রাজনীতি
জাতীয় নাগরিক পার্টির প্রকৌশল উইং প্রস্তুতি কমিটি গঠন

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রকৌশল উইং গঠন করা হয়েছে। দলটির মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী এ কমিটি অনুমোদন দিয়েছেন।
শনিবার (১৭ মে) রাতে দলটির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
কমিটির সমন্বয়ক হয়েছেন- শেখ মো. শাহ মঈন উদ্দিন। যুগ্ম-সমন্বয়ক হয়েছেন প্রকৌশলী মেজর মো. সালাহ উদ্দিন (অব.), প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম, প্রকৌশলী ইকবাল হোসেইন, প্রকৌশলী শেখ মোহাম্মদ, প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, প্রকৌশলী আমির হোসেইন, প্রকৌশলী আব্দুল কাইয়ুম, মো. ফরহাদ সোহেল, মো. রাশিদুন নেওয়াজ শাওন।
সদস্য হয়েছেন, প্রকৌশলী মো. আবু হানিফ, প্রকৌশলী আনোয়ার হোসেইন, প্রকৌশলী এম এ মান্নান প্রকৌশলী ড. মো. মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী আব্দুল আলীম, প্রকৌশলী মোশাররফ হোসেইন, প্রকৌশলী বাইজিদ ইসলাম, প্রকৌশলী সাইফ মাওলা, প্রকৌশলী তানভীর মাহমুদ, প্রকৌশলী গাজি মো. আল আমিনুল ইসলাম, প্রকৌশলী আবু সাইয়েদ হোসেন, প্রকৌশলী মো. ইকবাল হোসাইন, প্রকৌশলী নুরুল ইসলাম ফারুক, প্রকৌশলী মেহেদী হাসান, প্রকৌশলী মাসুম আল আজমি, প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, প্রকৌশলী মো. আজিজুর রহমান, প্রকৌশলী ইউসুফ শাহ, প্রকৌশলী মাহাদী আল মাসুম, প্রকৌশলী আনিসুর রহমান, প্রকৌশলী মো. আলামিন খাঁন ইসা, প্রকৌশলী রাকিব হোসেইন, মাসুম বিল্লাহ, হোসেইন মোহাম্মদ সাইরাস, আরিফুল হক বিদা, মুনিরুল আলম, রাশেদুল ইসলাম, মো. মোস্তাসিম বিল্লাহ, মো. ফরহাদ ইসলাম, মঞ্জুরুল আলম খান, মো. নাদিদ খান, রাজিবুল হাসান রাজ, শাকিল ইকবাল, আশরাফুল ইসলাম নাঈম নাজমুল হক, মো. হৃদওয়ান ইমাম, মো. হাসান মাহামুদ, মোহাম্মদ আবু সুফিয়ান।
এনসিপি জানায়, উইংয়ের প্রতিটি সদস্য এমন একটি বাংলাদেশ নির্মাণে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ যেখানে প্রকৌশল হবে জাতীয় উন্নয়নের চালিকাশক্তি এবং প্রযুক্তি হবে স্বাধীনতার রক্ষাকবচ।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি
সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রশ্রয়ের প্রশ্নই আসে না: সারজিস

সমকামিতা-ট্রান্সজেন্ডার প্রশ্রয়ের প্রশ্নই আসে না বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির মুখ্য সংগঠক (পশ্চিমাঞ্চল) সারজিস আলম।
আজ রোববার (১৮ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে এক পোস্টে এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন তিনি।
পোস্টে সারজিস আলম লেখেন, ‘নারীদের অধিকার রক্ষায় যেকোনো যৌক্তিক দাবিতে সর্বাত্মক সমর্থন থাকবে। কিন্তু সেসবের আড়ালে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে যদি সমকামিতা, ট্রান্সজেন্ডার কিংবা এলজিবিটিকিউ এর মতো জঘন্য ও ধ্বংসাত্মক কালচারগুলোকে প্রমোট করা হয়, তবে সেই অপচেষ্টায় আমাদের বাধা হয়ে দাঁড়াতে হবে।’
তিনি লেখেন, ‘পরিবার, সমাজ কিংবা রাষ্ট্র ধ্বংস করার এই মরণব্যাধিগুলো যেসব মানসিক বিকারগ্রস্তরা লালন ও প্রমোট করার চেষ্টা করছে, তাদের মানসিক চিকিৎসা করানো হোক। কিন্তু তাদের প্রশ্রয়ের প্রশ্নই আসে না। এটা সেই ক্যান্সার যা ধীরে ধীরে আপনার ঘর থেকে শুরু করে জাতি পর্যন্ত ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে পারে। সেই সুযোগ আমরা করে দিতে পারি না।’
