জাতীয়
১০ হাজারের বেশি রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত

আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিএনপি-জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা হয়রানিমূলক ১০ হাজারের বেশি মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইন-১ শাখার কর্মকর্তা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সারাদেশে এখন পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৬টি হয়রানিমূলক রাজনৈতিক মামলা প্রত্যাহার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর ফ্যাসিস্ট আমলে করা হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের উদ্যোগ নেয়। সেই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে এসব মামলা প্রত্যাহার করা হচ্ছে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে পত্র মারফত মামলার নম্বর উল্লেখ করে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটরকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হয়েছে। এ ছাড়া জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৪৯৪ ধারার আওতায় উক্ত মামলাগুলো প্রত্যাহার করে না চালানোর জন্য সরকারের সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন সময়ে রাজনৈতিক কারণে হওয়া হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহারের লক্ষ্যে দুটি কমিটি গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। এর মধ্যে একটি জেলা পর্যায়ের কমিটি এবং অন্যটি মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি।
জেলা পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে থাকবেন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, সদস্যসচিব অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এবং সদস্য পুলিশ সুপার (মহানগর এলাকার জন্য পুলিশের একজন ডেপুটি কমিশনার) ও পাবলিক প্রসিকিউটর (মহানগর এলাকার মামলাগুলোর জন্য মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর)।
জেলা কমিটির কাছে যদি মনে হয় মামলাটি রাজনৈতিক বা অন্য কোনো উদ্দেশ্যে হয়রানির জন্য করা হয়েছে, তাহলে মামলাটি প্রত্যাহারের জন্য কমিটি সরকারের কাছে সুপারিশ করবে। জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সেই সুপারিশ, মামলার এজাহার, অভিযোগপত্রসহ আবেদন পাওয়ার ৪৫ কার্যদিবসের মধ্যে নির্দিষ্ট ছক অনুযায়ী তথ্যাদিসহ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠাবেন। এ ছাড়া ব্যক্তি পর্যায়েও আবেদন করা যাবে।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব অথবা আইন মন্ত্রণালয়ের সলিসিটর বরাবরেও আবেদন নেওয়া হচ্ছে। তবে সেই আবেদনগুলো যাচাই-বাছাই করে প্রথমে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তালিকা প্রস্তুত করে আইন উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে রেজল্যুশন আকারে অনুমোদন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ফেরত পাঠানো হয়। পরে আবারও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়। সেখান থেকে ফেরত আসার পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে স্ব স্ব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর চূড়ান্তভাবে চিঠি পাঠানো হয়।
জেলা পর্যায়ের কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতি সম্পর্কে জারি করা একটি প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জেলা কমিটির কাছ থেকে সুপারিশপ্রাপ্তির পর মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটি সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করবে। প্রত্যাহারযোগ্য মামলা চিহ্নিত করে তালিকা প্রস্তত করবে এবং মামলা প্রত্যাহারের কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
মন্ত্রণালয় পর্যায়ের কমিটির সভাপতি হিসেবে আছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আসিফ নজরুল এবং সদস্যসচিব হিসাবে দায়িত্বপালন করছেন জননিরাপত্তা বিভাগের আইন-১ শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব। আর কয়েকজন রয়েছেন সদস্য হিসেবে।
মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট পর্যন্ত দায়ের হওয়া রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলার শিকার যে কেউ এই সুযোগ পাবেন। তবে আবেদনপত্রের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মামলার এজাহার এবং প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিযোগপত্রের (চার্জশিট) সত্যায়িত অনুলিপি দাখিল করতে হবে।
এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পরিচালক) ফয়সল হাসান বলেন, নিরপরাধ ব্যক্তি ও রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের অনর্থক হয়রানি থেকে পরিত্রাণ দেওয়ার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যৌথ উদ্যোগে গৃহীত এই কার্যক্রম চলমান থাকবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
বাংলাদেশে ফ্লাইট চালানোর অনুমতি পেল পাকিস্তানের এয়ারসিয়াল

পাকিস্তানের বেসরকারি বিমান সংস্থা এয়ার-সিয়াল বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন পেয়েছে। বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) এ অনুমোদন দিয়েছে।
বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মঞ্জুর কবির ভূঁইয়া গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনার জন্য আমরা এয়ারসিয়ালকে অনুমোদন দিয়েছি। এ বিষয়ে আমরা বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়েও চিঠি পাঠিয়েছি।
এয়ার-সিয়াল শুধু বাংলাদেশ-পাকিস্তান রুটেই ফ্লাইট পরিচালনা করবে না, বরং মধ্যপ্রাচ্যসহ আন্তর্জাতিক রুটেও ট্রানজিট সুবিধা দেবে।
পাকিস্তানের শিয়ালকোট ভিত্তিক এয়ার-সিয়াল ২০১৫ সালের আগস্টে যাত্রা শুরু করে। তাদের ৬টি এয়ারবাস রয়েছে। এর আগে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ফ্লাই জিন্নাহ-কে করাচি-ঢাকা রুটে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন দেয় বেবিচক।
উল্লেখ্য, পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থা পিআইএ ২০১৮ সালে আর্থিক ক্ষতি ও যাত্রীসংখ্যা কমে যাওয়ায় বাংলাদেশে তাদের ফ্লাইট চলাচল বন্ধ করে দেয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
টিকিট ছাড়াই বিমানে ওঠার চেষ্টা, যুবক আটক

