জাতীয়
ভালুকার সাবেক এমপি ধনু ঢাকায় গ্রেফতার

ময়মনসিংহ-১১ (ভালুকা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনুকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার (১৪ মে) দিবাগত রাত সোয়া ৩টার দিকে রাজধানীর আফতাব নগর এলাকা হতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ২৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় দায়েরকৃত একটি হত্যা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
যাত্রাবাড়ী থানা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই দুপুর ২টার দিকে যাত্রাবাড়ী থানাধীন উত্তর কুতুবখালী বউবাজার রোডে মাদ্রাসার সামনে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী মোহাম্মদ আরিফ (১৮) গুলিবিদ্ধ হন। পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে তিনি মারা যান।
এই ঘটনায় নিহত আরিফের বাবা মোহাম্মদ ইউসুফ বাদি হয়ে গত ২৬ আগস্ট যাত্রাবাড়ী থানায় ২৪৩ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। গ্রেপ্তারকৃত কাজিম উদ্দিন আহম্মেদ ধনু ওই মামলার ১৪নং এজাহারনামীয় আসামি।
এ ছাড়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যা ও হামলার ঘটনায় তার বিরুদ্ধে আরও তিনটি মামলা হয়েছে। এসব মামলার ভিত্তিতে যাত্রাবাড়ী থানা পুলিশ গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় রাজধানীর আফতাব নগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

জাতীয়
সাম্য হত্যার আসামি গ্রেফতার করা পুলিশ টিম পেলো লাখ টাকা পুরস্কার

ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তায় দ্বায়িত্ব পালনে গত মাসে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ডিএমপির উত্তরা বিভাগ। এছাড়া গোয়েন্দা কার্যক্রমে সেরা নির্বাচিত হয়েছে রমনা বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকালে রাজারবাগের বাংলাদেশ পুলিশ অডিটোরিয়ামে এপ্রিল মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে পুলিশ কর্মকর্তাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন ডিএমপি কমিশনার। এদিন ঢাকা মহানগরের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, অপরাধ নিয়ন্ত্রণ ও জননিরাপত্তা বিধানসহ উত্তম কাজের স্বীকৃতি হিসেবে ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তাদের পুরস্কৃত করেন তিনি।
ডিএমপির এপ্রিল-২০২৫ মাসের মাসিক অপরাধ সভায় শ্রেষ্ঠ হলেন যারা-
এপ্রিল-২০২৫ মাসে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের অপরাধ বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে উত্তরা বিভাগ। শ্রেষ্ঠ থানা হয়েছে উত্তরা পশ্চিম থানা। সহকারী পুলিশ কমিশনারদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন রমনা জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. আব্দুল্লাহ আল মামুন। শ্রেষ্ঠ এসআই যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আদাবর থানার এসআই মো. কবির উদ্দিন ও ভাটারা থানার এসআই মো. হাফিজুর রহমান। এএসআইদের মধ্যে যৌথভাবে শ্রেষ্ঠ হয়েছেন যাত্রাবাড়ী থানার এএসআই মো. আক্তারুজ্জামান মন্ডল পলাশ ও মুগদা থানার এএসআই আমিরুল ইসলাম।
গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ডিবি-রমনা বিভাগ। শ্রেষ্ঠ টিম লিডার নির্বাচিত হয়েছেন ডিবি-উত্তরা বিভাগের বিমান বন্দর জোনাল টিমের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার মো. মাহমুদুল হাসান চৌধুরী।
ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হয়েছে ট্রাফিক-উত্তরা বিভাগ। শ্রেষ্ঠ ট্রাফিক সার্জেন্ট যৌথভাবে নির্বাচিত হয়েছেন বাড্ডা ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট মো. মাসুদ রেজা ও ওয়ারী ট্রাফিক জোনের সার্জেন্ট সুমন মাহমুদ তানভীর। এছাড়া দ্রুততম সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্র শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটন ও আসামি গ্রেফতার করায় ডিএমপির রমনা বিভাগের শাহবাগ থানার সংশ্লিষ্ট টিমকে নগদ এক লাখ টাকা বিশেষ পুরষ্কার প্রদান করেন।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম) মো. ফারুক হোসেনের সঞ্চালনায় ডিএমপির মাসিক এ অপরাধ পর্যালোচনা সভায় ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস্) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম) মো. মাসুদ করিম; অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (লজিস্টিকস্, ফিন্যান্স অ্যান্ড প্রকিউরমেন্ট) হাসান মো. শওকত আলীসহ যুগ্ম পুলিশ কমিশনারসহ উপ-পুলিশ কমিশনাররা, ডিএমপির সব থানার অফিসার ইনচার্জ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
নতুন করে ৯ স্থানে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করলো ডিএমপি