তিনি আরও লেখেন, ‘পাশাপাশি পতিতাবৃত্তির মতো মর্মান্তিক নির্যাতন কখনো পেশা হতে পারে না। বরং যারা বাধ্য হয়ে কিংবা ফাঁদে পড়ে এই পেশার সঙ্গে ইতোমধ্যে সম্পৃক্ত হয়েছে তাদেরকে সেই পথ থেকে ফিরিয়ে এনে রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় সকল পুনর্বাসন করা হোক।’
এদিকে ‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রা’ কর্মসূচি থেকে নারীর অধিকার নিশ্চিত ও বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি দাবি জানানো হয়েছে। গত শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর মানিক মিয়া অ্যাভিনিউয়ে কর্মসূচিতে পাঠ করা ঘোষণাপত্রে এই দাবি জানানো হয়। ঘোষণাপত্রটি পাঠ করেন জুলাই শহীদ পরিবারের তিন নারী সদস্য। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, চব্বিশের অভূতপূর্ব জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পরে আজ আমরা এক গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি মুহূর্তে ঐক্যবদ্ধ হয়েছি। আমাদের দাবি একটি গণতান্ত্রিক ও ন্যায়ভিত্তিক বাংলাদেশ। যেখানে সব মানুষের মর্যাদা ও অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে বৈষম্যবিরোধিতা ও সাম্যের যৌথ মূল্যবোধের ওপর। সমতা ও ন্যায্যতার পথে এ মৈত্রীযাত্রায় আমরা সবাইকে স্বাগত জানাই। আজ আমাদের সঙ্গে রয়েছেন জুলাই অভ্যুত্থানে আহত ও নিহতদের স্বজন, মানবাধিকারকর্মী, পেশাজীবী, শিল্পী, গার্মেন্টস শ্রমিক, চা বাগানের শ্রমিক, যৌনকর্মী, প্রতিবন্ধী অধিকারকর্মী, তৃতীয় লিঙ্গ, তরুণ-তরুণী, শিক্ষার্থী, আদিবাসী, অবাঙালি অন্যান্য প্রান্তিক সম্প্রদায়ের মানুষ। এতে আরও বলা হয়, কিন্তু আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ করছি, অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়েও নারীসহ অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর এ অগ্রযাত্রায় নানান প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে চলেছে প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী ও পিতৃতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা। নারীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রার ক্ষেত্রেও তারা বাধা তৈরি করছে। ব্যক্তিগত আক্রমণ, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বাধা এবং অনলাইনে হয়রানি করে রাজনৈতিক পরিসরে নারীর অংশগ্রহণ নিরুৎসাহিত করার তৎপরতা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। বিভিন্ন স্থানে অতর্কিত হামলা, আন্দোলনে বাধা, পরিকল্পিত মব আক্রমণ, মোরাল পুলিশিং, যৌন নিপীড়ন, ধর্ষণ ও সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রকাশ্যে মারধর এবং নানান ধরনের হুমকি প্রদান অব্যাহত রয়েছে। ঘোষণাপত্রে বলা হয়, সম্প্রতি নারী অধিকার সংক্রান্ত সংস্কার উদ্যোগের অংশ হিসেবে নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন গঠন করা হয়। বিভিন্ন খাতে সংস্কারের উদ্দেশ্যে সরকার কর্তৃক গঠিত অন্যান্য কমিশনের মতোই এ কমিশনটি গঠিত হয়েছিল। এ কমিশন শ্রমজীবী নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর নারী ও অর্থনৈতিকভাবে পশ্চাৎপদ নারীর জীবনমান উন্নয়নের লক্ষ্যে ৪৩৩টি সুপারিশ পেশ করে। অন্যান্য সব কমিশনের মতোই এ কমিশনের সুপারিশেও ছিল নানা আলোচনা-সমালোচনার উপাদান। কিন্তু আমরা দেখেছি রিপোর্ট প্রকাশের পর থেকেই অধিকাংশ গুরুত্বপূর্ণ ও মৌলিক অধিকার সংক্রান্ত সুপারিশগুলোকে ইচ্ছাকৃতভাবে এড়িয়ে গিয়ে এবং গঠনমূলক আলোচনা-সমালোচনার সুযোগ না রেখে নানা ধরনের অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। দেশবাসীর সামনে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ভুল ব্যাখ্যা উপস্থাপন করা হচ্ছে। জনসম্মুখে কমিশনের সদস্যদেরকে জঘন্যভাবে অপমান করা হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে শাহবাগ অবরোধ ছাত্রদলের

শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছে ছাত্রদল। আজ রবিবার (১৮ মে) বিকেল পৌনে ৪টার দিকে শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেয় তারা।
অবস্থান কর্মসূচিতে ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব এবং সাধারণ সম্পাদকের নাছির উদ্দিন নাছির রয়েছেন। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরসহ বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা রয়েছেন।
এর আগে, এদিন দুপুরে সাম্য হত্যার বিচার, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে ছাত্রদল।
রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশ থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলা অনুষদ হয়ে অপরাজেয় বাংলার সামনে এসে শেষ হয়।
মিছিল শেষে বক্তব্যে ছাত্রদলের ঢাবি শাখার সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, জুলাইয়ে গণআন্দোলনে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সাহসিকতার সঙ্গে নেতৃত্ব দেওয়া সাম্য আজ আমাদের মাঝে নেই। তার রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে গঠিত প্রশাসন এই হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না। অবিলম্বে প্রক্টরকে পদত্যাগ করতে হবে। একইসঙ্গে উপাচার্যকে সাম্য হত্যার রাতের এমন আচরণের জন্য দুঃখ প্রকাশ করতে হবে।
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গত ১৩ মে রাত ১১টার দিকে আহত হন সাম্য। পরে দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরদিন সকালে নিহতের বড় ভাই শরীফুল ইসলাম শাহবাগ থানায় ১০ থেকে ১২ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন সাম্য। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল শাখা ছাত্রদলের সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায়।
কাফি
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
ভারত কর্তৃক ৪০ রোহিঙ্গাকে সাগরে ফেলে দেওয়ায় জামায়াতের নিন্দা

৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে আন্দামান সমুদ্রে ফেলে দেওয়ার মর্মান্তিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।
রবিবার (১৮ মে) দলটির ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মাছুম এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ভারতের দিল্লি থেকে নারী-শিশুসহ অন্তত ৪০ জন রোহিঙ্গা শরণার্থীকে আটক করে আন্দামান সমুদ্রের মিয়ানমার সীমান্তের কাছে নিয়ে লাইফ জ্যাকেট পরিয়ে আন্তর্জাতিক পানি সীমানায় ভারতীয় নৌবাহিনীর জাহাজ থেকে গত ৮ মে সমুদ্রে ফেলে দেওয়া হয়। দুনিয়ার সভ্য ইতিহাসে এই ধরনের ঘটনা বিরল। আমরা ভারতের এই অমানবিক ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এই অমানবিক ঘটনার মাধ্যমে ভারত আন্তর্জাতিক আইন, মানবাধিকার ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরও বলেন, ভারতের এই ধরনের মর্মান্তিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য আমরা শান্তিকামী বিশ্ববাসীর প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছি। ভবিষ্যতে এই ধরনের অমানবিক ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে সেজন্য ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
গ্রহণযোগ্য আ. লীগ সমর্থকরা বিএনপিতে যোগ দিতে পারবেন: আমীর খসরু

