ব্যাংক
কার্ডের মাধ্যমে লেনদেনে অনীহা অনেকের: অর্থ উপদেষ্টা

অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিশ্ব ডিজিটাল লেনদেনের দিকে ঝুঁকলেও বাংলাদেশে এখনো অনেক মানুষ কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন করতে দ্বিধা বোধ করে।
শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর একটি পাঁচ তারকা হোটেলে মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি ও মাস্টারকার্ডের যৌথভাবে আয়োজিত নতুন কার্ড সেবার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ড. আহমেদ বলেন, অন্যান্য দেশে যেখানে নগদ লেনদেন প্রায় দেখাই যায় না, সেখানে বাংলাদেশে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার তুলনামূলকভাবে কম। তিনি নগদবিহীন লেনদেন উৎসাহিত করার বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সঙ্গে আলোচনার কথা উল্লেখ করেন, তবে অনেক লোকের কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন বা ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা নিতে না চাওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করেছেন। বর্তমানে এই প্রবণতা নিরুৎসাহিত করার চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।
তিনি উন্নত দেশগুলোর উদাহরণ টেনে বলেন, সেখানে ছোটখাটো কেনাকাটা ছাড়া তেমন কেউ নগদ ব্যবহার করে না। নগদবিহীন লেনদেনের সুবিধা তুলে ধরে তিনি বলেন, এর মাধ্যমে লেনদেন স্বচ্ছ থাকে, যেকোনো সময় শনাক্ত করা যায় এবং প্রয়োজনে জবাবদিহি নিশ্চিত করা যায়।
অর্থ উপদেষ্টা বেসরকারি খাতের প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নে ক্রেডিট কার্ডের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা উল্লেখ করেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তাদের তুলনায় ব্যবসায়ীদের ক্রেডিট কার্ডের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দেন। দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াচ্ছে এবং রিজার্ভের পরিমাণ বাড়ছে উল্লেখ করে, সময়ের সাথে সাথে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যাংকিং ব্যবস্থার সাথে তাল মিলিয়ে চলার আহ্বান জানান তিনি।
স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের পর বাংলাদেশের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় ব্যবসায়ীদের দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানান ড. আহমেদ। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। এক্ষেত্রে ব্যবসায়ীদের দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি, যাতে দেশ পিছিয়ে না পড়ে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর মো. জাকির হোসেন চৌধুরী ও মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসির চেয়ারম্যান মো. আনোয়ারুল হক উপস্থিত ছিলেন। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে মাস্টারকার্ড বাংলাদেশের কান্ট্রি ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ কামাল, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিবিও ড. মো. জাহিদ হোসেন ও সিএফও ড. তাপস চন্দ্র পাল প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ব্যাংক
ফের নগদের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে দুষ্কৃতকারীরা: বাংলাদেশ ব্যাংক

মোবাইলে আর্থিক সেবাদাতা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠান ‘নগদ’ আবারও দুষ্কৃতকারীদের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। আদালতের রায়ের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির নিয়ন্ত্রণ হারানোর পর এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে নগদে পুনরায় অবৈধ টাকা বা ই-মানি তৈরির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
