আন্তর্জাতিক
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি চলবে: ভারতীয় সেনাবাহিনী

পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে ভারতের সেনাবাহিনী। সেই সঙ্গে এই যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষের কোনো তারিখ নেই বলেও জানানো হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) ভারতের গণমাধ্যম এনডিটিভি দেশটির একজন সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায়।
ভারতের সংবাদমাধ্যমগুলো বলছে, রোববার ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমওদের মধ্যে কোনো আলোচনা হওয়ার সময়সূচী নির্ধারিত নেই।
পাকিস্তানের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি অস্থায়ী ছিল এবং আজই যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে এমন ধারণা উড়িয়ে দিয়ে ওই কর্মকর্তা বলেন, নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের ডিজিএমও (ডিরেক্টর জেনারেল মিলিটারি অপারেশনস) আলাপচারিতায় যে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তার কোনো নির্দিষ্ট মেয়াদ নেই।
এর আগে শুক্রবার ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো জানায়, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ১০ মে ভারত ও পাকিস্তান ‘পূর্ণ ও তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতিতে’ সম্মত হয়েছে বলে জানান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। সোশ্যাল মিডিয়া ট্রুথ সোশ্যালে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ তথ্য জানান।
ভারত ও পাকিস্তানের চার দিনের পাল্টাপাল্টি হামলার পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্প বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় দীর্ঘ রাতব্যাপী আলোচনার পর যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয়েছেন তারা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আন্তর্জাতিক
আজ শেষ হচ্ছে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধবিরতি

আজ শেষ হতে চলেছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে বিদ্যমান যুদ্ধবিরতি চুক্তির মেয়াদ। দুই দেশের প্রশাসনের তরফ থেকে এখনো পর্যন্ত চুক্তির মেয়াদ নবায়নের বিষয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি। এতে করে সীমান্ত এলাকায় বিরাজ করছে উদ্বেগ ও অনিশ্চয়তা।
দীর্ঘদিন ধরেই নিয়ন্ত্রণ রেখা (LoC) বরাবর যুদ্ধবিরতির আওতায় শান্তিপূর্ণ পরিস্থিতি বজায় থাকলেও, মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে নতুন করে উত্তেজনা ছড়াতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর অভিযান পরিচালনাকারী মহাপরিচালকরা শিগগিরই বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে। তবে এই বৈঠক ঠিক কবে এবং কোথায় অনুষ্ঠিত হবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য দেয়নি দিল্লি কিংবা ইসলামাবাদ।
বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি নবায়ন না হলে সীমান্তে গোলাগুলির আশঙ্কা বাড়তে পারে, যার প্রভাব পড়বে সীমান্তবর্তী সাধারণ মানুষের ওপর।
সীমান্ত পরিস্থিতি নজরে রেখে নিরাপত্তা বাহিনীকে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থায় রাখা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিতের দাবি পাকিস্তানের