বিএনপির কাজে বাধা দেননি, সামাজিকভাবে গ্রহণযোগ্য- এমন আওয়ামী লীগ সমর্থকরা দলে যোগ দিতে পারবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শনিবার (১৭ মে) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরীর কাজীর দেউরী নাসিমন ভবনের দলীয় কার্যালয় মাঠে চট্টগ্রাম বিভাগীয় বিএনপির উদ্যোগে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি বলেন, সদস্য করার সময় দিকনির্দেশনাগুলো খেয়াল রাখতে হবে। সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী ও দুর্নীতিবাজ ব্যক্তিকে দলে নেওয়া যাবে না। যাদের কারণে আমাদের ভোট কমে যাবে। আবার আওয়ামী লীগের কাউকে দলে নেওয়া যাবে না, যারা আমাদের সাথে হাঁটলে ভোট কমে যাবে। এমন লোক, ব্যক্তিদের দূরে রাখবেন।
আমীর খসরু নিজের সদস্য ফরম পূরণ করে নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধন করেন এবং বিভিন্ন জেলা বিএনপির নেতাদের সদস্য ফরমের বই বিতরণ করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খন্দকার, বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানী, বিএনপির কোষাধ্যক্ষ ও সদস্য ফরম নবায়ন কমিটির সদস্যসচিব এম রশিদুজ্জামান মিল্লাত, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ভিপি হারুনুর রশীদ হারুন।
বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীমের সভাপতিত্বে আয়োজিত সভা পরিচালনা করেন সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।
এখন অনেক বড় সুযোগ এসেছে মন্তব্য করে আমীর খসরু বলেন, আজ আমাদের জন্য অনেক বড় সুযোগ এসেছে। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বৃহত্তম দল। এটাকে সাংগঠনিক রাজনৈতিকভাবে শক্তিশালী করার দিকে নিয়ে যেতে হবে। দল তো শক্তিশালী আছে। শেখ হাসিনাকে বিতাড়িত করেছে। সব ঠিক আছে। কিন্তু আমাদের সাংগঠনিক যে শক্তি স্পিরিট বা ভিত্তি, সেটা এখন আমাদের করতে হবে। এ জন্যই আজ এ উদ্যোগ। আমরা তো চাইলে মোবাইলেও করতে পারতাম।
তিনি বলেন, এ মেম্বারশিপ করতে গিয়ে আমরা চেষ্টা করবো বৃহত্তর অংশকে আমাদের মেম্বারশিপের আওতায় নিয়ে আসার জন্য। কারণ এটা দেশের বৃহত্তর দল, তাই দেশের বৃহত্তর অংশ যাতে বিএনপির সদস্য হয়। এটা সবাইকে মাথায় রাখতে হবে।
দিনের আলোতে সদস্য নবায়নের কথা উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, এ মেম্বারশিপ দিনের আলোতে করতে হবে, অন্ধকারে নয়। দিনের আলোতে আজ আমরা এখানে করছি, আপনারাও প্রতিটি শহর থানা ইউনিয়নে এ ধরনের মেম্বার করবেন। যারা বিএনপির সদস্য হবে, আমরা চাই তারা দিনের আলোতেই হোক। এখানে কোনো লুকোচুরি নেই। একদিকে পুরুষের লাইন থাকবে। আরেকদিকে মহিলাদের লাইন থাকবে, যেভাবে ভোটার হয়।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
রাজনীতি
কোন ফ্যাসিস্ট অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি: ড. হেলাল উদ্দিন

কোন ফ্যাসিস্ট পরাজিত অপশক্তি দ্বিতীয়বার ফিরে আসেনি উল্লেখ করে জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নায়েবে আমীর এডভোকেট ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনাও ফিরে আসবে না, আসতে পারবে না। এটা শেখ হাসিনার পরিবার নিশ্চিত হয়ে তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়সহ অন্যরা ইউরোপ-আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করতে শুরু করেছে। দুদিন আগে হাসিনার ছেলে জয় আমেরিকার নাগরিকত্ব গ্রহন করে শপথ নিয়েছে। কারণ তারা নিশ্চিত বাংলাদেশে তাদের আর ফিরে আসা সম্ভব নয়। এদেশের জনগণ তাদেরকে চিরতরে বর্জন করেছে।