শনিবার (১৭ মে) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র আরিফ হোসেন খান। তিনি জানান, বাংলাদেশ ব্যাংকের ফরেন্সিক অডিটে সহায়তা করার অপরাধে নগদের ২৩ জন কর্মকর্তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে আগামী ১৯ তারিখে আদালতে ফুল বেঞ্চের একটি শুনানি রয়েছে। এরপরই নগদের পরবর্তী পদক্ষেপ এবং নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যাবে। তবে, নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক আশঙ্কা করছে, এর আগে প্রতিষ্ঠানটিতে যেকোনো ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মে হাইকোর্ট ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেন। এর মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর নগদের পরিচালনায় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিযুক্ত প্রশাসক দল তাদের দায়িত্ব হারায়। ফলে ‘নগদ’-এর উপর বাংলাদেশ ব্যাংক ও ডাক বিভাগ উভয়ের নিয়ন্ত্রণ রহিত হয়।
এদিকে, বাংলাদেশ ব্যাংক ‘নগদ’-এর অর্থ তছরুপের অভিযোগে যাদের বিরুদ্ধে মামলা করেছিল, তাদের মধ্যে একজনকে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তিনি হলেন প্রতিষ্ঠানটির সাবেক পরিচালক মো. সাফায়েত আলম। দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি নতুন মানবসম্পদ কর্মকর্তা নিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে পরিবর্তন আনা শুরু করেছেন। গত দুই দিনে শীর্ষ পর্যায়ের ২৩ জন কর্মকর্তাকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়ের করা মামলার আরও দুই আসামিকে নতুন করে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে ‘নগদ’-এর পরিচালনায় নতুন করে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক হাইকোর্টের সিদ্ধান্ত স্থগিত করে দেওয়া আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আপিল করেছে এবং আগামী ১৯ মে আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র আরও জানান, গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার ‘নগদ’-এ প্রশাসক নিয়োগ দেয়। প্রশাসক নিয়োগের পর নিরীক্ষায় ‘নগদ লিমিটেড’-এ বড় ধরনের জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়া যায়। ভুয়া পরিবেশক ও এজেন্ট দেখিয়ে আর্থিক জালিয়াতি এবং অতিরিক্ত ইলেকট্রনিক অর্থ বা ই-মানি তৈরি করা হয়েছে। এসব কারণে ২ হাজার ৩৫৬ কোটি টাকার হিসাব অমিল পাওয়া যায়। সাবেক সরকারের আমলে ‘নগদ’ নিয়মের বাইরে গিয়ে গ্রাহক তৈরি এবং সরকারি ভাতা বিতরণে একচেটিয়া সুবিধা পায়। প্রতিষ্ঠানটিতে যখন এসব অনিয়ম ঘটে, তখন আওয়ামী লীগের একাধিক সংসদ সদস্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তি এর পরিচালনায় যুক্ত ছিলেন। এই ঘটনায় বাংলাদেশ ব্যাংক সরকারের ডাক বিভাগের আটজন সাবেক ও বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি), ‘নগদ’-এর সাবেক চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) ২৪ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করে।
আরিফ হোসেন খান বলেন, ‘জনগণের টাকার নিরাপত্তা দেওয়া বাংলাদেশ ব্যাংকের দায়িত্ব। আগে প্রতিষ্ঠানটি যেনতেনভাবে চলেছে। এ জন্য সরকার পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক দায়িত্ব নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করে আসছিল। এখন আদালতের আদেশের কারণে সেই দায়িত্ব ছেড়ে দিতে হয়েছে। আমরা সেই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে আবেদন করেছি। আশা করি, জনগণের টাকার নিরাপত্তা দিতে বাংলাদেশ ব্যাংক আবার দায়িত্ব ফিরে পাবে।’
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
ব্যাংকিং খাতে সংস্কার: প্রত্যেকটা ডিক্লারেশনে স্বচ্ছতা দরকার

ব্যাংকিং খাতে সংস্কার ও প্রত্যেকটা ডিক্লারেশনে স্বচ্ছতা দরকার বলে মন্তব্য করেছেন বেসরকারি এনআরবি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) তারেক রিয়াজ খান। বাংলাদেশের ব্যাংকিং সেক্টরের বর্তমান পরিস্থিতি ও সংস্কার নিয়ে অনলাইন বিজনেস পোর্টাল অর্থসংবাদ-এর সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এবি ব্যাংকের নতুন চেয়ারম্যান কাইজার এ. চৌধুরী