ভারতের আরও একটি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে পাকিস্তান। চলতি মাসের শুরুতে ভারতের সঙ্গে সংঘাতের সময় ভারতীয় বিমান বাহিনীর মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটটি ভূপাতিত করে পাকিস্তানের বিমান বাহিনী।
পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। পাকিস্তান অবশ্য আগেই ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল। আর এবার আরেকটি ফাইটার জেট ভূপাতিত করা কথা জানানোর পর ভূপাতিত ভারতীয় যুদ্ধবিমানের সংখ্যা দাঁড়াল ৬টিতে।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে)রাতে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
সংবাদমাধ্যমটি বলছে, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ নিশ্চিত করেছেন যে— পাকিস্তান বিমান বাহিনী (পিএএফ) কাশ্মিরের পামপুর এলাকায় গত ৬-৭ মে রাতে ভারতের আরেকটি যুদ্ধবিমান — মিরাজ ২০০০ — ভূপাতিত করেছে। এ নিয়ে মোট ছয়টি ভারতীয় বিমান ভূপাতিত করার দাবি করল পাকিস্তান।
বৃহস্পতিবার কামরায় পাকিস্তান বিমান বাহিনীর একটি অপারেশনাল ঘাঁটি পরিদর্শনকালে প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, “এই ঘটনা আমাদের বিমান বাহিনীর অসাধারণ দক্ষতা এবং মাতৃভূমি রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনীর অটল প্রতিশ্রুতির প্রমাণ।”
পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মিডিয়া উইং আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) বিবৃতি অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ এদিন পাইলট, প্রকৌশলী এবং প্রযুক্তিবিদসহ সামনের সারির সদস্যদের সঙ্গে দেখা করেন এবং তাদের পেশাদারিত্ব ও নিখুঁত দক্ষতার গভীর প্রশংসা করেন।
পাকিস্তানের এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারতের আগ্রাসনের প্রেক্ষিতে পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনী সংযম দেখিয়েছে, কৌশলগত দূরদর্শিতা দেখিয়েছে এবং কার্যকর প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে। তাদের নিখুঁত ও দ্রুত জবাব শত্রুর সামরিক অবকাঠামোয় বড় ধাক্কা দিয়েছে এবং প্রমাণ করেছে যে— দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষায় পাকিস্তান কখনো পিছপা হবে না।
তিনি আরও বলেন, সামরিক বাহিনীর প্রতিটি শাখা যেভাবে সচেতনতা ও সাহসিকতা দেখিয়েছে, তাতে পুরো জাতি গর্বিত। সেনাপ্রধানের যোগ্য নেতৃত্বে তারা আবারও প্রমাণ করেছে যে— পাকিস্তানের নিরাপত্তা দুর্ভেদ্য।
প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ বলেন, পাকিস্তান সরকার ও জাতি—উভয়েই জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়ে পূর্ণ অঙ্গীকারবদ্ধ। দেশের প্রতিটি ইঞ্চি রক্ষায় আমাদের বাহিনী প্রস্তুত এবং কোনও আগ্রাসন ঘটলে তার উপযুক্ত, সময়োপযোগী এবং কঠোর জবাব দেওয়া হবে।
এর আগে সংঘাতের সময় ভারতের ৫টি যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করার কথা জানিয়েছিল পাকিস্তান। পাকিস্তানেরে সশস্ত্র বাহিনীর হামলায় ভূপাতিত হওয়া ভারতীয় বিমানগুলোর মধ্যে তিনটি রাফাল ফাইটার জেট, একটি মিগ-২৯ এবং একটি এসইউ-৩০ যুদ্ধবিমান। আর এবার ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মিরাজ ২০০০ ফাইটার জেটও ধ্বংসের কথা জানাল পাকিস্তান।
ভারত অবশ্য পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় যুদ্ধবিমান হারানো নিয়ে মুখে কুলুপ এঁটেছে। দেশটি যুদ্ধবিমান হারানোর বিষয়ে কিছু উল্লেখ না করে বলেছে, ক্ষয়ক্ষতি যুদ্ধের অংশ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পাক-ভারত যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত

টানা ১৯ দিনের উত্তেজনা ও হামলার পর গত ১০ মে যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় ভারত ও পাকিস্তান। দু-একদিন পরিস্থিতি শান্ত থাকলেও ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠছে। যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ ও সিন্ধুর পানি চুক্তি নিয়ে নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। এ অবস্থায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে নতুন তথ্য জানালেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) রাতে সংসদে তিনি বলেন, আমেরিকার মধ্যস্থতায় পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশ দুটির মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর দুই পক্ষের সামরিক অভিযানের মহাপরিচালকের (ডিজিএমও) মধ্যে গত ১০ মে হটলাইনের মাধ্যমে প্রথম দফা আলোচনা হয়। সেই কথোপকথনের সময় যুদ্ধবিরতি ১২ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, ১২ মে দুই পক্ষের মধ্যে ফের আলোচনা হয়। সেখানে যুদ্ধবিরতি ১৪ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছিল। ১৪ মে আবারও আলোচনা হলে যুদ্ধবিরতি ১৮ মে পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল কাশ্মীরের পেহেলগামে বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে ভারত। তবে, হামলায় জড়িত থাকার কথা অস্বীকার এবং একটি বিশ্বাসযোগ্য ও স্বচ্ছ তদন্তে অংশ নেওয়ার প্রস্তাব দিয়ে আসছে ইসলামাবাদ। তারপরেও পাকিস্তানকে দায়ী করে একাধিক পদক্ষেপ নিয়েছে ভারত। পাল্টা ব্যবস্থা নেয় পাকিস্তানও।
এ নিয়ে দু’দেশের পাল্টাপাল্টি হুমকি-ধমকি সংঘাতে রূপ নিয়েছে। গত ৬ মে মধ্যরাতে অপারেশন সিন্দুর নাম দিয়ে পাকিস্তানের আজাদ কাশ্মিরের অন্তত ৯টি স্থানে একযোগে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত। এরপর ১০ মে ভোরে ফের পাকিস্তানের বিমানঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করে দিল্লি। এর জবাব দিতে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসুস’ শুরু করেছে পাকিস্তান। ভারতের ১১টি সামরিক স্থাপনায় হামলা চালায় ইসলামাবাদ। ব্যবহার করা হয় ফাতাহ-১ ক্ষেপণাস্ত্র।
পারমাণবিক শক্তিধর দুই দেশের চরম উত্তেজনার মধ্যে ১০ বিকেলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টে ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্মতির কথা জানান।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
পোশাকবিধি নিয়ে ক্ষোভ, কর্মবিরতিতে স্টারবাক্সের হাজারো বারিস্তা