দুদিন ধরে ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করছেন বিক্ষোভকারীরা। এতে একদিকে যেমন যান চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, অন্যদিকে মানুষের ভোগান্তিও চরমে। ভোগান্তি কমাতে ঢাকায় কিছু এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
যেসব এলাকায় সভা, সমাবেশ, মিছিল ও বিক্ষোভ নিষিদ্ধ করা হয়েছে, সেগুলো হলো: প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট ও বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সামনের এলাকা।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) বিকেলে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সর্বসাধারণের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সম্প্রতি উদ্ভূত পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে জনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অর্ডিন্যান্সের (অর্ডিন্যান্স নং-III/৭৬) ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে ১৫ মে থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্রধান বিচারপতির সরকারি বাসভবন, বিচারপতি ভবন, জাজেস কমপ্লেক্স, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান গেট, মাজার গেট, জামে মসজিদ গেট, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ১ ও ২ এর প্রবেশ গেট, বিচার প্রশাসন প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট ভবনের সম্মুখে সব প্রকার সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
এছাড়া বিভিন্ন দাবি-দাওয়া আদায় ও প্রতিবাদ কর্মসূচির নামে যখন-তখন সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বিঘ্ন না ঘটানোর জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শ্রমবাজার খুলতে চার শর্ত দিলো মালয়েশিয়া

এক বছর পর কয়েকটি শর্তে ফের খুলছে মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশের শ্রমবাজার। শর্তগুলোর মধ্যে রয়েছে- জনশক্তি রপ্তানি সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার ও মানিলন্ডারিংয়ের মামলা দ্রুত নিষ্পত্তি করা, শ্রমিকের নিরাপত্তা ও স্বার্থ সংরক্ষণ করে অভিবাসন ব্যয় কমানো এবং অভিবাসন ব্যয় কমানোর লক্ষ্যে সহযোগী এজেন্সি প্রথা বাদ দেওয়া।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাইফুদ্দিন নাশুসন ইসমাইল এবং মানবসম্পদ মন্ত্রীর স্টিভেন সিম চি সঙ্গে যৌথসভা করেন বাংলাদেশের প্রবাসী কল্যাণ উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। এসময় শ্রমিক পাঠানো সংক্রান্ত একটি চুক্তি সই হয়। সেই চুক্তিতে এসব শর্ত দেওয়া হয়। বাংলাদেশ ছাড়াও ভারত, নেপাল, মিয়ানমার ও পাকিস্তানের কাছ থেকে শ্রমিক নেওয়ার বিষয়েও চুক্তি করে মালয়েশিয়া।
সংশ্লিষ্টরা বলেন, রিক্রুটিং এজেন্সির বেশি টাকা নেওয়ার সুযোগ থাকলে সেখানে বাণিজ্য হয়। শ্রমিক প্রেরণে ব্যয় কম রাখা হলে বাণিজ্য হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। তাছাড়া, সহযোগী এজেন্সি (অ্যাসোসিয়েট বেয়ারার) পদ্ধতি অভিবাসন ব্যয় বাড়িয়ে দেয়। শ্রমিক কম টাকায় মালয়েশিয়া যেতে পারলে প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।
জানা গেছে, মালয়েশিয়া আগামী কয়েক বছরে প্রায় ১২ লাখ শ্রমিক নেবে। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য বড় সুখবর রয়েছে।
শ্রমবাজার সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশটিতে সাধারণ শ্রমিকের বেতন মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর চাইতে দ্বিগুণ বা তারও বেশি। কিছু জটিলতায় বিশাল এই শ্রমবাজার প্রায় এক বছর ধরে ঝুলেছিল। ধীরে ধীরে সেই জটিলতা কেটেছে। ফলে মালয়েশিয়ায় বৈধভাবে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে। এর মাধ্যমে দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।
কুয়ালালামপুরের বাংলাদেশের দূতাবাসের কর্মকর্তারা বলেন, মালয়েশিয়া পর্যাপ্ত সংখ্যক শ্রমিক পাঠানো গেলে বছরে প্রায় পাঁচ বিলিয়ন ডলার বাড়তি রেমিটেন্স পাবে বাংলাদেশ। এ ক্ষেত্রে শ্রমিকদের কম অভিবাসন ব্যয় ও তাদের সুরক্ষার বিষয়টি নজর দেওয়া হচ্ছে।
বৈঠকে থাকা একজন কর্মকর্তা বলেন, মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। বৈঠকে দেশটিতে শ্রমবাজার খোলার বিষয়ে একটি ইতিবাচক ফল এসেছে। আগামী ২১ মে ঢাকায় যৌথ ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
দুই উপদেষ্টার সাবেক এপিএস-পিও ও এনসিপি নেতাকে দুদকে তলব

উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়ার সাবেক সহকারী একান্ত সচিব (এপিএস) মোয়াজ্জেম হোসেন এবং স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের সাবেক ব্যক্তিগত কর্মকর্তা (পিও) মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী ও বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন।
এছাড়াও, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে তলব করেছে সংস্থাটি।
আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, কেনাকাটায় অনিয়ম, বদলি–বাণিজ্য এবং পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনাকে ঘিরে ‘কমিশন–বাণিজ্যের’ অভিযোগে তাঁদের তলব করা হয়েছে।
আক্তার হোসেন বলেন, তুহিন ফারাবী ও মাহমুদুল হাসানকে ২০ মে; গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরকে ২১ মে এবং মোয়াজ্জেম হোসেনকে ২২ মে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে।
এপিএস পদে নিয়োগ পাওয়ার পর থেকে মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অনিয়মের অভিযোগ উঠতে থাকে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মোয়াজ্জেম হোসেনকে তাঁর দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। গত ২১ এপ্রিল জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এ–সংক্রান্ত এক প্রজ্ঞাপনও জারি করে। এ ছাড়া স্বাস্থ্য উপদেষ্টা নূরজাহান বেগমের ব্যক্তিগত কর্মকর্তা হিসেবে মুহাম্মদ তুহিন ফারাবী দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে তাঁকে নিয়েও মন্ত্রণালয়ে নানা ধরনের অভিযোগ ওঠে। এরপর তাঁকেও অব্যাহতি দেওয়া হয়।
স্বাস্থ্য উপদেষ্টার বর্তমান পিও মাহমুদুল হাসানের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। এনসিপির সাবেক যুগ্ম সদস্যসচিব এ বি এম গাজী সালাউদ্দিন আহমেদ তানভীরের বিরুদ্ধেও রয়েছে পাঠ্যবইয়ের কাগজ কেনায় দুর্নীতির অভিযোগ। গত ২১ এপ্রিল তাঁকে সাময়িক অব্যাহতি দেয় দল।
অর্থসংবাদে প্রকাশিত কোনো সংবাদ বা কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
জাতীয়
শিগগিরই সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়া হবে: প্রেস সচিব

শিগগিরই অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড দেওয়া শুরু হবে। যারা জার্নালিস্ট তারাই এ কার্ড পাবেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনাসভায় এ কথা জানান তিনি।
তিনি বলেন, ১৬৭ জনের কার্ড বাতিল করা হয়েছিল, এটা ভুল হয়েছিল। এখন নতুন কমিটি করেছি, নতুন নীতিমালা হয়েছে। আগে অ্যাক্রেডিটেশন কার্ডধারীদের সরকারবন্দনা বাধ্যতামূলক ছিল। এই নীতিমালায় এসব বাদ দেওয়া হয়েছে। এখন খুব সহজ করা হয়েছে, সাংবাদিকবান্ধব করা হয়েছে।
প্রেস সচিব বলেন, সাংবাদিকদের অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড খুব শিগগিরই দেওয়া শুরু হবে। এখন থেকে শুধু সাংবাদিকরাই এই কার্ড পাবেন। আগের মতো এমপি, কোনো দলীয় কেউ পাবে না। অ্যাক্রেডিটেশন কার্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে যতটা স্বচ্ছতা রাখা দরকার তা রাখা হবে।
শফিকুল আলম বলেন, কোনো সাংবাদিকদের চাকরি হারানোর জন্য সরকার দায়ী না। মালিকপক্ষ এটা করেছে এবং তাদের চাকরিচ্যুত করার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে কেউ কোনো ধরনের চাপ সৃষ্টি করেনি।
এ সময় ২৬৬ সাংবাদিকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা প্রসঙ্গে বলেন, এই মামলার জন্যও সরকারকে দায়ী করা হয়। কিন্তু এর জন্য সরকার কোনোভাবে দায়ী নয়। তবে যাদের মামলা দিয়ে হ্যারাজ (হয়রানি) করা হয়েছে সেক্ষেত্রে মামলাকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সাংবাদিকতার জন্য নতুন অর্থনৈতিক মডেলের প্রয়োজনীয়তার প্রতি গুরুত্বারোপ করেন প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তিনি বলেন, সাংবাদিকতার জন্য নতুন অর্থনৈতিক মডেল দরকার। যেখানে কপিরাইট সংরক্ষিত হবে, বেতনটা সুরক্ষিত হবে। এখন কয়েকজন উচ্চপর্যায়ের সাংবাদিক ছাড়া সবারই বেতন তুলনামূলক কম। তাই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে ভাবা উচিত।
তিনি আরও বলেন, প্রতিটা গণমাধ্যমের সোশ্যাল মিডিয়া গাইড প্রয়োজন। বিদেশে প্রতিটি গণমাধ্যমের আছে, আমাদের দেশেও থাকা উচিত। একজন সাংবাদিক ব্যক্তি হিসেবে কোনো দল বা ধর্মের হতেই পারে, কিন্তু আসল পরিচয় সাংবাদিক হওয়া উচিত। এটা যদি না হয় তাহলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আপনার দেওয়া মতামত ভুল হলে মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তখন আপনার প্রতি অন্যদের বিশ্বাসের জায়গা নষ্ট হবে।
সবশেষে প্রেস সচিব বলেন, ১৫ বছরের ফ্যাসিস্ট আমলের পুরোনো সেই খারাপ চিন্তাধারা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। সত্যিকার অর্থেই তা করতে হবে। যেসব সাংবাদিক অন্যায় করেছেন, সাংবাদিকতার অধিকার নষ্ট করেছেন তাদের তা স্বীকার করতে হবে। তা না পারলে নিজে উপলব্ধি করে নতুনভাবে শুরু করতে হবে। এতে আপনার ওপর মানুষের আস্থা ফিরে আসবে। আর সরকারও চায়, সাংবাদিকদের ওপর মানুষের পুরোনো বিশ্বাস ফিরে আসুক।