শুক্রবার (১৬ মে) সকালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত রুকন সমাবেশে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি নিষিদ্ধ ঘোষিত সন্ত্রাসী সংগঠন ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের সকল সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, যেই নেতা পালিয়ে যায় সে কখনো নেতা হতে পারে না। প্রকৃত অর্থে সে ক্ষমতা লোভী সুবিধাবাদী। ঐ নেতা সংগঠনের সদস্যদের জীবন নিয়ে রাজনীতি করে ফায়দা লুটে নেয়।
ড. হেলাল উদ্দিন বলেন, জামায়াতে ইসলামী জান্নাতের টিকেট দেয় না, জান্নাতের পথ দেখায়। দ্বীন কায়েমের পথে আহ্বান জানায়। দ্বীন কায়েম হলেই দ্বীন পালন করা যায়। বাংলাদেশে দ্বীন কায়েম না হওয়ার কারণেই মানুষ চাইলেই দ্বীন পালন করতে পারে না। শুধু নামাজ-রোজা করতে পারলেই দ্বীন পালন করা নয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলার নামই দ্বীন পালন করা। সুদ-ঘুষ ইসলাম হারাম করলেও এদেশের জনগণ সুদ বা ঘুষ থেকে বেরিয়ে আসতে পারে না। কারণ সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চলমান। ইসলামী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা হলে সুদ ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থার পরিবর্তে যাকাত ভিত্তিক অর্থনীতি ব্যবস্থা চালু হবে। ফলে মানুষ সুদ থেকে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থায় মুক্তি লাভের সুযোগ পাবে। এভাবে ইসলামের সকল বিধি-বিধান মেনে চলা সহজ ও সম্ভব হবে। তাই দ্বীন কায়েমের মাধ্যমেই দ্বীন পালন করতে হবে। এটি একজন মানুষের ঈমানী দায়িত্ব। এই দায়িত্ব পালনের নেতৃত্ব দিচ্ছি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। এই নেতৃত্বে শামিল হতে তিনি দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন শাহজাহানপুর পূর্ব থানা আমীর মুহাম্মদ শরিফুল ইসলাম। এতে প্রধান আলোচক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সেক্রেটারি ড. শফিকুল ইসলাম মাসুদ বলেন, ফেরাউনের অনুসারী শেখ হাসিনার পতনের পর ফ্যাসিস্ট হাসিনার অনুসারী নব্য ফ্যাসিবাদের আজব আবারো আসতে পারে। সেজন্য গণ-অভ্যুত্থানের বিজয়ে উৎফুল্ল না হয়ে আল্লাহর দেওয়া বিধান বাস্তবায়নে কাজ করতে হবে। ফ্যাসিবাদ বিরোধী সকল রাজনৈতিক দলের ঐক্যে বিভাজনের চক্রান্তে একটি গোষ্ঠী লিপ্ত রয়েছে। এরাই শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদের অনুসারী নব্য ফ্যাসিবাদ।
ছাত্র-জনতার রক্তের সাথে বেঈমানী করে কেউ নব্য ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করলে আওয়ামী লীগের চেয়েও ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করতে হবে উল্লেখ করে ড. মাসুদ বলেন, ক্ষমতা দেওয়ার মালিক আল্লাহ, নেওয়ার মালিকও আল্লাহ। আল্লাহ কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে সম্মানিত করে আবার কাউকে ক্ষমতায় বসিয়ে অসম্মানিত, বেইজ্জতিও করে। ক্ষমতার দাম্ভিকতাই অহংকার, সেই অহংকার পতনের মূল। তিনি উপস্থিত রুকন সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সময় যত অনুকূলে থাকবে তত বেশি উৎফুল্ল না হয়ে আল্লাহর আনুগত্য স্বীকারে আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের প্রচেষ্টা বাড়াতে হবে।
শাহজাহানপুর পূর্ব থানা সেক্রেটারি মো. আনোয়ার হোসেন পরিচালনায় অনুষ্ঠিত সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন তা’মীরুল মিল্লাত কামিল মাদ্রাসার মুফাসসির মাওলানা আবুল কাশেম গাজী। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন থানা কর্মপরিষদ সদস্য আবদুল খালেক, এস এম আজিম উদ্দিন ও নাহিদ জামাল প্রমুখ