নতুন পোশাকবিধি নিয়ে ক্ষোভে কর্মবিরতিতে স্টারবাক্সের কর্মীরা। যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫টি স্টোরে অন্তত ১ হাজার বারিস্তা রবিবার থেকে কর্মবিরতিতে গেছেন। তাদের অভিযোগ, নতুন পোশাকবিধি নাকি কর্মপরিবেশ নয়, বরং ফ্যাশন শোয়ের প্রস্তুতি মনে হচ্ছে। খবর এপি।
নতুন এই পোশাকবিধিতে বলা হয়েছে, সব কর্মীকে এখন থেকে পরতে হবে একরঙা কালো শার্ট এবং নিচে খাকি, কালো বা নীল ডেনিম প্যান্ট। আর সেই পরিচিত সবুজ অ্যাপ্রন তো আছেই। আগে কালো, গাঢ় রঙের এবং কখনো কখনো নকশাযুক্ত জামা পরার স্বাধীনতা ছিল।
এ ব্যাপারে কোম্পানির ব্যাখ্যা হচ্ছে— সবুজ অ্যাপ্রন যেন আরো চোখে পড়ে, আর কাস্টমার যেন পরিচিত ও আরামদায়ক পরিবেশ পান। তবে ইউনিয়ন এই ব্যাখ্যাকে ‘বাজে কথা’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
পেইজ সামার্স নামের একজন শিফট সুপারভাইজার বলেন, স্টারবাক্স পথ হারিয়েছে। গ্রাহকরা পোশাক নয়, অপেক্ষার সময় নিয়ে ভাবেন। ৩০ মিনিট ধরে যদি কফি না পান, তখন কেউ ভাবেন না আমাদের গায়ে কালো শার্ট না ডেনিম!
মজার ব্যাপার হলো, এই পোশাকবিধি চালুর আগে স্টারবাক্স তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটে যেসব স্টারবাক্স-ব্র্যান্ডেড জামা বিক্রি করেছে, তার অনেকগুলোই এখন নিষিদ্ধ! কর্মীদের তারা দিয়েছে দুটি ফ্রি কালো টি-শার্ট। কিন্তু এর বদলে যা পেয়েছে, তা হলো বিক্ষোভ আর বাষ্প-ছাড়া এস্প্রেসো মেশিন।
স্টারবাক্স বলছে, এই কর্মবিরতি খুব বেশি প্রভাব ফেলেনি। ১০,০০০ কোম্পানি পরিচালিত স্টোরের এক শতাংশ কর্মীও এই বিক্ষোভে নেই, আর অনেক স্টোর মাত্র এক ঘণ্টার জন্য বন্ধ ছিল।
তবে বারিস্তারা বলেছে- কাজে মনোযোগ দিন, রং নিয়ে নয়!
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
আন্তর্জাতিক
সিরিয়ার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠকের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মে) এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। এরপর ট্রাম্প বলেন, আমরা সিরিয়াকে একটি নতুন সূচনা দিতে চাই। তিনি আরও জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আল-শারাকে ফিলিস্তিনিদের যাদের যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে, তাদের সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করতে বলেছেন। পাশাপাশি, সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইএস বন্দিশিবিরগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই বৈঠকের আগে মঙ্গলবার (১৫ মে) রাতেই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই ঘোষণার পর আরব নেতাদের উল্লাস এবং সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাক্ষাৎ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে একটি বড় অগ্রগতি।
ট্রাম্প বর্তমানে চার দিনের উপসাগরীয় অঞ্চল সফরে রয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় বৈঠক রয়েছে, যেখানে কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্পের সফরে সৌদি আরব এরই মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন বা ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ চুক্তি ও ১৪২ বিলিয়ন বা ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনা চুক্তি করেছে।
সফরের শেষ দিন তিনি আবুধাবি হয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তুরস্ক যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।