ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
নগদ অর্থ পুরস্কার পাচ্ছে বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীরা

২০২৪ সালের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় বোর্ডসেরা শিক্ষার্থীদের জন্য নগদ অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করেছে সরকার। পারফরমেন্স বেজড গ্র্যান্টস ফর সেকেন্ডারি ইনস্টিটিউশনস (পিবিজিএসআই) স্কিমের আওতায় ‘উপজেলা শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী পুরস্কার’ ও ‘উচ্চ মাধ্যমিক সমাপনী পুরস্কার’ হিসেবে নির্বাচিতদের মধ্যে যথাক্রমে ১০ হাজার ও ২৫ হাজার টাকা করে প্রদান করা হবে। এই টাকা সরাসরি শিক্ষার্থীদের নিজ নামে খোলা অগ্রণী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে পাঠানো হবে।
সম্প্রতি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের স্কিম পরিচালক প্রফেসর মো. তোফাজ্জল হোসেনের সই করা এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
আদেশে বলা হয়, ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে বোর্ড অনুযায়ী সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তদের তালিকা ১১টি শিক্ষা বোর্ড থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে। এ তালিকা উপজেলাভিত্তিকভাবে সংশ্লিষ্ট উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার ই-মেইলে পাঠানো হয়েছে।
তালিকাভুক্ত শিক্ষার্থীদের আগামী ২৫ মে’র মধ্যে নিজ উপজেলা বা আশপাশের যেকোনো অগ্রণী ব্যাংক শাখায় গিয়ে নিজের নামে একটি অ্যাকাউন্ট খুলতে বলা হয়েছে। তবে যাদের ইতোমধ্যে অগ্রণী ব্যাংকে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, তাদের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে পুরোনো অ্যাকাউন্ট নম্বর ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সফটওয়্যারে আপডেট করতে হবে, পিবিজিএসআই স্কিমের আওতায়।
পুরস্কারের টাকা পেতে শিক্ষার্থীদের পরীক্ষার প্রবেশপত্র বা নম্বরপত্র ব্যাংকে জমা দিতে হবে। যারা পূর্ববর্তী অর্থবছরে অ্যাকাউন্ট না খোলার কারণে পুরস্কার পাওয়া থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাদের জন্যও এবারের সুযোগ প্রযোজ্য।
স্কিম নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, প্রতিটি উপজেলা বা থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সহায়তায় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অ্যাকাউন্ট খোলার পর শিক্ষার্থীর অ্যাকাউন্ট নম্বর, মোবাইল নম্বরসহ প্রয়োজনীয় তথ্য সংশ্লিষ্ট ব্যাংক কর্মকর্তার ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরসহ হার্ডকপি ২৯ মে’র মধ্যে শিক্ষা ভবনের ৭০৮ নম্বর কক্ষে জমা দিতে হবে। একইসঙ্গে সফট কপি পাঠাতে হবে ই-মেইলে—pbgsiaward@gmail.com ঠিকানায়।
এছাড়া, পুরস্কার দেওয়ার এই উদ্যোগ সেকেন্ডারি এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রামের (এসইডিপি) আওতায় পরিচালিত হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছে সাত কলেজ

রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি জানাতে জরুরি সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।
শুক্রবার (১৬ মে) সাত কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় রূপান্তর টিমের অর্গানাইজিং উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আগামীকাল শনিবার (১৭ মে) বিকেল ৪টায় ইডেন মহিলা কলেজের ১নং গেটে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সাত কলেজ নিয়ে প্রস্তাবিত ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করার অভিপ্রায়ে, রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ ও অধিভুক্তি বাতিলের পরবর্তী অন্তবর্তীকালীন প্রশাসনের চূড়ান্ত অনুমোদনে কর্তৃপক্ষের কালক্ষেপণের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া ও পরবর্তী কর্মসূচি সবার কাছে তুলে ধরতে জরুরি ভিত্তিতে একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হবে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জবি শিক্ষার্থীদের ৪ দফা: শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু

পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী চার দফা দাবি আদায়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সাবেক-বর্তমান শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের অংশগ্রহণে সমাবেশ শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ মে) জুমার নামাজের পর দুপুর সোয়া ২টার দিকে সমাবেশ শুরু হয়। সমাবেশে যোগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন বিভাগের অ্যালামনাইরাও।
সমাবেশে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ও পল্টন থানা জামায়াতে ইসলামীর আমির শাহীন আহমেদ খান। তিনি অন্তর্বর্তী সরকারকে দ্রুত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান। নয়তো সাবেক-বর্তমান সব শিক্ষার্থীর অংশগ্রহণে আরও জোরালো আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি ও সাবেক শিক্ষার্থী মাকসুদুর রহমান বলেন, সব দাবিই যৌক্তিক। দাবিগুলো আজকের নতুন কোনো দাবি নয়। অনেকদিন ধরেই শিক্ষার্থীরা এসব দাবি জানিয়ে আসছেন। তাই দাবিগুলোর পুরোটাই মেনে নিতে হবে।
প্রসঙ্গত, চার দফা দাবিতে তৃতীয়দিনের মতো অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে তারা আজ কাকরাইল মোড়ে নয়, বরং প্রধান উপদেষ্টার ভবনের যাওয়ার সড়কের মুখে অবস্থান নিয়েছেন। ফলে খোলা রয়েছে কাকরাইল মোড়, যান চলাচলও স্বাভাবিক রয়েছে।
তাদের চার দফা হলো- ১. আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য ২০২৫-২৬ অর্থবছর থেকে আবাসন বৃত্তি কার্যকর করতে হবে; ২. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত পূর্ণাঙ্গ বাজেট কাটছাঁট না করেই অনুমোদন করতে হবে; ৩. জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ পরবর্তী একনেক সভায় অনুমোদন করে অগ্রাধিকার প্রকল্পের আওতায় বাস্তবায়ন করতে হবে; ৪. শিক্ষার্থীদের ওপর আক্রমণ করা পুলিশের বিচার করা।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
দাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্র হবে কাকরাইল মোড়: রইছ উদ্দিন

জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণ না হলে কাকরাইল মোড় জনদাবি বাস্তবায়নের নতুন কেন্দ্রে পরিণত হবে বলে জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক রইছ উদ্দিন।
শুক্রবার (১৬ মে) কাকরাইল মোড়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, এ দেশের প্রত্যেকটা নাগরিক তাদের অধিকার প্রত্যাশা করে। তিন দিন ধরে আমার শিক্ষার্থীরা খোলা আকাশের নিচে বসে দাবি আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। কিন্তু এখনো সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সমাধান আসেনি। অথচ চাইলে প্রথম দিনই তার সমাধান করা যেত।
তিনি আরও বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নিপীড়িত, বঞ্চিত ও নিষ্পেষিত। আমরা এমন এক স্থানে উপনীত হয়েছি, যেখান থেকে ফিরে যাওয়ার আর কোনো উপায় নেই। আমাদের দাবি পূরণ না হলে এই কাকরাইল মোড় আরেকটি জনদাবি বাস্তবায়নের কেন্দ্রে পরিণত হবে। আমাদের রক্তের ওপর প্রতিষ্ঠিত সরকার যদি হুমকি ধামকি দেয়, আমরা সেটাকে রুখে দেব।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা

শিক্ষার্থীদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন ঘোষণা করেছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন। বৃহস্পতিবার আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা শেষে কাকরাইলে চলমান আন্দোলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
অধ্যাপক ড.রইস উদ্দিন বলেন, আমরা এখানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিকার নিয়ে এসেছি। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি আদায়ের জন্য এসেছি। আমাদের ওপরে নির্বিচারে পুলিশ হামলা চালিয়েছে। এটি সম্পূর্ণ অরাজকতা এবং অন্যায়। আমরা কারো বিরুদ্ধে এখানে কথা বলতে আসিনি কোনো ষড়যন্ত্র করতে আসিনি। আমাদের অধিকার চাইতে আমাদের দাবি আদায় করতে এসেছি। দাবি আদায় না করে আমরা ঘরে ফিরব না। দাবি আদায়ের আগ পর্যন্ত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাটডাউন চলবে। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো শিক্ষা পরীক্ষা কার্যক্রম চলবে না। দাবি আদায় করে আমরা ঘরে ফিরব।
তিনি বলেন, আমাদেরকে এখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য যদি কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয় ভালো হবে না। আমার চোখের সামনে আমার কোনো শিক্ষার্থীকে কেউ আঘাত করতে পারবে না।
এ সময় শিক্ষার্থীরা স্লোগান—‘আবাসন চাই, বঞ্চনা নয়’, ‘বাজেট কাটছাঁট চলবে না’, ‘হামলার বিচার চাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে থাকেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২৪ ঘণ্টার বেশি কাকরাইলে অবস্থান করছে। অবস্থান কর্মসূচি পালন করায় অনেক শিক্ষার্থী ক্লান্ত হলেও আন্দোলন থেকে সরেনি কেউ। কেউ কেউ রাতভর রাস্তায় ঘুমিয়ে আজ সকালেও অবস্থান করছেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
ক্যাম্পাস টু ক্যারিয়ার
সাম্য হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় ইবি ছাত্রদল

