখ পরিবারসহ ১০ শিল্পগোষ্ঠীর প্রায় পৌনে দুই লাখ কোটি টাকার অর্থ ও সম্পদ জব্দ করা হয়েছে। এসব অর্থ দিয়ে ‘লুটের টাকা ব্যবস্থাপনা তহবিল’ গঠন করবে সরকার।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোমবার (১৯ মে) প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে পাচার টাকা ফেরত আনার বিষয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা জানানো হয়।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

এসময় উপস্থিত ছিলেন- বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান এ এফ এম শাহিনুর ইসলাম।

AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানান, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের পাশাপাশি ১০টি শিল্পগোষ্ঠীর এক লাখ ৩০ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকার অর্থ অ্যাটাচমেন্ট আছে। ১৬ কোটি ৪০ লাখ ডলার (দেশীয় মুদ্রায় পরিমাণ ২০০০ কোটি টাকা) এবং ৪২ হাজার ৬১৪ কোটি টাকার অস্থাবর সম্পত্তি স্থিতি (ফ্রিজিং) অবস্থায় রয়েছে। এ ছাড়া বিদেশে ২৫৩ কোটির (২ কোটি ৭ লাখ ডলার) অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ আছে। এই অর্থ থেকে একটি ‘লুটের টাকা ব্যবস্থাপনা তহবিল’ গঠন করা হবে, যা সরকারের ব্যবস্থাপনায় থাকবে।

সরকার গঠিত ১১টি তদন্ত দলের অনুসন্ধানে ১০ শিল্পগোষ্ঠীসহ শেখ পরিবারের বিরুদ্ধে ব্যাংকঋণে অনিয়ম, কর ফাঁকি ও অর্থপাচারসহ বিভিন্ন ধরনের দুর্নীতির তথ্য উঠে এসেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি অনিয়ম ও পাচার করা অর্থের খোঁজ মিলেছে এস আলম গ্রুপের। ইতোমধ্যে এসব ঘটনায় একাধিক মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনতে সরকার একটি বিশেষ অধ্যাদেশ প্রণয়নের উদ্যোগ নিয়েছে। সেই সঙ্গে, এই অর্থ উদ্ধারে কোন ধরনের আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানকে দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা নির্ধারণের কাজও চলছে। এ প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিচ্ছেন বিশ্বব্যাংকের উদ্যোগে গঠিত পাচার করা অর্থ উদ্ধারে অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ দল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর বলেছেন, আদালতের সিদ্ধান্ত ও প্রয়োজনে আইন সংশোধনের মাধ্যমে ফান্ড (লুটের টাকা ব্যবস্থাপনা তহবিল) গঠন করা হবে। ব্যাংক ক্ষতিপূরণ এবং জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দুই ধরনের ফান্ড গঠনের পরিকল্পনা রয়েছে।

গভর্নর বলেন, আমাদের লক্ষ্য হচ্ছে একটা ফান্ড প্রতিষ্ঠা করা। যেটার অর্থ দিয়ে আমরা ব্যাংকগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে পারব। কারণ ব্যাংকগুলো বিশালভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তাদের টাকা তো লুট করা হয়েছে। এছাড়া বাকি টাকা যেগুলো নন ব্যাংক রিলেটেড, যেগুলো দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জন করা হয়েছে, সেগুলো সরকার আরেকটা ফান্ডে নিয়ে জনহিতকর কাজে ব্যয় করবে। সবই আইনগতভাবে করা হবে। কোনোটাই আইনের বাইরে হবে না।

পাচার হওয়া অর্থ ফেরতের বিষয়ে আহসান এইচ মনসুর বলেন, টাকা কীভাবে ফেরত আনতে হয়, সেটার কোনো অভিজ্ঞতা আমাদের নেই। কিন্তু ইন্টারন্যাশনাল এক্সপেরিয়েন্সটা আমরা জানি। সাধারণত এটি করতে ৪ থেকে ৫ বছর সময় লাগে। কিন্তু এর মধ্যে ইমিডিয়েট কিছু ব্যবস্থা নেওয়া যায়। বিদেশে তাদের যে সম্পদ আছে, সেটাকে ফ্রিজ করা যায়। সেটা আপেক্ষিকভাবে বছর খানেকের মধ্যে করা সম্ভব। প্রথমে আইনের প্রক্রিয়া আমাদের দেশের সম্পন্ন করতে হবে, তারপর সঠিক প্রণালীতে বিদেশে রিকোয়েস্ট করতে হবে। যেটাকে বলা হয় মিউচ্যুয়াল লিগ্যাল অ্যাসিসট্যান্স (এমএলএ)। আমরা এখন এই প্রক্রিয়ায় আছি। আমরা রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি।

শেয়ার করুন:-
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুরো সংবাদটি পড়ুন

পুঁজিবাজারের সর্বশেষ

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসবে ড. আনিসুজ্জামান ও বিএসইসি চেয়ারম্যান

পুঁজিবাজারে ধারাবাহিক দরপতনের ফলে পুঁজি হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। তাই বর্তমান অবস্থা বিবেচনা করে পুঁজিবাজারের সাধারণ বিনিয়োগকারীদের...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার8 hours ago