বিনা টিকিটে বিমানে ওঠার সময় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক যুবককে আটক করা হয়েছে। বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইটে (বিজি ৪৩৭) কক্সবাজার যাওয়ার চেষ্টাকালে তাকে আটক করা হয়।
সোমবার (১৯ মে) বিকালে এ ঘটনা ঘটে। ওই যাত্রীর নাম আমান। তার বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন রাগিব সামাদ। তিনি বলেন, আমরা ওই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ করছি। পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
সর্বশেষ রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত তাকে বিমানবন্দরে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
বিমানবন্দর সূত্র জানায়, বিকেল সাড়ে ৪টায় ঢাকা থেকে বাংলাদেশ বিমানের ফ্লাইট বিজি ৪৩৭ কক্সবাজার যাওয়ার শিডিউল ছিল। আটক ব্যক্তি টার্মিনালে প্রবেশের প্রথম ধাপ পার হন। বোর্ডিং পাস না নিয়েই দ্বিতীয় ধাপও পার হন তিনি। এরপর বিমানে ওঠার আগে বোর্ডিং কার্ড চেক করার সময় তিনি কার্ড দেখাতে পারেননি। পরে বিমানবন্দরে কর্মরত নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরা তাকে আটক করেন।
এদিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে কীভাবে ওই ব্যক্তি এতদূর পর্যন্ত যেতে পারলেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ নিয়ে চলছে তোলপাড়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
বাংলাদেশ থেকে সমুদ্রগামী জাহাজ আমদানিতে আগ্রহী আলজেরিয়া

আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী।
সোমবার (১৯ মে) সচিবালয়ে নৌপরিবহন এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের সময় ঢাকায় নিযুক্ত আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত আবদেলোহাব সাইদানি এ আগ্রহের কথা জানান।
সাক্ষাৎকালে তারা জাহাজ শিল্পের উন্নয়নে পারস্পরিক সহযোগিতার ক্ষেত্র সম্প্রসারণের লক্ষ্যে দুই দেশের মধ্যে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের সাথে একটি ফলপ্রসূ সম্পর্ক স্থাপন করতে চায়। বাংলাদেশ জাহাজ শিল্পে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছে। আলজেরিয়া বাংলাদেশে নির্মিত আন্তর্জাতিক মানের সমুদ্রগামী জাহাজসহ অন্যান্য জলযান আমদানি করতে আগ্রহী। এছাড়াও, আলজেরিয়া সরকার বাংলাদেশের মেরিটাইম সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি কাজে লাগাতে চায়।
এ সময় রাষ্ট্রদূত মেরিটাইম সেক্টরে উন্নয়নের জন্য বাংলাদেশের সাথে আলজেরিয়ার একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের প্রস্তাব করেন।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা রাষ্ট্রদূতের প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে আন্তর্জাতিকমানের জাহাজ তৈরি হচ্ছে এবং বহিঃবিশ্বে বাংলাদেশে নির্মিত জাহাজ রপ্তানি করা হচ্ছে। সরকারি পৃষ্ঠপোষকতায় খুলনা শিপইয়ার্ডে নির্মিত জাহাজ আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সুনাম অর্জন করেছে। এ সেক্টরে দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে মেরিন একাডেমিসমূহ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
তিনি রাষ্ট্রদূতকে চট্টগ্রাম, মোংলাসহ অন্যান্য বন্দর এবং শিপইয়ার্ড/ডকইয়ার্ড ও বাংলাদেশের মেরিন একাডেমিগুলো পরিদর্শনের আহ্বান জানান।
তিনি বাংলাদেশের দ্রুত অগ্রসরমান জাহাজ শিল্পসহ মেরিটাইম সেক্টরে আলজেরিয়া সরকারকে বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ সময় নৌপরিবহন উপদেষ্টা বাংলাদেশের সাথে আলজেরিয়ার সরাসরি ফ্লাইট চালুর অনুরোধ জানান।
রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করে বলেন, এ বিষয়ে আলজেরিয়া সরকার ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে। রাষ্ট্রদূত উপদেষ্টাকে আলজেরিয়া সফরের আমন্ত্রণ জানান।
নৌপরিবহন উপদেষ্টা ২০২৫ সালের ডিসেম্বরের লন্ডনে ২০২৬-২৭ মেয়াদের জন্য আন্তর্জাতিক নৌপরিবহণ সংস্থার (আইএমও) কাউন্সিলের ক্যাটাগরি-সি নির্বাচনের ভোটগ্রহণে বাংলাদেশের প্রার্থিতার জন্য আলজেরিয়ার সমর্থন কামনা করেন। আলজেরিয়ার রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশের প্রতি তার সরকারের অব্যাহত সমর্থন ও সহযোগিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
বৈঠকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মহাপরিচালক বিএম জামাল হোসেনসহ নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ইশরাককে শপথ না পড়ানোর কারণ জানালেন উপদেষ্টা আসিফ