এবি ব্যাংক পিএলসির পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন কাইজার এ. চৌধুরী। সম্প্রতি ব্যাংকের ৮১৩তম বোর্ড সভায় তিনি নির্বাচিত হয়েছেন।
বিশিষ্ট ব্যাংকার কাইজার এ. চৌধুরীর বিভিন্ন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে সিইও এবং পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হিসেবে কাজের দীর্ঘ অভিজ্ঞতা রয়েছে।
তিনি ১৯৭৫ সালে এএনজেড গ্রিন্ডলেজ ব্যাংকে তাঁর কর্মজীবন শুরু করেন। দীর্ঘ ২৪ বছর তিনি ব্যাংকটির বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্বপালন করেন। পরবর্তীতে তিনি সিইও হিসেবে ওয়ান ব্যাংকে ১৯৯৯ থেকে ২০০৪ এবং এবি ব্যাংকে ২০০৫ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত দায়িত্বপালন করেন। তিনি মেঘনা ব্যাংকের সিইও হিসেবেও কর্মরত ছিলেন।
এছাড়াও তিনি জিএসপি ফাইন্যান্স কোম্পানি (বাংলাদেশ লিমিটেড) এবং বাংলাদেশ ইন্টারন্যাশনাল আরবিট্রেশন সেন্টারে (বিআইএসি) বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত ছিলেন। কাইজার এ. চৌধুরী প্রিমিয়ার ব্যাংক পিএলসির একজন স্বতন্ত্র পরিচালক এবং এবি ব্যাংক পিএলসির একজন পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বপালন করেন।
একজন শিশু সাহিত্য অনুরাগী হিসেবে সাহিত্যের এ শাখায় তাঁর ৫০টি প্রকাশনা রয়েছে। ২০১৩ সালে শিশু সাহিত্যে তাঁর বিশেষ অবদানের স্বীকৃতস্বরূপ তিনি বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী কাইজার এ. চৌধুরী ব্যাপক অভিজ্ঞতাসম্পন্ন একজন পেশাদার ব্যাংকার যার বলিষ্ঠ নেতৃত্ব এবি ব্যাংকের অগ্রযাত্রাকে আরও সমৃদ্ধ করবে।
এসএম
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ব্যাংক
সাময়িকভাবে সরকারি মালিকানায় নেওয়া যাবে যেকোনো ব্যাংক, অধ্যাদেশ জারি

দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক চাইলে যেকোনো তফসিলি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে রাষ্ট্রায়ত্ত মালিকানায় নিতে পারবে।
শুক্রবার গেজেট আকারে প্রকাশ হওয়া ‘ব্যাংক রেজল্যুশন অধ্যাদেশ, ২০২৫’ এ এমন বিধান রাখা হয়েছে।
নতুন এ অধ্যাদেশে দেউলিয়া হওয়া বা দেউলিয়ার ঝুঁকিতে থাকা ব্যাংককে ‘ভালো করার স্বার্থে’ সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংককে যেকোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কোনো দুর্বল ব্যাংকের ক্ষেত্রে মার্জ (একীভূতকরণ) কিংবা প্রশাসক নিয়োগের প্রয়োজন পড়লে এ অধ্যাদেশ মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দেউলিয়ার উপক্রম হওয়া ব্যাংকের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে আলাদা বিভাগ গঠন করা হবে বলেও অধ্যাদেশে বলা হয়েছে।
কোনো ব্যাংকে প্রশাসক নিয়োগ হলে সে বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের ওয়েবসাইট, সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ওয়েবসাইট ও বহুল প্রচারিত একটি বাংলা ও একটি ইংরেজি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে।
ব্যাংকের কার্যক্রম সঠিকভাবে পরিচালনা করার জন্য এক বা একাধিক ‘ব্রিজ ব্যাংক’ প্রতিষ্ঠা করা যাবে বলেও অধ্যাদেশের বলা হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো দুর্বল ব্যাংকের সব ধরনের ব্যবসায়িক কার্যক্রম স্থগিত বা নিষিদ্ধও করতে পারবে।
দুর্বল বা দেউলিয়া হওয়া ব্যাংকের কার্যক্রম সাময়িকভাবে পরিচালনার জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক কর্তৃক গঠিত ব্যাংক হলো ব্রিজ ব্যাংক।
অধ্যাদেশে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংকের সুবিধাভোগী মালিক প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে ব্যাংকের সম্পদ বা তহবিল নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করলে ও প্রতারণামূলকভাবে অন্যের স্বার্থে ব্যবহার করলে বাংলাদেশ ব্যাংক ওই ব্যাংকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা (রেজল্যুশন) নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে পারবে।