ব্লক মার্কেটে ২৩ কোটি টাকার লেনদেন

সপ্তাহের চতুর্থ কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ব্লক মার্কেটে মোট ৩১টি কোম্পানির ২৩ কোটি ৫১ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে।...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার8 hours ago

মিউচুয়াল ফান্ড-পাবলিক ইস্যু রুলস সংক্রান্ত চূড়ান্ত সুপারিশ জমা দিলো টাস্কফোর্স

সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলস সংক্রান্ত চূড়ান্ত সুপারিশ জমা...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার9 hours ago

পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্সের প্রয়াত উদ্যোক্তার শেয়ার হস্তান্তর

পুঁজিবাজারের বিমা খাতে তালিকাভুক্ত পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের প্রয়াত উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সৈয়দ মনজুর এলাহীর কোম্পানিতে ধারণকৃত সকল শেয়ার...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার9 hours ago

দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্সের পর্ষদ সভার নতুন তারিখ নির্ধারণ

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড পর্ষদ সভার তারিখ নতুন ঘোষণা করেছে। আগামী ২৮ মে বিকাল ৩টায় কোম্পানিটির পর্ষদ...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার10 hours ago

ইউসিবির সর্বোচ্চ দরপতন

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯০ কোম্পানির মধ্যে ১০৪টি কোম্পানির শেয়ার কমেছে। এদিন দরপতনের শীর্ষে...

বিনিয়োগকারী বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার10 hours ago

দর বৃদ্ধির শীর্ষে ফু-ওয়াং ফুড

সপ্তাহের তৃতীয় কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) লেনদেনে অংশ নেওয়া ৩৯০ কোম্পানির মধ্যে ২১১টির শেয়ারদর বৃদ্ধি পেয়েছে।...

Advertisement
Advertisement
AdLink দ্বারা বিজ্ঞাপন ×

সোশ্যাল মিডিয়া

তারিখ অনুযায়ী সংবাদ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
 
১০
১১১৩১৫১৬
১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭৩০৩১
বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসবে ড. আনিসুজ্জামান ও বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিনিয়োগকারী
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না করলে যমুনায় যাবে ছাত্রদল: জহির রায়হান

বিনিয়োগকারী
জাতীয়3 hours ago

বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থা বাড়ছে: প্রধান উপদেষ্টা

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

চট্টগ্রামে আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজার্স মিট

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন সৈয়দ আব্দুল মোমেন

বিনিয়োগকারী
জাতীয়4 hours ago

ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘সিটিসি’ অনুদানের আবেদন গ্রহণ শুরু

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে মাইক্রোবাস উপহার দিলো পূবালী ব্যাংক

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি4 hours ago

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে এনসিপি

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ইসলামী ব্যাংকে মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম শুরু

বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

পুলিশের চাকরি ছাড়লেন পাঁচ এএসপি

বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসবে ড. আনিসুজ্জামান ও বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিনিয়োগকারী
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না করলে যমুনায় যাবে ছাত্রদল: জহির রায়হান

বিনিয়োগকারী
জাতীয়3 hours ago

বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থা বাড়ছে: প্রধান উপদেষ্টা

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

চট্টগ্রামে আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজার্স মিট

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন সৈয়দ আব্দুল মোমেন

বিনিয়োগকারী
জাতীয়4 hours ago

ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘সিটিসি’ অনুদানের আবেদন গ্রহণ শুরু

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে মাইক্রোবাস উপহার দিলো পূবালী ব্যাংক

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি4 hours ago

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে এনসিপি

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ইসলামী ব্যাংকে মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম শুরু

বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

পুলিশের চাকরি ছাড়লেন পাঁচ এএসপি

বিনিয়োগকারী
পুঁজিবাজার2 hours ago

বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে বসবে ড. আনিসুজ্জামান ও বিএসইসি চেয়ারম্যান

বিনিয়োগকারী
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার3 hours ago

সাম্য হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না করলে যমুনায় যাবে ছাত্রদল: জহির রায়হান

বিনিয়োগকারী
জাতীয়3 hours ago

বাংলাদেশের প্রতি বিশ্বের আস্থা বাড়ছে: প্রধান উপদেষ্টা

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

চট্টগ্রামে আইএফআইসি ব্যাংকের ম্যানেজার্স মিট

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ3 hours ago

বর্ষসেরা এসএমই ব্যাংকার অ্যাওয়ার্ড জিতলেন সৈয়দ আব্দুল মোমেন

বিনিয়োগকারী
জাতীয়4 hours ago

ব্রিটিশ কাউন্সিল ‘সিটিসি’ অনুদানের আবেদন গ্রহণ শুরু

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ4 hours ago

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়কে মাইক্রোবাস উপহার দিলো পূবালী ব্যাংক

বিনিয়োগকারী
রাজনীতি4 hours ago

নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ করবে এনসিপি

বিনিয়োগকারী
কর্পোরেট সংবাদ5 hours ago

ইসলামী ব্যাংকে মাসব্যাপী উদ্যোক্তা উন্নয়ন প্রোগ্রাম শুরু

বিনিয়োগকারী
জাতীয়5 hours ago

পুলিশের চাকরি ছাড়লেন পাঁচ এএসপি