ঢাবি ছাত্র ও ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য’র হত্যাকারী সন্ত্রাসীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবিতে প্রতিবাদ মিছিল ও সমাবেশ করেছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (১৪ মে) দুপুর ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুষদ ভবনের দক্ষিণ গেট হতে একটি প্রতিবাদ মিছিল আরম্ভ হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ও অনুষদ ভবনগুলো প্রদক্ষিণ করে প্রশাসন ভবনের সামনে এসে সমবেত হয়।
এসময় তাদের ‘জ্বালো জ্বালো আগুন জ্বালো’ ‘আমার ভাই কবরে, ‘খুনি কেন বাহিরে’, ‘বিচার বিচার বিচার চাই, সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘খুন হয়েছে আমার ভাই, ঘরে থাকার সময় নাই’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায়।
এসময় সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম রাশেদ, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আনোয়ার পারভেজ, যুগ্ম আহবায়ক আবু দাউদ, আহসান হাবীব, আনারুল ইসলাম, রোকন উদ্দিন, মনিরুল ইসলাম।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সদস্য সাব্বির হোসেন, রাফিজ উদ্দিন, নুর উদ্দিন, সাক্ষর , উল্লাস হোসেন, রোকোনুজ্জামান, আলামিন, রিফাত, তৌহিদুল, উৎস, আলী, রিয়াজ, মামুন, রায়হান, লিখন, সাদিক, তাপস প্রমুখ।
এসময় বিক্ষুব্ধ কর্মীরা বলেন, ‘৫ আগস্টের পর ছাত্রলীগ বা শিবির তো মরে না। শুধু ছাত্রদলের কর্মীকে টার্গেট করা হচ্ছে কেন? এই দায় প্রধান উপদেষ্টা থেকে শুরু করে ঢাবির ভিসি ও প্রক্টরকে পদত্যাগ করা উচিত। সংস্কার সংস্কার খেলা করে নির্বাচন পিছিয়ে নেয়া হচ্ছে। এ পর্যন্ত যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে তাদের বিচার তো হচ্ছে না।’
সমাবেশে ইবি ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় সদস্য রাশেদুল ইসলাম রাশেদ বলেন, গতকাল (১৩ মে) শুধু সাম্যকেই হত্যা করা হয়নি বরং ৫ আগস্ট পরবর্তী স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে হত্যা করা হয়েছে। এ সরকার আবার নতুন করে ফ্যাসিস্টের মত চেপে বসতে শুরু করেছে। সরকার যদি অনতিবিলম্বে দোষীদের সনাক্ত করে বিচারের আয়ত্তায় না আনে তাহলে আমরা আবারো রাজপথে নামবো। ইবি সহ সারা বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঐ ফ্যাসিবাদের দোষরা এখনও তাদের স্ব স্ব অবস্থানে ফ্যাসিজমের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে।
তিনি ইবি প্রশাসনকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ফ্যাসিজমের ১৬ বছর আন্দোলন সংগ্রামে ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দর সাথে রাজপথে ছিলাম। আমরা তখন দেখেছি অনিয়ম করে অমেধাবীদের দিয়ে শিক্ষক, কর্মচারী, কর্মচারী নিয়োগ দেয়া হয়েছে। কিন্তু ৫ আগস্টের পরে এখনো তাদের সুনির্দিষ্ট কোনো তালিকা তৈরি করা হয়নি। আওয়ামী লীগ যখন ফ্যাসিজম তখন থেকে অনেক ছাত্রলীগের অনেকে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি করছে। তাদেরকে এখনো বাদ দেয়া হয়নি। সর্বশেষ সাম্য হত্যার বিচার-সহ আগামী দিনে দ্রুত সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি।
এসময় ইবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সাহেদ আহম্মেদ বলেন, বাংলাদেশে এখন নিরাপত্তা ঘাটতি রয়েছে এবং নিরাপত্তা ব্যহত হয়ে যাচ্ছে আর উপদেষ্টা ড. ইউনূস যমুনায় আরামে আছে। এদিকে দেশের বিভিন্ন জায়গায় খুন-খারাপি হচ্ছে আবার স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা খুনি স্বৈরাচার সাবেক রাষ্ট্রপ্রতি আব্দুল হামিদকে পার করে দিয়ে পরেরদিন নাটকের মঞ্চ তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, আমাদের নামে যে মামলা আছে তা বর্তমান ইন্টেরিম গভর্মেন্ট এখনও প্রত্যাহার করেননি। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে গুটিকয়েক লোক নিয়ে গুপ্ত সংগঠন হলে রুমে রুমে গিয়ে অপতৎপরতা চালাচ্ছে। আমি ইবি প্রক্টরকেও জানাইছি এবং আপনারা যারা সাংবাদিক আছেন তাদেরও অবহিত করেছি। আপনারা এসব অপতৎপরতা দেখবেন। সর্বোপরি সাম্য হত্যাকরীদের দ্রুত বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
অর্থসংবাদ/সাকিব/এসএম