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের বিরুদ্ধে যেকোনো ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষমতাই হল রেজল্যুশন।
এসব ব্যাংক মূলধন ঘাটতিতে পড়লে বিদ্যমান শেয়ারধারী অথবা নতুন শেয়ারধারী দিয়ে মূলধন বাড়ানোর সুযোগ রাখা হয়েছে অধ্যাদেশে।
বাংলাদেশ ব্যাংক ও সরকার চাইলে সাময়িকভাবে ইসলামি ধারাসহ যেকোনো ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মালিকানাও নিতে পারবে।
এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংক এক বা একাধিক শেয়ার হস্তান্তর আদেশ জারি করতে পারবে। শেয়ার হস্তান্তর গ্রহীতাকে অবশ্য সরকারি মালিকানাধীন কোম্পানি হতে হবে।
কোনো ব্যাংকের লাইসেন্স বাতিল হলে বাংলাদেশ ব্যাংক সেটির অবসায়নের জন্য আদালতে আবেদন করতে পারবে। আদালত বাংলাদেশ ব্যাংকের মনোনীত কাউকে অবসায়ক নিয়োগ দেবে। অবসায়ন আদেশ কার্যকর হওয়ার পর কোনো ব্যাংকের দায়ের ওপর সুদ বা অন্য কোনো মাশুল কার্যকর হবে না।
এতে বলা হয়েছে, কোনো ব্যাংক নিজে থেকেও অবসায়নের প্রক্রিয়ায় যেতে পারবে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমতি ছাড়া কার্যক্রম বন্ধ করতে পারবে না। লাইসেন্স প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার সাত কর্মদিবসের মধ্যে আমানত ও দুই মাসের মধ্যে অন্যান্য দায় পরিশোধ করতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কারো কর্ম, নিষ্ক্রিয়তা ও সিদ্ধান্তের কারণে কোনো ব্যাংক ব্যর্থ হবে ব্যাংকের ক্ষতি হলে সেই দায় তাকে নিতে হবে।
অধ্যাদেশের আওতায় জারি হওয়া বিধিবিধান অমান্যকারীদের ৫০ লাখ টাকা জরিমানা হতে পারে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
পুঁজিবাজার
এনআরবিসি ব্যাংকের নতুন এমডি ও সিইও তৌহিদুল আলম খান

এনআরবিসি ব্যাংক পিএলসির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে ড. মো. তৌহিদুল আলম খান গত ৫ মে যোগদান করেছেন। বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে ৩২ বছরেরও বেশি অভিজ্ঞতাসম্পন্ন ও পেশাদার ব্যাংকার হিসাবে পরিচিত তৌহিদুল আলম খান ইতিপূর্বে ন্যাশনাল ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
ড. তৌহিদ ১৯৯৩ সালে অগ্রণী ব্যাংকে সিনিয়র অফিসার হিসেবে তার ব্যাংকিং ক্যারিয়ার শুরু করেন। পরবর্তীতে প্রাইম ব্যাংকে তিনি সিন্ডিকেশন অ্যান্ড স্ট্রাকচার্ড ফাইন্যান্স বিভাগের নেতৃত্ব দেন এবং বাংলাদেশে বেসরকারী বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে সিন্ডিকেশন ফাইন্যান্সিং-এ লিড অ্যারেঞ্জার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যাংকসমূহের মধ্যে প্রাইম ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়ায় প্রধান ব্যবসায়িক কর্মকর্তা (সিবিও), প্রধান ঋণ ঝুঁকি কর্মকর্তা (সিআরও) এবং প্রধান মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ ও পরিপালন কর্মকর্তাসহ (ক্যামেলকো) ইত্যাদি গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।
নটরডেমিয়ান তৌহিদুল আলম খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিন্যান্সে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন এবং ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) একজন ফেলো সদস্য। তিনি ব্যাংকিং সেক্টরে জিআরআই পদ্ধতিতে টেকসই ঋণ ঝুঁকির উপর গবেষণা করেন ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
ড. তৌহিদ বাংলাদেশের প্রথম সার্টিফাইড সাসটেইনেবিলিটি রিপোর্টিং অ্যাসিউরার (সিএসআরএ) হিসেবে স্বীকৃত। শিক্ষা ও গবেষণামূলক অবদানের জন্য তিনি অসংখ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, যা তাঁকে অর্থনীতি ও টেকসই উন্নয়ন কর্মসূচিতে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে একজন সুপরিচিত ব্যক্তিত্ব হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
এসএম