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে শপথ না পড়ানোর কারণ হিসেবে ১০টি জটিলতার কথা তুলে ধরেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
সোমবার (১৯ মে) বিকেল ৩টার দিকে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে তিনি এসব কথা জানান।
আসিফ মাহমুদ লেখেন, প্রথমত, আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় প্রদান করেছে।
দ্বিতীয়ত, নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরবর্তীতে কমিশন আপিলও করেনি।
তৃতীয়ত, আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সাথে দুইজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।
চতুর্থত, উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই।
পঞ্চমত, শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট পিটিশন দায়ের করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন।
ষষ্ঠত, বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায় আর্জি সংশোধন সংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। ফলে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না।
সপ্তম, মেয়াদ সংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কি না তা স্পষ্ট নয়।
অষ্টম, নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে ‘‘কোনো প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ’’ এর কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ এবং রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে।
নবম, এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে।
দশম, আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।
তিনি আরও লিখেছেন, উচ্চ আদালতে বিচারাধীন এবং উপরোল্লিখিত জটিলতা নিরসন না করা পর্যন্ত শপথ গ্রহণ সম্ভব নয়। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বরং গায়ের জোরে আদায় করার উদ্দেশ্যেই নগর ভবন বন্ধ করে মহানগর বিএনপি এই আন্দোলন চালাচ্ছে। ফলে সিটি করপোরেশনের দৈনন্দিন কাজ ব্যাহত হওয়াসহ জন দুর্ভোগ সৃষ্টি হয়েছে।
এই উপদেষ্টা বলেন, এসব জটিলতা নিরসন হলে স্থানীয় সরকার বিভাগের শপথ দিতে কোনো সমস্যা নেই। তবে ব্যক্তিগতভাবে আমার বিরুদ্ধে ইশরাক হোসেনের এই আক্রমণাত্মক ও অপমানজনক কার্যক্রমের কোনো কারণ খুঁজে পেলাম না! আবার কেউ বলবেন না যে এটা সাধারণ জনগণ করছে, কারণ বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন গ্রুপের নির্দেশনা এবং গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী দলীয় নেতাকর্মীরাই কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
ভাঙ্গা-কুয়াকাটা ৬ লেন সড়ক প্রকল্পের অনুমোদন

পরিকল্পনা উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেছেন, জনগুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প নিয়ে কাজ করছে সরকার। তারই ধারাবাহিকতায় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা সড়ক ছয়লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বরিশাল সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসন আয়োজিত মহানগরের নাগরিক সুযোগ-সুবিধা সর্ম্পকে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী, সুশীল সমাজ ও এনজিও প্রতিনিধিদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি একথা বলেন।
পরিকল্পনা উপদেষ্টা বলেন, আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে জড়িত এবং গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সরকার কাজ করছে। বরিশাল একটি গুরুত্বপূর্ণ বিভাগীয় শহর। এ শহর শিল্পসমৃদ্ধ করার লক্ষ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থাকে উন্নত করতে ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা সড়ক ছয় লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করবে। এ সময় তিনি সামাজিক নিরাপত্তার স্বার্থে দারিদ্র্যবিমোচন প্রকল্পগুলো চলমান থাকবে বলে উল্লেখ করেন।
উপদেষ্টা বলেন, স্থানীয় সরকার ব্যবস্থা যত শক্তিশালী হবে সাধারণ মানুষ তত উপকৃত হবে। স্থানীয় সরকারের সব সুযোগ-সুবিধা জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে ভালো, যোগ্য ও সৎ জনপ্রতিনিধির বিকল্প নাই। আগামী নির্বাচনে জনবান্ধব একটি দল সরকার গঠন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
মতবিনিময় সভায় উন্মুক্ত আলোচনায় উপস্থিত ব্যক্তিবর্গের দাবির প্রেক্ষিতে তিনি বলেন, প্রাচ্যের ভেনিস বরিশালের ঐতিহ্য ফিরিয়ে আনার জন্য শহরের আশপাশের খালগুলো খনন করা হবে। এ ছাড়া বরিশাল-বানারিপাড়া সন্ধ্যা নদীর ওপর সেতু, নথুল্লাবাদ থেকে দপদপিয়া ব্রিজ পর্যন্ত বাইপাস সড়ক, বরিশালের গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে ফুট ওভারব্রিজ এবং একটি উন্নতমানের ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট নির্মাণে সর্বাত্মক সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেন। এ সময় তিনি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতি রক্ষার্থে পাঠাগার নির্মাণ এবং শহরের ঐতিহ্য সংরক্ষণ করার আহ্বান জানান।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বরিশাল চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা এবায়দুল হক চান, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল আলম ফরিদ, সৈয়দ হাতেম আলী সরকারি কলেজের উপাচার্য প্রফেসর আক্তারুজ্জামান খান, বরিশাল আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট সাদিকুর রহমান লিংকন এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন।